নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক খণ্ড সাদা পাতায় পুরো পৃথিবী লিখবো বলে কলম ধরেছি। এক খণ্ড কাঁদা মাটিতে পুরো সবুজ ফলাবো বলে হাল বেয়েছি। এক খণ্ড রঙিন কাগজে পুরো বিশ্ব আঁকবো বলে রং তুলি এনেছি। এক খণ্ড হৃদয়ে পুরো দুনিয়া পুষবো বলে দৃঢ়প্রত্যয়ি হয়েছি।

সাইফ নাদির

এক টুকরো কাগজে পুরো পৃথিবী লিখবো বলে কলম হাতে বসে আছি

সাইফ নাদির › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহীয়সী নারী ০৫

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৫

ব্যাগ গুছিয়ে বসে আছে জেনি। ভেবেছিলো, জায়ান যেতে দেবে না। ক’দিন থেকে যেতে বলবে। কিন্তু জায়ান থাকতে বললো না। রেডি হয়ে এসে বললো, ‘‘ চলো, তোমায় নামিয়ে দিয়ে অফিসে যাবো।’’ জেনি ইশারায় না করলো। বললো, ‘‘ থাক, আমি একাই যেতে পারবো, তোমায় কষ্ট করতে হবে না।’’ এ কথা শুনে জায়ান অফিসে চলে গেলো। আর জেনি গেলো অজানা পথে। অচেনা দিকে। ইশ! জায়ান যদি জানতো জেনির যাওয়ার মত কোন জায়গা নেই। তাহলে মেয়েটাকে উদ্দেশ্যহীন পথে যেতে হতো না। জায়ানের বাসায়ই মাথা গোজার ঠাঁই হয়ে যেতো। কিন্তু এই বিশ্বের বহুল ঘটনা থেকে জানা যায়, বিধাতা বোধ হয় কিছু ব্যতিক্রম ঘটাবার জন্যই সময়মত সব কিছু সবাইকে জানিয়ে দেন না। বরং পরের কোন বিষ্ময়ের জন্য না জানিয়ে অপেক্ষায় রাখেন। এটাই তাঁর লীলা। এটাই তাঁর রচনা করা নিয়তি।

একটা মানুষের অবস্থার পুরো বিপরীত দিকটা ভেবে বসে আছে আরেকটা মানুষ। মানুষটা বিপদে, অথচ পাশেরজনের চোখে মোটেও বিপদে নয়, কষ্টে নয় বরং বড় সুখে, বড় আনন্দে। এটাই পৃথিবী, এটাই মনুষ্য জগতের প্রকৃতি। জেনি স্বামী-সংসার হারিয়ে বাকরুদ্ধ। বাবার স্মৃতি বিজড়িত বাসাটা হারিয়ে পুরাই নিঃস্ব। অথচ জায়ান ভাবছে, জেনি সব কিছু মিলিয়ে সুখের ভেলায় ভসমান এক সুখ-মুখচিত্র। অভাব-অনটন থেকে চিরমুক্ত। কিন্তু চিত্রটা পুরাই উল্টো। অবস্থা আর ধারণা সম্পূর্ণ বিপরীত। সম্পূর্ণ আলাদা।

জায়ানের অফিসে শূন্য পদে কিছু সংখ্যক কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। আজ তাদের ভাইবা। অন্য সব পদের ভাইবা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন অফিস সহকারী পদের ভাইবা হচ্ছে। পদ প্রত্যাশীরা একে একে ভাইবা দিচ্ছে। সবশেষে আসলো জেনি। জেনিকে দেখে জায়ান থমকে গেলো। জেনিও কেমন যেন আকাশ থেকে মাটিতে পড়লো। তবে নিজেকে সামলে নিয়ে ভাইবার জন্য প্রস্তুত হলো। মনে মনে ভাবলো, ‘‘এ পৃথিবীতে জীবন যুদ্ধে টিকে থাকাই বড় কথা। কোন কিছুতে অবাক হওয়া কিংবা লজ্জা পাওয়া ভালো লক্ষণ নয়।’’

ভাইবা দিতে দেখে জায়ান একটুও অবাক হয়নি। অবাক হয়নি একটি মেয়ের আত্ম নির্ভর হওয়ার প্রচেষ্টায়। বরং এতে সে অনেক খুশী হয়েছে। এবং খুশী হওয়াই উচিত। সে অবাক হয়েছে ভার্সিটি টপার এই মেয়েটি ভালো পদে আবেদন না করে এই নগন্য পদ; অফিস সহকারী পদে আবেদন করেছে বলে। এর থেকেও বেশি অবাক হয়েছে, ভার্সিটি সনদ শো না করে শুধু মাত্র ‘ইন্টার’ পাশের সনদ শো করেছে বলে। সে তো চাইলেই বড় পদগুলোর যেকোন একটির জন্য আবেদন করতে পারতো। কিন্তু তা না করে এমনটা করলো কেন? কিছুতেই কোন হিসেব মিলাতে পারছে না জায়ান।

পর্ব নং ০৫

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪০

Tanzim Hasan বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন ভাই

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৩

সাইফ নাদির বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

মোঃমাহমুদুল হাসান বলেছেন: গল্পটির কিয়দাংশ পড়ে বেশ লেগেছে

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫

সাইফ নাদির বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.