| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনি জানেন সকালটা আসলে কাকে পুরস্কৃত করে?
যে মানুষটি আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়, ঘুমের আরাম ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়, সেই মানুষকেই।
অনেকেই বলে — “উঠতে পারি না।”
কিন্তু সত্যি বলতে কি, আমরা যেটাকে প্রাধান্য দিই, সেটার জন্যই জেগে উঠতে পারি।
ফ্লাইট ধরতে হলে, চাকরির ইন্টারভিউ থাকলে, কিংবা প্রিয় দলের ম্যাচ থাকলে — এলার্ম না দিয়েও উঠে যাই!
তাহলে ফজরের সময় কেন পারি না? কারণ এখনো আমাদের প্রাধান্যের তালিকায় আল্লাহ সবচেয়ে উপরে নেই।
চলুন দেখি, ফজর মিস করলে আসলে কী কী হারাচ্ছেন—
১. আপনি দিনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়টা হারাচ্ছেন।
ভোরের সময় মস্তিষ্ক সবচেয়ে পরিষ্কার থাকে, মন শান্ত থাকে। এ সময়ের উৎপাদনশীলতা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
২. বরকতের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন নিজেই।
ফজরের পরের সময়টাই হলো বরকতের সময়। যত কাজই করুন, যত টাকা রোজগারই হোক, বরকত না থাকলে প্রশান্তি পাবেন না।
৩. আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ার সুযোগ হারাচ্ছেন।
ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়া মানে আপনি ঘোষণা দিচ্ছেন— “আমি আপনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি, হে আল্লাহ।” এই অনুভূতি যতটা পবিত্র, ততটাই শক্তি জোগায় সারাদিনের জন্য।
এখন প্রশ্ন: কিভাবে উঠবেন?
প্রথমত, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ইশার নামাজের পর ফোন নামিয়ে রাখুন। রাত ১১টার পর জেগে থেকে ফজর মিস করার দায় নিজেকেই নিতে হয়।
দ্বিতীয়ত, এলার্মের অবস্থান বদলান। বিছানা থেকে দূরে রাখুন, যাতে উঠেই বন্ধ করতে হয়।
তৃতীয়ত, একজন সঙ্গী খুঁজে নিন। একে অপরকে কল দিন, মনে করিয়ে দিন। একা না, একসাথে লড়াই করুন। এতে অনুপ্রেরণা টিকে থাকে।
চতুর্থত, নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। প্রথম কয়েকদিন কষ্ট হবে, তারপর শরীর অভ্যস্ত হয়ে যাবে। ধৈর্য ধরুন।
পঞ্চমত, চোখের সামনে রিমাইন্ডার রাখুন। আয়নায়, ফোনের স্ক্রিনে লিখে রাখুন:
“ফজর মিস মানে দিন মিস।”
আজ রাতেই সিদ্ধান্ত নিন— কাল ফজরের সময় উঠবেন, ইনশাআল্লাহ।
একবার এই অভ্যাস তৈরি হলে আপনার দিন বদলে যাবে, জীবন বদলে যাবে, দুনিয়া ও আখিরাত দুটোই আলোকিত হবে।
ফজর শুধু নামাজ না—
ফজর মানে শৃঙ্খলা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, শান্তি আর সাফল্যের সূচনা।
নিজের সাথে এরাদাঃ--
এখন থেকে উঠবো প্রতিদিন ফজরে।
ইনশাআল্লাহ।
------RabAh ✍️
#RabAhsকাব্যকথা
#RabAhsmovment
----৩১১২০২৫ ইং
©somewhere in net ltd.