নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক খণ্ড সাদা পাতায় পুরো পৃথিবী লিখবো বলে কলম ধরেছি। এক খণ্ড কাঁদা মাটিতে পুরো সবুজ ফলাবো বলে হাল বেয়েছি। এক খণ্ড রঙিন কাগজে পুরো বিশ্ব আঁকবো বলে রং তুলি এনেছি। এক খণ্ড হৃদয়ে পুরো দুনিয়া পুষবো বলে দৃঢ়প্রত্যয়ি হয়েছি।

সাইফ নাদির

এক টুকরো কাগজে পুরো পৃথিবী লিখবো বলে কলম হাতে বসে আছি

সাইফ নাদির › বিস্তারিত পোস্টঃ

উটকো জামাল ০১

০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৭

হুট করে উঠে কাগজ কলম নিয়ে বসে পড়লো। এরকম করলে কি আড্ডা জমে? এই চ্যাংড়ার জন্য কোন আড্ডাই কখনো জমে না। সমাজ ছাড়া একটা ছেলে। পাগল কিসিমের। পরিবেশগত কোন জ্ঞানই নেই। দুনিয়ার তাবক অপছন্দের গুণ নিয়ে জন্মেছে। পছন্দসই কোন গুণ-ই নেই।

ওরা কেউ-ই জামালের এই সব আচরণে খুশী নয়। খুশী থাকারও কথা না। কারণ এরকম পাগলের সাথে কে বা থাকতে চায়। আমি তো বরং এই ছেলেগুলোকে অনেক বড় মনের অধিকারী মনে করি। তা না হলে এই গর্ধভ টাইপের ছাগলটার সাথে কখনেই থাকতো না। বন্ধুর হক আদায় করার সম্যক জ্ঞান আছে বলতে হয় ওদের।

কাগজ কলম নিয়ে চুপচাপ বসে কী সব লেখে কেউ-ই নাকি বুঝতে পারে না। বাক্যের শুরু-শেষ কিছুই নাকি মিলেনা। কোন সংলাপেরও নাকি উৎস পাওয়া যায় না। সাহিত্য তো দূরের কথা শব্দ ছাড়া কোন বাক্যই শুদ্ধ হয় না। এ যে কোন ধরনের প্রাণী তা বোঝা বহুত-ই মুশকিল। সারাক্ষণ কাগজ কলম নিয়ে বসে থাকে অথচ সাহিত্যের ‘স’ও পারে না।

তবে মাঝে মধ্যে অবাক হই, এই ভেবে যে; ওর লেখা কি খুব বেশি সাহিত্যে ভরা নাকি, যা বোঝার সাধ্য আমাদের নেই। উমম, হতে পারে। তবে বিশ্বাস করা বড় শক্ত। যেই ছেলেটা প্রাইমারীর লেভেল ছাড়িয়ে হাইস্কুল পর্যন্ত যেতে পারে নাই তার কলমের জোড় ওতটা হতে পারে না। তবে নজরুলের কথা মনে পড়লে একটু ভয় ভয় লাগে। আবার হাসিও পায়, এই অজোপাড়া গাঁয়ের এই ছেলে কোথায় আর কাজী সাহেব কোথায়! ভাবাটাও তো পাপ। তবে নজরুল শুধু প্রাইমারী নয় পড়েছেন দশম পর্যন্ত। নাহ্! ওকে তো নজরুলের সাথে কোন ভাবেই মিলানো যায় না। এতে বরং জাতীয় কবির অসম্মান হয়।

একদিন বিরাট কাণ্ড বেঁধে গেল। শহরের এক আগন্তুক নাকি জামালের ভাঙ্গা টেবিলে পড়ে থাকা লেখায় ভর্তি কাগজগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখছিলো। নাল্টু জামালের বন্ধু। শহুরে লোকটি ওর বাবার পূর্বপরিচিত। কী যেন এক রিসার্চের কাজে গ্রামে এসেছে। উঠেছে নাল্টুদের বাসায়-ই। নাল্টুই নিয়ে এসেছে সাহেবকে জামালের লেখা দেখানোর জন্য।

নাল্টু ভেবেছিলো, জামালের এই উটকো লেখা দেখে শহুরে বাবু খিকখিক করে হেঁসে ফেলবে। কোনমতেই হাঁসি থামাতে পারবে না। বাবুকে হাসাঁতে পারলে ভালোই লাগবে। কিন্তু ঘটলো তার পুরো উল্টো। শহুরে আগন্তুক এক দৃষ্টিতে গভীর মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে রইলো ধুলো জমে থাকা কাগজগুলোর দিকে।

আগন্তুক বললেন, নাল্টু! আমায় কি একটু তোমার বন্ধুর সাথে দেখা করাতে পারো? নাল্টু বললো, অবশ্যই। চলুন, বিলের ধারে। ওখানে বসেই ও বিকেলের সময়টা লেখাটেখা লেখে। খুব আগ্রহ নিয়ে আগন্তুক বিলের দিকে পা বাড়ালেন।

পর্ব ০১

০২/০৩/২০২০ ইং

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনন্য লেখা।

০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৫

সাইফ নাদির বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: জামাল কি এমন হাতি ঘোড়া লিখেছে- যে শহরের লোকটা এরকম ব্যাকুল হয়ে গেল!!

০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৬

সাইফ নাদির বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.