নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমারও দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন....

সাজিদ!

আমি সাজিদ!

সাজিদ! › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর Blue Zones এবং নিজের কিছু ভাবনা!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩৮


ব্লগার জুলভার্ন সেদিন একটি পোস্ট দিয়েছিলেন, মানুষ কেন অমর হতে চায়? যত বয়স হচ্ছে এই প্রশ্নের সাপেক্ষে উত্তরটাও পরিবর্তন হচ্ছে, এবং উত্তরটা বড় হতে হতে একটা হলিস্টিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিনত হচ্ছে, যেটাতে জীবনকে উপভোগ করার জন্য বেঁচে থাকার সাথে আরও বড় উদ্দেশ্যকে যোগ করছে । সে যাই হোক, কয়েকদিন ধরে মানুষের গড় আয়ু নিয়ে পড়ছিলাম। আসলে মানুষ কতদিন বাঁচবে / না বাঁচবে এর সিদ্ধান্ত কোনটাই মানুষের হাতে নেই, স্রষ্টার সিদ্ধান্তই এখানে চুড়ান্ত৷ তাই অমর না হলেও গড় আয়ু বাড়া / বেশী বছর সবল ভাবে বেঁচে থাকেন যারা, তারা স্রষ্টার একটু হলেও বেশী সান্নিধ্য প্রাপ্ত অবশ্যই। এর মাঝেই একটি প্রশ্ন মনের মাঝে চলে আসে, পৃথিবীতে বেশী বছর বাঁচেন কোন অঞ্চলের মানুষ? কেন তারা বেশী বছর বাঁচেন? তাদের কি কোন অভ্যেস আছে যা অন্য অঞ্চল থেকে ভিন্ন? তাদের খাদ্যাভ্যাসই বা কেমন? এই প্রশ্নের উত্তর জানাতে গিয়ে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন দুই ডেমোগ্রাফার Gianni Pes আর Michel Poulain. তারা সামনে নিয়ে এসেছিলেন Blue zone


সহজ বাংলায় Blue zone কি?



ইউএসএর লোমা লিন্ডা, জাপানের ওকিনাওয়া, ইতালীর সার্ডিনিয়া, গ্রীসের ইকারিয়া, কোস্টারিকার নিকোয়া এই পাঁচটি অঞ্চলের মানুষের গড় আয়ু অন্য যেকোন অঞ্চলের চেয়ে বেশী বলে এইসব অঞ্চলকে ব্লু জোন বলা হয়েছে। এইসব অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে অনেকেই আছে একশত বছর বেঁচেছেন। আশি পার করাটা এখানে স্বাভাবিক।

কিন্তু কেন?

গবেষকরা বেশ কয়েকটি কারন খুঁজে বের করেছেন -

প্রথমেই-
বিশ্বাস ( স্রষ্টা কিংবা কোন জীবন রীতি)

এরপর বাকিগুলো-
১) কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে বাঁচা।
২) স্ট্রেস ম্যানেজ করা।
৩) খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রন।
৪) কায়িক পরিশ্রম করা
৫) পরিবার ও কমিউনিটি কেন্দ্রিক বসবাস।
৬) সামাজিক জীবন যাপন।

জেনে অবাক হয়েছি যে, এইসব অঞ্চলে খাদ্যাভ্যাস সবুজ কেন্দ্রিক বা প্ল্যান্ট বেজড। তবে, চাহিদা পূরনের জন্য প্রানীজ আমিষ কেন্দ্রিক খাদ্যাভ্যাস ( অবশ্য প্রানীজ আমিষের গ্রহন মাত্রা অন্য অঞ্চল থেকে খুবই কম) , প্রাকৃতিক উপাদান নির্ভর ।



দেখতে পারেন-

আপনার খাদ্যাভাস কি আপনার জিনকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে ?



খুব বেশী কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না আর। আমি জানি, অনেকেই আছেন যারা ব্লু জোনের উপাত্তকে গ্রহন করতে দ্বিধা করতে পারেন। বিজ্ঞান এখন র‍্যান্ডোমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল, এনালাইসিস, মেটা এনালাইসিসের যুগ। কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ত পরিবর্তনশীল, অনেক কিছুই বিজ্ঞানের সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা বেশ দুরূহ ব্যাপার। এটা বিজ্ঞানের একটা খুঁত এবং সৌন্দর্য । অনেকেই বলবেন, ব্লু জোন শুধু এই পাঁচটা অঞ্চলেই কেন অন্য জায়গায়ও আছে, অনেকেই শতায়ু হোন। আমাদের দেশেই ধরুন না কেন ? আমি আমাদের দেশে একশত বছর বয়সী মানুষ দেখেছি, নিরোগ সুস্থ আশি দেখেছি, নিয়ন্ত্রিত অসুস্থতায় ভালো আছেন এমনও অনেককে দেখেছি। এছাড়াও আধুনিক মেডিক্যাল ইন্টারভেনশন ক্ষেত্র বিশেষে মানুষের আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছে। একটা জিনিস ভেবে দেখেছেন ? আমাদের বাংলায় পূর্বপুরুষদের এই ব্লু জোনের লোকেদের কিন্তু কাছাকাছি জীবন অভ্যাস ছিল ( যারা স্রষ্টার দ্বারা নির্বাচিত হয়ে বেশী বছর বেঁচেছিলেন)।এখন ? সাউথ এশিয়ান মানুষের Body mass index (BMI) বাইশের নিচে আর আশেপাশে থাকা উচিত যেখানে , সেখানে আমাদের দেশে ওভার ওয়েট, ওবেস মানুষের সংখ্যা অনেক। জিনগতভাবে সাউথ এশিয়ানদের ভিসেরাল ফ্যাট জমার হার অন্য যেকোন অঞ্চলের চেয়ে বেশী। অথচ পাল্লা দিয়ে আমরা প্রসেসড ফুড, ফাস্ট ফুডের দিকে ঝুঁকে পড়েছি, এছাড়া আমাদের দেশে কঠোর নিয়ম আইনের প্রয়োগ না থাকায় খাদ্যে ভেজাল তো আছেই। যেখানে পশ্চিমাদের কিছু অংশ এখন প্রসেসড ফুডের যুগ থেকে বের হতে চাইছে। তারা আমাদের নবীজির সপ্তাহে দুইদিন রোজা রাখার পরামর্শকে আধুনিক বিজ্ঞানের সংজ্ঞায় 5:2 diet / Intermittent fasting বলে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে।
স্রষ্টা মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন শ্রেষ্ঠ প্রানী হিসেবে, মানুষ তার আশে পাশের উপকরণ/ টুলস ব্যবহার করতে পারে - নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে। কাজেই মানুষ যদি স্রষ্টায় বিশ্বাস - সঠিক সিদ্ধান্ত - জীবন আচরন - খাদ্যাভাস এই টুলসগুলো ব্যবহার করতে পারে, স্রষ্টা হয়তো মানুষের জীবন কিছুটা দীর্ঘায়িত করে তার ইবাদত ও সৃষ্টির সেবা করার সুযোগ দান করতে পারেন।

Blue zone

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১৫

সাসুম বলেছেন: বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখতে পেয়েছেন, এত বছর বাচার প্রথম কারন- বিশ্বাস। আমাকে একটু কস্ট করে এই রিলেটেড রেফারেন্স জার্নাল গুলো কিংবা এই রিলেটেড নিউজ কিংবা এই রিলেটেড সোর্স টা একটু দিবেন প্লিজ।

বিঃদ্রঃ একটা খুব করে রিকোয়েস্ট, দয়া করে ইন্টারমিডীয়েট ফাস্টিং এর সাথে রোজা কে মিলিয়ে ফেলবেন না। বেশীক্ষন ধরে পানি না খাওয়া কোন মতেই হেলদি কোন বিষয় না। একটা আপনার বিশ্বাস আরেক টা সায়েন্টিফিক লজিকাল প্রুফ। দুইটাকে আলাদা যায়গায় রাখেন প্লিজ। তেল আর পানি যেহেতু এক সাথে থাক্লেও মিশার না সো জোর করে মিশানোর চেষ্টা করে তো লাভ নেই।

এবং আপনি শেষে ফিনিশিং টেনেছেন এই মর্মে যে,

স্রষ্টা মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন শ্রেষ্ঠ প্রানী হিসেবে, মানুষ তার আশে পাশের উপকরণ/ টুলস ব্যবহার করতে পারে - নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে। কাজেই মানুষ যদি স্রষ্টায় বিশ্বাস - সঠিক সিদ্ধান্ত - জীবন আচরন - খাদ্যাভাস এই টুলসগুলো ব্যবহার করতে পারে, স্রষ্টা হয়তো মানুষের জীবন কিছুটা দীর্ঘায়িত করে তার ইবাদত ও সৃষ্টির সেবা করার সুযোগ দান করতে পারেন।

আমাকে এক্টু দেখাতে পারবেন, এই ব্লু জোনের লোকজন কেমন ধার্মিক বা স্রষ্টাতে বিলিভ করতেন? তাহলে আমিও তাদের দেখানো পথ এক্সপ্লোর করার সুযোগ পাব এবং অনেক দিন বেচে থাকতে পারব।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৬

সাজিদ! বলেছেন: ইন্টারমিডীয়েট ফাস্টিং এর সাথে রোজা --

dawn to dusk না খেয়ে থাকা আমাদের ধর্ম অনুযায়ী রোযা । এটা এক ধরনের ড্রাই ফাস্ট ।আবার IF অনেকটা ওয়াটার ফাস্ট কেন্দ্রিক। শারীরিক কোন সমস্যা না থাকলে ১২ ঘণ্টা ড্রাই ফাস্টের মানে রোযার কোন অসুবিধে আজ পর্যন্ত কেউ বিজ্ঞান সম্মত ভাবে তুলে ধরতে পেরেছে বলে আমার জানা নেই ।

এছাড়াও যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্মে ফাস্টিং চলে এসেছে বিভিন্ন ভাবে।

আপনার জন্য - ফাদার অব মেডিসিন Hippocrates, এর উক্তি 'let thy food be thy medicine'

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১২

সাজিদ! বলেছেন: লোমা লিনডা Seventh Day Adventist Church কে ফলো করে।

ইকারিয়ার ৯০ ভাগ মানুষ স্রস্টায় বিশ্বাস করে, cross-sectional observational study

ওকিনাওয়ার মানুষ ‘ikigai’ বা sense of purpose এবং indigenous religion চর্চা করেন । বাকি গুলো খুঁজে দেখলে পাবেন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৮

সাজিদ! বলেছেন: আমাদের বয়স যত বাড়তে থাকে শরীরের অটোফেজির হার তত কমতে থাকে । আর ফাস্টিং অটোফেজির একটা চমৎকার উপায় সেটা তো জানেনই । স্কলার বা পাবমেডে খুঁজলেই পাবেন । ইন্টারেস্টিং আরও একটা বিষয় আপনার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার পোস্ট বেশ তথ্যময়।

প্রথমেই বুঝতে হবে, জানতে হবে- রাতে মোট কয় প্রহর? এবং কয়টা থেকে কয়টা এক একটা প্রহর? প্রাচীনকালে সকাল শুরু হতো সকাল ৬ টা থেকে আর রাত্রি হতো সন্ধ্যা ৬ টা। তাই দিনের প্রথম প্রহর শুরু হয় সকাল ৬ টা।

এক প্রহর সমান তিন ঘন্টা।
সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত প্রথম প্রহর।
সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রহর।
দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত তৃতীয় প্রহর।
দুপুর ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চতুর্থ প্রহর।
একই ভাবে রাত্রির প্রথম প্রহর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৯ টা।
রাত্রির দ্বিতীয় প্রহর রাত ৯ টা থেকে রাত ১২ টা।
রাত্রির তৃতীয় প্রহর রাত ১২ টা থেকে ভোর ৩ টা।
ভোর ৩ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত রাত্রির চতুর্থ প্রহর।

এখন প্রশ্ন হলো মানুষের হার্ট বা হৃদপিণ্ড কি ঘুমায়? উত্তরঃ কখনো ঘুমায় না।
সব জিনিসেরই একটু বিশ্রামের প্রয়োজন হয় চাই সেটা মানুষ হোক বা মেশিন। আপনি জানেন কী আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অংশটুকুও খুব অল্প সময়ের জন্য বিশ্রাম নেয় তার নিদ্রাহীন বিনিদ্র কাজের ফাঁকে?
আমরা যখন হাঁচি দেই তখন নিতান্তই সামান্য,কয়েক ন্যানো সেকেণ্ডের জন্য আমাদের হৃদপিণ্ডের সকল কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পুনর্বার যখন সচল হয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে তখন আমাদের শরীরকে সামান্য ঝাকিয়ে তোলে। যার ফলে আমরা শরীরে অন্য রকম এক সতেজতা অনুভব করি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্ণনা অনুযায়ী, প্রতিটি জীবন্ত প্রাণীর বংশাণুর বা বংশগতির মৌলিক আণবিক একক হচ্ছে জিন। সন্তান বা উত্তরসূরী পিতা-মাতার কাছ থেকেই একটি করে জিন পায়। ডিএনএ-র (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড) নির্দিষ্ট স্থানে এই জিন বা বংশাণু অবস্থান করে। জীবজগতের বংশগতির ধারক ও বাহক হচ্ছে এই ডিএনএ। ডিএনএ-র মাধ্যমেই জীবের বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত হয়। সন্তান যে তার বাবা মায়ের মতো দেখতে হয়, সেটাও এই জিনের কারণে।

জিনোম বলতে আসলে কোন জীবের সামগ্রিক ডিএনএকে বোঝায়। একে সহজভাবে বলা চলে জীবনের নীলনকশা বা কোন জীবের জীবন-বিধান। জীবের বৃদ্ধি, প্রজনন, পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়া সহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে জিনোম ।
তবে জিনোমের পুরোটাই জিন নয়, বরং জিন-এর একটি অংশ মাত্র। জিন বলতে জিনোমের সেই অংশকে বোঝানো হয়, যা নির্দিষ্ট কোন প্রোটিন তৈরির কোড ধারণ করে। যেমন, মানুষের শরীরে তিন বিলিয়ন জোড়া বেইসের মধ্যে জিন রয়েছে মাত্র ২০ হাজারের মতো। এই জিনগুলো সম্মিলিতভাবে মানবের সকল বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।

আপনার পোস্টের শেষ প্যারাটাই হচ্ছে সকল প্রশ্নের উত্তর। অর্থাৎ 'স্রষ্টা মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন শ্রেষ্ঠ প্রানী হিসেবে, মানুষ তার আশে পাশের উপকরণ/ টুলস ব্যবহার করতে পারে - নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে। কাজেই মানুষ যদি স্রষ্টায় বিশ্বাস - সঠিক সিদ্ধান্ত - জীবন আচরন - খাদ্যাভাস এই টুলসগুলো ব্যবহার করতে পারে, স্রষ্টা হয়তো মানুষের জীবন কিছুটা দীর্ঘায়িত করে তার ইবাদত ও সৃষ্টির সেবা করার সুযোগ দান করতে পারেন'- সেটা হচ্ছে শ্রষ্ঠার প্রতি বিশ্বাস।

যদিও লেখাটা কিছুটা অসম্পুর্ণ তবুও চমতকার একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পোস্টে প্লাস।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪২

সাজিদ! বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । হার্টের বিষয়ে বলতে গেলে, রেস্টিং অবস্থায় অন্য ইন্টারন্যাল অর্গানগুলোর যতোটুকু অক্সিজেন ডিমান্ড , এক হার্টের তার চেয়ে কয়েকগুন বেশী অক্সিজেন ডিমান্ড । কারণ নন স্টপ সিস্টোল ডায়াস্টল হচ্ছে , সারা বডিতে সার্কুলেশন মেন্টেন করছে । বিজ্ঞানের ভাষায় এইটাকে মিন আরটারিয়াল প্রেশার বা পারফিউশন প্রেশার ও বলা হয়।

জিন বলতে আমি বোঝার সুবিধার জন্য একটা বৃহৎ অর্থে বুঝিয়েছি। বিষয়টা অনেকটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে তার জন্য । আপনার বিশদ ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ । আমি আসলে জেনেটিক ফ্যাক্টরগুলোর আপ রেগুলেশন - ডাউন রেগুলেশন এই দিকটা মিন করতে চাই । খাদ্যাভ্যাস ও চারপাশের পরিস্থিতি তা করতে পারে । যেমন কারও খাদ্যাভ্যাস / ধূমপানের জন্য তার হার্টের আরটারিতে ও অন্য অর্গানের আরটারিতে চর্বির দলা জমার জিন আপ রেগুলেট হতে পারে । এইটা একটা ইনফ্লামেশন। এই অবস্থানগুলো অনেকদিন চলতে থাকলে তা হাই ব্লাড প্রেশার থেকে শুরু করে বাকি নন কমিউনিকেবল ডিজিজ গুলো শুরু করে দেয় , যার ফল তো ভালো নয়।
অসম্পূর্ণ লেখার জন্য দুঃখিত । আশা করি ব্লগারদের কেউ একসময় বিশদ আকারে লিখবেন এই নিয়ে ।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪০

সাসুম বলেছেন: আপনি যেহেতু একটা স্পেসিফিক বিলিভ করেই বসে আছেন সো আপনাকে চাইলেও আমি কিন্তু ধারনা চেঞ্জ করাতে পারব না। সো যতই যুক্তি দেইনা কেন, আপনাকে কিছুতেই বুঝাতে পারব না অটোফ্যাগি আর রোজা এক না।

যাই হোক- আপনার রোজা তে আমার কোন আপত্তি নেই, আমার আপত্তি দুনিয়ার শুধু একটা যায়গাতেই। সেটা হল- জোর করে বিলিভ এর সাথে লজিক বা বিজ্ঞানের মিলাতে চাওয়াটা।

আর আপ্নার এত লং লিভের বা ব্লু জোনের মানুষের এত দীর্ঘ জীবন লাভের ১ম কারন ধর্ম বিশ্বাস এটা কোথাও পেলাম না।

বাট আপনি আপনার লিখাটাতে এত দীর্ঘ একটা সায়েন্টিফিক রিজনিং এর ১ম কারন হিসেবে দেখিয়েছেন ধর্ম বিশ্বাস কেই।

আমি আবারো বলছি, আমার আপত্তি নেই আপনার বিলিভ করাতে। বাট সেই বিলিভ কে স্টাব্লিশ্মেন্ট এর জন্য ভুল এক্সপ্লেনেশান করাতে আমার মৃদু আপত্তি আছে আর কি।

আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্টের জন্য

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১১

সাজিদ! বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি আপনার কাছ থেকে এই বিষয়ে বুঝতে চাই । চলুন অটোফ্যাজি আর ফাস্টিং ( রোযা একটা ফর্ম অব ফাস্টিং ) নিয়ে আলোচনা করি । আমার ভুল জানা থাকলে সে ভুল দূর হয়ে যাবে ।
প্রথমেই আমি কিন্তু বিশ্বাস কথাটার মধ্যে ( স্রস্টা বা যেকোন জীবন রীতি ) রেখেছি । এখন একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জীবন যাপন করাও জীবন রীতির একটা অংশ হতে পারে আবার আমাদের ধর্মের রীতিতে / যেকোন ধর্মের রীতিতে বিশ্বাসও জীবনরীতি হতে পারে।

আরেকটা বিষয় -


বাংলাদেশে বা সাউথ এশিয়ান দেশগুলোর ম্যাক্সিমাম ফ্যামিলিতে এখন ইসলামের ফাস্টিং বলতে বারো ঘণ্টা না খেয়ে ইফতার - সেহেরি - রাতে খাবারের এরেঞ্জমেন্ট করাকেই বুঝায় । এতো বাজে খাদ্যাভ্যাসে নেমে গেছি আমরা। যেখানে সারাদিন একজন মানুষের ওয়েট অনুযায়ী হয়তোবা ১৫০০ -১৮০০ ক্যালরি খাওয়ার কথা , সেখানে প্রসেসড ফুড মিলিয়ে আমাদের ক্যালরি ডেফিসিট তো হয়ই না বরং বেশীই খেয়ে ফেলি খাবারের উইন্ডোতে ।

ইংল্যান্ডের এন এইচ এস ট্রাস্টের একটা হসপিটাল গবেষণা করে দেখেছে সেদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশী ও পাকিস্তানিদের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ হওয়ার হার বেশী জেনেটিক কারণেই । ইন্টারেস্টিং , দেখেন । জেনেটিক ম্যাপিং ও সে অনুযায়ী চিকিৎসা সেবাকে মডিফাই করারও চিন্তা করছে তারা । এটাই তো ভবিষ্যৎ এর চিকিৎসা ব্যবস্থা ।

পড়ে দেখুন Genetics study in Pakistani and Bangladeshi communities will take action on health inequality

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৩

সাজিদ! বলেছেন: the world’s largest community based genetics study, has launched today – aiming to improve health among people of Pakistani and Bangladeshi heritage in East London by analysing the genes and health of 100,000 local people.

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৫

জুন বলেছেন: আমি অমর হতে চাইনা সাজিদ। একটা সার্টেন এজ পর্যন্ত বাচতে চাই যতদিন আমার শারিরীক শক্তি সামর্থ বজায় থাকে। অর্থনৈতিক তো বটেই সামাজিক ভাবেও পরনির্ভরশীল হয়ে নয়।
"ওই যে জিজরি বুড়িটা দেখো আজ আবারও আমাকে ডাকছে, ভালো জ্বালা হলো দেখছি "। :P

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৯

সাজিদ! বলেছেন: ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করি । থাইল্যান্ড বা ওই বেল্টের মানুষের খাবার ও লাইফ স্টাইল কতোটুকু আলাদা আমাদের চেয়ে ? ওদের মানুষের স্থুলতার হার কেমন ?

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৭

কলাবাগান১ বলেছেন: সৃস্টায় বিশ্বাস করা লোক জনেরা বেশী বাচার সুযোগ লাভ করবে!!!! এমন লেইম যুক্তি........

বিশ্বের তাবদ বিজ্ঞান গবেষনা করার আর কোন দরকার নাই
ওকিনাওয়ার ইকিগাই এর মিনিং আপনি বুঝেন বলে মনে হল না..লোমা লিন্ডার লোকজন এর চা/কফি/মদ এসব খাওয়া নিষেধ-
তাহলে তো আরব দেশের লোকজন এর বেশী বাচার কথা (সবচেয়ে বেশী সৃস্টায় বিশ্বাসী লোকজন) কিন্তু কি দেখছি
উপবাস করা ইসলাম ধর্মের ও বহু আগে থেকে ই প্রচলিত যেমন ইহুদীদের মুসলমানি করানো।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৬

সাজিদ! বলেছেন: দয়া করে ব্লগার সাসুমকে করা প্রতিউত্তরটি দেখুন । আপনিও কিন্তু আপনার অবস্থান থেকে বেশ ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন।

এই ছবিটি তো আপনি অনেকবারই দেখেছেন । বাংলাদেশীদের আসামিজ ওড়িয়া তেলেগু মানুষের জিনের বৈশিষ্ট্য কাছাকাছি । খাদ্যাভ্যাসও একই । গড় আয়ু প্রায় একই । কেরালার মানুষ কাছাকাছি জিনের হয়েও এদের খাদ্যাভাস কিছুটা ভিন্ন , গড় আয়ু বেশী । ইদানীং আরবের বিভিন্ন দেশে খাবারের কালচার ও জীবনযাপন রীতি ভালো বলে আমার মনে হয় না । এরা তো ত্রিশ বছর আগে থেকেই কায়িক শ্রম ছেড়ে দিয়েছে ।




৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: জুন বলেছেন: আমি অমর হতে চাইনা সাজিদ। একটা সার্টেন এজ পর্যন্ত বাচতে চাই যতদিন আমার শারিরীক শক্তি সামর্থ বজায় থাকে। অর্থনৈতিক তো বটেই সামাজিক ভাবেও পরনির্ভরশীল হয়ে নয়।
"ওই যে জিজরি বুড়িটা দেখো আজ আবারও আমাকে ডাকছে, ভালো জ্বালা হলো দেখছি "।
:P

কেউ কেউ মুখে যতই বলুন-আমি অমর হতে চাইনা, তাদের অনেকেই তাল গাছ লাগিয়ে অমর হতে চায়!

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৩

সোবুজ বলেছেন: আজ পর্যন্ত আমি কোন বিজ্ঞানীকে বলতে শুনলাম না, তার আবিস্কার ধর্মের সাথে মিলে গেছে।কিন্তু ধার্মীকরা কোন একটা আবিস্কারের সাথে দল বেঁধে ছুটে আসে এই আবিস্কারের সাথে ধর্মের মিল আছে।তার আজ বুঝেগেছ্ ,বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে ধর্মকে টিকিয়ে রাখা যাবে না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

সাজিদ! বলেছেন: আপনি যেমন বুঝাতে চাইছেন, আমি এখানে তেমন কথাই বলি নাই। টেক হোম মেসেজটা নেওয়ার চেষ্টা করেন, হেলথি লাইফ স্টাইল লিড করলে ভালো থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৪

সাসুম বলেছেন: স্রস্টা বা যেকোন জীবন রীতি এর প্রতি তীব্র বিশ্বাস তাদের দীর্ঘ দিন বেচে থাকার ১ম কারনঃ এই কথাটি কোথায় লিখা আছে আমাকে কাইন্ডলি জানাতে পারবেন?? এই কথা কোথাও লিখা নেই বাট আপনি জোর করে ন্যারেটিভে ঢুকাতে চেয়েছেন। এখানেই আমার আপত্তি।

বিঃদ্রঃ জাপানের ওকিনাওয়ার মানুষের গড় আয়ু অনেক বেশি এটা অনেকটা হোয়াক্স এর মত এবং কোন স্পেসিফিক ডেটা সেট নেই নির্ণয় করার জন্য, বরং জাপানের সকল এলাকার মানুষের গড় আয়ুই অনেক বেশি।

আর রোজা যে অটোফ্যাগি না, এটা নিয়ে তর্ক করার কিছু নেই ভাই। অটোফ্যাগিতে কখনোই পানি না খেয়ে থাকার সাজেশান নেই। ডিহাইড্রেশানে মারা যাওয়া ছাড়া পানি না খাওয়ার কোন পজিটীভ রেজাল্ট আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করতে পারেন নাই।

আর মুসলিম রা হেলথ বা বেশিদিন বাচার জন্য রোজা রাখেনা, এটা তাদের সেই পুরানো আব্রাহামিক কালচার থেকেই রেখে আসছে তাদের স্রষ্টার নিমিত্তে, এখানে এটার সাথে বিজ্ঞানের ভুল মিক্সিং টা ক্ষতিকর সবার জন্যই।

আমি আবারো বলছি- আপনার বিশ্বাসে কারো কিছু যায় আসেনা আপনার একার ছাড়া, কিন্তু সেটাকে বিজ্ঞানের সাথে লজিকাল ফ্যালাসি দিয়ে মিশ্রিত করাটা দৃষ্টিকটূ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৭

সাজিদ! বলেছেন: বারো ঘন্টা ড্রাই ফাস্টে যে ডিহাইড্রেশন হবে তার জন্য যে কোন ইন্টারন্যাল মেকানিজমে ক্ষতি হয় ( সারকুলেটিং লিপিড বাড়ে, এইটা ফ্ল্যাকচুয়েট করে) , এমনটা কেউ দেখাতে পারে নাই আমার জানা মতে। বডি নিজে থেকে কমপেনশেটরি মেকানিজম স্টাবলিশ করে ফেলে, এ ক্ষেত্রে ( ফিজিওলজি অনুযায়ী) এখন কোন ব্যক্তি ধরেন এমন একটা মেডিসিন খান যা তার শরীরের পানি বের করে ফেলে, এই ব্যক্তি ড্রাই ফাস্টিং ( রোযা) + হেভি ফিজিক্যাল এক্টিভিটি করলে তারই ক্ষতি হবে। অটোফ্যাজিতে পানি না খেয়ে থাকার সাজেশন নাই এই জন্যই। তবে গোটা বিষয়টা কিন্তু রেস্ট্রিকটেড বাই টাইম।

আমি কিন্তু পোস্টে টুলস শব্দটি লিখেছি। বিশ্বাস একটা টুলসই ধরেন। আর ব্লু জোন নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক আছে, যে বয়সী মানুষের উপর ভিত্তি করে ওই অঞ্চল গুলোকে ব্লু জোন বলা হয়েছে, তাদের প্রজন্মের পরের প্রজন্মের লাইফস্টাইল যদি ভিন্ন হয়ে যায় তাহলে পরের প্রজন্মের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো পরিবর্তন হবে। আমি কি বলেছি বেশী দিন বাঁচার জন্য রোযা রাখার কথা? টাইম রেস্ট্রিক্টেড ইটিং / ফাস্টিং কে পশ্চিমারা প্রমোট করছে কথাটা বলেছি ( আমাদের অঞ্চলের সাথে তুলনা করতে গিয়ে এবং আমাদের ধর্মেও সপ্তাহে দুইদিন ফাস্টিং করা যায় সেটা জানিয়েছি সাথে)


আমার বিশ্বাস বাদ দেন। এইভাবে চিন্তা করেন - পরিমিত খাবার, মডারেট কার্ব - প্ল্যান্ট বেইজড ডায়েট, মডারেট ফিজিক্যাল একটিভিটি, ফ্যামিলি, সোশাল কমিউনিটি একটা মানুষের বার্ধক্যজনিত রোগ কমিয়ে দিতে পারে৷ এইটা তো বিজ্ঞান বলে তাই তো? সেই পুরানো কথাই আরকি।

৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: আমার আপত্তি টা কোথায় সেটা তো আপনার প্রতিউত্তরেই দেখা যাচ্ছে। কেরালায় গড় আয়ু বেশী আসামিজ দের থেকে..সেটা খাদ্যাভাস/জীবন যাত্রা এর ভিন্নতা থেকেই ..
এটা মানতে নারাজ যে কেরালার লোকেরা সৃস্টায় বেশী বিশ্বাসী বলে, তাদের গড় আয়ু 'বাড়িয়ে' দেওয়া হয়েছে যাতে বেশী করে সৃস্টার ইবাদত করতে পারে।
এক বুয়েট পাশ ব্লগার কানাডায় সন্ধ্যা হলে পরিবার সহ জিকির করতে বসেন... এখন উনি যদি বেশী দিন বাচেন, তাহলে কি ধরে নিতে হবে জিকিরই উনাকে বেশীদিন বাচতে দিয়েছে, কানাডার দুষনমুক্ত জীবন যাত্রা র কোন রোল নাই!!!!

তবে অবশ্যই কোন কিছু বিশ্বাস করলেই জীবনে বেচে থাকার জন্য লুক ফরওয়ার্ড করা যায়..সেটা সৃস্টা কেন্দ্রিক না হলেও চলে।
আপনি আপনার লিখার লাস্ট অংশে যে কনক্লুশন টেনেছেন সেটা সার্বজনীন না।

নেচার ভার্সাস নারচার এর রোল টুইন গবেষনাতে ভাল ভাবেই উঠে এসেছে।

আপনি একজন ডাক্তার....হয়ে ও ....।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

সাজিদ! বলেছেন: যেকোন উদ্দেশ্যর জন্য বেঁচে থাকার ইচ্ছা পোষন করা ( সময়ে সময়ে উদ্দেশ্য হয়তোবা চেঞ্জ হতে পারে) আপনাকে ভালো অভ্যাসগুলো রপ্ত করতে বাধ্য করবে। আপনি চাইলে, ধর্মকে একটা টুলস ধরেন । আমি আবার ধর্মকে প্রথমে রাখবো ( আমার ধর্ম অনুযায়ী)। এই একটা বিষয় নিয়েই তো আপত্তি। বেশ এটাই মীমাংসা হয়ে গেল।

বাকি বিষয়গুলোতে তো আপত্তি নেই? প্ল্যান্ট বেইজড, মডারেট কার্ব ডায়েট, জীবনের লম্বা সময় ধরে রেগুলার মডারেট ফিজিক্যাল একটিভিটি, ফ্যামিলি ও কমিউনিটিতে সময় দেওয়া, স্ট্রেস ম্যানেজ করা, এই জিনিসগুলো বার্ধক্যজনিত রোগ কমাতে ভূমিকা রাখে। এখন ধরেন, একজন সবই মেন্টেইন করলো, সে কি বেশী দিন বাঁচবে? এই প্রশ্নের উত্তর আমার বিশ্বাস মতে স্রষ্টা ছাড়া কেউ দিতে পারবেন না। কিন্তু আশেপাশের বিষয় ও সিদ্ধান্তগুলো নিয়ন্ত্রণ করে রোগ প্রতিরোধ করতে তো আপত্তি নেই তাই না?


মেডিকেল সায়েন্স উপরের সব কথাই বলে। পরিমিত আহারের কথা বলে, সপ্তাহে পাঁচদিন লো/ হাই ইন্টেন্সিভ এক্সারসাইজের কথা বলে, স্ট্রেস ম্যানেজের কথা বলে, প্রসেসড ফুডের খারাপদিকটাও বলে। কোনটা বলে না? ব্লু জোনের লোকেদের জীবনযাপন রীতির বেসিক অংশগুলো মেডিকেল সায়েন্স তো বছরের পর বছর বলেই আসছে।

আমি এখনও ছোট খাট ডাক্তার। তাই আমার জ্ঞানও হয়তো ছোটখাট। তাই মেডিকেল সায়েন্স পড়তে গেলেই আমার স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাসটা আরও গভীর হয়। ভাবুন তো, দুইজন ব্যক্তি, একই পরিবেশে বড় হল - একইভাবে জীবনযাপন করলো- একজনের রোগ হলো আরেকজনের হলো না। কেন? ওর হয় কিন্তু আমার হয় না কেন কিংবা আমার হয় কিন্তু ওর হয় না কেন? এমন প্রশ্ন আসে। তাই না?

১০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৪

জুন বলেছেন: কিছু থাই খাবার আছে দারুণ হেলদি। আবার অনেক খাবারে প্রচুর তেল আর ঝাল মরিচের ব্যাপার। তবে বেশিরভাগ থাইরাই লিন এন্ড থিন। মোটু হচ্ছে সেই প্রজন্ম যারা কেএফসি, বার্গার কিং এ যাওয়া শুরু করেছে। আমি ওদের হটপটটা অনেক পছন্দ করি আর সিজলারের সালাদ বার।দাড়ান একটা ছবি দেই সিজলারের, এখানে আমি অবশ্য একটা স্টেকের অর্ডার করেছিলাম :`>

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৯

সাজিদ! বলেছেন: সালাদের ও স্টেকের ছবি চমৎকার দেখতে। জাপান, সিঙ্গাপুরের মানুষের গড় আয়ু আশির উপরে, থাইদের দেখাচ্ছে ৭৫ এর উপরে। আমাদের বাংলাদেশীদেরও বেড়েছে। আমাদের গড় আয়ু দেখাচ্ছে ৭২ বছর, ওয়ার্লড র‍্যাংক ৯৭। ভারত পাকিস্তান র‍্যাংকে ১২০ এর পরে। ওদের গড় আয়ু ৬৬। এখন আমাদের প্রজন্ম আর পরের প্রজন্ম ফাস্ট ফুড কেন্দ্রিক না হলেই হয় দেশে।

থাই, জাপান, সিঙ্গাপুর, সাউথ কোরিয়া সবাই লিন এন্ড থিন। বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ কম। এবং যা জানলাম, এরা বিভিন্ন একটিভিটিতে নিজেদের ব্যস্ত রাখে। আরেকটা প্রশ্ন, থাইদের কার্ব ইন্টেক কেমন? মডারেট নাকি লো?

১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে প্রথমেই আমার মনে যেই প্রশ্নের উদয় হলো তা হচ্ছে, এই অন্চলগুলোর নামকরণ ব্লু জোন কেন? এদের খাদ্যাভাস যেহেতু মূলতঃ প্ল্যান্টভিত্তিক, তাহলে গ্রীন জোন নয় কেন? সেটাই কি বেশী যুক্তিযুক্ত হতো না?

ধর্ম-বিশ্বাসকে একটা টুল হিসাবে ধরার কথা বলেছেন। ওটার সাথে আমি একমত। জীবন-ধারনের একটা যৌক্তিক উদ্দেশ্য থাকলে জীবন যাপন করাটা মিনিংফুল হয়ে যায়। জীবনের এই মিনিংটাই সুস্থ জীবন যাপনের জন্য একটা মোটিভেশান হিসাবে কাজ করে। অন্য অনেক কিছুকেই অনেকে মোটিভেশনাল ফ্যাক্টর হিসাবে নিতে পারে, যার যেমন রুচি; তবে ধর্ম বিশ্বাসকে এখান থেকে একেবারে রুল আউট করে দেয়াটা গোয়ার্তুমির মধ্যেই পড়ে। আর গোয়ার্তুমি সব সময়েই যৌক্তিক আলোচনার ক্ষেত্রে বাধা স্বরুপ।

কায়িক পরিশ্রম, স্বাস্থ্যকর এবং পরীমিত খাবার, স্ট্রেসহীন জীবন, রুটিন মেইনটেইন........এসবই সাধারনভাবে দীর্ঘ জীবন লাভের উপায়। আর সকল ধর্মই এই বিষয়গুলোকে প্রোমোট করে, জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে ভূমিকা রাখে। কাজেই বিশ্বাস অবশ্যই একটা বড় নিয়ামক। ব্লু জোনের মানুষরা তাদের পারিপার্শ্বিক বা পরম্পরার কারনেই এসব ধারন করে। কারন কথায় আছে, সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস............!!! মদখোরদের সাথে মিশলে মদ খাওয়ার সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, সুস্থ-চিন্তার আর তা পালনকারীদের সাথে মিশলে তেমনিভাবে দীর্ঘ জীবন লাভের সম্ভাবনাও বাড়ে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮

সাজিদ! বলেছেন: আসলেই তো, গ্রীন জোন নাম কেন হলো না? বোধহয় ডায়েটকে শুধুমাত্র একটা অংশ হিসেবে ধরা হয়েছে এবং বাকি সব অভ্যেস মিলিয়ে ব্লু জোন নাম হয়েছে। প্ল্যান্ট বেজড ডায়েট, সপ্তাহে এক - দুইদিন বা কোন উপলক্ষে মাছ/ মাংস এটার প্রচলন আমাদের দেশেও দেখেছি, এখন এই ধরনের খাদ্যাভাস কমে যাচ্ছে। আর জিনগত কিছু বিষয় তো আছেই। যেমন ধরেন, আমাদের বাংলায় বেশ কয়েকবার দুর্ভিক্ষ গেছে, খরা বন্যা এসব তো ছিলই। তাই আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্মের একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ফ্যাট স্টোরেজ আমাদের বেশী যেন বিপদে তা ভেঙ্গে শক্তি যোগায়। আর মানুষের শারীরিক পরিশ্রমের পরিমানও আগে বেশী ছিল সেটাও যোগ করি এর সাথে। এইসময়ে শারীরিক পরিশ্রমের পরিমান কমে গেছে, খাবারের পর অভ্যেসটা আগের মতোই রয়েছে। তাই দেখা যায় একটা বড় অংশের মানুষের মাসল মাস কম, ফ্যাট পারসেন্টেজ বেশী, যা আমাদের জিনগত থ্রেসহোল্ডের বেশ উপরে। তাই আমাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আমাদের খাদ্যাভাসের ব্যালেন্সটা আবার ফিরে আসা উচিত।

এই লেখায় যারা আপত্তি করেছেন তারা ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আপত্তি করেছেন, আমি বলেছি যদি তাদের এই বিষয়ে সমস্যা হয় তাহলে টুল হিসেবে ধরলেই ভাবতে সুবিধা হবে। ধর্ম একটা নিয়ত চর্চার ব্যাপার, জীবনকে মিনিংফুল বানাতে অবশ্যই এর ব্যবহার অস্বীকার করা যায় না।

পারিপার্শ্বিক ও পরস্পরার সুবিধা পুরোটাই নিতে পেরেছে ব্লু জোনের শতায়ু প্রজন্ম। আমি ভিডিওতে দেখেছি ওকিনাওয়ায় নতুন প্রজন্ম এখন ফাস্টফুড বেশী পছন্দ করে। লোমা লিন্ডায় কয়েক বছর আগেও কেএফসির শাখা ছিল না, ওই এলাকার মানুষ রীতিমতো আন্দোলন করেছে ফাস্টফুড চেইনের বিরুদ্ধে। কাজেই জিনগত সুবিধা যদি এইসব ব্লুজোনের মানুষরা পেয়ে থাকেও নতুন অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সেটাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে অন্তরায় হবে, এটাই স্বাভাবিক।


সঙ্গ অবশ্যই বড় প্রভাবকের কাজ করে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

ব্রিটিশদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন রীতি নিয়ে কিছু বলুন। ওদের গড় আয়ুও বেশ ভালো।

১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৩

সাসুম বলেছেন: আমার বিশ্বাস বাদ দেন। এইভাবে চিন্তা করেন - পরিমিত খাবার, মডারেট কার্ব - প্ল্যান্ট বেইজড ডায়েট, মডারেট ফিজিক্যাল একটিভিটি, ফ্যামিলি, সোশাল কমিউনিটি একটা মানুষের বার্ধক্যজনিত রোগ কমিয়ে দিতে পারে৷ এইটা তো বিজ্ঞান বলে তাই তো? সেই পুরানো কথাই আরকি।[/sb
একজন মেডিকেল প্র্যাক্টিশনার হিসেবে আপনার এই কথার উপর তো আর কথা থাকতে পারেনা! কারন এই সব গুলা পয়েন্ট মেডীকালি এবং সায়েন্টিফিকালি ভেলিড, প্রুভেন এবং লজিকাল।

কিন্তু এর বাইরে গিয়ে যখন আপনি এই অনেক দিন বেচে থাকার জন্য টুলস বা বিশ্বাস এর আবির্ভাব করবেন নিজের মন মত এবং সেটাকে এই সায়েন্টিফিক রিজনিং এর সাথে যোগ করে পুরা বিষয়টার এক সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা দাড় করাবেন এই বলে যে- ধর্ম মানার কারনে মানুষ কে গড বা সুপিরিয়র এন্টিটি অনেক বেশি হায়াত দান করেন যাতে করে বেশি বেশি ধর্ম কর্ম করতে পারে। তখন সমস্যা এসে দাঁড়ায়। কারন- আপনি বিশ্বাস আর লজিক কে এক করে ফেলছেন যেখানে আসলে দুটোর কোন যোগাযোগ নেই, অন্তত এই যায়গায়।

আর, সেকেন্ডলি আমি কোথাও বলিনি , রোজা করার কারনে মানুষ বেশি দিন বাচে আপনি এই কথা দাবি করেছেন। আমি বলেছি মানুষ রোজা এই জন্য করেনা যে সে বেশিদিন বাচবে বা সুস্থ থাকবে বরং রোজা করে তার খোদার একটা প্রার্থনা হিসেবে। এটার সাথে অটোফ্যাগি কে না মিলাতে অনুরোধ করেছিলাম কারন একটা বিশ্বাস আরেকটা লজিকাল সায়েন্টিফিকাল প্রুফ।

আর টুলস এর কথা, একজন ডাক্তার হিসেবে আপনার কাছে এমন অনেক রোগী আসার কথা যারা ঝাড়ফুক এবং পানি পড়া কিংবা হুজুরের তাবিজে ভাল হয়ে গেছে। এখন মেডিকেল প্রফেশনাল হিসেবে আপনি এই ঝাড়ফুক পানিপড়া কে মেডিকেল টুলস হিসেবে গ্রহন করবেন কিনা সেটা আপনার একান্তুই পারসোনাল ইস্যু। কিন্তু এটাকে যখন আপনি মেডিকেল প্রফেশনের বাই ডিফল্ট টুলস বানাবেন এবং প্রচার করবেন তখন কিন্তু প্রবলেম শুরু হবে।

আর, যদি টূলস হিসেবে ধর্ম বা বিশ্বাসী হবার কারনে মানুষ বেশি দিন হায়াত পেত, তাহলে কি আপনার মনে হয়না, বাংলাদেশ বা নেপাল বা ইন্ডিয়ার বা মিডল ইস্টের মানুষ রা অনেক অনেক বেশি দিন বাচত???

আপনার আজকের এই আলোচনার আশেপাশেই ধর্ম বা বিশ্বাস এর কোন রিলেশান নেই অথচ আপনি জোর করে সেটাকে আকাশ থেকে টেনে আনলেন, সেটাকে বেশি দিন বাচার ১ নাম্বার ইস্যু হিসেবে দাড় করালেন এবং এই একান্ত পারসোনাল ম্যাটার কে সায়েন্টিফিকালি সঠিক বলে প্রমান করার চেস্টা করলেন।

আমার একান্ত প্রতিবাদের যায়গা এটাই। অন্য কিছুনা।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩২

সাজিদ! বলেছেন: ওয়েল। ভেঙ্গে ভেঙ্গে বলি, ব্লু জোনের মানুষের খাবার - জীবন যাপন ও সামাজিক রীতিগুলো তাদের ক্রোনিক ডিজিজের পরিমান কমিয়ে দিয়েছে এবং সুস্থতায় পরিপূর্ণ দীর্ঘ জীবন দিয়েছে এটা আপনার মানতে আপত্তি নেই। আপনার আপত্তি আমি কেন বিশ্বাস বা ধর্মকে আগে নিয়ে এলাম বাকি ফ্যাক্টরগুলোর মাঝে। তাই তো? শিরোনামেই নাম দিয়েছি " নিজের কিছু ভাবনা", আমি আপনাকে বা কাউকে চাপিয়ে দেই নাই যে, অমুক কারনে ওরা ব্লু জোন। তাই আপনি যদি চান ধর্মকে আলাদা রাখতে, রাখতে পারেন। তবে আমি যেহেতু আলাদা রাখি নাই তাই সে সাপেক্ষে আলোচনা করেছি।

রোযার বিষয়টা কিভাবে পোস্টে আসলো চলুন সেদিকে যাই -
আমি প্রসেসড ফুডের কথা বলছিলাম। পশ্চিমাদের কিছু অংশ প্রসেসড ফুড গ্রহন করা কমিয়েছে। হেলথি ইটিং হ্যাবিট এগুলো এখন ওদের চর্চার বিষয়। এই হেলথি হ্যাবিটের মধ্যেই এখনকার ট্রেন্ড ফাস্টিং বা টাইম রেস্ট্রিক্টেড ইটিং। এমন না যে যারা হেলথি ইটিং হ্যাবিট প্র‍্যাকটিস করেন তারা সবাই ফাস্টিং করেন বা সবার ফাস্টিং করা উচিত। এবার ফাস্টিং এর নানা ধরন নিয়ে আপনি জানেন। একটা প্রচলিত ধরন হচ্ছে ৫ঃ২, মানে দুইদিন ফাস্ট করবে আর পাঁচ দিন স্বভাবিক খাবার গ্রহন করবে। আমি এটার সাথে আমাদের ধর্মের সপ্তাহে দুইদিন নফল রোযার শুধু তুলনা দিলাম। এখন রোযা হচ্ছে ড্রাই ফাস্ট ( শারীরিক সমস্যা থাকলে, না রাখলেও সমস্যা নেই) আবার এই নফল রোযা রাখতেই হবে এমন কোন কথাও নেই। আপনি প্রশ্ন করেছেন, ড্রাই ফাস্টে ডিহাইড্রেশন হয়, আমিও একমত, তবে আমি এটা বলেছি - বডি ফিজিওলজি সেটাকে কমপেনশেট করে ফেলে। এবং ফাস্টিং আওয়ার শেষ হলে আপনি তো পান করছেনই। আমি কিন্তু ড্রাই ফাস্টিং সবার জন্য প্রযোজ্য সেটস বলি নাই। অনেকের শারীরিক সমস্যা হতেই পারে।

অটোফেজির কথা আসলো কখন? টাইম রেস্ট্রিক্টেড ইটিং / ফাস্টিং ( ওয়াটার বা ড্রাই) অটোফেজিতে সাহায্য করে। আরেকটা কথা যোগ করেছি, আমাদের বয়স যত বাড়তে থাকে অটোফেজির হারও ততো কমতে থাকে। এগুলো নিয়ে সেল/ নেচারের অনেক লেখা পাবেন।


কলাবাগান ভাইকে একটা প্রতিউত্তর দিয়েছি, যেটার একটা অংশ এখানেও লিখতে পারি - ভাবুন তো, দুইজন ব্যক্তি, একই পরিবেশে বড় হল - একইভাবে জীবনযাপন করলো- একজনের রোগ হলো আরেকজনের হলো না। কেন? ওর হয় কিন্তু আমার হয় না কেন কিংবা আমার হয় কিন্তু ওর হয় না কেন? এমন প্রশ্ন আসে। তাই না? এভাবেও ভাবতে পারেন ব্লু জোনে যারা জন্ম গ্রহন করেছে তারা সবাই কি শতায়ু লাভ করেছে? তা তো নয়। এখানেই পয়েন্টটা আসে, হেলথি লাইফ স্টাইল মোটেও দীর্ঘদিন বাঁচার একমাত্র উপায় নয়। এখানেই স্রষ্টার ইচ্ছের কথা চলে আসে ( অন্তত আমার মতে), স্রষ্টা যাকে ইচ্ছে বাঁচাবেন, যাকে ইচ্ছে সুস্থভাবে জীবন যাপন করার পরেও শতায়ু দিবেন না। আপনার আমার চয়েজ অভ্যাস একটা চর্চামাত্র। তাই বাংলাদেশ/ নেপাল/ ইন্ডিয়া/ মিডেল ইস্টের মানুষের বেশীদিন বাঁচাটা তাদের বিশ্বাসের পাশাপাশি সুস্থ অভ্যাসগুলোর চর্চাতেও নির্ভর করে।

১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: বেশিদিন বাচাঁর চাইতেও বেশি জরুরী সুস্থ শরীরে বেচেঁ থাকা। ভেজিটারিয়ানরা তুলনামুলকভাবে রোগে ভুগে কম। বাংলাদেশিদের অসুস্থ শরীর নিয়ে বেচেঁ থাকার মুলে অন্যতম কারন হচ্ছে খাবার।

তবে মৃত্যূ মনে করি যেদিন আজরাইল এসে ডাক দিবে সেদিনই হবে। অনেক অসুস্থ মানুষকেও দেখেছি দিনের পর দিন বিছানায় পড়ে থাকতে আবার অনেক সুস্থ সবল মানুষকেও দেখেছি হুট করে মৃত্যম্বরন করতে। এই বিশ্বাসে যাদের আপত্তি আছে তারা তালগাছ তাদের দিকে নিয়ে যতই চেচাক না কেন বিশ্বাশীদের কর্নে তা কখনই পৌছাবে না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

সাজিদ! বলেছেন: সুস্থ শরীরে সবলভাবে বেঁচে থাকা যে স্রস্টার পক্ষ থেকে অনেক বড় উপহার। যারা প্ল্যাট বেজড ডায়েট গ্রহণ করে তারা অবশ্যই কম রোগাক্রান্ত ( এখানে কিন্তু খাবারের কার্ব- প্রোটিন- ফ্যাটের ব্যালেন্স গুরুত্বপূর্ণ) নাহয় তাদেরও কিছু রোগ হতে পারে। বলেছেন - " বাংলাদেশিদের অসুস্থ শরীর নিয়ে বেচেঁ থাকার মুলে অন্যতম কারন হচ্ছে খাবার।" ভাবুন তো যদি খাবারর ভেজাল ও অখাদ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে আমাদের গড় আয়ু এখনকার ৭২ বছর থেকে আরও বাড়তো তাই না?

বলেছেন - 'অনেক অসুস্থ মানুষকেও দেখেছি দিনের পর দিন বিছানায় পড়ে থাকতে আবার অনেক সুস্থ সবল মানুষকেও দেখেছি হুট করে মৃত্যম্বরন করতে। এই বিশ্বাসে যাদের আপত্তি আছে তারা তালগাছ তাদের দিকে নিয়ে যতই চেচাক না কেন বিশ্বাশীদের কর্নে তা কখনই পৌছাবে না।'

এরপরে আর কোন কথা থাকে না। বিশ্বাস এজন্যই বিশ্বাসীদের কাছে টুলসের চেয়েও বড় কিছু।

১৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বিষয়+++++

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৬

সাজিদ! বলেছেন: আমরা ব্লু জোন থেকে পজেটিভ কিছু নিতে পারলে আর আমাদের রুটে যেতে পারলে আমাদেরই লাভ।

১৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্রিটিশদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন রীতি নিয়ে কিছু বলুন। এইসব নিয়ে লিখতে গেলে তো অনেক কিছুই বলতে হবে। সংক্ষেপে বলি,

ব্রিটিশদের একেবারেই নিজস্ব যেসব খাবার, সেগুলি অখাদ্য। দিনের পর দিন ওসব খাওয়া সম্ভব না। যেমন, ফিস এন্ড চিপস, স্ট্যু, পাই, স্টেক; ইংলিশ ব্রেকফাস্টের আইটেমগুলো, যেমন..........বিনস, সসেজেস, ডিম, রোস্টেড মাশরুম আর টমাটো, ব্ল্যাক পুডিং, হ্যাশ ব্রাউন ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলি সবই মোটামুটি স্বাদে অখাদ্য। আমার চোখের সামনেই বলতে গেলে এসবের জায়গায় জনপ্রিয় হয়েছে পিৎজা, পাস্তা, কারী, বিরিয়ানী ইত্যাদি। কারী তো এখন ন্যাশনাল ডিশের মর্যাদা পায়। তবে এরা হট এন্ড স্পাইসি একটু কম পছন্দ করে। কাজেই রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে আমাদেরকে একটু কাস্টমাইজ করে নিতে হয়, নয়তো মুখে দেয়া যায় না।

এরা প্রচুর ফিজিক্যাল এক্টিভিটি করে, ওয়ার্ক আউট করে। এদের খোলামেলা রাস্তাঘাট, দূষণমুক্ত পরিবেশ, আবহাওয়া সবই জগিং আর হাটাহাটির উপযুক্ত। কাজেই সারাদিনই কাউকে না কাউকে দৌড়াতে দেখা যায়। আমাদের দেশের মতো শুধু সকাল/সন্ধ্যার ব্যাপার না এটা।

ধর্ম নিয়ে এদের তেমন একটা মাথাব্যথা নাই। আবার যারা ধর্মকর্ম করে তাদের বা তাদের ধর্মকে গালাগালিও করে না এরা.........প্রকৃত শিক্ষা পেলে যা হয় আর কি!!

এদের জীবনে স্ট্রেসের পরিমান কম। অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান ইত্যাদি মৌলিক বিষয়গুলির দায়িত্ব রাস্ট্রের। কাজেই এসব নিয়ে কেউ টেনশানে থাকে না। সন্চয় যা করে, সব ঘোরাঘুরি করেই ব্যয় করে। আর বাকীটা বিভিন্ন কিস্তি দিতে দিতে, কারন এখানে বাড়ি, গাড়ি, লেটেস্ট মোবাইল থেকে শুরু করে সবই কিস্তিতে কেনা যায়; যার কোন কোনটাতে এমন কি সূদও দিতে হয় না। আসলটাই কিস্তিতে দিবেন, এই আর কি!!

এসবই সাধারন অর্থে। কেউ কেউ লাফ দিয়ে এসে কোন খুচরা ঘটনাকে উদাহরন হিসাবে দাড় করানোর চেষ্টা করতে পারে! সেগুলো ব্যতিক্রম। জানেনই তো, ব্যতিক্রম কোন উদাহরন হতে পারে না।

আর কি বলবো? টাইপ করতে করতে টায়ার্ড হয়ে গেলাম। তাই এবার ক্ষ্যান্ত দেই।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩২

সাজিদ! বলেছেন: চমৎকার লাগলো ওদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে জেনে। তবে মেন্যু প্রায় চেঞ্জ হয়ে গেছে দেখছি।
এখানেও তাহলে ফিজিক্যাল এক্টিভিটির বিষয়টা কমন। আর রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব নেওয়া, স্ট্রেস ফ্রি লাইফও ফ্যাকটর বটে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯

সাসুম বলেছেন: ভাবুন তো, দুইজন ব্যক্তি, একই পরিবেশে বড় হল - একইভাবে জীবনযাপন করলো- একজনের রোগ হলো আরেকজনের হলো না। কেন? ওর হয় কিন্তু আমার হয় না কেন কিংবা আমার হয় কিন্তু ওর হয় না কেন? এমন প্রশ্ন আসে।

আপনি একজন মেডিকেল প্রেক্টিশনার হয়ে এই কথা বললে আমার আর উত্তর দেয়ার মত কিছু থাকেনা।

আজ থেকে হাজার বছর আগে যখন ঝড় বৃষ্টি বন্যা জলোচ্ছাস কিংবা বজ্রপাত হত, তখন মানুষ বুঝত পারত না এগুলো কি। তখন, তাদের নেতা বা রাজার কাছে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য যেত। বাট নেতা বা রাজার পক্ষে তো পসিবল ছিল না বলা কারন তার নিজের ই তো জানা নেই। ফলে উদ্ভব হয়েছিল মিথ বা অলৌকিকতার এবং সেখান থেকে ধর্মের নামে চালানো শুরু হয়েছিল এই সব।

ফলে যখনই কেউ কোন কারন জানতে আসত, তখন নেতা বা রাজা উপর থেকে স্রষ্টার বিরূপ হওয়া, কিংবা রাগ করে বান্দার উপর শাস্তি দেয়া কিংবা হুমকি বা থ্রেট দেয়া এসব নামে এসব ন্যাচারাল ক্যালামিটি কে চালিয়ে দিত। এবং তখনকার মানুষ কিন্তু মনে প্রাণে বিলিভ করত, বজ্রপাত হল দেবতার হুংকার কিংবা ভুমিকম্প হয় যখন দেবতা এক কাধ থেকে আরেক কাধে এই দুনিয়ার ভার হস্তান্তর করেন।

কিন্তু জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে আমরা কিন্তু জানি, কেন এবং কি কারনে এসব হয়।

ঠিক তেমনি, জ্ঞান বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভূত উন্নতির ফলে আমরা জানি প্রতিটা মানুষ আলাদা, প্রতিটা মানুষে সিস্টেম আলাদা, প্রতিটা মানুষ যেকোন ক্যামিকেল বা ক্যাটালিস্ট এর উপর ভিন্ন ভাবে বিক্রিয়া করে। এই ইউনিক নেস এর কারনে এক এক জনের ইমিউন সিস্টেম এক এক ভাবে গড়ে উঠে, এই একদম ইউনিক কারনেই একই বাসায় , একই খাবার খেয়ে , একই পরিবেশে বসবাস করার পরেও একজন কোন এক স্পেসিফিক রোগে ভুগতে পারে এবং আরেকজন কমপ্লিট সুস্থ থাকতে পারে।

এখন আমাদের প্লিজ জিজ্ঞেস করবেন না, কেন সব মানুষ আলাদা কিংবা কেন প্রতিটা মানুষের আইডী ইউনিক।

আপনি যদি না জানেন তাহলে এটাকে কোন এক অলৌকিক বা সুপিরিয়র গড এর কাজ হিসেবে চালাতে পারবেন, বাট যখনি আপনি জেনে যাবেন কারন, তখন আর আগের সেই মিথ বা সুপিরিয়র এন্টিটির হিসাব চল্বেনা।

বর্তমান জামানায় এসে এই ধরনের প্রশ্ন আসলেই প্রশ্নের সামনে দাড় করিয়ে দেয় আমাদের-

আমরা কি আসলেই জানিনা, জানতে চাইনা, নাকি জেনেও না জানার ভয় করছি কারন সেটা আমাদের ধর্ম বিশ্বাস এর সাত্থে কনফ্লিক্ট তৈরি করে তাই?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪১

সাজিদ! বলেছেন: কেন স্পেসিফিক একটা জিনের অমুকের ক্ষেত্রেই শুধু মিউটেশন হবে কিন্তু অমুকের হবে না। কেন ওর ইমিউনিটির ওর ইমিউন সিস্টেমের বিরুদ্ধে রিএকশন করে অটোইমিউন ডিজিজ তৈরী করছে, অন্যজনের নয়? বিজ্ঞান কারন জানে না। সারাদিন নানা মেডিকেল কন্ডিশনের আলাপ করা যাবে যেটার কারন মেডিকেল সায়েন্সে এখনও অজানা। ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটবুক গুলোতে কারন হিসেবে idiopathic লেখা আছে।

অভূত উন্নতি হয়েছে জ্ঞান বিজ্ঞান ও চিকিৎসায়, কোনটায় কিন্তু স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে ফেলে না। করতে পারবেও না।


আপনার চীনের অভিজ্ঞতা নিয়ে জানান। ওদের খাবারের মধ্যে ব্যালেন্স কেমন? ট্রেডিশনাল চায়নিজ মেডিসিন আসলে কি?

১৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫০

শায়মা বলেছেন: বাপরে!

খাওয়া দাওয়া বাঁচা মরা নিয়ে এত কিছু!!! B:-)


আমার নিজের মনে হয় যারা আনন্দে থাকতে পারে তারা বেশি বাঁচে তাই আমি আনন্দকে ধরে বেঁধে নিয়ে আসি। সেটা অবশ্য ঠিক বেশি বেঁচে থাকার জন্য না যতক্ষন বাঁচি আনন্দে বাঁচার চেষ্টা।


যাইহোক আমার দেখা একজন অশীতিপর বৃদ্ধাকে দেখে আমি এটাই বুঝেছি শাকসব্জী ফলমূল ভক্ষন ও প্রাত্যহিক নিজের কাজ কর্মগুলো নিজেই করে ফেলার চেষ্টা সে নিজের রান্না, নিজের ছোটখাটো কাজগুলো আর সাথে সুখী সুন্দর পারিবারিক জীবন আত্মীয় স্বজন বেষ্টিত থাকা এটাই বেশিদিন বেঁচে থাকার উপায়।

এই বয়সে তিনি নিয়মিত এক্সারসাইজ, হন্টন ও প্রচুর শাকসবজী ফলমূল, নিরামিশ প্রায় বাদ দিলেই চলে এইভাবে খাদ্যাভাস করেছেন এবং নিয়মিত আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধবের সান্নিধ্যেও থাকেন।

আহা এমন সুখী জীবন ভবে
আমাদেরও কি হবে?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩

সাজিদ! বলেছেন: যতোই দিন যাচ্ছে ততোই জানছি ও দেখছি, খাওয়া দাওয়ার উপরেও বাঁচা মরার অনেকাংশ নির্ভর করে।
আপনি যে বৃদ্ধার কথা বলেছেন, তার জীবনযাপন খুবই ইন্টারেস্টিং লাগলো। এখনও আমাদের মফস্বলগুলোতে সিনিয়র সিটিজেনরা যারা এমনভাবে জীবন যাপন করেন, ভালোই আছেন।
যে থিয়রী দিয়েছেন, সেটাই বেশীদিন বাঁচার থিয়রী ( পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই হোক না কেন) ।

আমি এক সিনিয়র সিটিজেনকে চিনি যিনি সেদ্ধ সবজি খেতেন বলে মানুষজন হাসতো। সত্তরের আগ পরযন্ত তিনি নিরোগ ছিলেন ( চোখের সমস্যা ছাড়া)।

স্ট্রেস ম্যানেজ করে আনন্দে বাঁচার অভ্যেসটাও মানুষকে আনন্দে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।

১৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫১

শায়মা বলেছেন: স্যরি আমিষ প্রায় বাদ দিয়েছেন****

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

সাজিদ! বলেছেন: প্রানিজ আমিষ কমিয়ে দিয়েছেন মানে শস্য দানা, বীজ, ডেইরী প্রোডাক্ট থেকে আমিষ ব্যালেন্স করছেন, বিষয়টা এমন?

১৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

সাসুম বলেছেন: কেন স্পেসিফিক একটা জিনের অমুকের ক্ষেত্রেই শুধু মিউটেশন হবে কিন্তু অমুকের হবে না। কেন ওর ইমিউনিটির ওর ইমিউন সিস্টেমের বিরুদ্ধে রিএকশন করে অটোইমিউন ডিজিজ তৈরী করছে, অন্যজনের নয়? বিজ্ঞান কারন জানে না।
বিজ্ঞান কারন জানেনা এর মানে এই নয় বিজ্ঞান হাল ছেড়ে বসে আছে, বিজ্ঞান আজ থেকে ১০০ বছর আগেও জানত না শনির বলয় কেমন কিংবা মানুষের চোখের দেখার বাইরে আর কোন জগত আছে কিনা যেটা এখন আমরা ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোস্কোপে দেখতে পাই। বাট বিজ্ঞান তাই বলে তখন বলেনাই এটা গড বা সুপিরিয়র এন্টিটির কাজ। আজকে আমরা জানিনা বাট এটা নিয়ে কাজ চলছে এবং আমি আপনি দুজনেই জানি কাল হোক আর পরশু হোক এটা বের হবেই। তখন আমাদের আর অলৌকিক সত্তাকে নিয়ে চিন্তা ঐ আগের দিকের ঝড় বৃষ্টির জন্য দেবতার হুংকার থিউরির মত বাদ দিতে হবে।

অভূত উন্নতি হয়েছে জ্ঞান বিজ্ঞান ও চিকিৎসায়, কোনটায় কিন্তু স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে ফেলে না। করতে পারবেও না। একচুয়ালি জ্ঞান বিজ্ঞান এর এত অভূত উন্নতি কিন্তু আবার স্রষ্টার অস্তিত্ব কে স্বীকার ও করেনা। বরং যত জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি হচ্ছে ততই মানুষ অলৌকিকতা বা মিথ ভিত্তিক গল্প থেকে সরে আসছে। সো দিন যত যাবে জ্ঞান বিজ্ঞান আরো উন্নত হবে, আপনার আজকের একটা জিনের ক্ষেত্রে আমার মিউটেশান কেন আর আপনার কেন না এটাও জানা যাবে , আমরা জানতে পারব কেন একটা মেডিসিন এর জনের শরীরে কাজ করে আরেক জনের শরীরে করেনা।

বাট জ্ঞান বিজ্ঞান এর সাথে স্রষ্টার রিলেশান নেই। কারন জ্ঞান বিজ্ঞান কাজ করে লজিক দিয়ে যেটা চাক্ষুশ ও টেস্টেবল প্রুফ আছে, স্রষ্টা আছে বিশ্বাসীর মনে অলৌকিকতায় যেটার কোন প্রুফ নেই। সো, কেয়ামত মানে এই মানব সভ্যতার এক্সটিংশান এর আগের মুহুর্তেও জ্ঞান বিজ্ঞানের চূড়ান্ত উন্নতিতেই স্রস্টাকে খুজে পাওয়া যাবেনা বা প্রমান পাওয়া যাবেনা।


আপনার চীনের অভিজ্ঞতা নিয়ে জানান। ওদের খাবারের মধ্যে ব্যালেন্স কেমন? ট্রেডিশনাল চায়নিজ মেডিসিন আসলে কি? চীনের অভিজ্ঞত মিশ্র। এত সুন্দর সিস্টেম দুনিয়ার কোথাও নেই। খালি সমস্যা একটা বলার স্বাধীনতা নেই যেটা আমার পছন্দ নয়। আবার রাস্তা ঘাট টয়লেট থেকে শুরু করে পুরা চীন একদম ফকফকা। প্রচুর ট্যাক্স দেই, সেটা সুদে আসলে তুলে নেই :)

ওদের খাবার ভয়াবহ হেলদি। শাক সবজি সবুজ ঘাস পাতা খেতে খেতে পাগল হয়ে যাচ্ছি, প্রচুর ভাত আর নুডুলস খায়। ফাস্টফুড আছে ইয়াং জেনারেশানের জনপ্রিয়।

প্রচুর এক্সারসাইজ করে, ছেলে বুড়ো, মেয়ে বুড়ি। ৭০ থেকে ৮০ বছরের বুড়ো বুড়ি ডেইলি সকালে ২ ঘণ্টা পাহাড় বায়, যেটা আমি ৮ ঘণ্টায় ও পারিনা। তাদের ফিটনেস অবাক করার মত। এত হেলদি লাইফ তাদের!!! পুরাটাই ডায়েটের কারনে।

ট্রেডিশনাল মেডিসিন একটা হোয়াক্স। আসলে আয়ুর্বেদ এর শাখাটা খালি ভারতে না বরং পুরো এশিয়া জুড়েই বিস্তার লাভ করেছিল , এখাঙ্কার হার্বাল ভিত্তিক মেডিসিনাল সিস্টেম টা দুনিয়ার সবচে প্রাচীন চিকিৎসা সিস্টেম। বাট উন্নতির সাথে সাথে আর মানুষের সেসব হার্বাল এর এগেইনেস্টে বিবর্তনের সাথে সাথে সেগুলার প্রচলন ও কমে গেছে। এখনো টিকে আছে গ্রামের দিকে গরীব ও অজ্ঞ দের মাঝে, বাট উন্নত সিটিতে মানুষ আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান ভিত্তিক চিকিৎসা নেয়।

বিঃদ্রঃ প্রচুর জিংসেং খায় এরা, এটা নাকি চির যৌবন বাড়ায়, আমি খাইলাম বেশ কবার। সাদা আলুর মত টেস্ট।

বিঃদ্রঃ ২- একবার চীনের কোন এক শহরে বেশ কিছুদিন থাকলে প্যারিস, নিউ ইয়র্ক , সিংগাপুর, লন্ডন, আমস্টারডাম কে মিরপুরের বস্তি মনে হবে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৪

সাজিদ! বলেছেন: চীনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনার বিশদ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার চমৎকার পোস্টটাকে ধর্মের দিকে টেনে নেয়ার কোন কারণ আমি দেখি না। কিন্তু তাই হয়েছে দেখা যাচ্ছে। ধর্মহীন মানুষও কিছু নিয়ম মানলে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। কাজেই ধর্ম বা অধর্ম এটা ব্যাপার না। আমরা কতটা স্বাস্থ্য সচেতন এটাই মূল বিষয়। ধার্মিক নাকি ধর্মহীন এটা বিষয় না।

তবে ধর্ম মানুষকে মানসিক প্রশান্তি দেয়। মানসিক প্রশান্তির সাথে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক আছে। উৎকণ্ঠা থেকে অনেক রোগ হয়। অনেকে এটা কমাতে ধ্যান করে। আবার অনেকে ধর্মের দিকে ঝোঁকে। কিছু ফল উভয়েই পায়। আবার ধর্মে পরিমিত আহারের কথা বলা আছে। পরিমিত আহার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আমাদের ধর্মে বলা আছে পেটের ৩ ভাগের ১ ভাগ পরিমান খেতে হবে, ১ ভাগ পানি দিয়ে পূরণ করতে হবে আর ১ ভাগ খালি রাখতে হবে। কিন্তু কয়জন এটা মানে। আবার বলা আছে একটু খিদে থাকতে খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এতে হজম ভালো হবে, অতি আহার হবে না। ফলে এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ধর্মে বলা আছে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে আর সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে যেতে। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সিগারেট, এলকোহল খাওয়া নিষেধ। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। নামাজ ৫ ওয়াক্ত পড়লে শরীরের কিছু ব্যায়াম হয়। কাজেই ধর্মের বিধানে কিছু বিষয় আছে যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে অনেক বিষয় মেনে চলতে হয়। কিন্তু দেখা যায় আমরা কিছু মানি কিছু মানি না। ফলে সুস্বাস্থ্য থেকে বঞ্চিত হই।

আসলে আয়ু না বরং সুস্থ ও সবলভাবে বেচে থাকা। কিছু ব্যাপার আছে জিনেটিকাল। কিছু আছে যেগুলি মানুষ চাইলে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই সব বিষয়গুলির সমন্বয়ের উপর নির্ভর করে সুস্থভাবে বেচে থাকা।

২১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৭

গরল বলেছেন: একটা বড় কারণ তো আপনি মোটামুটি এড়িয়ে গিয়েছেন, আয়ুর ক্ষেত্রে কি জীনের কোনই হস্তক্ষেপ নাই? কবে থেকে শরীরের রিপ্রডাকশন আস্তে আস্তে কমিয়ে দিবে সেটা কে নির্ধারণ করে। রিপ্রডাকশন কমিয়ে না দিলে মানুষ কি কোনদিন মারা যেত? হয়ত যেত ক্যানসার এ। আর মৃত্যু আসলে কি, আমার লজিক আমি অনেক আগেই একটা পোষ্টে লিখেছিলাম। ইচ্ছা হলে পড়ে দেখতে পারেন।

জন্মিলে কি মরিতেই হবে আর না মরিলে কি হবে

২২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:


অথচ পাল্লা দিয়ে আমরা প্রসেসড ফুড, ফাস্ট ফুডের দিকে ঝুঁকে পড়েছি, এছাড়া আমাদের দেশে কঠোর নিয়ম আইনের প্রয়োগ না থাকায় খাদ্যে ভেজাল তো আছেই।
ঠিক এইটাই। যদিও আমাদের দেশে গড় আয়ূ এখন বেড়েছে তবে........

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৮

সাজিদ! বলেছেন: প্রসেসড ফুড ফাস্টফুডের উপকরণ ও হোটেলগুলোতে খাবারের মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এইটা কেমন সলিউশন হয়? আর ভেজালের শাস্তি দশ বছরের বেশী কারাদণ্ড?

২৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখা। সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের সাথে আমি একমত। আমার যেহেতু ডায়াবেটিস তাই ব্যয়াম করতে হয় পরিমাণ করে খেতে হয় দেখি কতদিন বাঁচি।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২০

সাজিদ! বলেছেন: আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। তাকে এই রোগের প্রতি চিকিৎসকদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে জিজ্ঞেস করুন। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করুন যেন এই রোগের কম্পলিকেশনগুলো না হয়। শুভকামনা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৪

সাজিদ! বলেছেন: সবার সববয়সী মানুষেরই পরিমান করে খাওয়া উচিত। ফিজিক্যাল একটিভিটি করা উচিত। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

২৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩২

কলাবাগান১ বলেছেন: "ভাবুন তো, দুইজন ব্যক্তি, একই পরিবেশে বড় হল - একইভাবে জীবনযাপন করলো- একজনের রোগ হলো আরেকজনের হলো না। কেন? ওর হয় কিন্তু আমার হয় না কেন কিংবা আমার হয় কিন্তু ওর হয় না কেন? এমন প্রশ্ন আসে।"

একজন মেডিক্যাল ডাক্তার থেকে এই প্রশ্ন আসবে ভাবতেও পারি না....
জেনেটিক ডাইভারসিটি কিভাবে হয়, কেন হয় তার আদ্যপ্রান্ত বিজ্ঞান জানে....একটা শিশু যখন 'তৈরী' হয় 'লটারীর' মতই ঠিক করা হয়ে যায় সে কোন কম্বিনেশন এ ২৩ জোড়া ক্রমোজম লাভ করবে... এখানে কোন অলৌকিক কারন নাই...আপনার ২৩ জোড়া ক্রমোজম থেকে যখন স্পার্ম তৈরী হবে, তখন ২^২৩= ৮,৩৮৮,৬০৮ রকম ইউনিক কম্বিনেশনে স্পার্ম তৈরী হবে আর তার মাঝ থেকে একটা স্পার্মই নিষিক্ত করবে ovum কে। তাই এত ভ্যারিয়েশন দেখা যায়। তার উপর আছে meiosis crossing over, সেটাও অনেক ডিফারেন্ট কম্বিনেশন এ স্পার্ম অথবা এগ তৈরী করে। আপনার হয়ত ১৫ নাম্বার ক্রমোজম জোড়ার একটা এসেছে আপনার নানার আরেকটা এসেছে আপনার দাদীর ক্রমোজম। ২৩ জোড়াই নানান কম্বিনেশনে বাচ্চার মাঝে আসে, তাই হয়ত দুই বোন, একজনে হয়ত হোমোযাইগাস ফর এ মিউটেশন- তাই সে রোগে আক্রান্ত, অন্য বোন হয়ত হেটেরোযাইগাস সেই মিউটেশনে, তাই সেই বোন রোগে আক্রান্ত নয়।
তবে এই 'লটারী' পদ্ধতি তে শিশু তৈরী হয়ত পরের প্রজন্মের কাছে অচল হয়ে যাবে....। CRISPR technology দিয়ে designer baby তৈরী এখন বিজ্ঞানীদের হাতের মুঠোয়....জাস্ট এথিক্স এর জন্য এর ওয়াইড স্প্রেড প্রচলন হচ্ছে না
শেষ করি একটা কোট দিয়ে: পরের প্রজন্ম হয়ত বলবে
" 50 years ago people used to make babies by CHANCE, but we make babies by CHOICE"

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১৭

সাজিদ! বলেছেন: আপনি অনেক ডিজিজের প্যাথোফিজিওলজি জানেন না, তাই এমনটা বলতে পারছেন। আমিও কিছুটা জানি ল্যাবে কি কি কাজ হচ্ছে। আপনি শুধু আমি ডাক্তার হয়েও...... এই জায়গায় পড়ে আছেন, আমি ডাক্তার হয়েও কি আর কি না সেটা নাহয় আলোচনা না হোক। কনজেনিটাল ডিফেক্ট ছাড়া অন্য কোন স্ট্রেস / পরিবেশ/ জীবনযাপন/ খাদ্য / আচরন অভ্যাস কি মিউটেশন করতে পারে না? ডিসাইনার বেবি বড় হয়ে যে কোন জেনেটিক মিউটেশনের মধ্য দিয়ে যাবে না, সেটার নিশ্চয়তা কি? আবার সে যে দীর্ঘ জীবন লাভ করবে সেটার নিশ্চয়তা কি? সামগ্রিকভাবে চিন্তা করুন। আপনার কাছ থেকে অন্তত প্রতিউত্তর আশা করি নাই।

আমি যে বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়েছি, সেটাতে ধর্মকে যদি আপনার বাদ দিতে ইচ্ছা হয়, আপনার স্বাধীনতা আছে বাদ দেওয়ার। এরপর টেক হোম মেসেজটা নিয়ে যান, পরিচিত জনদের মাঝে নিজের মতো করে খাবার- ফিজিক্যাল একটিভিটি এসবের কথাগুলো বলুন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৬

সাজিদ! বলেছেন: আচ্ছা একটু টেকনিক্যাল ভাবে আন্সার দেই। ধরেন, লিভার সিরোসিস নিয়ে আমরা কথা বলছি। এর কারন তো অনেক। একটু র‍্যাংকিং করি তো -
১) এলকোহল ( উন্নত দেশে)
২) নন এলকোহলিক সিরোসিস ( ইনসুলিন রেসিস্টেন্স, অতিরিক্ত বিএম আই, ডায়াবেটিস টাইপ ২)
৩) ভাইরাল হেপাটাইসিস
৪) অটোইমিউন হেপাটাইটিস
৫) বিলিয়ারি ডিজিজ
৬) জেনেটিক ( আলফা ১ এন্টি ট্রিপসিন ডেফিসিয়েন্সি)
৭) মেটাবলিক ডিজিজ
৮) ফেনটন রিএকটশন করে এমন জিনিসের ডিপোজিসন
৯) কিছু কারন আছে অজানা।

এগুলো কমন।

এর মধ্যে আপনি ধরেন জেনেটিক ফ্যাকটরটা মডিফাই করলেন। অনেক যদি কিন্তুর পর, বাকিগুলো?

কলাভাই আপনি নিশ্চয়ই আমার চেয়ে অনেক অভিজ্ঞ, জ্ঞানী। বিনয়ের সাথে বলতে চাই, এই যে সাত- আটটা কারন দেখালাম, এর মধ্যে একটা মডিফাই করে সিরোসিস প্রিভেন্ট করা যেতে পারে (!) এর মাঝেও অনেক যদি কিন্তু কিন্তু আছে। ছোট একটা উদাহরণ দিলাম।

২৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার আলোচনা-পর্যালোচনা দেখে মনে হচ্ছে এটা একটা ব্লগ; এখান থেকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক কিছুই জানতে পারছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো এখানে কারো দালালী নেই। নেই কোন দালাল আছে শুধু বিদ্যানরা।

২৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

কলাবাগান১ বলেছেন: ব্লগে ইন্টারাকশান করা টা আরেকটু সহজ হওয়া দরকার...লিন্কডইন এ যে কথা নিয়ে মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য হচ্ছে সেগুলি সব সময় একটা চেইন এর মত থাকে..
এখানে আপনাকে নতুন করে মন্তব্য করতে হয় তখন এটা আগের মন্তব্য এর প্রতিমন্তব্য সেটা বুঝানো একটু কঠিন হয়ে পড়ে..। ব্লগ কৃতপক্ষ এই বিষয় টাকে মডিফাই করবে বলেই বিশ্বাস

আপনার পুরো লিখার সারাংশ ছিল আপনার শেষ বাক্যগুলি যেখানে আপনি লিখেছেন সৃস্টা তার ইবাদত করার জন্যই মানুষের আয়ু বাড়িয়ে দি্তে পারেন....আমার 'আপত্তি' টা ছিল সেই কনক্লুশনে... আর কিছুই নয়..

জাপানে আমি ছিলাম দীর্ঘসময়। ৯৯% লোক জন ধর্ম বলে কিছু আছে বলে মানে না যা আছে সেটা রিচুয়াল...।তারপর ও তারা পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে বেশী বাচে আর আরব দেশীয় লোকজন সবচেয়ে বেশী ধার্মিক কিন্তু তারা কেন জাপানীজ দের মত বেশী বাচে না!!!

আপনি লিভার সিরোসিস নিয়ে কি বলতে চেয়েছেন তা আমার মত স্বল্প বুদ্ধির মাথায় ঢুকে নাই...আমি জানি যে আপনি একজন প্রচুর মেধাবী/জ্ঞানী ডাক্তার। আরেকটু বুঝায়ে বললে উত্তর দিতে পারতাম।
তবে এটা বলে যায় আপনি যে ৭-৮ টা কারন দেখিয়েছেন, তার each and everyone এর underlying regulatory mechanism is determined his/her genetic makeup.
Even a single DNA base difference in a regulatory gene sequence (out of 3 billion bases) between two persons (allelic difference) can make one susceptible to metabolic diseases while another person not having any metabolic disease.

২৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪১

সাসুম বলেছেন: ব্লগার কলাবাগান- ১ এর মন্তব্য টাই আমার একমাত্র বক্তব্য ছিলঃ আপনার পোস্টের সারাংশ টানা যেটা, সৃস্টা তার ইবাদত করার জন্যই মানুষের আয়ু বাড়িয়ে দি্তে পারেন....আমার 'আপত্তি' টা ছিল সেই কনক্লুশনে... আর কিছুই নয়.

জাপানি দের বেশি দিন বাচার পেছনে বেশ কিছু লজিক আছে। আমার বেশ কয়েকজন কলিগ আছে বর্তমান চায়না অফিসে। তাদের কে দেখি- একই কাজ , একই রুটিন, একই ধরনের লাইফ স্টাইল , একই ধরনের ডায়েট বছরের পর বছর ধরেই করে যান উনারা। প্রচন্ড পরিশ্রমী , প্রচুর এক্সারসাইজ করে এরা এবং ইউজালি হেলদি ডায়েট ফলো করে। এবং জিনগত একটা ব্যাপার তো আছেই এই যে বংশ পরম্পরা বেশি দিন বাচার।

এবং , হ্যা- তারা কেউ ই ধর্ম মানে না, বা কখনো ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতেও দেখিনাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.