![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একজন মানুষ এবং সবকিছু খুব সাধারণ ভােব দেখতে ভালবািস।
আপনার মিডিয়া হচ্ছেন বি,এস,সি ইঞ্জিনিয়ারদের দালাল। আর আমি এটাও বুঝিনা বি,এস,সি ইঞ্জিনিয়ারগন কেন আমাদের বিরোধিতা করেন? আমাদের দাবিগুলোতো আপনাদের সাথে সাংঘরশিক নয়া। ওরা কেন পরীক্ষা দিতে যাবে? সুপারভাইজার হওয়ার জন্য? সুপারভাইজার হতে ৪ বছর পরাশুনা করার দরকার আছে? আর মিডিয়া, আপনি দেখাচ্ছেন যে একজন পুলিশ ছাত্রদের হাতে আক্রান্ত কিন্তু আপনি কোথাও লিখলেন ন যে পুলিশের গুলিতে ৪ জন ভবিষ্যৎ ইঞ্জিনিয়ার, দেশ গড়ার কারিগর শহীদ হয়েছে। এই আপনাদের নিউজ কাভারেজ! যখন ডিপ্লোমা ইঞ্জিয়াররা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলনে নামে তখন আপনাদের কোন খবর থাকেনা। আর যখন দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে নামে তখন নিউজ করেন "পরীক্ষা বাদ দিয়ে নৈরাজ্য"!! সেলুকাস বাংলাদেশ, সেলুকাস মিডিয়া। কোন ছাত্র চায় পরীক্ষা বাদ দিয়ে নিজের ভবিষ্যতটা অন্ধকারাচ্ছন্ন করতে? ওরা তো পথে নামতে বাধ্য হয়েছে আর তা আপনাদের জন্যই। একটা কথা মনে রাখবেন ৭১ এ নিরিহ বাঙ্গালিরা অস্র হাতে তুলেছিল যখন তাদের আর কিছুই করার ছিল না। যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। এখন আমাদের ডিপ্লোমা ভাইয়েরা রাজপথে নেমেছে কিন্তু এছারা কি ওদের আর কিছু করার ছিল? ওরা বার বার সরকারের কাছে গিয়েছিল কিন্তু সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নাই তাই ওরা আজ রাজপথে আন্দোলনে। আমি সরকারকে উদ্যেশ্যে বলতে চাই আপনাদের যদি ডিপ্লোমা শিক্ষার সিলেবাস নিয়ে কোন সন্দেহ থাকে তাহলে সিলেবাস আপডেট করে বিশ্বউপযোগী করে তুলুন। দয়া করে বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করবেন নয়া। আমার যেমন জানি যে বি,এস,সি ইঞ্জিনিয়ার ছারা বাংলদেশের উন্নয়ন সম্ভব না ঠিক তেমনি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ছারাও বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব না। দয়া করে কয়েক লক্ষ ছেলে মেয়ের জীবন নিয়ে খেলা করবেন না। সেই সাথে দেশটাকে নিয়েও খেলা বন্ধ করুন। এটা আমাদের দাবি হতে যাবে কেন? এটা তো আমাদের অধিকার। আমাদের অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করবেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
বিজন শররমা বলেছেন: বাংলাদেশের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জীনীয়ারিং এর আন্দোলনটি বড় মজার । তারা তাদের দাবী পুরনের জন্য ইতিপূর্বে কয়েকবার আন্দোলন করেছেন – নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত কাজ করে । (এ ধরনের দাবী করলে চাকরীদাতা সঙ্গতঃ কারনেই বড় খুশী হয় এবং হয়তো চেষ্টা করে কি ভাবে এদেরকে আরও আন্দোলনমুখী করা যায় ) । আন্দোলনের এই পন্থা কোন সাধারণ ডিপ্লোমা থেকে আসেনি, এসেছে তাদের কাছ থেকে যাদেরকে যোগ্য মনে করে তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে । (এই বিষয়টি নিয়ে বুয়েটের ছাত্ররা মাঝে মাঝেই হাসির মেলা বসায় এবং কি ধরনের ব্রেইন থেকে এসব আসতে পারে তা নিয়ে ব্যাপক গবেষনা করে ) । বর্তমান সমস্যার গলপটি আরও মজার । তাদের কিছু শিক্ষকের মনে হল, ডেমোনেস্ট্রেটর কথাটি ভালো শোনায় না, লেকচারার হতে হবে । তারা কাগজ ঘেঁটে দেখলো, চার বছরের ডিগ্রী না হলে বিদেশে এখন আর ব্যাচেলর ডিগ্রীর রিকগ্নিশন পাওয়া যায় না । আর এটা ডিপ্লোমার বদলে ‘ডিগ্রী’ হলেই তারা হয়ে যাবে লেকচারার, প্রফেসর ইত্যাদি । কিছু সত্য কিছু মিথ্যা বলে তারা ডিপ্লোমাদের আন্দোলনে নামাল । ভেতরের ব্যাপার যাদের ভালো জানা আছে তারা জানেন, এস এস সি-র জ্ঞান নিয়ে যারা ডিপ্লোমাদের জন্য নির্ধারিত কাজ করে তাদের তিন বছরের বেশী পড়ার দরকার করে না । যাই হোক নিজেরা ভেতরের ব্যাপার কিছু না বুঝে শিক্ষকদের প্ররোচনায় তারা এই আন্দোলনে নামে এবং অসংখ্য গরীব ছাত্রের টাকার শ্রাদ্ধ করে চার বছরের ডিগ্রীর দাবী আদায় করে । কিন্তু তাদের নিজেদের কোন উন্নতি না দেখে শিক্ষকেরা আবার অবাক হয় । আবার কাগজ ঘেটে দেখে, রিকগ্নাইজড ডিগ্রীর জন্য বার বছর স্কুলিং (অর্থাৎ এইচ এস সি) লাগবে । এটাকে দাবীতে পরিনত করতে আর তারা সক্ষম হয় না । তবে বিকল্প হিসেবে পদের নামে কিছুটা পরিবর্তন এনে ছাত্রদের আপাততঃ বুঝ দিতে সক্ষম হয় ।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে বিদেশে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার আছে । তারা সবাই মূল ব্যাচেলর ডিগ্রী নিয়ে তার পর কোন না কোন না বিষয়ে ডিপ্লোমা (এতা পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা নামে পরিচিত) করেছে এবং তার ফলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার হয়েছে । সেই হিসেবে এবং সঠিক অর্থে “এস এস সি প্লাস অনাবশ্যক ফোর পাশ” করারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ারই নয়, এরা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনীইয়ারিং । এরা বিদেশে নিজেদেরকে ইঞ্জিনীয়ার বলে পরিচয় দিতে পারে না, কারন সেসব দেশে ইঞ্জিনীয়ার হতে হলে “১২ ইয়ার্স স্কুলিং প্লাস ৪ ইয়ার্স ডিগ্রী” লাগবেই । (তবে আমাদের দেশে ফরিদপুরে যারা ছাতা সারাই করে তাদেরকে ইঞ্জিনীয়ার বলে। বুয়েটে কোন ডিপ্লোমা নিজেকে ইঞ্জিনীয়ার পরিচয় দিলে এবং অন্যদের তাতে সন্দেহ হলে আড়ালে বলে – “ফরিদপুরী হবে”) ।
পৃথিবীর সব দেশেই কোন বিষয়ের সর্বোচ্চ শিক্ষার জন্য এমন ব্যবস্থা থাকে যেখানে “গবেষনা ও ডিজাইন” প্রধান । এটিই হচ্ছে মৌলিক ব্যাচেলর ডিগ্রী । বিদেশে এটি বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক বা টেকনোলোজী ইন্সটিটিউট-এ পড়ানো হয় । কোন কোন পলিটেকনিক বা টেকনোলোজী ইন্সটিটিউট খুব নাম করে ফেললেও সাধারন ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কেই সর্বোচ্চ দাম দেয়া হয় । ঠিক এই কারনেই আমাদের দেশের চারটি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজী নিজেদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় করে ফেলেছে । “গবেষনা ও ডিজাইন” ধর্মী ডিগ্রীর পরে আছে “একজিকিউশন” ধর্মী ডিগ্রী । এরা প্রধানতঃ “গবেষনা ও ডিজাইন” ধর্মীদের তত্ত্বাবধানে একজিকিউশনের কাজ করে থাকে । এ কাজে উচ্চ ক্যালিবার বা বিষয়ের মৌলিক জ্ঞান দরকার হয় না, বরং অনেক ক্ষেত্রে তা ক্ষতিকর হয়ে যায় । সহজ বোদ্ধ্য যে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনীইয়ারিং এই উদ্দেশ্যেই চালু করা হয়েছিল । এর পর শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষা, ছাত্রদের ভূল বোঝান এসবের মধ্য দিয়ে এটির মৌলিকত্ব নষ্ট হয়েছে ।
তবে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনীয়ারিংদের প্রমোশন কি করে হবে এটা সব দেশেই সমস্যা । এ বিষয়ে বিদেশে যা করা হয়েছে, তা হলো, এদেরকে “গবেষনা ও ডিজাইন” ধর্মী ডিগ্রীর সঙ্গে না মিলিয়ে (সেটা যে করা ঠিক নয় তা একটু বুদ্ধি থাকলে যে কেউ বুঝবে) একটি সমান্তরাল একজিকিউশন ধর্মী পদ সৃষ্টি করা । বিদেশে এজন্য বি টেক সমান্তরাল পদগুলি সৃষ্টি করা হয়েছে, যেখানে প্রফেসনাল পরীক্ষা পাশ করে ডিপ্লোমারা উচ্চতর বেতন ও পদ লাভ করতে পারে । কিন্তু তা না করে তাদেরকে “গবেষনা ও ডিজাইন” ধর্মী ডিগ্রীধারীদের পাশে বসানোর মানে হচ্ছে (ক) বিভিন্ন বিষয়ের গবেষনা ও ডিজাইন-এর বারোটা বাজানো, (খ) তেল আর ঘি এক দামে বিক্রী করা আর (গ) ক্ষেত্র বিশেষে ডিপ্লোমাদেরকেও বিপদে ফেলা ।
এই অবস্থায় এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে ঃ (১) ডিপ্লোমা কোর্স তিন বছর করা, (২) তাদের উচ্চতর বেতন ও পদের জন্য বি টেক ধরনের ক্যাডার সৃষ্টি করা এবং (৩) ইতিমধ্যে তাদের চাকুরীর ক্ষেত্রে যে সমস্যা হচ্ছে তার সমাধান কল্পে কয়েকটি পলিটেকনিককে ডিগ্রী ইঞ্জীনিয়ারিং এ রূপান্তর করা এবং ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জীনীয়ারিং এর সিট সংখ্যা হ্রাস করা ।