নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখালিখি, বই পড়া, খেলাধুলা, ঘুম এইসব কিছুই ভালোবাসি ।

সাফাত আহমদ চৌধুরী

স্বপ্নতে বেঁচে থাকার নিশ্বাস খুঁজি

সাফাত আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় চলে আসছে

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

আলেমরা বলে, রাসূল (সাঃ) এর রক্ত তায়েফের মাটিতে যদি পড়তো, তাহলে আল্লাহতায়ালা তায়েফবাসীদের ধ্বংশ করে দিতো । রাসূল (সাঃ) দেহ মোবারক থেকে রক্ত জড়ার পর, আল্লাহর হুকুমে পাহাড়ের ফেরেশতারা এসেছিলেন, এবং বলেছিলেন আপনি শুধু বলেন, তাহলেই ধবংশ করে দিবো তায়েফবাসীদের ।

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন নি, বরং তাদের হেদায়াতের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন । সেই নবীর চাইতে আল্লাহর কাছে প্রিয় হলো, তার দ্বীন ইসলাম । কারণ ইসলামের জন্য শত শত নবী অনেক কষ্ট মুজাহেদা করেছেন ।

এই দ্বীন প্রতিষ্টার জন্য আল্লাহর রাসূল দেহ মোবারক থেকে রক্ত জড়িয়েছেন । এখনো এই দ্বীন ইসলামকে প্রতিনিধিত্ব করতেছে মুসলমানরা, সমস্ত পৃথিবীতে আজ যাদের মূল্য নেই, সমস্ত পৃথিবীতে যে জাতিটা অত্যাচারিত, সেই জাতি ।

নবী-সাহাবীগণ অত্যাচারিত হয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাহলে আল্লাহ সমগ্র পৃথিবীতে যে মুসলমানরা অত্যাচারিত হচ্ছে তাদের রক্তের বিনিময়ে হলেও তুমি পৃথিবীতে আবার দ্বীন প্রতিষ্টিত করে দাও ।

রমযান মাস উপলক্ষে আমার কোন কিছু বলার নেই, শুধু আপনাদের অনুরোধ করতেছি, পুরো মাস জুড়ে চোখ থেকে অশ্রু জড়িয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন আল্লাহ তুমি তুমার দ্বীনকে আবার প্রতিষ্ঠিত করো । সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, ইরাক, লেবানন, ফিলিস্তিন, মায়ানমার ও মিশরবাসীদের জন্য দোয়া করি যাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদেরকে তার পরীক্ষা থেকে মুক্তি দেন, এবং তার কাছ থেকে ওদের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করি ।

একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি ও কিন্তু সেইসব দেশে জন্ম নিতে পারতেন, আফিফার মতো আপনার উপর ও নির্যাতন হতে পারতো ।এখনো আল্লাহ আপনাকে তার দয়ায় বাঁচিয়ে রাখছেন, বেশিকিছু না, শুধু দু-হাত তুলে মোনাজাত করেন । মনে রাখবেন কবর আপনাকে প্রতিদিন ডাকতেছে, এই লিখাটা পড়া শেষ হতে না হতেই আপনার মৃত্যু হতে পারে , কারণ প্রতিদিন ছয় লক্ষ মানুষ মৃতুবরণ করতেছে, ১ লক্ষ ৫০ হাজার মুসলমান প্রতিদিন বিদায় নিতেছে, তাহলে আপনি মরবেন না, তার কি গ্যারান্টি ।

আল্লাহ আপনাকে সবকিছু করার ক্ষমতা দিয়েছেন কিন্তু বলেছেন তার হুকুম পালনের জন্যে, আপনি যাই করেন না কেন, আপনার কর্মের ফলাফল লিপিবদ্ধ হচ্ছে, , আর আল্লাহ সবকিছু দেখতেছেন এবং আপনাকে একদিন এইসব কিছুর জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। আজ যদি কিছু না করতে পারেন দ্বীনের জন্য, তাহলে বিচারের দিন কি প্রশ্নের উত্তর দিবেন? আর আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন, তুমাকে কি এই দিন সম্পর্কে কেউ অবহিত করে নাই, আপনি উত্তর দিবেন, করা হয়েছিলো, তবে কথাটাকে গুরুত্ব দেয়া হয় নাই।

আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো লেখাটি শেয়ার করার জন্য, হয়তো এই লিখাটি শেয়ারের জন্য আপনি দায়মুক্ত হয়ে যেতে পারেন, ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে বন্ধুদের মেনশন করবো, এবং তাদেরকে ও বলবো লিখাটি শেয়ার করার জন্য, লিখাটি পড়ে আমরা যদি সেই অনুযায়ী আমল করি, তাহলে আল্লাহ অবশ্যই সাহায্য পাঠাবেন । আল্লাহর ভয়ে এক ফোটা অশ্রুর দাম ও অনেক বেশি । আপনারা চাইলে আমার সাথে ফেসবুকে কানেক্ট হতে পারেন, আমি কমেন্ট বক্সে লিঙ্ক দিয়ে দিবো ।





মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: https://www.facebook.com/saftchowdhury

২| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাসুল (স: )'এর শরীরর রক্ত দেখে, "পাহাড়ের ফেরেশতারা" এসে, আল্লাহের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন, তায়েফ ধ্বংস করে দিতে? বুঝা যাচ্ছে, ফেরেশতারা রাগান্বিত হয়ে এই কাজ করেছিলেন!

এটা তো অনেকটা ছাত্রলীগের মতো। গল্প ইসলাম ধর্মের মুল ধারণার সাথে লজিক্যালী মিলছে না। আপনি তৈরি করেছেন?

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহতায়ালা হুকুম করেছিলেন, নবীজীর পারমিশন নেয়ার জন্য । নবীজী যদি বলতেন, তায়েফবাসীদের ধবংশ করে দাও, তাহলে অবশ্যই তারা ধবংশ করে দিতেন । আল্লাহতায়ালার হুকুম ছাড়া কিছুই হয় না, সেটা আপনার বুঝা উচিত ছিলো ।

৩| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

ক্স বলেছেন: পুরোপুরি ভুয়া গল্প।
- রাসূলের (স) রক্তে কি আছে, যা মাটিতে পড়লে মাটি আল্লাহ ধ্বংস করে দেবেন? রাসুলের (স) রক্ত তো ওহুদের ময়দানেও ঝরেছে, কই ওহুদ তো এখনও টিকে আছে।
- ফেরেশতারা কি পাহাড়ে থাকে? তাদের দায়িত্ব কি প্রতিশোধ নেয়া? এটাতো পরিষ্কারভাবে খমতার অপব্যবহার।
- তায়েফবাসীরা তাদের মত ছিল, কারও ক্ষতি তো করেনি। তাহলে রাসূল (স) সেখানে যাওয়ায় কি এমন পরিস্থিতি হল যে ফেরেশতাদের খায়েশ জাগলো তায়েফ ধ্বংস করার?
- যেসব আলেম এসব আউল ফাউল কথা বলে, এরা হল আরেকজনের মাথায় মলমূত্র ঢালা আলেম - এদের কথা ধরার মত নয়।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তায়েফে আল্লাহর রাসূল অনেক বেশি অত্যাচারিত হয়েছিলেন, দেহ মোবারক থেকে অনেক বেশি রক্ত জড়ছিলো, তাই আলেমরা বলেছেন তায়েফের মাটিতে যদি রক্ত পড়তো, তাহলে আল্লাহ তায়েফবাসীদের ধবংশ করে দিতেন, এটা আলেমরা বলেছেন, এটা কোরান অথবা হাদিসের কথা না । আর আলেমরা এই বিষয়ে একমত । আলেমরা কোন বিষয়ে একমত হলে সেটা মেনে নিতে হয়। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আলেমরা কখনো ভ্রান্ত বিষয়ে একমত হয় না । আপনার ইসলামী জ্ঞান কতটুকু, সেটা আপনার মুখের ভাষায় বুঝে গেছি, আপনার সাথে তর্ক করার কোন মানেই হয় না । আপনার দেহের সাথে ফেরেশতা থাকতে পারেন কয়েকজন, তাহলে পাহাড়ের জন্য কেন ফেরেশতা থাকবেন না । পাহাড়ের ফেরেশতা হলেই যে, পাহাড়ে থাকতে হবে, এমন তো কথা না । ইসলাম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান অল্প । ২০১৪ সাল থেকে ইসলাম নিয়ে পড়ালেখা করতেছি, দ্বীনি বিষয়ে ভিজ্ঞ মানুষের সাথে আমার কথাবার্তা হয় । যাই হোক, আপনাকে প্রচুর পড়তে হবে, তারপর জেনেশুনে ইসলাম সম্পর্কে কমেন্ট করবেন ।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

নতুন বলেছেন: উপরের কাহিনি ভুয়া... একটু পড়াশুনা করলেই বুঝতে পারবেন।

আর ফিলিসতীনের মানুষেরা বোকার মতন পাথর নিয়ে যুদ্ধ করছে...

এর রাজনিতিক সমাধান দরকার।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আর ফিলিসতীনের মানুষেরা বোকার মতন পাথর নিয়ে যুদ্ধ করছে...
যে এই কথাটি বলতে পারে, সে উপরের কথাটিকে ভূয়া বলতে পারে । বাই দা ওয়ে এই লিখাটা আপনাদের মতো মানুষদের জন্য না, এটা শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য । আপনার প্রশ্নের উত্তর কমেন্ট বক্সে দেয়াই আছে

৫| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

নতুন বলেছেন: আরেকটা কথা আপনি যদি মনে করেন খেলাফত আসবে...তামাম দুনিয়ায় খেলাফত জারি হবে...

সেটা শুধুই স্বপনে সম্ভব।

বাস্তবে আসুন... এখন ২০১৮ চলে।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার সম্পর্কে ধারণা হয়ে গেছে, আপনি কেমন লোক । যাই হোক সময় আসলেই দেখতে পারবেন ।

৬| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। পড়ে ভাল লাগলো। অনেক শুভ কামনা রইলো।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ।

৭| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: পাহাড়ের ফেরেশতারা পাহাড়ে কি করে? এযেন হিন্দুদের মত গাছের দেবতা,পাহাড়ের দেবতা,জলের দেবতা---ইত্যাদি ইদ্যাদি। রাসুল (স: )'এর শরীরর রক্ত দেখে, "পাহাড়ের ফেরেশতারা" এসে, আল্লাহের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন, তায়েফ ধ্বংস করে দিতে? বুঝা যাচ্ছে, ফেরেশতারা রাগান্বিত হয়ে এই কথা বলেছিলেন, একজন সন্ত্রাসী-মাস্তানের মত কথা। ইসলাম শান্তির ধর্ম আর ফেরেশতাদের মাঝে এত রাগ কেনো? এজন্য ইসলামের মানুষগুলোও খুব উগ্র।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যাদের জ্ঞান অল্প, তারা কথা না বলে থাকতে পারে না, কারণ তাদের এই অল্প জ্ঞানটি মানুষের সামনে প্রদর্শন করতে চায় । ইসলাম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান খুবই সামান্য । এই ধরণের অযৌক্তিক প্রশ্ন বাদ দিয়ে দ্বীনের পথে আসুন, ইসলাম সম্পর্কে জানুন । সবাই যে প্রশ্নটি করছে, সেই প্রশ্নটি আপনিই করলেন, অথচ আপনি দেখলেন না, আপনার প্রশ্নের উত্তর উপরেই দেয়া আছে । আপনাদের কান বন্ধ, চোখ অন্ধ, যাই বুঝাই কাজে আসবে না ।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বর্তমান হিন্দু ধর্মের অনুসারী যারা, তাদের আদিপিতা ও আদম (আঃ) । সবাই দুইজন নর-নারীর বংশধর । শুধুমাত্র আপনাদের মতো ওরা ও যুগে যুগে ভ্রান্ত হয়ে গেছে । হেদায়েত এর জন্য নবী পাঠিয়েছেন, কিন্তু তারা ইসলাম গ্রহণ করে নি । পাহাড়ের দেবতা, জলের দেবতা এইসব এমনিই এমনিই আসে নাই তাদের ধর্মীয় গ্রন্থে, এইসব তারা বিকৃত করেছে । আপনি জানেন না বোধ হয়, মৃত্যুর সময় আযাবের ফেরেশতা আসেন, জাহান্নামীদের জন্য । আযরাইল (আঃ) ও সেই সময় রাগান্বিত অবস্থায় থাকেন ।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার লেখায়, ফেরেশতাদের (পাহাড়ী ফেরেশতা) চরিত্র বাংলাদেশের ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, বা শিবিরের মত হয়ে গেছে! আপনি এই ৩ দলের, কোন এক দলের লেখক?

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর উপরে দেয়া আছে, কষ্ট করে পড়ে নিবেন । আমি বাংলাদেশের কোন দলকেই সমর্থন করি না । ত্যানা পেচিয়ে একই ধরণের প্রশ্ন । আপনি বুঝেন না, এসব প্রশ্নে জ্ঞানের স্বল্পতা প্রকাশ পায় ।

৯| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: নির্মোহভাবে চিন্তা করলে বলতে হয়, জননেত্রী শেখ হাসিনা যেতে পারবেন আরো অনেক দূর.....

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কমেন্ট টি পোস্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না । আপনার কাছ থেকে এমন কমেন্টই আমি আশা করেছিলাম । সম্ভাব্য সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে উপরে ।

১০| ১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বুঝলাম, সব প্রশ্নের উত্তর উপরে দেয়া আছে!

তারপরও, "পাহাড়ী ফেরেশতা" ও "সমতলের ফেরেশতা" কি আলাদা ?

১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সকলকিছুর জন্য আলাদাভাবে ফেরেশতা নিয়োজিত আছেন । একজন কাফেরের জন্য ও ফেরেশতা নিয়োজিত আছেন । সমতল বলতে তো দুনিয়াই বুঝায় । এই পৃথিবীতে অসংখ্য ফেরেশতা আছেন বিভিন্ন প্রকার কাজের জন্য ।

১১| ১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নতুন বলেছেন: আমার সম্পকে` আপনার ধারনা তো হইলো..

কয়েকটা জিঙ্গাসার উত্তর দেন,.... তাহলে আপনার সম্পকে ধারনা পাবো।

* আপনার প্রফাইলের ছবিটা কি আপনার? তাহলে আপনি সুন্নতি দাড়ী নেই কেন?
* আপনার কি ইসলামের জন্য যুদ্ধ করাকে জিহাদ বলে মনে হয়?
* আপনার কি মনে হয় আমাদের দেশের সরকার পরিবত`ন করে খেলাফত প্রতিস্ঠা করা দরকার?
* আপনার কি মনে হয় তার জন্য অস্র নিয়ে যুদ্ধে করা উচিত যদি প্রয়োজন হয়?

১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রো পিকটা অনেক আগের । আর বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর হলো একটা যুদ্ধ আপনারা দেখতে পারবেন, আগামী দু-চার বছরের মধ্যে । সেই যুদ্ধটা জাস্টিস আর ইনজাস্টিদের মধ্যে

১২| ১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

কানিজ রিনা বলেছেন: গল্পটা বা আহব্বান ভাল লাগল যেহেতু
এই হিষ্টিরি আগে পড়েছি বা শুনিনাই।
তবে তায়েবের ময়দানে যুদ্ধ হয়েছে তায়েব
বাসি দ্বারা হযরত মোহাঃসাঃ অনেক হেনস্থা
হয়েছে। হয়ত তায়েব এলাকায় পাহাড় ঘেরা
ছিল তাই ফেরেস্তারা পাহাড় থেকে এসেছে।
ফেরেস্তারা পাহাড় থেকে আসবে কেন?
ফেরেস্তারা সব সময় পৃথিবী প্রদক্ষিন করেন।
আর হযরত মোহাঃ সাঃ সকল বিপদে
আল্লাহর হুকুমতে ফেরেস্তারা আব্রু করেছেন।
আপনার আহব্বান ভাল লেগেছে। অবিশ্বাসী
পৃথিবী ভরে গেছে তাই বুদ্ধি করে উত্তর
দিতে হবে। আবেগে কোনও কিছু অতিরিক্ত
বলা যাবেনা। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় হযরত মোহাঃ
সাঃ এরকম হাজারো ঘটনা লিপিবদ্ধ আছে।
কোনওটা আবেগে রং যেন না লাগে সেদিকে
খেয়াল রাখতে হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় নবী
মোহাঃ সাঃ অনেক অনেক ঘটনা আছে যা
পড়াশুনার মাধ্যমে কোরআন হাদীস ও জীবন
আদর্শের হিস্টি থেকে উদ্ধৃতি দিতে হবে।
ধন্যবাদ শুভ কামনা।

১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা আমার মনগড়া কথা না, আলেমদের মুখ থেকে শুনা তায়েফের ঘটনা । তাছাড়া আমি নিয়মিত হাদিসের বইগুলা পড়ি ।

১৩| ১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

নতুন বলেছেন: আর যারা মনে করে ফিসিস্তিনের সমস্যা যুদ্ধ করে সমাধান করা যাবে তাদের সাথে কথা বলার অথ` হয়না্

কারন আপনারা বাস্তবে বিশ্বাসী না.... তাহলে বিশ্ব রাজনিতি এবং বত`মান পরিস্হিতি বুঝতেন এবং বুঝতে পারতেন যে এই সমস্যা রাজনিতিক সমাধান ছাড়া কোন পথ নেই।

পাথর মেরে গুলি খাওয়া শুধুই আহাম্মকি....

তাদের উচিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধানের চেস্টা করা।

১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এই সমস্যার সমাধান পশ্চিমা বিশ্ব কখনো দিতে পারবে না । আপনি আমার চাইতে বর্তমান পৃথিবী নিয়ে ভাবেন না নিশ্চয়ই ।

১৪| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখক মহাদয়ঃ আলেমদের মূখে থেকে শুনে সরাসরি লেখায় বয়ান মারছেন আবার অন্যদের বলেন ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান কম। দুকলম পড়ে মানুষের ভিত বোঝা যায় না।

আপনি বলেছেন বর্তমান হিন্দু ধর্মের অনুসারী যারা, তাদের আদিপিতা ও আদম (আঃ) । সবাই দুইজন নর-নারীর বংশধর । এটা আপনার কথা। কিন্তু হিন্দুদের বিশ্বাস আলাদা। তারামনে করেন ঈশ্বর এই পৃথিবীতে দুইজন পিতা মাতা পাঠিয়েছে
হিন্দু ধর্ম মতে তাদের সেই আদি পিতার নাম স্বায়ম্ভুব মনু এবং আদি মাতার নাম শতরুপা। আপনার জন্মগত পাওয়া ধর্ম বিশ্বাস সবার কাধে চাপাচ্ছেন কেন?

১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০০

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: একদিন আমার ভাই বলেছিলো, যদি তুমি পৃথিবীতে ধর্মের অস্তিত্ব আছে কিনা সেটা যাচাই না করো, আর কোন ধর্ম সঠিক সেটা যাচাই না করো, তাহলে তুমার আর কাফেরদের মধ্যে পার্থক্য কোথায় । আমি জন্মগতভাবে মুসলিম, সেটার জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি, কিন্তু সবার মতো অন্ধভাবে বিশ্বাস স্থাপন করি নাই, আজ যে বিশ্বাস তৈরি হয়েছে ইসলামের উপর সেটা চার বছরের গবেষণালব্ধ ফলাফল । এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি, আলেমদের সংস্পর্শে থাকতেছি, সকল কিছুর সমাধান হাদিস কোরআন থেকে দেয়ার চেষ্টা করতেছি । উপরের লিখাগুলো আমার, কোন আলেমের বয়ান না, বরং এই কথা বলেছি, তায়েফের ঘটনা আলেমদের মুখ থেকে শোনা । ইসলাম সম্পর্কে আপনার চাইতে কয়েক হাজারগুণ বেশি জ্ঞান আমার আছে ।আপনার সব প্রশ্নের উত্তর চার বছরের মাথায় পেয়ে যাবেন ।

১৫| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: তায়েফের ঘটনা আলেমদের মুখ থেকে শোনা সেটা বয়ান দিচ্ছেন?

১৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৪

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এখানে তায়েফের ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয় নাই । শুধুমাত্র দ্বীন আল্লাহতায়ালার কাছে কত প্রিয় সেটা বুঝাইতে চেয়েছি ।এই লিখাটার প্রধান উদ্দেশ্য হলো আমরা উম্মতে মোহাম্মদি, আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবো । অল্প জ্ঞান হলে তো সমস্যা, প্রশ্নগুলো অযৌক্তিক হয়, এক্ষেত্রে নিরবতাই ভালো ।

১৬| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: যিনি নিজেকে খুব জ্ঞানী ভাবে এর চেয়ে মূর্খ আর কে?

১৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৭

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহাবিশ্বের জ্ঞানের তুলনায় আমার জ্ঞান বালি পরিমাণ । আমি শুধু বলতে চেয়েছি, আমি আপনার চাইতে ইসলাম সম্পর্কে অনেক বেশি জানি । তার মানে এই না যে আমি খুব জ্ঞানী । আপনার জ্ঞান কতটুকু? সেটা আপনার তৃতীয় শ্রেণীর কমেন্ট দেখেই বুঝা যাচ্ছে ।

১৭| ১৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তায়েফের ঘটনার রেফারেনস-(বোখারী শরীফ ২য়)এবং বোখারী শরীফের শরাহ ফতহুল বারীতে ও রয়েছে।(বাবু গাযওয়াতু উহুদ)এই ঘটনাটা ঘটেছে তৃতীয় হিজরীতে।বদর যুদ্ধের এক বছর পর।এই যুদ্ধে ২২/২৩ জন কাফির নিহত হয়েছে।এবং ৭০ জন মুসলমান শহীদ হয়েছেন ।

এরপর যদি আর কেউ মূর্খের মত প্রশ্ন করেন তাহলে আমি আপনাদের আবু জেহেল বলে সম্বোদ্ধন করবো ।

১৮| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: তায়েফের ঘটনার রেফারেনস-(বোখারী শরীফ ২য়)এবং বোখারী শরীফের শরাহ ফতহুল বারীতে ও রয়েছে।

আপনি যে সব হাদীস রচয়ীতার কথা বলছেন তিনাদের কথা মানতে হলেতো বিপত্তি। কারন এই হাদীস লেখকরাই কোরআনের বিশুদ্ধতা নিয়ে কথা বলেছে, তবেকি এগুলোও আমাদের মানতে হবে? যদিও আপনি বলেছেন আমি তৃতীয় শ্রেণীর কমেন্ট করি; তারপরেও বলি আপনি ভেবে বলুন কি করা উচিৎ।

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কোরানের বিশুদ্ধতা নিয়ে কোন প্রকৃত মুসলমান কোনদিন প্রশ্ন তুলে নাই । মনগড়া কথা পরিহার করুন । কোরান স্রষ্টা প্রেরিত গ্রন্থ, এই কিতাবের একটা আয়াতে নিয়ে সন্দেহ পোষণ করলে কেউ মুসলমান থাকে না ।

১৯| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: পোষ্ট ও প্রতিমন্তব্যে আরো সাবধান থাকা জরুরী।

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ওকে ভাইয়া ।

২০| ১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: সাফাত আহমদ চৌধুরী এসব বিষয়ে লিখেতে হলে প্রচুর পড়তে হয়। কোন আলেম হয়তো বললো কোরানের একটি অক্ষরও বিকৃত হয়নি, এতে কোন সন্দেহ নেই। তা নিয়ে তর্ক না করে জানতে হবে, জানতে চাইতে হবে।

কোরানের একটি অক্ষরও বিকৃত হয়নি। নবী মুহাম্মদের কাছে আল্লাহ ওহী পাঠিয়েছেন। এবং সম্পূর্ণ অহীটুকু ছোট-বড়ো-মাঝারি কোন প্রকার পরিবর্তন ছাড়াই বর্তমান কোরান আকারে সংকলিত হয়েছে। এতে কোন সন্দেহ নেই। এটা কোরানের অলৌকিকতার প্রমাণ, যা অন্য কোন গ্রন্থের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। সম্পূর্ণ ভুল একটি কথা।

কোরান মোটেও যথাযথভাবে সংকলিত হয়নি। বর্তমানের মতো অতীতেও অনেকে এর সমালোচনা করেছেন। প্রচলিত ইসলামিক সূত্রগুলো পর্যালোচনা করে আমরাও সহজে মোল্লাদের দাবীর অসারতা প্রমাণ করতে পারি। চলুন দেখি, রেফারেন্স গুলো মিলিয়ে দেখবেন, আপনার কথায় বলি ত্যানা প্যাচাইবেন না।

একঃ বর্তমানে প্রচলিত কোরান সংকলনের কৃতিত্ব দেয়া হয় তৃতীয় খলিফা উসমানকে। সকলেই জানেন, খলিফা উসমানকে বিদ্রোহী মুসলমানগণ হত্যা করেছিল। হত্যা করার সময় তাকে কোরান বিকৃতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। মৃত্যুর প্রাক্কালে তাকে এভাবে অভিযুক্ত করেছিলেন খলিফা আবু বকরের পুত্র মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর। এই মুহাম্মদ ছিলেন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, যিনি মিসরের শাসক হিশেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া আরো অনেকে এই ব্যপারে খলিফা উসমানের সমালোচনা করেছেন। আমরা ধীরে ধীরে এসব জানতে পারবো।
রেফারেন্স-
০১) আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭ম খণ্ড ৩৩২-৩৩ পৃষ্ঠা।

দুইঃ কোরানের আয়াত-শব্দ-অক্ষর সংখ্যার কোন স্থিরতা নেই। প্রাচীন ও আধুনিক, সকল তথ্যসূত্রে এসব সংখ্যা নিয়ে প্রচণ্ড বিতর্ক হয়েছে। এমনকি বর্তমানেও প্রচলিত কোরানের আয়াত সংখ্যা নিয়ে একেকজন একেক কথা বলছেন। বিভিন্ন জনের মতামত অনুযায়ী এই সংখ্যাটি ৬০০০/ ৬২০৪/ ৬২১৪/ ৬২১৯/ ৬২২৫/ ৬২২৬/ ৬২৩৬/ ৬২১৬/ ৬২৫০/ ৬২১২/ ৬২১৮/ ৬৬৬৬/ ৬২২১/ ৬৩৪৮ ইত্যাদির মধ্যে যে কোন একটি হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে। আয়াতের পাশাপাশি অক্ষর ও শব্দের সংখ্যা নিয়েও প্রচুর মতানৈক্য রয়েছে।
রেফারেন্স-
০১) তাফসিরে ইবনে কাসির ১ম খণ্ড ৫০-৫১ পৃষ্ঠা।
০২) সংক্ষিপ্ত ইসলামি বিশ্বকোষ ১ম খণ্ড ৭০ পৃষ্ঠা।
০৩) তাফসিরে জালালাইন ১ম খণ্ড ৩৯ পৃষ্ঠা।
০৪) কোরান হাদিস সংকলনের ইতিহাস ৬৯ পৃষ্ঠা।
০৫) উইকিপিডিয়া।

তিনঃ অনেকেই বলে থাকেন, নবী মুহাম্মদের উপর অবতীর্ণ হওয়া কোরানের বেশীরভাগই হারিয়ে গেছে। সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে উমর ছিলেন দ্বিতীয় খলিফা উমরের পুত্র। নবী মুহাম্মদ তাকে ‘সৎ লোক’ হিশেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি ১৬৩০টি নির্ভরযোগ্য হাদিস বর্ণনা করেছেন, বর্ননাকারীদের মধ্যে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। আয়াত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ব্যপারে তিনি মন্তব্য করেছেন,

“ কোরান সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান আছে, এই কথাটি কারো বলা উচিত নয়। সে কীভাবে জানবে যে, পরিপূর্ণ জ্ঞান কী ছিল! কোরানের খুব বড়ো একটা অংশ এখন তার কাছে অপ্রচলিত। এর পরিবর্তে সে বলতে পারে, আমি কোরানের সেটুকুই পেয়েছি, যা এখন উপস্থিত রয়েছে। “

এই কথার স্বপক্ষে নবীপত্নী আয়েশা বলেছেন, খলিফা উসমান তার কোরানে সুরা আহযাবের সমগ্র অংশটুকু রাখেননি, যা ছিল দুই শতাধিক আয়াত দ্বারা সমৃদ্ধ। এছাড়া খলিফা উমর, সাহাবী আনাস বিন মালিক, উবাই বিন কা’ব, আবু ইউনুস, আবু ওয়াকিদ আল লাইহি, মাসলামা বিন মাখলাদ আল আনসারি প্রমুখ পৃথক পৃথক আয়াতের কথা উল্লেখ করেছেন, যা তারা পাঠ করতেন। এগুলো বর্তমানে প্রচলিত কোরানে উল্লেখ করা হয়নি।
সাহাবী আনাস বিন মালিক ছিলেন নবী মুহাম্মদের খাদেম। তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২৩৬টি হাদিস বর্ননা করেছেন।
উবাই বিন কা’ব একজন উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সাহাবী। বোখারি-মুসলিমের অনেক হাদিসে বলা হয়েছে, যে চারজন সাহাবী নিজের উদ্যোগে কোরান সংকলন করেছিলেন, তিনি তাদের মধ্যে একজন। আর নবী মুহাম্মদ যে চারজনের কাছে কোরান শিক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি তাদেরও একজন। এমনও হাদিস আছে, স্বয়ং আল্লাহ উবাই বিন কা’বের নাম উল্লেখ করে তাকে কোরান আবৃত্তি করতে বলেছেন।
অথচ উপরে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আনাস বিন মালিক ও উবাই বিন কা’বের মতো সাহাবী উসমানের কোরানের বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
রেফারেন্স-
০১) আল ইতকান ২য় খণ্ড ১১-১৫ পৃষ্ঠা।
০২) কোরআন হাদিস সংকলনের ইতিহাস ৮১ পৃষ্ঠা; সহিহ মুসলিম ৬১৪৫ নং হাদিস।
০৩) সহিহ বোখারি ৩৪৮৮, ৩৫৩৬-৩৭, ৪৫৯৫-৯৬ ও ৪৬৩৭ নং হাদিস।
০৪) সহিহ মুসলিম ৬১৪৮-৪৯ নং হাদিস।

চারঃ প্রতিটি মুসলমানের কাছে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বাক্য। এই বাক্যটি কোরানের আয়াত কিনা, এটা নিয়েও প্রচুর দ্বন্দ্ব রয়েছে। নবীপত্নী উম্মে সালমা, খলিফা আলী, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আবু হুরাইরা প্রমুখের মতে এটি প্রতিটি সুরার প্রথম আয়াত (সুরা তাওবা বাদে)। অন্যদিকে ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম মালিকের মতে, এটি কোরানের কোন আয়াত নয়। ইমাম শাফেয়ি বলেন, এটি শুধু সুরা ফাতিহার আয়াত।
সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস ছিলেন নবী মুহাম্মদের চাচাত ভাই। তিনি তৃতীয় সর্বাধিক হাদিস (১৬৬০টি) বর্ননা করেছেন। স্বয়ং নবী মুহাম্মদ তাকে জ্ঞান দেয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। খলিফা আলীর সময়ে তিনি বসরার শাসক ছিলেন।
আবু হুরাইরা ছিলেন আহলে সুফফার সদস্য, যিনি সর্বাধিক সংখ্যক হাদিস বর্ননা করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। তিনি বাহরাইন ও মদিনার শাসনকর্তা হিশেবেও দায়িত্বপালন করেছেন।
ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক ও ইমাম শাফেয়ি সুন্নি ইসলামের চার মাযহাবের মধ্যে তিনটি মাযহাবের প্রবর্তন করেন। এদের প্রভাব নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।
রেফারেন্স-
০১) তাফসিরে ইবনে কাসির ১ম খণ্ড ৭৩-৭৪ পৃষ্ঠা।
০২) আল ইতকান ২য় খণ্ড ০১ পৃষ্ঠা; সহিহ মুসলিম ৬১৪৪ নং হাদিস।
০৩) কোরআন হাদিস সংকলনের ইতিহাস ৮১ পৃষ্ঠা।

পাঁচঃ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ছিলেন অত্যন্ত মর্যাদাশালী একজন সাহাবী। তিনিই বিখ্যাত আবু জেহেলকে হত্যা করেছেন। উবাই বিন কা’বের পাশাপাশি তিনিও সেই চারজনের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিলেন, নবী মুহাম্মদ যাদের কাছে কোরান শিক্ষা নিতে বলেছিলেন। তিনি উসমান কর্তৃক সংকলিত কোরানের প্রচণ্ড সমালোচনা করেছেন। নিজের সংকলিত কোরানে তিনি সুরা ফাতিহা রাখেননি। অথচ এটি আমাদের কাছে সবচেয়ে পরিচিত সুরা!
রেফারেন্স-
০১) তাফসিরে ইবনে কাসির ১ম খণ্ড ৫৬-৫৭ পৃষ্ঠা।
০২) সহিহ বোখারি ৩৪৮৮, ৩৫৩৬, ৪৬৩৪ ও ৪৬৩৬ নং হাদিস।
০৩) উইকিপিডিয়া।

ছয়ঃ সুরা নাস ও সুরা ফালাককে একত্রে ‘মাওযাতাইন’ বলা হয়। সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের মতে, এটি কোরানের অংশ নয়। নিজের কোরানে তিনি এই সুরা দুটোকে কোন স্থান দেননি।
রেফারেন্স-
০১) তাফসিরে ইবনে কাসির ১৮শ খণ্ড ৩২৮ পৃষ্ঠা।
০২) তাফহিমুল কোরান ১৯শ খণ্ড ৩২০-২১ পৃষ্ঠা।
০৩) সহিহ বোখারি ৪৬১৩ নং হাদিস।

সাতঃ আবু মুসা আশ’আরি ছিলেন বিখ্যাত একজন সাহাবী। তিনি কুফা ও বসরার শাসক ছিলেন। রক্তক্ষয়ী সিফফিনের যুদ্ধের শেষে শান্তি আলোচনায় তিনি আলীর পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি বলেছেন, সুরা তওবা তথা বারা’আতের মতো বড়ো আকারের একটি সুরা বাদ পড়ে গেছে। সুরা তাওবায় ১২৯টি আয়াত রয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, মুসাব্বিহাত (যেসব সুরার শুরুতে সাব্বাহ/ইউসাব্বাহ রয়েছে) এর সমপরিমাণ একটি সুরা আগে তারা পাঠ ক রতেন। সেটি এখন তাদেরকে ভু লিয়ে দেয়া হয়েছে।
রেফারেন্স-
০১) সহিহ মুসলিম ২২৯০ নং হাদিস।
০২) আল ইতকান ১ম খণ্ড ১৩ পৃষ্ঠা।

আটঃ সাহাবী হুজাইফা ইবনে ইয়ামান কুফা ও মাদায়েনের শাসক ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, বর্তমান কোরানে যে সুরা বারা’আত বা তাওবা পাঠ করা হয়, তা প্রকৃত সুরার এক চতুর্থাংশ মাত্র।
রেফারেন্স-
০১) আল ইতকান ২য় খণ্ড ১৫ পৃষ্ঠা।

নয়ঃ কোরানের বৃহত্তম সুরা হচ্ছে সুরা বাকারা। এখানে ২৮৬টি আয়াত আছে। আর সুরা আহযাবে ৭৩টি আয়াত রয়েছে। কিন্তু সাহাবী উবাই বিন কা’ব বলেছেন, সুরা আহযাবের আকার ছিল প্রায় সুরা বাকারার মতো। অবশিষ্ট আয়াতের ব্যপারে কেউ কেউ বলেছেন যে, খলিফা উসমান এগুলো সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন; আবার কেউ কেউ বলেছেন, এগুলো সম্ভবত আল্লাহর আদেশে রহিত হয়ে গেছে।
রেফারেন্স-
০১) তাফসিরে ইবনে কাসির ১৫শ খণ্ড ৭৩৩ পৃষ্ঠা।
০২) আল ইতকান ২য় খণ্ড ১৩ পৃষ্ঠা।

দশঃ সুরা আল খু’লা ও আল হাফদ নামের দুটি সুরা প্রচলিত কোরানের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। আরেক জায়গায় পড়েছিলাম, এই সুরা দুটি উবাই বিন কা’বের কোরানে ছিল। কিন্তু রেফারেন্সের স্ক্রিনশট দিতে পারছি না।
রেফারেন্স-
০১) আল ইতকান ১ম খণ্ড ১৫ পৃষ্ঠা।

এগারঃ অসংখ্য সহিহ হাদিসে খলিফা উমর কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে যে, বর্তমান কোরানে ব্যভিচারের শাস্তিস্বরূপ পাথর মেরে হত্যা করা সংশ্লিষ্ট রজমের আয়াত উল্লেখ করা হয়নি।
রেফারেন্স-
০১) সহিহ মুসলিম ৪২৬৯ ও ৪২৭১ নং হাদিস।
০২) সুনানে আবু দাউদ ৪৩৬৫ নং হাদিস।
০৩) সুনানে ইবনে মাজাহ ২৫৫৩ নং হাদিস।
০৪) আল ইতকান ২য় খণ্ড ১৬ পৃষ্ঠা।

বারঃ নবীপত্নী আয়েশা কর্তৃক একটি মজার হাদিসের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বয়স্ক লোকের দশ ঢোক দুধ পানের মাধ্যমে কোন মহিলাকে মাহরাম এবং ব্যভিচারের কারনে পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কিত আয়াত নাকি কাগজে লেখা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই আয়াত ছাগলে খেয়ে ফেলে। এই কারনে এগুলো আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, যা চিরতরে হারিয়ে যায়।
রেফারেন্স-
০১) সুনানে ইবনে মাজাহ ১৯৪৪ নং হাদিস।

তেরঃ খলিফা উসমানের কোরান অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাকরণের নিয়ম-কানুনের সাথে সাংঘর্ষিক। তিনি নিজে ব্যপারটি স্বীকার করেছেন এই বলে যে, উচ্চারনের সময় সঠিকভাবে উচ্চারণ করা হবে!
রেফারেন্স-
০১) আল ইতকান ৪র্থ খণ্ড ১৪৬ পৃষ্ঠা।
০২) তাফসিরে মাযহারি ৩৪৮-৪৯ পৃষ্ঠা।

চৌদ্দঃ নবী মুহাম্মদের সময়কার হেজাজে প্রভাবশালী গোত্র ছিল সাতটি। তাদের নিজেদের আঞ্চলিক ভাষা ছিল। তারা কোরান পাঠ করতো নিজ নিজ আঞ্চলিক ভাষায়। এবং তাদের মধ্যকার গোত্রকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব ছিল দেখার মতো। সম্ভবত এই দ্বন্দ্ব/কোন্দল দূর করতে নবী মুহাম্মদ বলেছেন, কোরান সাতটি আঞ্চলিক ভাষায়ই অবতীর্ণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিভেদ আরো চরমে ওঠে। এক কেরাতের অনুসারীগণ অন্য কেরাতের অনুসারীদের কাফের বলে আখ্যায়িত করতে শুরু করে। খলিফা উসমান তখন অন্য ভাষাগুলো বাতিল করে দিয়ে কুরাইশদের ভাষায় কোরান সংকলনের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য যে, উসমান নিজে ছিলেন কুরাইশি এবং কুরাইশ গোত্র ছিল তৎকালীন হেজাজের সর্বাধিক প্রভাবশালী গোত্র।
রেফারেন্স-
০১) সহিহ বোখারি ৩২৫৬, ৪৬১৯, ৪৬২৬, ৪৬৭২ ও ৪৬৯২ নং হাদিস।
০২) সহিহ মুসলিম ১৭৭২ নং হাদিস।
০৩) তাফসিরে জালালাইন ১ম খণ্ড ২৬ পৃষ্ঠা।

আপনি চাইলে আরও রেফারেন্স দিতে পারি। যাদের লেখা হাদীস দিয়ে বয়ান মারছেন তারাই কোআনের বিশুদ্ধতা নিয়ে যা বলেছে তা চশমা দিয়ে দেখুন।

১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৯

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কপি পোস্ট কমেন্ট করছেন, আর লম্বা লম্বা কথা বলেন । সবগুলা ভুল রেফারেন্স । রাসূল (সাঃ) বলেছেন, সাহাবীরা আকাশের তারার মতো, তাদেরকে নিয়ে সমালোচনাকারী কোনদিন জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না । এই যে ব্যাখ্যাগুলো দিছেন, এইগুলা কোন মুসলমানের ব্যাখ্যা না, এইসব কিছু এমন মানুষের ব্যাখ্যা, যারা ইসলাম নিয়ে যথেষ্ট ঈর্ষান্বিত । কোরান মাজিদ কিয়ামত পর্যন্ত অবিকৃত অবস্থায় থাকবে, সেটা কোরানেই বলা আছে । উসমানের সংকলিত কোরান সম্পুর্ণভাবে নির্ভুল, এবং উসমানের সংকলিত কোরান এবং বর্তমান কোরানের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। একটা হরফের পার্থক্য পর্যন্ত নেই । আপনি তো বিশ্বাস করেন, কোরান মোহাম্মদ (সাঃ) এর বানানো গ্রন্থ, সুতরাং আপনার কোন অধিকার নেই, এই কিতাব নিয়ে সমালোচনা করার । চোখ-কান না থাকলে সবকিছু অন্ধকার মনে হয়, আপনার একই অবস্থা ।

২১| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখক মহাদয়, ছাগুদের এই একটা দোষ রেফারেন্সগুলো পর্যালোচনা না করে বলছেন এগুলো ভুল। কেনো রোফারেন্স অনুযায়ী কিতাব খুলে মেলাতে আপনার কষ্ট হয়।।

০১) আল ইতকান ২য় খণ্ড ১১-১৫ পৃষ্ঠা।
০২) কোরআন হাদিস সংকলনের ইতিহাস ৮১ পৃষ্ঠা; সহিহ মুসলিম ৬১৪৫ নং হাদিস।
০৩) সহিহ বোখারি ৩৪৮৮, ৩৫৩৬-৩৭, ৪৫৯৫-৯৬ ও ৪৬৩৭ নং হাদিস।
০৪) সহিহ মুসলিম ৬১৪৮-৪৯ নং হাদিস।
০১) তাফসিরে ইবনে কাসির ১ম খণ্ড ৭৩-৭৪ পৃষ্ঠা।
০২) আল ইতকান ২য় খণ্ড ০১ পৃষ্ঠা; সহিহ মুসলিম ৬১৪৪ নং হাদিস।
০৩) কোরআন হাদিস সংকলনের ইতিহাস ৮১ পৃষ্ঠা।

০১) তাফসিরে ইবনে কাসির ১ম খণ্ড ৫৬-৫৭ পৃষ্ঠা।
০২) সহিহ বোখারি ৩৪৮৮, ৩৫৩৬, ৪৬৩৪ ও ৪৬৩৬ নং হাদিস।
০৩) উইকিপিডিয়া।

০১) তাফসিরে ইবনে কাসির ১৮শ খণ্ড ৩২৮ পৃষ্ঠা।
০২) তাফহিমুল কোরান ১৯শ খণ্ড ৩২০-২১ পৃষ্ঠা।
০৩) সহিহ বোখারি ৪৬১৩ নং হাদিস।
০১) সহিহ মুসলিম ৪২৬৯ ও ৪২৭১ নং হাদিস।
০২) সুনানে আবু দাউদ ৪৩৬৫ নং হাদিস।
০৩) সুনানে ইবনে মাজাহ ২৫৫৩ নং হাদিস।
০৪) আল ইতকান ২য় খণ্ড ১৬ পৃষ্ঠা।

০১) সহিহ বোখারি ৩২৫৬, ৪৬১৯, ৪৬২৬, ৪৬৭২ ও ৪৬৯২ নং হাদিস।
০২) সহিহ মুসলিম ১৭৭২ নং হাদিস।
০৩) তাফসিরে জালালাইন ১ম খণ্ড ২৬ পৃষ্ঠা।

এইসব জলন্ত হাদীসগুলো আপনার ঘরের হাদীস গ্রন্থের সাথে মিলিয়ে দেখুন, অযথা ছাগু হয়েনা না। লিখাপড়া না করে আবলামি করতে আসেন।সহী হাদীস থেকে রেফারেন্স দিলেও বলেন এগুলো ভুল। আস্তগাধা।

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩৮

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এইসব ভুল ব্যাখ্যা অনেক আগে থেকেই দেখে আসছি, সুতরাং মিলিয়ে নেবার কোন প্রশ্নই উঠে না । আপনার উদ্দেশ্য শেষ কথা
হলো-

মৃত্যুই কি সবকিছুর শেষ? বুদ্ধিমান এই মানবজাতি কি কেবল অল্প সময়ের জীবন-সংগ্রাম শেষ করে প্রাণহীন জড় মাটিতে পরিণত হবার জন্যই বেঁচে আছে? নাকি মুসলমানদের কথামতো সত্যিই আল্লাহ নামের কেউ একজন আছেন? উচ্চতর ডিগ্রী, দেশভ্রমণ, দুঃসাহসিক কাজ, পিএইচডি ডিগ্রী, খ্যাতি অর্জন যতকিছু করেন না কেন, যেইদিন হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা খেলবেন, সেদিন সবকিছু অর্থহীন মনে হবে । আমরা কোন বিবর্তিত পশু না, সৃষ্টিকর্তা আপনাকে পাঠিয়েছেন উন্নত জাতিতে । জীবনে যা কিছু করছেন, সেটার তালিকা নিয়ে সৃষ্টিকর্তার সামনে অবশ্যই দাড়াতে হবে, যিনি ন্যায়-অন্যায় সবকিছুর হিসেব নিবেন ।

সূরা মুমিনুন এর ১১৫ নাম্বার আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেছেন -
তোমরা কি ধারণা কর যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে না?

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৫৬

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হাদিস না দিয়ে, শুধু রেফারেন্স। বুঝাই যাচ্ছে কপি পেস্ট । আমি জীবনে অনেক অজ্ঞ দেখছি, আপনার মতো জাহেল প্রথম দেখলাম । ধন্যবাদ আপনাকে, আমার জীবন পূর্ণতা পেয়েছে আপনাকে দেখে

২২| ১৯ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখক মহাদয় রেফারেন্স হিসেবে হাদীস নাম্বার উল্লেখ করেছি। এতোগুলো হাদীস আপনাকে লিখিত আকারে দিলে অনেক সময় দরকার। মূল কথা হচ্ছে আমি যে হাদীস গুলো আপনাকে দিলাম সেগুলো আপনার নিজের মিলিয়ে দেখা উচিৎ ছিলো। যদি আমার রেফারেন্স ভুল থাকে তবে আপনি সেই হাদীস নাম্বারে কি লেখা আছে সেটা আপনি এই পাঠকের কাছে তুলে ধরুন এবং বলুন আমি যে রেফারেন্স আপনাকে দিয়েছি তা ভুল ও মিথ্যা। এরপর আপনার ওরজ আপত্তি চলবে। না পড়েই বলছেন ভুল, কপি পেস্ট, এর চেয়ে বড় আহম্মক আর কে? লেখক মহাদয় আর উত্তর দেয়ার দরকান নাই কারন আপনি আলেমদের ওয়াজ শোনা মোমিন। তাছাড়া আপনার বাসায় কোন হাদীস গ্রন্থও নাই আমার ধারনা, ভুলও হতে পারে। যদি থাকতো তবে এত স্বচ্ছ হাদীসকে ভুল না বলে মেলাতেন। প্লিজ আমার রেফারেন্স গুলো ভুল পরিমানিত করে পাঠকদের দেখান আর নাহলে হুদায় দুটি গালগপ্প মারা উত্তর লেখার কোন দরকার নাই।

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পরিচ্ছদঃ ২১০৭. আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) এর মর্যাদা
৩৪৮৮। হাফস ইবনু উমর (রহঃ) ... মাসরূক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগতভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে অশ্লীল ভাষী ছিনে না; তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যাক্তিই আমার সর্বাধিক প্রিয় যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তিনি আরো বলেছেন, তোমরা চার ব্যাক্তির নিকট হতে কুরআন শিক্ষা কর, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ, সালিম মাওলা আবূ হুযায়ফা, উবাই ইবনু কা’ব ও মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ)।


সময়ের স্বল্পতায় বাকিগুলো যে ভুল রেফারেন্স, সেটা প্রমাণ করতে পারলাম না । যেই হাদিসটি দিয়েছি সেটা বুখারী ৩৪৮৮ নাম্বার হাদিস । সময় পেলে বাকিগুলো ভুল রেফারেন্স, সেটা প্রমাণ করে দেখাবো । কপি পেস্ট বাদ দিয়ে, বুখারী শরীফ নিজে খুলে পড়ুন । আপনার হাদিসটি ছিলো আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ছিলেন অত্যন্ত মর্যাদাশালী একজন সাহাবী। তিনিই বিখ্যাত আবু জেহেলকে হত্যা করেছেন। উবাই বিন কা’বের পাশাপাশি তিনিও সেই চারজনের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিলেন, নবী মুহাম্মদ যাদের কাছে কোরান শিক্ষা নিতে বলেছিলেন। তিনি উসমান কর্তৃক সংকলিত কোরানের প্রচণ্ড সমালোচনা করেছেন। নিজের সংকলিত কোরানে তিনি সুরা ফাতিহা রাখেননি। অথচ এটি আমাদের কাছে সবচেয়ে পরিচিত সুরা! নাউজুবিল্লাহ । সূরা ফাতেহা আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় সূরা ।
আবু জেহেলকে তিনি হত্যা করেন নাই, দুইটা বাচ্ছা হত্যা করেছে আবু জেহেলকে । এত জগন্য, ছেচড়া মানুষ আমার জীবনে দেখি নাই । আর কত চেষ্টা করবেন, ভুল রেফারেন্স দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলবেন ।

২৩| ১৯ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

নতুন বলেছেন: ভাই ব্লগে আলোচনা করলে আসলে একটু জেনেশুনে আসতে হয়।

এখানে চায়ের দোকানের ওয়াজের মতন আলোচনা হয় না। জেনে শুনেই মানুষ মন্তব্য করে।

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নতুন ভাই, অনেক কিছু জেনেই আসছি । উপরে দেখেন, দিয়েছি রেফারেন্স ।

২৪| ০১ লা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জইফ হাদিস নিয়ে জানেন, হুজুররা অনেক কথাই বলে।

২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হাদিসকে ইমামরা তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন । সহীহ হাদিস, জয়ীফ হাদিস, জাল হাদিস । যেসব হাদিস জাল, সেগুলো মূল হাদিসে থেকে অনেকটা দূরে চলে গেছে । সেগুলোকে সম্পূর্ণরুপে বর্জন করতে হবে । জয়ীফ হাদিস হলো দুর্বল হাদিস । কেন দুর্বল ? কারণ- রাবি অথবা বর্ণণাকারী দুর্বল । সৃতিশক্তি তুলনামুলক কম এবং বয়স্ক । অনেকগুলো জয়ীফ হাদিস একই প্রকার থাকলে আলেমগণ সেটাকে সহীহ হিসেবে ধরে নেন । পাঁচজন দুর্বল রাবী যদি একই কথা বলে, তাহলে সেটাকে সহীহ বলা যায় । সহীহ হাদিসের ক্ষেত্রে রাবি অত্যন্ত শক্তিশালী, সৃতিশক্তি অনেক বেশী, ইজতিহাদের ক্ষমতা আছে, এবং সব রাবি একমত । জয়ীফ হাদিসকে একেবারে বর্জন করতে পারবেন না, কারণ সত্যি হলে ও হতে পারে । একজন দুর্বল রাবী অথবা দুজন দুর্বল রাবী একটি কথা বললে, সেটাকে আপনি সহীহ বলার দরকার নেই । তবে কয়েকজন একটা হাদিসের ক্ষেত্রে একমত হলে সেটাকে আপনি সহীহ হাদিস হিসেবে ধরে নিতে পারেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.