![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই মুহূর্তে বিএনপি নির্বাচনের জন্য বেশ আগ্রহী হয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করে, এই মুহূর্তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তারাই ক্ষমতায় আসবে। তাদের এই বিশ্বাসটা একেবারে ভিত্তিহীন নয়। অবশ্য জনগণের রায়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবে সমস্যা হলো, মিডিয়া, প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীতে এখনও অনেক আওয়ামীলীগ সমর্থক রয়ে গেছে। গত ১৬ বছরের সেটআপ হুট করে ভেঙে দেয়াটাও কঠিন। ফলে এমন একটা অবস্থায় নির্বাচনে করে বিএনপি বা অন্য যে দলই সরকার গঠন করবে তাদের জন্য সরকার টিকিয়ে রাখাটা একপ্রকার অসম্ভবই হবে। কারন যে দলই ক্ষমতায় আসুক, রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে তাদের নানান ধরনের ব্যার্থতা থাকবেই, ফলে তৈরি হবে জন অসন্তোষ, এবং অসন্তোষ থেকে আন্দোলন। তখন ঐ আন্দোলনে যুক্ত হবে মিডিয়া, প্রশাসন, এবং নিরাপত্তা বাহিনীতে থাকা আওয়ামীলীগ সমর্থকরা, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশের হস্তক্ষেপ। যা খুব সহজেই সরকার পতন করে দিতে পারবে।
এখন কথা হচ্ছে বর্তমান সরকারের সাথে কেন এমনটা করতে পারছে না?
এর প্রথম কারণ হচ্ছে জাতীয় ঐক্য। দেখবেন দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করলেও সরকারের প্রতি সমর্থনও কিন্তু বজায় রেখেছি। যা অন্য কোনো নির্বাচিত সরকারের ক্ষেত্রে হবে না। দ্বিতীয়ত বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশ্বব্যাপী ভাবমূর্তি।
জনতার ঐক্যের কারণে মিডিয়া, প্রশাসন, এবং নিরাপত্তা বাহিনীতে থাকা আওয়ামীলীগ সমর্থকরা কিছুই করতে পারছে না। আর প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির কারণে প্রতিবেশী দেশের কোন পরিকল্পনাই কাজে আসছে না। এজন্য দেখবেন প্রতিবেশী দেশের সরকার বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য অফিশিয়ালি স্টেটমেন্টে দিচ্ছে, এবং গদি মিডিয়া রাখঢাক না রেখে সরাসরি বলছে, যেকোন মূল্যে ড. মুহাম্মাদ ইউনুসকে সরাতে হবে। অর্থাৎ সরকার যেটা বলতে পারছে না সেটা মিডিয়া দিয়ে বলাচ্ছে। কারণ গত সাত মাস তারা বহু ভাবে চেষ্টা করেছে, ভুয়া নিউজ প্রচার করে, প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে, বাংলাদেশের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট ধর্মের হাতে গোনা কিছু লোককে মাঠে নামিয়ে। কিন্তু না, একমাত্র ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের কারনে তাদের সকল প্লানই ভেস্তে গেছে। তারা বুঝে গেছে তিনি যতদিন আছেন ততদিন কোন প্লানই কাজে আসবে না। তাই বর্তমানে তাদের প্রধান লক্ষ্য যেকোনো মূল্যে ড. মুহম্মদ ইউনূসকে সরানো।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তবে নির্বাচন কখন হবে? কিংবা কতদিন আমরা ড. মুহাম্মাদ ইউনুস সরকারের উপর নির্ভর থাকবো?
উত্তর হচ্ছে, মিডিয়া, প্রশাসন, এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে নিট এন্ড ক্লিন করতে হবে। এ কাজে সরকারকে সমর্থন এবং চাপ দুটোই দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই জায়গাগুলো নিট এন্ড ক্লিন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশ নিরাপদ নয়। কারন প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা চাইলে একটা আন্দোলন তৈরি করে মিডিয়া, প্রশাসন, এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়েও পতিত স্বৈরাচারের পুনর্বাসন করাতে পারবে। একই সাথে সর্বাত্মক সংস্কারের কাজটা চালিয়ে যেতে হবে। একটি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে এবং সেই সংবিধানের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
©somewhere in net ltd.