![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭৬ প্রেসিডেন্ট জিয়া এ দেশটার জনসংখ্যা বিস্ফোরন নিয়ে যেভাবে ভেবেছেন বাকি এতগুলো বছর ধরে সেভাবে আর ভাবা হয়নি.......এখনো ভাবছেনা কেউ........ ডুবন্ত টাইটানিকের দশা হচ্ছে........ ডিসক্লেইমার : এই ব্লগের কোন প্রকার লেখালেখিতে কেউ
ছবিঃ বাঙালী মুসলিম ফকির , ১৮৬০
এই ব্লগটা শুরু করবো হাল্কা মেজাজে।
এরপর লিখতে লিখতে দেখা যাক কতটুকু সমঝদারিত্তের যবনিকা টানতে পারি।
মূলত - বাঙ্গালীত্ব নিয়ে সম্প্রতি একাত্তর টেলিভিশনে মিতা হকের মন্তব্য এবং অদিতি ফাল্গুনীর রিফুয়েলিং অফ বার্নিং ফ্লেম এর উত্তাপেই লিখতে বসলাম।
কিন্তু আমি বলবো মিতা হক কিংবা অদিতি ফাল্গুনিরা দিশলাই জ্বালিয়েছেন মাত্র।
বিতর্কের গ্যাসটা প্রায় নিঃশব্দে এদেশী চ্যানেল গুলোই এতদিন ধরে নিঃসরন করে এসেছে।
এই গ্যাসে কেউ কলকাতার খাঁটি বাঙ্গালিয়ানার অ্যারোমা খুঁজে পান , আবার কারো নাকে এটা বেশ ঝাঝালো শোঁকে।
দেখাযাক এই বিতর্কের আগুনে এই ব্লগটা কিভাবে কাজ করে।
কার্বন ডাই অক্সাইড এক্সটিংগুইশার না গরম তেলে ঘি !
[১]
আপনি কি একাত্তর চ্যানেল কিংবা দেশ টিভি দেখেন ?
এই চ্যানেল গুলোর ভক্ত , এই চ্যানেলগুলোর প্রোগ্রাম উপভোগ করেন ?
যদি করেই থাকেন - তো দর্শক হিসাবে সে স্বাধীনতা আপনার আছে।
কিন্তু তার আগে আপনার নিজের ব্যাপারে একটা বিষয় যাচাই করে নিতে হবে।
সেটা কি ?
সেটা আপনার নাম।
আপনার নাম কি 'মোবারক' ?
মোবারক হোসেন , মোবারক আলী , মোবারক আহমেদ - কিংবা মোবারক খান / চৌধুরী / ভুইয়া / মিয়া / মুন্সি / মজুমদার / তালুকদার / গাজি / খোন্দকার ইত্যাদি ইত্যাদি ?
যদি সেটাই হয়ে থাকে তবে একাত্তর টিভি কিংবা দেশ টিভি'র মত চ্যানেলগুলো দেখার কোন নৈতিক অধিকার আপনি রাখেন না ।
আই রিপিট - ইউ আর ইন নো মোরাল পজিশন টু টিউন দিস চ্যানেলস।
কেন ?
কারন - এই চ্যানেলগুলো বাঙালীত্বের ছাকনি দিয়ে অবাঙালি শব্দকে ছেকে ফেলে তাদের নিউজে , টক শোতে , অন্য সব নিজস্ব স্টুডিও মেইড প্রোগ্রামে।
সেই ছাকনিতে আপনার নামের 'মোবারক' শব্দটিও ছাকা হয়ে গেছে।
সেই বাচ্চা বয়স থেকে ঈদগাহে গিয়ে নামাজ শেষে কোলাকুলি করার সময় কিংবা হালের সেলফোন কালচারে আমরা ঈদের দিন চেনা পরিচিত সব মানুষকে 'ঈদ মোবারক' জানাই।
কিন্তু এই চ্যানেল গুলো 'মোবারক' শব্দটি ছেটে ফেলে বলে 'ঈদ শুভেচ্ছা'.....
উপরের ঘটনাটাকে লজিক কিংবা হিউমার - যেই সেন্সেই নিন না কেন , বোথ ওয়ে ইট ওয়ার্কস
এই রকম একটা খোঁচা দেয়ার কারন যেটা শুরুতে বললাম।
চ্যানেলগুলোর নিঃসৃত বাঙালীত্বের গ্যাস।
এই গ্যাসটির সংশ্লেষণে উনারা তদ্ভব - তৎসম , আর্য - অনার্য , বিলেতি - গোলন্দাজি - ফরাসী সব রকমের শব্দের 'ঘুটা দিলেও' এখানে আরবী কিংবা ফার্সী শব্দ মিশাতে ব্যাপক প্রকারের নারাজ !
বুঝতে হবে - উনারা কিন্তু অসাম্প্রদায়িক !
সেকারনেই ' ইন্তেকাল ' অবাঙালী শব্দ , মহাপ্রয়ান বাঙালী শব্দ
নামাজ , সালাত - এগুলো অবাঙালী শব্দ , প্রার্থনা বাঙালী শব্দ
'ইন্নালিল্লাহ' অবাঙালী শব্দ , শোকাহত বাঙালী শব্দ....
বলতে গেলে আরো বলা যায়।
কথায় বলে গুরু মারা শিষ্য।
হাল আমলের এই সব মোজাম্মেল বাবু কিংবা আসাদুজ্জামান নুররা নিজেদের নামে 'মোজাম্মেল' , 'আসাদ', 'জামান', 'নুর' এর মত অবাঙালি শব্দ ধারন করে যেভাবে বাঙালিত্ত চর্চা করছেন নিজেদের চ্যানেলে তাতে বাঙালীত্বের উনবিংশ শতাব্দির গুরু বঙ্কিম চন্দ্র মশাই কবর থেকে জিন্দা লাশ হয়ে দাঁড়িয়ে যাবার উপক্রম !
কেন বলছি এ কথা ?
বলছি তাহলে কেন।
'ইশতেহার'
না না মশাইরা।
দাসত্ব রাজনৈতিক ব্লগিং বেশী করে বলে ভাববেন না নির্বাচনী ইশতেহারের কথা বলছি। যেই 'ইশতেহার' নিয়ে কথা বলছি সেটা 'রচনার শিল্পগুন' প্রসঙ্গে
হ্যা , বঙ্কিমচন্দ্র তার 'রচনার শিল্পগুন' প্রবন্ধে যেই 'ইশতেহার' নিয়ে কচলা কচলি করেছেন সেই 'ইশতেহার'....
এস এস সি'র বাংলা বইতে পড়েছিলেন।
মনে আছে নিশ্চয় ?
আজো মনে আছে - সেই 'রচনার শিল্পগুন' প্রবন্ধের রচনামুলক প্রশ্নগুলোর ভেতরে মোস্ট সাজেস্টেড প্রশ্ন ছিলোঃ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'রচনার শিল্পগুণ' প্রবন্ধে 'বিজ্ঞাপন' শব্দের পরিবর্তে 'ইশতিহার' ব্যবহার করতে বলেছেন কেন?
ভেবে দেখুন অবস্থা !
সেই ১৮৩৫ এ জন্মানো বাংলা পণ্ডিত বঙ্কিম চন্দ্র যিনি তার বেশ কয়েকটি উপন্যাসে মুসলমানদের কে 'ম্লেচ্ছ' সম্বোধন করেছেন , তিনি সংস্কৃত শব্দ 'বিজ্ঞাপন' এর পরিবর্তে আরবী শব্দ 'ইশতেহার' কে ব্যবহার করা অধিক সঠিক বলেছেন প্রয়োগিক ক্ষেত্র অনুয়ায়ী।
তারমানে সংকর ভাষা বাংলার ককটেলে আরবী- ফারসি শব্দগুলোকে বঙ্কিম শুধু গ্রহন-ই করেন নি , এগুলোর প্রেফারেন্স অফ অ্যাপ্লিকেশনের ওকালতিও করেছেন।
এবার বলুন - একবিংশ শতাব্দির বাঙালিত্তের শিষ্য মোজাম্মেল বাবু কিংবা আসাদুজ্জামান নুররা উনবিংশ শতাব্দীর বাঙালিত্তের গুরু বঙ্কিমকে মেরে বসেছেন কিনা ?
[২]
মিতা হক প্রসঙ্গে আসি........
মিতা হক কি বলেছিলেন সেটার আক্ষরিক অনুসন্ধানটাই বেশী চলছে।
কিন্তু অক্ষরগুলোর আকরিক বিশ্লেষণ করলে কি পাওয়া যায় তার অনুসন্ধান তেমন একটা চলছেনা।
মিতা হকের মন্তব্যে উনি বলেছেন - এই যে নিনজা টাইপ চোখ ছাড়া আর বাকি কিছু দেখা যায়না , কিংবা অতি হিজাবি , নেকাবি যাদেরকে উনি দেখেন তারা কেউ বাঙ্গালী না।
তারমানে এইভাবে হিজাব -নেকাব পড়ে, টুপি দাড়ি রেখে যারা চলে তারা মিতা হক সংজ্ঞায়িত 'বাঙালীত্বের' ফান্ডামেন্টাল কিছু একটা কন্টেইন করেনা।
কি সেটা ?
আমার ধারনা হিজাব নিয়ে , নেকাব নিয়ে মনে হয় না তার মূল ক্ষোভ।
তার যেখানে অস্বস্তি সেটা হল - এভাবে যারা হিজাব -নেকাব পড়ে , কিংবা টুপি -দাড়ি পড়ে - রাখে , এদের ভেতরের সাইকোলজিটা কি 'রবীন্দ্র' সাহিত্যের জন্য উপযুক্ত ?
একটা বীজ বপনের পর চারা গজিয়ে ঊঠতে হলে ভূমি মাটি হতে হয় উর্বর।
তবেই চারাটা বেড়ে ওঠে , নইলে শুরুতে মরে যায়।
মুলত মিতা হক তার দেশের মানুষের মনভূমির ফার্টিলাইজেশন নিয়েই বেশী চিন্তিত যাতে এই মন ভূমিতে রবীন্দ্র বীজ বপিত হতে পারে , চারা গজাতে পারে , গাছ বেড়ে উঠতে পারে।
এই অতি ধর্ম পালন এই মানুষগুলোর মনস্তত্ব রবীন্দ্র চর্চার জন্য নন - অ্যালুভিয়াল করে তোলে - এটাই তার আশংকা।
সেখানেই ঊনার আফসোস বলে আমার ধারনা।
তারমানে হল রবীন্দ্র প্রোফেসীর ফেলো না হলে সে বাঙালী না।
এখন প্রশ্নটা হলঃ
রবীন্দ্র ফ্যান হওয়াটা কি বাঙালীত্বের ফান্ডামেন্টাল ক্রাইটেরিয়ন ?
এখানেই বেশ কয়েকটা ডাইমেনশন আছে।
[ক]
যদি সেটাই হয় তো রবীন্দ্রনাথ তো ১৮- ১৯ শতকের ট্রান্সিশনাল কবি।
সেক্ষেত্রে টাইম লাইনের ১৭ , ১৬ , ১৫ , ১৪ শতাব্দীর খাঁটি বাঙালীত্বের ক্রাইটেরিয়ন কি হবে ?
উনি কি ভুলে গেছেন যে বাংলা ভাষাকে রয়াল প্রমোশন কারা দিয়েছে ?
ইলিয়াস শাহি।
উনাদের খাঁটি বাংলায় যারা অ্যারাবিয়ান ইম্পিওরিটি হিসাবে বিবেচিত।
'যে জন বঙ্গেত জন্মি হিংসে বংগ বানী , সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি...'
উনি কি ভুলে গেছেন বাংলা ভাষাকে ভালবেসে সেই প্রাচীন ১৬ শতকে কবিতাটি কে লিখেছিলেন ?
শাহ আব্দুল হাকিম - নামেই বোঝা যায় এ আরেক অ্যারাবিয়ান ইমপিওরিটি।
এটা নিয়ে কি বলবেন মিতা হক ?
ইনারা সবাই কি এ ধরায় খাঁটি বাঙালী হতে পেরেছিলেন যখন মিতা হকের মতে বাঙালীত্বের প্রোফেট রবীন্দ্রনাথ স্বর্গে ছিলো ?
[খ]
'জোহরা' কিংবা 'আব্দুল্লাহ' উপন্যাসগুলোর কথা মনে আছে ?
সেখানে ১৮ শতকের কিংবা ১৯ শতকের শুরুর দিকের বাঙালী মুসলিমদের জীবন কেমন ছিলো সেটা পোট্রেইড।
মিতা হকের ভাগ্য ভালো যে উনি এমন এক কালে জন্মেছেন যেই কালে অনেক মুসলমান বাঙালি রবীন্দ্রনাথের গান শোনে , গুনগুন করে গায় , লিরিকও মুখস্থ করে যাদের ভেতরে আমিও একজন।
কিন্তু সেই কালের মুসলমান বাঙালিরা যেমন সুপার রক্ষনশীল ছিলো পোশাকে আশাকে - জীবন ধারনে - তো তারা কি বাঙালী ছিলো না ?
মিতা হক নিশ্চয় কলিম শরাফীকে চেনেন।
কলিম শরাফী নিজেই তো বলে গেছেন যে উনি পীরের বংশের ছেলে।
তো মিতা হক তার কলিম কাকুর বংশকে কি বলবেন ?
অবাঙালি বংশ ?
মিতা হক 'রবীন্দ্র ফ্যান না হলে অবাঙালী'পনার যেই বাটখারা দিয়ে বাঙালীত্ব মাপছেন তাতে সেই অতি কন্সারভেটিভ ১৯৫০ এর আগে অ্যানোডোমেনী কিংবা বিফোর ক্রাইস্ট যুগে যত মুসলমান-ই এ বংগভূমিতে বসবাস করেছেন , তারা কেউই বাঙালী ছিলেন না।
কিন্তু আসলেই কি তাই ?
এমন কি এটাই মনে করে দেখুন না - ১৯৫২'র একুশে ফেব্রুয়ারির যে কয়জন শহিদ - সালাম / রফিক / শফিক / বরকত / জব্বার - সবগুলো নামই-তো অ্যারাবিয়ান ইম্পিওর নাম।
আজ যদি জানা যায় যে এদের ভেতরে কেউ রবীন্দ্রনাথের তেমন একটা ফ্যান ছিলেন না এবং একই সংগে প্র্যাক্টিসিং মুসলিম ছিলেন তাহলে কি তাকে মিতা হক কিংবা মোজাম্মেল বাবুদের কাছ থেকে বাঙালীত্বের সার্টিফিকেট নিতে হবে ?
[৩]
এবার আসছি মিতা হকের ভলান্টিয়ার অ্যাডভোকেট অদিতি ফাল্গুনির একটা মন্তব্য প্রসঙ্গে।
উনি শুধু এটাই বলেন নি যে হিজাব মরুভূমির পোশাক , এটাও বলেছেন যে বাঙালীর খাদ্যাভাসেও নাকি পরিবর্তন এনেছে এই বিজাতীয় মরুভুমির ধর্ম।
যেমন মাছ খেকো বাঙালী এখন নাকি গরু খেকো হয়ে গেছে।
তা বাঙালী মুসলমান কি ছাগল খেকো হয়নি ?
নাকি উনি যেই বাঙালী হিন্দুদের খাদ্যাভ্যাসে বাঙালী মুসলমানদের চেয়ে অধিক বাঙালীত্ব খুঁজে পান তারাও ছাগল খান বলে ছাগল খাওয়ায় বাঙালীত্ব নষ্ট হয় না ?
আর কিছু বলার নেই।
[৪]
তাহলে বিষয়টা কি বোঝা গেলো ?
যেটা বোঝা গেলো সেটা হল বাঙালীত্বের বেশকিছু স্ট্রিম লাইন আছে।
তার ভেতরে দুটো স্ট্রিম লাইন প্রধান।
বাঙালী হিন্দুর স্ট্রিম লাইন , বাঙালী মুসলমানের স্ট্রিম লাইন।
কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে - বাঙালী হিন্দুর স্ট্রিম লাইনটাকেই এখানে বাঙালীত্বের অরিজিনাল স্ট্রিম লাইন গণ্য করা হয়।
কিভাবে ?
যেমন মহেশ আর গফুরের বিখ্যাত গল্পকার যাকে অপরাজেয় কথাশিল্পী বলা হয় , সেই শরত চন্দ্র তার শ্রীকান্ত উপন্যাসে এ রকম লিখেছেন -
'ইস্কুলের মাঠে বাঙালী আর মুসলমানদের ফুটবল ম্যাচ'.....
অনেকে এখানে সাম্প্রদায়িকতা খুঁজে পেলেও আমি সেভাবে দেখিনা।
সেই রকম সাম্প্রদায়িকতা থাকলে মহেশ গল্পটা তার পক্ষে লেখা সম্ভব হতোনা।
বরং সে সময়কার পারস্পেক্টিভে তার এই বাঙালী আর মুসলমান ডিফারেন্সিয়েশনটা বেশ স্বাভাবিক ছিলো।
কারন বাঙালীত্ব বলতে তারা গণ্য করতো বাঙালী হিন্দুত্ব।
বাঙালী হিন্দুর স্ট্রিম লাইনটাকেই তারা অরিজিনাল স্ট্রিম লাইন ভাবতো।
এবং এখনো সেখানেই আছে তাদের অবস্থান।
বাঙালী মুসলমানের স্ট্রিমলাইনে যতটুকু সল্যুবলিটি আছে , তার তুলনায় বাঙালী হিন্দুর স্ট্রিম লাইনের বলতে গেলে কোন সল্যুবলিটি-ই নাই।
যেমন ধরুন - ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ 'র ডাকনাম ছিলো সদানন্দ।
একই রকম নোমেনক্লেচার অসংখ্য বাঙালী মুসলমান পরিবার অনুসরন করে
খোদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাক নাম ছিলো কমল....
আসল নাম আশিকুর রহমান , ডাক নাম অমিত।
আসল নাম জিনাত রহমান , ডাক নাম স্নিগ্ধা।
কিংবা আসল নামই আদিত্য রহমান অথবা স্নিগ্ধা সুলতানা।
আপনি বাঙালী হিন্দুদের বেলায় এরকমটা পাবেন ?
আপনি শান্তি রায় নাম পাবেন।
কিন্তু সালাম রায় পাবেন না।
আপনি ঝর্না দাস নাম পাবেন।
কিন্তু ইয়াসমিন দাস পাবেন না।
কেন ?
সালাম হয়তো বাংলায় মিশে যাওয়া একটি আরবী শব্দ , কিন্তু কোন ধর্মীয় শব্দ তো না।
এর অর্থ শান্তি
ইয়াসমিন একটি বাংলায় মিশে যাওয়া ফারসী শব্দ অতিসম্ভবত , কিন্তু এটাও কোন ধর্মীয় শব্দ না।
এর অর্থ কল্পনাতীত সুন্দর
অথচ লাভলী দাস কিংবা রবার্ট ভদ্র ধরনের নাম আপনি তাদের মাঝে খুঁজে পাবেন যেখানে বিলেত থেকে আসা বাংলায় মিশে যাওয়া ইংরেজী শব্দ তারা ঠিকই গ্রহন করেছে।
এই সল্যুবলিটির ব্যাপারে আরো একটা বিষয় দেখুন।
দক্ষিনারঞ্জন মিত্রের ঠাকুর মার ঝুলি পড়েনি , কিনেনি এমন বাচ্চা ৮০'র দশকে জন্মায়নি।
কোটি বাঙালী মুসলমানের শিশুরা এই গল্পগুলোর ফ্যান্টাসী মাথায় নিয়ে রাতের পর রাত ঘুমিয়েছে যাদের ভেতরে আমিও একজন।
কিন্তু ৯০'র দশকের শুরুর দিকে বিটিভিতে জীন-পরীদের গল্প নিয়ে হীরা-মতি-পান্না নামের একটি নাটক হতো প্রতি শুক্রবার।
কয়টা বাঙালী হিন্দু পরিবারের বাচ্চারা সেটা দেখতো ?
যেই রবীন্দ্রনাথ ফ্যান হওয়া - না হওয়া নিয়েই আসলে মিতা হকের মন্তব্য আর তার সাবসিকোয়েন্ট কান্ড সেটাও আরেকটা বিষয়।
আপনি অনেক বাঙালী মুসলমান পরিবারকে দেখবেন যাদের ছেলে কিংবা মেয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী।
এবার আপনি খুঁজে দেখুন কয়টা বাঙালী হিন্দু পরিবারের ছেলে কিংবা মেয়ে নজরুল সংগীতের শিল্পী ?
এক কমল দাশকেই পাবেন বিখ্যাতদের ভেতরে।
কেন এত দৃষ্টিকটু তারতম্য ?
আপনি বলবেন - নজরুলের অনেক কিছুতে মুসলিম রিচুয়াল ইনগ্রেডিয়েন্ট পাওয়া যায়।
তাই বাঙালী হিন্দুরা নজরুল সঙ্গীত গায় না।
তো সেভাবে চিন্তা করলে রবীন্দ্রনাথের অনেক কিছুতে কি হিন্দু রিচুয়াল ইনগ্রেডিয়েন্টস পাওয়া যায় না ?
এভাবে মাইক্রোস্কোপিকালী খুঁজে দেখতে চাইলে এটাই দেখতে পাবেন যে বাঙালী মুসলমানরা তাদের জীবনে বাঙালী হিন্দুদের অনেক কিছুকে উদার ভাবে মিশিয়ে নিয়েছে , কিন্তু ভাইস ভার্সা হয়নি।
সুতরাং মিতা হকরাও যদি বাঙালী হিন্দুত্ব কে বাঙালিয়ানার আদি অকৃত্রিম স্রোতধারা ভেবে থাকেন , এবং বাঙালী মুসলমানিত্ব কে এই স্রোত ধারায় মিশে যাওয়া দূষিত অ্যারাবিয়ান - পারসিয়ান কিছু হিসাবে ভেবে থাকেন তাহলে বলবো - লেবু কচলালে আরো তেতো হবে।
সবার উচিত নিজের চরকায় তেল দেয়া।
কারন.....
যার যার বাঙালীত্ব তার তার কাছে..........
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১১
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
ননদালীনাজ বলেছেন: অসাধারন !
চালি্যে যান, সাথে আছি।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১২
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
আবাব বলেছেন:
লাগ ভেলকি। আইয়ুব / পাকিস্তানিরাও মোটামুটি তাই কইছিলো, এখনও তাই কয়। ক্রাইসিস তো আইডেনটিটি তেই লাইগা রইল।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৬
দাসত্ব বলেছেন: হুম , আইয়ুব খানের খাঁটি মুসলমানি করনের রিভার্স অ্যাকশন আর কি
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
শহুরে কাউয়া বলেছেন: আমার মনে হয় কে কি পড়বে বা সাজবে তা নির্ভর করে তার ইচ্ছা, পরিবেশ এবং সমাজের উপরে। যেমন আমরা রেডিসন নামক ব্যাপক উন্নত (!) হোটেলের ডিজেতে সল্প পোশাকের যাদের দেখি তারা এসি গাড়িতে কালো কাঁচ উঠিয়ে আসে এবং চলে যায়। তারা অন্য কোথাও নামে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসে মেয়েরা কামিজ, জিন্স, ফতুয়া, স্কার্ট, শার্ট, বোরখা, হিজাব সবই পরে। তবে শালীনতা বজায় রেখে। এখানে হটপ্যান্ট পরে কেউ আসে না। কিন্তু বাঙ্গালী নারী মানেই শাড়ী। মাথায় কাপড় আমিও দেইনা। কিন্তু আমার মা খালারা সবাই দেন। তারা মনে প্রানে ১০০ ভাগ বাঙ্গালী। আমি আমার বাঙ্গালী চেতনা মায়ের কাছ থেকেই পেয়েছি। তাই বলে উনি মাথায় কাপড় না দিয়ে বের হননা। আমি তার সাথেও জিন্স শার্ট পরে বের হই। ওনার আপত্তি নেই। তাতে ওনার বা আমার বাঙ্গালীত্ব একবিন্দু কমে গেছে আমার মনে হয়না। আমি শাড়ী দারুন পছন্দ করি। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে অফিস ও অন্যান্য কাজে সবসময় শাড়ী পরা হয়না। কিন্তু আমার যে কাজিনটি হিজাব করে সে বাঙ্গালী না এটা আমি মেনে নিতে পারছি না।
লেখা ভাল হয়েছে
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৯
দাসত্ব বলেছেন: হুম , সেটাই।
যার যার বাঙালীত্ব তার তার কাছে
৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
বাবুর এস এস সি পরীক্ষা বলেছেন: লেখা ভাল হয়েছে.
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৯
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে
একটা চমৎকার আর্গুমেন্ট উপহার দেওয়ায়...
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২০
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আশা করি ভালো আছেন।
৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
জেনারেল আলাদিন বলেছেন: ভাই , এরা প্রগতিশীল দাবি করে এভাবে রেসিয়াল জাত নিয়ে এত এলার্জি দেখায় কেন ?
আমার কোন জাতবোধ নাই , আমি মানুষ , বৈশ্বিক সীমাবদ্ধতায় বাংলাদেশী নাগরিক
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২১
দাসত্ব বলেছেন: এরাই আসলে বেশী রেসিস্ট।
কিন্তু সংখ্যায় কম বলে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে থাকে।
সে কারনেই এলার্জি বেশী থাকে
৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন।
একটা কথা মরু অঞ্চলের লোকেরা কিন্তু গরুনা তারা ছাগল বা দুম্বা খায়।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২২
দাসত্ব বলেছেন: আয় হায় , অদিতি ফাল্গুনি তো তাহলে এবার আরো ভালো মত ধরা খেলো !
ধন্যবাদ
৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: দাসত্ত্ব ভাই । রকস ।
এরা নিজেরাই আসলে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগা মানুষ । এরা আসলে না ঘর কা না ঘাট কা ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৩
দাসত্ব বলেছেন: সম্ভবত
১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
বাজেকাম বলেছেন: সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে
একটা চমৎকার আর্গুমেন্ট উপহার দেওয়ায়..
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন:
৭১ টিভি সংবাদ না বলে সংযোগ বলে কেন ? সংবাদ কি মুসলিম শব্দ ?
৭১ কিংবা দেশ টিভি শব্দের সুন্নতে খাৎনা নিয়া যে এতো গবেষনা করে তা এই পোষ্ট না পড়লে খেয়ালই করতাম না। তারা জাতির জনকের নামের "শেখ" শব্দটি নিয়া কি ভাবছেন জানা গেলে ভালো লাগতো, শেখ জ্বি বলতে তো আমরা আরবীয়দের বুঝি।
বাঙ্গালী মুসলিমদের মধ্যে ধর্ম বিদ্বেষ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় অনেক কম। তবে এটা তো ঠিক যে, এদেশে মুসলিম সংষ্কৃতি প্রবেশের আগে হিন্দু ধর্মীয় সংষ্কৃতি বা বাংঙ্গালী সংষ্কৃতি পূর্ণ মাত্রায় ছিল। এই বাঙ্গালী সংষ্কৃতিতে মুসলিম সংষ্কৃতি অনুপ্রবেশকারীই বটে। বর্তমান অবস্থা থেকে সেই আদি বাঙ্গালী সংষ্কৃতিতে ফেরা সম্ভব না। সংষ্কৃতি এমনি একটি পরিবর্তনশীল প্রবাহমান ধারা যার গতি সবসময়ই সামনের দিকে কখনই পেছনের দিকে যায় না।
এক্ষেত্রেও "যোগ্যতমের জয়" সূত্রটিই প্রযোজ্য। সামাজিক জীবনে প্রায়োগীক দিক বিবেচনা করেই কোন কিছু ফেলে দিয়ে নতুন কিছু গ্রহণ করা হয় যা প্রায়োগীক ক্ষেত্রে পরীক্ষীত।
মিতা হকরা ঘোরের মধ্যে আছে তাদের অসার বক্তব্য মূলত একটা শ্রেণীর প্রতি প্রতিহিংসা বশত:।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫১
দাসত্ব বলেছেন: [১]
বাঙ্গালী মুসলিমদের মধ্যে ধর্ম বিদ্বেষ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় অনেক কম
-------- এটা ঠিক আছে।
[২]
তবে এটা তো ঠিক যে, এদেশে মুসলিম সংষ্কৃতি প্রবেশের আগে হিন্দু ধর্মীয় সংষ্কৃতি বা বাংঙ্গালী সংষ্কৃতি পূর্ণ মাত্রায় ছিল।
------- রং এক্সপ্রেশন। মানলাম না।
এখানে বৌদ্ধরাও ছিলো। কিন্তু ওরা ছিলো 'মাইরের উপরে', এবং আপার কাস্ট সমাজ এবং দেশপতি ব্রাম্মন হিন্দুদের কারনে।
বাংলা ভাষা রাজ ভাষা ছিলোনা ইলিয়াস শাহির আগে।
সুতরাং , তখনো বেশ কয়েকটা স্ট্রিম লাইন ছিলো।
হিন্দু স্ট্রিম লাইনটা ডমিনেন্ট ছিলো এটা বললে ঠিক হতো।
[৩]
এই বাঙ্গালী সংষ্কৃতিতে মুসলিম সংষ্কৃতি অনুপ্রবেশকারীই বটে।
--------- একমত নই।
ডিম আগে না মুরগী আগে ?
সংস্কৃতি যে কন্টেইন করে সে আগে না সংস্কৃতি আগে ?
যে কন্টেইন করে সে আগে।
এখানকারন মানুষ এই সংস্কৃতিকে কন্টেইন করসে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে। গিলিয়ে খাওয়ানো হয়নি যে তাদের এখন বমি হচ্ছে। তারা এই বাংলা এলাকার আলো মাটি হাওয়ার সাথে এটার খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
বাংলায় যেটাকে বলে প্রাকৃতিকরন বা ন্যাচারালাইজেশন।
সুতরাং এটা এখন ন্যাচারালাইজড।
৮০০ - ৯০০ বছর আগে থেকেই ন্যাচারালাইজড।
ন্যাচারালাইজড মানেই অগ্র প্রবেশ কিংবা অনু প্রবেশের বাহাদুরির কিছু নাই।
এটা প্রবেশ করেছে এটার আদি অকৃত্রিম কন্টেইনার বা ধারক বাহক এখানকার খাঁটি বাঙ্গালিদের অনুমতিতে , স্বতঃস্ফুর্ততায়।
এটা একটা স্বতন্ত্র স্ট্রিম লাইন। কারো সাথে মিশ খায়নি।
বরং এই স্ট্রিম লাইনে যারা আছে তারাই অন্যদের অনেক কিছুকে নিজেদের ভেতরে মিশিয়ে নিয়েছে।
সুতরাং 'অনুপ্রবেশকারি' টাইপ শব্দ সম্পূর্ণ অগ্রহনযোগ্য।
[৪]
বর্তমান অবস্থা থেকে সেই আদি বাঙ্গালী সংষ্কৃতিতে ফেরা সম্ভব না।
------- [৩] এ যা বললাম সে কারনে 'আদি' শব্দটা কোন কিছুকে জ্ঞাপন করতে নারাজ।
আদি বাঙালীরা যে যেটাকে নিজেদের জন্য ন্যাচারালাইজ করেছে তার জন্য সেটাই আদি।
হিন্দু স্ট্রিম লাইনটাকে যেই আদি বাঙালিরা ন্যাচারালাইজ করেছে নিজেদের জন্য তাদের আদি বাঙালী সংস্কৃতি সেটাই।
মুসলমান স্ট্রিম লাইন্টাকে যেই আদি বাঙালীরা ন্যাচারালাইজ করেছে নিজেদের জন্য তাদের আদি বাঙালী সংস্কৃতি সেটাই।
[৪]
সংষ্কৃতি এমনি একটি পরিবর্তনশীল প্রবাহমান ধারা যার গতি সবসময়ই সামনের দিকে কখনই পেছনের দিকে যায় না
-------- এটা ঠিক।
এখন কার বাংলাদেশী বাঙালীরা নতুন যা কিছুকে নিজেদের জন্য ন্যাচারালাইজ করছে - ইমিডিয়েট রাইট আফটার ন্যাচারালাইজেশন এটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে যাচ্ছে - এই ব্যাপারে আপনার যত শুচিবায়ু কিংবা রক্ষনশীলতা থাকুক।
এগুলো কিছুই অনুপ্রবেশকারী না , কিংবা দুষন না।
কারন সিল্ক কিংবা জর্জেটের মত ফেব্রিক গুলোও বাইরের সংস্কৃতি থেকে এসেছে।
কিন্তু এখন যেকোন বাঙালী মহিলার জন্য এগুলো ন্যাচারাইজড।
১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০
সিনানথ্রোপাস বলেছেন: দারুন লিখেছেন,
পড়ে ভালো লাগলো।
এটা ঠিক মরুভূমির হিউমিডিটি ফ্যাক্টের জন্য লম্বা জোব্বার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু, মুসলিম নারীর পর্দা করার বিধান টাও কিন্তু কোরআনে স্পষ্ট। এখন যে কেউ এটা মানতে পারে আবার নাও পারে। যে মুসলিম নারী কোরআনের বিধি মোতাবেক দেনমোহর ঠিক করে বিয়ে করতে পারে, সম্পত্তির অংশীদারিত্ত ঠিক করতে পারে সে নারী চাইলে হিজাব তথা পর্দাও করতে পারে। এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বাধীনতার ব্যাপার, এর সাথে বাঙ্গালী জাতীয় পোশাক সংস্কৃতিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবেনা।
উদাহরণ সরূপ নারীর ব্লাউজের কথা বলতে পারি। জোড়াসাঁকোর ললনাদের ব্লাউজ সংস্কৃতি আমদানির বহু আগে থেকেই বাঙালি নারীদের বক্ষ বন্ধনি ছিলনা (এই ইতিহাস ১০০ বছরেরও কম), শাড়ীর আঁচল দিয়ে বুক ঢেকে রাখা হত, অথচ এখন ব্লাউজকে কখনওই অবাঙ্গালী পোশাক বলার কোন কারন নেই। তেমনি আমার আব্বার কাছে শুনেছি মুসলিম অমুসলিম সবাই একসময় ধূতি পরত, আমার আব্বাও পরেছে। কিন্তু এখন মুসলিম সমাজে সেটার প্রচলন নেই... এইরকম হাজারো উদাহরণ নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টি কোনে বিচার করার অবকাশ আছে
সিভিলাইজেশন ডেভলপের সাথে সাথে মানুষের পোশাক মনন সব কিছুই পরিবর্তিত হয়, এটাই নিয়ম, এটাই অভিযোজন। সেই জন্য ব্লাউজ কে আমরা মেনে নিচ্ছি, ধূতিকে মেনে নিচ্ছিনা, বর্তমান টাইট ফিটিং জিন্সকে আমরা মেনে নিচ্ছি, জিরাফের বাড়তি লম্বা গলাকে মেনে নিচ্ছি (ডারউইন), আমাদের পূর্ব পুরুষের লেজ খসে পড়া এপ বাদরদের মেনে নিচ্ছি তাহলে হিজাব মানতে দোষ কোথায়??
এই প্রশ্নটা মিতা হক বা ফাল্গুনী আন্টিকে করতে পারলে খুব ভালো লাগতো।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
দাসত্ব বলেছেন: এক্স্যাক্টলী , আমি আপনার আগের কমেন্টে একেবারে শেষ পয়েন্টে সিল্ক কিংবা জর্জেট ফেব্রিকের উদাহরন দিলাম মাত্র।
আপনি আরো ব্রড কমেন্ট করসেন একই বিষয় নিয়ে।
লুঙ্গিও এখানে আসছে আরাকান থেকে।
কিন্তু আদি বাঙালীরা , তাদের বংশধররা এটাকে ন্যাচারালাইজ করসে।
সুতরাং এটা বাঙালী সংস্কৃতির অংশ এখন।
ধন্যবাদ
১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
হাছুইন্যা বলেছেন: কলকাতাকে বাংলাদেশে ইমপোর্ট করার পর আমরা হয়তোবা ১০০% খাটি বাঙ্গালী হতে পারবো
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৪
দাসত্ব বলেছেন: হাহা , ভালো বলসেন
১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
অর্থহীণ বলেছেন: +++++++++++++
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৮
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
১৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
কাজিম কামাল বলেছেন: FYI:
'যে জন বঙ্গেত জন্মি হিংসে বংগ বানী , সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি...'
They have eradicated it from SSC syllabus recently?
Just guess why?
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৯
দাসত্ব বলেছেন: জানি , শিক্ষা সচিব কামাল নাসেরের কবিতা ঢুকানোর জন্য।
কত বড় 'শুয়োরের বাচ্চা'রা বিসিএসে অ্যাক্সেস পায় আমলা হিসাবে !
১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
আসফি আজাদ বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। +++
ওনারা আসলে এখনও 'ইস্কুলের মাঠে বাঙালী আর মুসলমানদের ফুটবল ম্যাচ'-এর যুগে রয়ে গেছেন।
ধন্যবাদ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
১৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
সাইফ সানি বলেছেন: বরাবরের মত দাসত্বের একটা এটম বোমা। একটা লজিকের জবাব ও আপনি পাবেন না ঐ চেতনা ব্যবসায়ী ও তাদের চেলাদের কাছে।
পোস্টে প্লাস।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
দাসত্ব বলেছেন: হুম , ভিজিটর লিস্টে দেখি , কমেন্টে দেখি না
১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সাইফুল আলী বলেছেন: আমাদের বরঞ্চ উল্টাটা করতে হবে।হিন্দুত্ববাদী শব্দগুলোকে ঝেটে বিদায় করে দিতে হবে আমাদের।না হলে ওদের সাথে আমরা পারবো না।ওরা সব হিন্দুত্ববাদী।আমাদের পুর্ব-পুরুষরা হিন্দু ধর্ম ছেড়ে দিয়ে মুসলিম হয়েছে এটা ওদের পছন্দ নয়।৪৭ এ ভারতকে ৩ খন্ডে ভাগ করাও ওদের পছন্দের না।কিন্তু আমরা আর কোণদিন হিন্দু হব না।অখন্ড ভারতেও ফেরত যাব না।আরও বেশী বেশী করে আরবি-ফারসি শব্দ ব্যাবহার করবো।দেখি ওরা কিভাবে আমাকে থামায়
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
দাসত্ব বলেছেন: এত বেশী রিঅ্যাক্টিভ হওয়ার ফলাফলও ভালো না।
মধ্যম অবস্থানে থাকেন।
যতটুকু নেয়ার ততটুকু নেন।
১৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
আমি ভূমিপুত্র বলেছেন: মিতা হক যখন বলে হিজাব করা মহিলা বাঙ্গালী না, আর টি শার্ট জিন্স পরা ফ্যাশন এতে সমস্যা নাই তখনই বুঝা যায় এর মূল খাউজ কোন জায়গায়
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
দাসত্ব বলেছেন: হ
২০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
নৈঋত বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন +++
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪১
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
২১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: শিরকী ও পৌত্তলিকতা আছে এমন কোন সংস্কৃতি আমি অনুসরণ করি না। যতই বাঙালীত্বের দোহাই দিক না কেন। একজন মুসলমান হওয়ার সাথে সাথে এগুলো সম্পূর্ণ রুপে হারাম হয়ে গেছে। কিছু আপত্তিকর পৌত্তলিক সংস্কৃতি বাদ দেওয়ার অর্থ এই না যে আমি বাঙালী হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম। আমি মুসলমান এবং বাংলাদেশী-বাঙালী।
চমৎকার বিশ্লেষণের জন্য অনেক ধন্যবাদ দাসত্ব ভাই।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
দাসত্ব বলেছেন: এত ধর্মীয় শব্দ ইউজ না করেই কথা বললে ভালো।
যার টা তার কাছে।
আপনি বাঙালি মুসলমানিত্ব ন্যাচারালাইজ করসেন - এটাই আপনার সংস্কৃতি।
যার যার বাঙ্গালিত্ব তার তার কাছে।
২২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
খারাপ ছাত্র কিন্তু মানুষ ভালো বলেছেন: এই বিষয়ে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন বিশ্লেষণ টা বোধহয় শুধু আপনি ই করলেন। মূল বিষয়টা পাশে পাশে রেখে এত সুন্দর করে ব্যাখ্যা করলেন।
এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কিন্তু যাদের বক্তব্যের ব্যাবচ্ছেদ এই লেখা, তাদের চোখে কি এটা পড়বে? আর পড়লেও তারা তাদের অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র এদিক-ওদিক হবেন বলে মনে হয় না। দুর্ভাগ্য আমাদের যে এরকম মুখোশ পড়া অসহিস্নু মানুষদের পাশে নিয়েই আমাদের বসবাস।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
দাসত্ব বলেছেন: দুর্ভাগ্য আমাদের যে এরকম মুখোশ পড়া অসহিস্নু মানুষদের পাশে নিয়েই আমাদের বসবাস
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ
২৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
িটউব লাইট বলেছেন: যেমন মেজাজ নিয়া লিখছেন টিক তেমন মেজাজ নিয়া পড়লাম। চরম হইছে।+++++
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫১
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
২৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: পহেলা বৈশাখে গিয়ে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা খাওয়াকে উনারা বাঙ্গালী অনুষঙ্গ হিসাবে বিবেচানা করে, সেই বাঙ্গালী অনুষঙ্গ কে বিবেচনায় ধরলে আমি মিতা হকের মত লোকদের চাইতে অনেক বেশি বাঙ্গালী। বাজি ধরে বলতে পারি। আমি তাদের মত অকেশনাল পান্তা ভাত খেকো না।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
দাসত্ব বলেছেন: পান্তা ইলিশ না আসলে , রবীন্দ্র প্রোফেসির ফেলো হওয়া - না হওয়া নিয়েই মিতা হকের আসল অসন্তুষ্টি।
তবে সেগুলোও ফ্যাক্টর
২৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৯
শামিল কায়সার বলেছেন: 'মুক্তিযুদ্ধোত্তর' বানানটি সঠিক নাকি ভূল, এটা চেক করতে গিয়ে আরেকটি শব্দের মুখোমুখি হলাম। শব্দটি 'স্বাধীনতাত্তোর'
প্রথম বানানটা সঠিক হলেও দ্বিতীয় বানানটি ভূল। এর শুদ্ধ বানান হবে "স্বাধীনতাউত্তর"
এই কাহিনী বলার কারণ হলো, বাংলাদেশে প্রো লিবারেশন প্রজন্মের মাঝে দুইটা ভাগ আছে। তাদের বড গ্রুপটি হলো "প্রো বাংলাদেশী" প্রজন্ম, যারা মনে করে, আমার পূর্বপুরুষ স্বাধীনতা এনেছেন আমার আজাদীর জন্য। পাকিস্তানের গোলামীর জিঞ্জির থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে থাকবার জন্য, যারা দেশের সার্বিক স্বার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে।
আরেক গ্রুপ হলো, যারা ভাবে যে, এই ভূখন্ড মুক্ত হয়েছে দ্বিজাতিতত্বের গোলামী থেকে, এবং সেটা অখন্ড ভারতবর্ষের ফিলোসফির দ্বারা। অতঃপর আমরা মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হবার পর অখন্ড ভারতবর্ষের/অখন্ড বাংলার ফিলোসফিতে ফিরে গেছি, তাতে আমাদের বর্ডার আলাদা থাকুক আর নাই থাকুক।
এরা মূলত প্রতীচী তথা পশ্চিমীয়/ক্যালকেশিয়ান/শান্তিনিকেতনী/পশ্চিমবঙ্গীয় লেজুডবৃত্তিকারী হিঁদুদের (হিন্দু হবেনা,কারন নিম্নবর্ণের হিন্দুদের হিঁদু বলা হয়) জন্ম দেয়া পরবর্তী বংশধর।
খেয়াল করে থাকবেন, আমাদের মত কিছু তরুনকে বিভ্রান্ত করে শাহবাগে নেবার পর পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের উল্লাস ছিলো লক্ষ করার মত। ৮ তারিখে শাহবাগের সমাবেশ থেকে ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধের দাবী উত্থাপনের পর থেকে প্রচুর ক্যালকেশিয়ান হিন্দুদের যেন হোলি উৎসব শুরু হয়ে গেছিলো। শাহবাগ আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা শারিরীক/মানসিকভাবে যোগ দিতে চলে এসেছিলো, গান লিখেছিলো, নাটক বানিয়েছিলো, ক্যালকেশিয়ান ও ইন্ডিয়ান পত্রিকাগুলাতে কলামের পর কলাম, ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা........
এদেশের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে ক্যালকেশিয়ান ও ইন্ডিয়ান হিন্দুদের এত উৎসাহিত হবার কারণ কি ছিলো?
কারণ, তারা জানে যে, ৭১ সালের যুদ্ধাপরাধ বিচারের দাবীতে সমবেত হওয়া মানুষগুলির লিগ্যাল দাবীর সাথে "অখন্ড ভারতবর্ষের তত্ব"কে কৌশলে যুদ্ধাপরাধ বিচারের দাবীর সাথে মিকচার বানিয়ে খাওয়ানোর জন্য আমাদের বীরয থেকে জন্ম নেয়া এদেশের আলো বাতাশে বেডে থাকা কিছু বরাহশাবক এখনো বিরাজ করছে, যারা অন্তর থেকে অখন্ড ভারতবর্ষের আদর্শ তাদের বুকে লালন করে, নিজের জীবনে এই আদর্শ বাস্তবায়ন করে, জাতীয় পরিমন্ডলে সেটা বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়, যাদের প্রমোট করে থাকে ক্যালকেশিয়ান হিন্দু ও এদেশে থাকা তাদের নিমকহালালেরা।
¤ এক্সাম্পলঃ মিতা হক, আদিতি ফাল্গুনি ও তার সমগোত্রীয়রা।
যাহোক, আমরা যারা প্রো বাংলাদেশী যোদ্ধাদের উত্তরসূরী, তাদের কাজ কি?
বাংলাদেশের আলো বাতাসে লালিত পালিত হওয়া এইসব শান্তিনিকেতনীয়/পশ্চিমবঙ্গীয় হিঁদুগুলিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে জাতীয়ভাবে এদের উপজাতিদের মত আলাদাভাবে মূল্যায়িত করা।
জাতীয়তা হিসেবে তারা বাংলাদেশী হিসেবেই পরিচয় পাবে ঠিকই, তবে "প্রতীচী হিঁদু/শান্তিনিকেতনী হিঁদু/ক্যালকেশিয়ান হিঁদু"র সাব সেকশন ক্যাটাগরিতে।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৩
দাসত্ব বলেছেন: আমেরিকানরা হেভি স্মার্ট। কী সুন্দর ব্ল্যাকদের অ্যাফ্রিক্যান আমেরিকান, ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ইন্ডিয়ান আমেরিকান, এইরকম কিছু কালেকটিভ নাউনকে প্রমোট করে তাদের আমেরিকান সোসাইটির সাথে ইন্টিগ্রেট করার উপায় যেমন করেছে তেমনি তাদের স্বকীয়তা বজায় রাখারও স্কোপ দিয়েছে। এখানে অ্যাডেড বোনাস হচ্ছে তারা এই গোষ্ঠীদের যেকোনও আইডেনটি ক্রাইসিস কিংবা সোলসার্চিং থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
যদি সম্ভব হয়, তাহলে অতিদ্রুত আমাদের এইরকম কিছু প্রচলন করা প্রয়োজন। যেমন শান্তিনিকেতনী/কলকাত্তাই বাংলাদেশী, আদিবাসী/উপজাতীয় বাংলাদেশী, ইত্যাদি থেকে শুরু করে শাহবাগী বাংলাদেশী, মগবাজারী বাংলাদেশী, এবং (নিয়্যার্লি) অল এনকম্প্যাসিং, ওয়ান-সাইজ-ফিটস্-অল "বাঙ্গালী বাংলাদেশী"।
ইটস্ ওয়র্থ এ ট্রাই।
------- এটা নায়েল রহমানের স্ট্যাটাস।পড়ে বেশ মজা পাইসিলাম।
২৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৪
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
মহেশ আর গফুরের বিখ্যাত গল্পকার যাকে অপরাজেয় কথাশিল্পী বলা হয় , সেই শরৎ চন্দ্র তার শ্রীকান্ত উপন্যাসে এ রকম লিখেছেন -
'ইস্কুলের মাঠে বাঙালী আর মুসলমানদের ফুটবল ম্যাচ'.....
বাঙ্গালিয়ানা কী জিনিষ তা' পরিষ্কার করে দেয় ঐ লাইন। পুরোটা না-হলেও অনেকটা।
তাই মিতা-অদিত্য কাদের প্রতিনিধিত্ব করে তা' বোধগম্য।
ধারালো ও অকাট্য লেখা।
অনেক ধন্যবাদ।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৩
দাসত্ব বলেছেন: নো , বাঙ্গালীয়ানা পরিস্কার করে দেয় না ঐ লাইন।
আদি বাঙালীরা যেটাকেই নিজের জন্য ন্যাচারালাইজ করেছে সেটাই বাঙ্গালিত্ব।
বাঙালী হিন্দুত্বও যেমন বাঙ্গালিত্ব , তেমনি বাঙালী মুসলমানিত্বও তেমনি বাঙ্গালীত্ব।
আপনাকে ভয়েস রেইজ করতে হবে।
আপনি এভাবে মাঠ ছেড়ে দেয়ায় 'ইস্কুলের মাঠে বাঙালী আর মুসলমানদের ফুটবল ম্যাচ' স্বীকৃতি পেয়ে যায়।
আপনি যদি মাঠ না ছাড়েন তাহলে তারা এক সময় পিছে হটবে এবং বলবে --
'বাঙালী হিন্দু এবং বাঙালী মুসলমানদের ফুটবল ম্যাচ'।
মাঠ ছাড়বেন না।
আপনি-ই সংস্কৃতির কন্টেইনার বা বাহক।
আপনি বাঙালী হয়ে যেটাকে নিজের জন্য ন্যাচারালাইজ করবেন সেটাই বাঙ্গালিত্ব।
শুধু তাদেরটাই না।
এভাবে পিছে হটে 'বাঙালী' - 'বাঙালীত্ব' এই শব্দ গুলার কপি রাইট তাদেরকে দিয়ে দিতেসেন এবং এটার প্রেসক্রাইবার অথোরিটিও তাদের কে বাই ডিফল্ট দিয়ে দিতেসেন।
ডোন্ট ডু ইট।
বরং বলেন , আমি বাঙালী , আমি আমার জন্য বাঙালী মুসলমানিত্বকে ন্যাচারালাইজ করসি , আমার পূর্ব -পুরুষরা করসে , ৮০০ - ৯০০ বছর ধরে করসে।
আমি বাঙালী যেটাকে কন্টেইন করি এটাই বাঙালীত্ব।
তুমি আরেক বাঙালী যেটাকে কন্টেইন করো সেটাকে তোমার কাছেই রাখো।
সেটা আমাকে প্রেস্ক্রাইব করার কোন রাইট তোমার নাই।
বি লাঊড অ্যান্ড স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড।
২৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৭
রাখালছেলে বলেছেন: হুম ...রবীন্দ্র বিদ্বেষী । বোরখার আড়ালে কি হয় তা ফার্মগেটেই গেলে বোঝা যায় । আপনার মেধায় আমি বিশ্মিত। কিন্তু তারপরও মানতে পারছি না আপনিও এইভাবে তালিবানি কথা বলবেন ।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৮
দাসত্ব বলেছেন: হাহাহা , মজা পাইলাম কমেন্টটা পড়ে
কমেন্টে আপনার মেধার প্রতিফলন দেখে আমিও যারপর নাই বিস্মিত হলাম !
২৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১০
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: nice post. Thanks. I have some comments on your article, but my bengali font is disabled at this moment.
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৫
দাসত্ব বলেছেন: অভ্র দিয়ে লিখেন। কিংবা সামুর ফোনেটিকে
২৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২০
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: দারুণ!
প্লাস সহ প্রিয়তে।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২০
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
৩০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
বাঁধ ভেঙে যাই....... বলেছেন: দারুন বিশ্লেষণ।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২১
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
৩১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১০
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ছায়ানটি গালিটা না দিলেও হইতো।
তবে অবশ্যই - যার যার বাঙ্গালিত্ব তার তার কাছে।
’ছায়ানটি’ শব্দটি আমি গালি হিসেবে ব্যবহার করিনি। আমি বুঝাতে চেয়েছি ’ছায়ানট’ কেন্দ্রিক সংস্কৃতিজীবী। শব্দটি ভিন্ন কোন অর্থ প্রকাশ করে থাকলে আমি সত্যি দুঃখিত।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৪
দাসত্ব বলেছেন: হুম
৩২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১২
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: খুবই সুন্দর বিশ্লেষন।
রবীন্দ্রনাথের কবিতা কিন্তু বাংলাদশে সবসময়ই সমাদৃত। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে রবীন্দ্র চেতনার নামে, বিজাতীয় হিন্দু সংস্কৃতি কুস্তি করে আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এমন কথা পুশ করা হচ্ছে যে রবীন্দ্র চেতনাই উন্নতির বাহক। যত্তসব।
আশংকার বিষয় হচ্ছে, এইসব চেতনা ব্যাবসায়ীরাই মিডিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এরাই কলকাতার বাবু সংস্কৃতিকে আমাদের নিজস্ব বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এইসব চেতনা ভন্ডদের মিডিয়া থেকে দূর করার উপায় কি???
অঃটঃ কোন রবীন্দ্র চেতনা ব্যাবসায়ীদের দেখা যাচ্ছে না এই পোস্টে। চুপ কেন তারা??
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৬
দাসত্ব বলেছেন: যেটা বোঝা গেলো সেটা হল বাঙালীত্বের বেশকিছু স্ট্রিম লাইন আছে।
তার ভেতরে দুটো স্ট্রিম লাইন প্রধান।
বাঙালী হিন্দুর স্ট্রিম লাইন , বাঙালী মুসলমানের স্ট্রিম লাইন।
কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে - বাঙালী হিন্দুর স্ট্রিম লাইনটাকেই এখানে বাঙালীত্বের অরিজিনাল স্ট্রিম লাইন গণ্য করা হয়।
বাঙালী মুসলমানের স্ট্রিমলাইনে যতটুকু সল্যুবলিটি আছে , তার তুলনায় বাঙালী হিন্দুর স্ট্রিম লাইনের বলতে গেলে কোন সল্যুবলিটি-ই নাই।
৩৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩১
সোহাগ সকাল বলেছেন: অসাধারণ! মিতা হক নামটাও যে বিদেশী!
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ। হুম - 'হক' শব্দটা অ্যারাবিয়ান ইমপিওরিটি
চারদিকে খালি ইম্পিওরিটি আর ইম্পিওরিটি।
খালি তেনারাই খাঁটি !
৩৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে - বাঙালী হিন্দুর স্ট্রিম লাইনটাকেই এখানে বাঙালীত্বের অরিজিনাল স্ট্রিম লাইন গণ্য করা হয়।
আপনার পুরো লেখার সারমর্ম কিন্তু এই লাইনটা থেকেই বুঝতে পারা যায়!
আপনি যেসব মুসলিম সাহিত্যিকদের কথা বললেন, আজকাল কিন্তু উনাদের নামই শোনা যায় না। "আবদুল্লাহ"র কথা বললেন, এটা যে একটা অসাধারন উপন্যাস সেটা না পড়লে বোঝা যাবে না। অথচ, এখন অনেকেই তার নামও হয়ত শুনেনি!!!
আর বাংলাদেশীদের মুসলিমদের মধ্যে আপনি কিছু হিন্দু কালচার সাদরে গ্রহন করার কথা বললেন। ঠিক তেমনি এখন কিন্তু অনেকেই হিন্দু কালচার বর্জন করছে। এবং এটা আরও পরিবর্তন হবে।
ওইসব উগ্র চেতনা ব্যাবসায়ীরা দেখছে যে বাংলাদশীদের মধ্য থেকে আদি হিন্দু চেতনা আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে, তাতেই তাদের গায়ে আগুন লেগে গেছে। এখন উগ্র ভাবে বলা হচ্ছে যে "রবীন্দ্র চেতনা হচ্ছে স্বাধীনতার চেতনা, রবীন্দ্র চেতনা বাঙ্গালীর অস্তিত্ব..................ব্লা ব্লা ব্লা।।
আর যাই হোক আম বাংলাদেশীদের মধ্যে শত কুস্তি করেও আদি রবীন্দ্র চেতনা ঢোকানো যাবেনা। বরং বেশী বাড়াবাড়ি করলে যেটুকু অবশিষ্ট আছে সেটাও আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
দাসত্ব বলেছেন: 'আব্দুল্লাহ' উপন্যাস নিয়েতো নাটক-ই হইসে ১৯৯০'র দশকে।
আপনি শহীদুল্লাহ কায়সারের 'সংশপ্তক' নাটকটার ক্তহাই চিন্তা করেন।
অয়োময়ের ছোট মির্জার কথা চিন্তা করেন।
এগুলো কি সেই আমলের বাঙালী মুসলমানদের কাহিনী ?
নাকি অবাঙালিদের কাহিনী ?
হিন্দু কালচার বর্জন আর হিন্দু আর্টিস্ট বর্জন - ২ টা বিষয় আলাদা।
ধর্মীয় রিচুয়াল ইনগ্রেডিয়েন্ট কিছু থাকলে সেটা অন্য ধর্মের কারো পক্ষেই সেটা নেয়া সম্ভব হয়না।
হিন্দুরা নজরুলের মুসলমান কিছু নেবেনা , মুসলমানরাও রবীন্দ্রনাথের হিন্দু কিছু নেবেনা।
আদার দ্যান দ্যাট - আমার অনেক প্রিয় গ্রান , গায়ক - গায়িকা , নায়ক - নায়িকা সবাই হিন্দু।
৩৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১২
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: সেক্যুলারিজম একধরণের কাস্টোমাইজড হিপক্রেসী যার শিকার ইসলাম ধর্ম ও সংস্কৃতি। সেক্যুলারিজমের ইজারাদাররা ইসলামবিরোধী আন্তর্জাতিক চক্রের একটা মুখোশধারী অংশ
আয়াসসাধ্য এই পোস্টের জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২০
দাসত্ব বলেছেন: সেক্যুলারিজম একধরণের কাস্টোমাইজড হিপক্রেসী ---- আই ডু অ্যাগ্রি
৩৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২২
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: দাসত্ব ভাই, বাংলাদেশ বিষয়ে আমার কনসেপ্ট ক্লীয়ার। কোন প্রকার ভণিতার মধ্যে নাই। যা বলি সোজা সাপ্টা।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
দাসত্ব বলেছেন: হাহা , ভাই রাগ করসেন নাকি ?
আসলে যেভাবে চিন্তা করসেন সেভাবে অনেক কিছুই লজিকালী সলভ করতে পারবেন না।
ভিন্ন পয়েন্ট অব ভিউ থেকে পারবেন।
এইটা আল্টিমেটলী ধর্ম জড়িত একটা বিষয় হলেও , ধর্ম যুদ্ধ না।
স্পিরিটটা মডারেট রাখার কথা বলসি জাস্ট।
৩৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:১৬
রামন বলেছেন:
যার যার বাঙালীত্ব তার তার কাছে..........
বাহ তাহলে এই হল গিয়ে বিশাল এবং পরিশ্রমী গদ্য রচনটির উপসংহার!! এখানে দেখছি সমাধান দেয়ার বিপরীতে সমস্যা জিয়িয়ে রাখা হয়েছে।
ভাই , একজন মুসলমান দাড়ি টুপি রাখবে, হিজাব-বোরখা পরবে অথচ নামাজ পরবে না , যাকাত দিবে না , মিথ্যাকথা বলবে। তাহলে আপনি/ আপনারাই বলবেন সে সাচ্চা মুসলিম হওয়ার যোগ্যতা রাখে না কারণ মুসলিম আচার আচরণের বিরুদ্ধকারী সে। আবার কোন বিধর্মী আপনার ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের তুলনা দিতে গেলে বলবেন" যার যার ধর্ম তার কাছে।".
এমন তো নয় বাঙালির জাতির সেদিন উদয় হল। বাঙালি জাতির দীর্ঘ ইতিহাস আছে , নিজস্ব স্বকীয়তা আছে, আছে নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি। যদি কেউ এই সত্বা সংস্কৃতির বাহিরে এসে তার চলনে বলনে বাঙালিপনার ছাপ না রাখে তাকে তো আর খাঁটি বাঙালি বলা যাবে না। যারা এই বিষয় নিয়ে তর্কের অবতরণা করেছেন তারা এই জিনিষগুলোর তারতম্য দেখেই করেছেন।
একটা কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় বাঙালিরা নকল করার ক্ষেত্রে পটু। বিশ্বের অন্যান্য জাতিরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ছেড়ে অন্যের সংস্কৃতি ধারণ করতে যতটুকু আগ্রহী আমরা বাঙালিরা তারচেয়ে দু ধাপ এগিয়ে আছি।অবশ্য অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা এই দুর্দশার মূল কারণ। ধন্যবাদ।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
দাসত্ব বলেছেন: আদি বাঙালীরা যেটাকেই নিজের জন্য ন্যাচারালাইজ করেছে সেটাই বাঙ্গালিত্ব।
বাঙালী হিন্দুত্বও যেমন বাঙ্গালিত্ব , তেমনি বাঙালী মুসলমানিত্বও তেমনি বাঙ্গালীত্ব।
আপনাকে ভয়েস রেইজ করতে হবে।
আপনি এভাবে মাঠ ছেড়ে দেয়ায় 'ইস্কুলের মাঠে বাঙালী আর মুসলমানদের ফুটবল ম্যাচ' স্বীকৃতি পেয়ে যায়।
আপনি যদি মাঠ না ছাড়েন তাহলে তারা এক সময় পিছে হটবে এবং বলবে --
'বাঙালী হিন্দু এবং বাঙালী মুসলমানদের ফুটবল ম্যাচ'।
মাঠ ছাড়বেন না।
আপনি-ই সংস্কৃতির কন্টেইনার বা বাহক।
আপনি বাঙালী হয়ে যেটাকে নিজের জন্য ন্যাচারালাইজ করবেন সেটাই বাঙ্গালিত্ব।
শুধু তাদেরটাই না।
এভাবে পিছে হটে 'বাঙালী' - 'বাঙালীত্ব' এই শব্দ গুলার কপি রাইট তাদেরকে দিয়ে দিতেসেন এবং এটার প্রেসক্রাইবার অথোরিটিও তাদের কে বাই ডিফল্ট দিয়ে দিতেসেন।
ডোন্ট ডু ইট।
বরং বলেন , আমি বাঙালী , আমি আমার জন্য বাঙালী মুসলমানিত্বকে ন্যাচারালাইজ করসি , আমার পূর্ব -পুরুষরা করসে , ৮০০ - ৯০০ বছর ধরে করসে।
আমি বাঙালী যেটাকে কন্টেইন করি এটাই বাঙালীত্ব।
তুমি আরেক বাঙালী যেটাকে কন্টেইন করো সেটাকে তোমার কাছেই রাখো।
সেটা আমাকে প্রেস্ক্রাইব করার কোন রাইট তোমার নাই।
---- উপরে যা বললাম সেটা আমার অবস্থান।
এবার আপনার সল্যুশন বলেন।
দেখি পানি কোথায় গড়ায়।
৩৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪
হাছন রাধা করিম বলেছেন: ভাই সামি এখন পর্যন্ত আপনি যে কয়টা লেখা সামুতে পাবলিশ করেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে অসাধারন হলো এই লেখা।
আমরা বাঙালী মুসলমানিত্ব ন্যাচারালাইজ করেছি। ইয়েস ইনডিড।
বাংলাদেশের মানুষ কখনই বাঙালী সংস্কৃতির নামে ব্রাহ্মণ্যবাদি আচার-আচরণ, রীতি-নীতি মেনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতে ও মেনে নেবেনা।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
দাসত্ব বলেছেন: আপনি কিভাবে জানেন যে আমার নাম সামি ?
কিভাবে নিশ্চিত যে এটা আমার ৪ বছরের গুটলু পুটলু ভাগিনার নাম না ?
আমিতো ওই গুটলুর জন্য আদর থেকেও এটা আমার ইউজার আইডি হিসাবে ইউজ করতে পারি।
কি - পারি না ?
বাকি অংশ নিয়ে বলতেসি।
[১]
আমরা বাঙালী মুসলমানিত্ব ন্যাচারালাইজ করেছি।
---- ধন্যবাদ ,আপনি বাঙালি হয়ে এটাকে কন্টেইন এবং ন্যাচারালাইজ করেছেন , এটাই একমাত্র না হলেও - এটা বাঙালীত্ব।
[২]
বাঙালী সংস্কৃতির নামে ব্রাহ্মণ্যবাদি আচার-আচরণ, রীতি-নীতি
----- এই অংশটাতে একমত নই।
বাঙালী ব্রাহ্মণরা নিজেডের জন্য যেটাকে ন্যাচারালাইজ করেছে সেটাও বাঙালীত্ব , তবে সেটাই একমাত্র বাঙালীত্ব না।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
দাসত্ব বলেছেন: আর এই ব্লগটা আপনার চোখে আমার সেরা রাইট আপ হলেও , সেয়ানা বিপ্লবী তাহের শিরোনামের ব্লগটাই আমার বেস্ট রিটেন এনকাউন্টার একটা নির্দিস্ট ইস্যুতে।
ইতিহাসের চুতিয়া শালাদের কে ব্যাপক একটা দাবড়ানি দিসিলাম ঐ ব্লগটাতে।
আত্নতৃপ্তি ভালো বিষয় না হলেও ঐ ব্লগটা নিয়ে কম বেশী কিছুটা আত্নতৃপ্তি কাজ করে।
৩৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩
একিউমেন০৮ বলেছেন: পিলাচ
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
৪০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৫
সাইফুল আলী বলেছেন: রামন সাহেব নামের ইন্ডিয়ান সাম্প্রদায়িক হিন্দু লোকটা এখানেও হাজির !!!! আমি আশ্চর্য হয়ে যাই এদের তীব্র ইসলাম বিদ্বেষী এবং হিন্দুত্ববাদী রূপ দেখে।এই কিছুদিন আগেও কাশ্মীরে ইদের দিনে মুসলিমদের হত্যা করলো সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী হিন্দুরা।নিজের দেশের মুসলিম নিধনের পরে কি এরা আমাদের দেশে মুসলিম নিধনে আসবে নাকি?এর কমেন্টেও সে মুসলিমদের নামে হালকার উপরে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বলে গেল।এরা কি আমাদের একটুও শান্তিতে থাকতে দেবে না?
@রামন
নিজের দেশের মানুষদের নিয়ে ভাবুন।মুসলিমরা কি রকম তা আপনার কাছ থেকে আমার শিক্ষা নিতে হবে না।বরঞ্চ আপনারা হিন্দুরা যে কেমন তা বেশ দেখতে পাচ্ছি।হাজারো শিক্ষিত হলেও আপনাদের ইসলাম বিদ্বেষী রূপ আপনারা লুকিয়ে রাখতে পারেন না কোনক্রমেই।অপেক্ষা করুন,যে ক্রিয়া আপনারা উগ্রবাদী হিন্দুরা সৃষ্টি করছেন তার বিপরীত পতিক্রিয়াও নিশ্চয় পাবেন খুব শিগ্রই।আম্লিগের খুব শিগ্রই পতন হচ্ছে।আর এরপর অনলাইনে কি ডলাটা খান তা দেখবেন
৪১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
সাইফুল আলী বলেছেন: অনেক হয়েছে।১ বছর আগে আমি এই রকমের ভুল পথে ছিলাম।কিন্তু এখন সময় হয়েছে এই বাঙ্গালিত্তবাদ নামে হিন্দুত্ববাদের মুখে লাথি মারা।হিন্দুত্তবাদ যদি এই বাঙালি জাতিয়তাবাদ হয় তাহলে আমি একে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।ইসলাম গ্রহনের পর হিন্দুদের দ্বারা আমাদের পূর্ব-পুরুষরা যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে তার ইতিহাস কি আমরা ভুলে যেতে পারি?পৃথিবীর সমস্ত কালচার আমার ঘরে প্রবেশ করতে দিলেও আমি এখন থেকে এই হিন্দুত্ববাদী কালচারকে আমার ঘরে ১ বিন্দুও প্রবেশ করতে দেবো না।আমাদের উচিৎ চীন কিংবা আমেরিকা এমনি ব্রিটিশদের সাথেও ভাল সম্পর্ক করা ভারতের বিরুদ্ধে।ভারতের চ্যানেল,পণ্য,সংস্কৃতি সব কিছু গনহারে বর্জন করা।আমি অবশ্য আমার বাসা থেকেই এই কাজ শুরু করে দিয়েছি আগেই।প্রায় ১ বছরের মত হল কোন ইন্ডিয়ান চ্যানেল আমাদের ঘরে এলাউ না
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
দাসত্ব বলেছেন: ব্লগটা আবার পড়েন।
প্লাস কমেন্টগুলো আবার পড়েন।
ইট ইজ নট আ জিহাদ টপিক।
৪২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
হাছন রাধা করিম বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে, আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে অদিতি ফাল্গুনী ওপেনলি একজন মুসলমান বিদ্বেষী ব্রাহ্মণ্যবাদি। তার কথাকে এতো গুরুত্ব দেয়ার কোন মানে নেই।
তবে মিতা হকরা হলো ঘরের শত্রু বিভীষন।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৪
দাসত্ব বলেছেন: এদের কাউকেই আমি তেমন চিনতাম না।
মিতা হক কে চিনতাম খালেদ খানের ওয়াইফ হিসাবে।
আর , তাদেরকে গুরুত্ব দেয়া আর তাদেরকে গুরুত্ব দেয়া দুইটা সমান না।
কথাটা অবশ্যই আমলে নিতে হবে যেহেতু একই ধরনের চিন্তা ভাবনা আরো অনেকের ভেতরে আছে।
আর আগের কমেন্টের বাকী অংশ নিয়ে বলবো --- নাম বিষয়ে - ওই খানে ঘাপলা আছে। সেটা আমি নিজেও দেখসি। তবে যেহেতু এটা সত্য না সেহেতু কনফিঊশন বন্ধ করার জন্য আপনার কমেন্টটা মুছে দিলাম।
যাই হোক, বাঙালী ব্রাহ্মণের ধর্মীয় ব্যাপার নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। যেটা বলতে চেয়েছিলাম যে বাঙালী সংস্কৃতির নামে ঐগুলো আমার উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকে আমি বা আমার মতো মানুষ ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করে কারন সেগুলো আমাদের ধর্ম বিশ্বাসের সংগে সংঘাতপূর্ণ।
উপরোক্ত কারনেই আমি বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদে বিশ্বাস করি যেহেতু ঐ বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ আমাকে স্বকীয় সংস্কৃতির আস্বাদন দেয়। আপনার বাঙালীর মুসলমানিত্ব ন্যাচারালাইজ করা ডেফিনিশনটা কিন্তু ঐ বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদকেই সমর্থন দেয় যেখানে ধর্মের সংগে সংস্কৃতির কোন সংঘাত নেই।
কর্ণেল তাহেরকে নিয়ে আপনার লেখাটি আমি বেশ কয়েকবারই পড়েছি এবং বলতে দ্বিধা নেই যে বহু তর্কে আপনার দেওয়া রেফারেন্সগুলো ব্যবহার করেছি। উইদাউট ডাউট, ঐটা উচুমানের একটি একাডেমিক লেখা।
---- কমেন্টের এই অংশের ব্যাপারে বলবো - এখানে একটা লাইন বেশ লম্বা চওড়া আলোচনার পটেনশিয়াল রাখে। সেটা হলঃ
আপনার বাঙালীর মুসলমানিত্ব ন্যাচারালাইজ করা ডেফিনিশনটা কিন্তু ঐ বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদকেই সমর্থন দেয় যেখানে ধর্মের সংগে সংস্কৃতির কোন সংঘাত নেই।
কথাটা এক পাক্ষিক হয়ে গেসে , এটা সব পাক্ষিক।
তবে সত্য।
ধন্যবাদ
৪৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: দেশে এখন দেখি মাথা ন্যাড়া করে পরিচয় দেয়া লাগবে আমি বাংগালি
পাকিস্তানিরা নাকি প্যান্ট খুলতো আমাগো মাথা ন্যাড়া করা লাগবো ।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৭
দাসত্ব বলেছেন: কেন ?
৪৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৫
অর্ণব আর্ক বলেছেন: মূল ঘটনা অন্যখানে। অতিরিক্ত উদারতা দেখাতে গিয়ে এইসব মিতা হকদের উদর প্রায়ই স্ফিত হয়। তখন মিতা হকীয় ধাঁচের বাঙালিপনার সাথে যুক্ত ভালবাসার ফসল তৃতীয় জীবনটিকে কোনো মতেই পৃথিবীর আলো বাতাসে আনার সাহস তাদের থাকে না। তারা লেঞ্জা গুটিয়ে মুর্গি চোরা শেয়ালের মতো মাথায় ঘোমটা দিয়ে হাজির হয় ইবনে সিনা হাসপাতালে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রির খরচ বাঁচাতে গিয়ে সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ লাভের বিপরীতে যে অসুখে তেনারা আক্রান্ত তার আচ্ছা এলাজ হয় সেখানেই। আর ইবনে সিনাতে গেলে তো হিজাব পরা মহিলা দেখবেই।
কিন্তু দৃষ্টিকে উনার মতো প্রখর করলে অ্যাপোলো কিংবা ইউনাইটেড হসপিটালের বারান্দায় দাঁড়ালেও মনে হয় এফ.ডি.সির চত্তরে আছি। মাঝে মাঝে তো বেকুব বনে যেতে হয় রামোজি ফিল্প সিটির লেগ গার্ডেনে আইসা পড়লাম নাকি।
আগে তো দেখতাম কিছু পুরুষ লুইচ্ছা কপি/নেকোক/নটাংকি/গাইওক মেয়েদের কাপড় চোপড় ছোট অবস্থায় দেখতে আগ্রহী হতো প্রায়ই। কিন্তু বলি কি কলি কাল !! আহা কলি কাল!!!
মিতা হকদের এমুন উন্মুক্ত নারীদেহের প্রতি প্রবল আকাঙ্খা আর কামনার শেষ স্তরের রস:ক্ষরণ দেখে সত্যিই বড় চিন্তা হয়।
ভাবতেছি এদেশে লেসবিয়ানিজম শুরুর কত দেরী পাঞ্জেরী ?
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১৫
দাসত্ব বলেছেন: তুমি তো আরেক প্রসংগে চলে গেসো। নীচের এই কমেন্ট টা দেখো। মাত্র কালকে ব্লগটা লিখলাম। আজকেই হাতে নাতে প্রমাণ।
ছবিতে যেখানে অ্যারো সাইন আছে সেটা ফলো করো।
আলাদা কমেন্টে দিলাম যাতে ইমেজ বড় রেসোলিউশন পায়।
৪৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১৫
দাসত্ব বলেছেন: এই ভদ্রলোক কলকাতার রেসিডেন্ট।
৪৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
অর্থহীণ বলেছেন: দাসত্ত দা চরম হইসে......এই জিনিস ব্যাপক কাজে দিবে! ধন্যবাদ! নিজের টা খাই নিজের টা পরি, কে কারে বাঙ্গালী ভাবে চো*র টাইম নাই! বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৯
দাসত্ব বলেছেন: হুম।
বাঙালি হয়ে আপনি যেটা খান - পরেন সেটাই বাঙালীত্ব
৪৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
হাছন রাধা করিম বলেছেন: নোটিফিকশনে আপনার প্রতিউত্তর দেখে আবার আসলাম।
নামের ব্যাপারে সিনসিয়ার আ্যপোলোজি।
যেহেতু প্রশ্নটা উঠেছে মুসলমানিত্ব নিয়ে, তাই কথাটা এক পাক্ষিকভাবে লিখেছি তবে অতি অবশ্যই তা সব পাক্ষিক।
বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ এবং এর স্বকীয় সংস্কৃতি হলো অল ইনক্লুসিভ বাট বাঙালী জাতিয়তাবাদ এবং সংস্কৃতির মূলই হলো সুপ্রিমেসিস্ট এবং রেসিস্ট। ধন্যবাদ।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২১
দাসত্ব বলেছেন: হুম
৪৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫৯
মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: আপনার জ্ঞান দেখে বিমোহিত।
এমন সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ এবং সোজা প্রিয়তে।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৫২
দাসত্ব বলেছেন: জ্ঞান আর কোথায় পেলেন ?
জাস্ট সোজা সাপ্টা কিছু লজিক।
অ্যানিওয়ে , তারকা বোতাম চাপায় ধন্যবাদ
৪৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: মিতারে কি যে কমু বুইজা পাইনা। সংস্কৃতি ভারতের নদী না ফারাক্কা দিয়া আটকাইয়া রাখব। চলমান ধারা। ২০১৩ সালে বইসা এইরকম ন্যারো সংজ্ঞায়ন দিয়া বাঙ্গালিত্ব ব্যাক্ষা করার অপচেষ্টার জন্য কি শাস্তি হওয়া উচিত তা হাজারটা উপায় ফেসবুকে দেওয়া আছে।
আমার সামনে হাজারটা অপশন আছে। বোরকা , হিজাব , সালোয়ার কামিজ, শিলা-মুন্নি-সানি লিওন, পাঞ্জাবি, শার্ট, আন্ডারঅয়ার, প্যান্ট, লুঙ্গি। বিকিনি তো খুব স্বাভাবিক, নগ্নতাবাদ নিয়াও বিশাল বিশাল আন্দোলন হইতেছে পৃথিবীতে। ভাসানি তো লুঙ্গি আর টুপি পইরা দুনিয়া ঘুরসে, তার বাঙ্গালিত্বে টান পরছে কখনো শুনিনাই। যার যা খুশি বাইছা নিতে দ্যান। যেইটা দরকারি সেইটা টিকা থাকব। বাকিগুলা হারাইয়া যাইব বা অকেশনাল থাইকা যাইব। গোলমালের কিছু নাই। সবার খুলির মধ্যেই মগজ আছে।
পইরা আছে রবীন্দ্র নিয়া। পশ্চিমবঙ্গের কনটেম্পোরারি লিটারেচার সম্পর্কে জনাবা হকের আইডিয়া জানতে মুঞ্চায়। সুনীল, সমরেশরা কথায় কথায় ভদকা, হুইস্কি, মার্টিনি, ব্ল্যাক লেভেল, স্কচ লইয়া টানাটানি করে হেইডা বাঙ্গালিত্বের হাজার বছরের ইতিহাসে কই? কখনো সুনিনাই অইপারের দাদারা ভাত পচায়া বাংলা খাওয়া শুরু করসে।
যাই হোক। হিজাবে এইরকম চোখ টাটানো জনাবা হকের মানসিক বিকৃতির চেয়ে বেশি কিছু মনে হয়নাই। খালি আফসোস, দুনিয়াটারে এত ছুডু চক্ষু দিয়াই দেখলা। যা পাইলা তার চেয়ে বেশি কিছু হারাইলা।
বহুদিন পরে কমেন্ট করলাম আপনার পোস্টে। ফেসবুকেই খবর লই। আগে সামুর আবহাওয়া খারাপ হইত মাঝে মাঝে। আজকাল জলবায়ুই খারাপ হইয়া গেসে। আইতে মুঞ্চায় না।
ভাল থাইকেন। নিরন্তর শুভকামনা।
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
দাসত্ব বলেছেন: কমেন্টটা ভালো লাগসে।
উইশ ইউ দা সেইম
৫০| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: যার বাঙালিত্ব তার তার কাছে।
সহমত
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
৫১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৭
বিডি আইডল বলেছেন: আমি বাসায় নিয়মিত ধূতিই পরি
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪২
দাসত্ব বলেছেন: হাহাহা
৫২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দুর্দান্ত বিশ্লেষন !!!
+++
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
৫৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
যার যার বাঙালীত্ব তার তার কাছে..........
++++++
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
৫৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
ওকাপী বলেছেন: অসাধারন লেখনী
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
দাসত্ব বলেছেন: ধন্যবাদ
৫৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অপ্রাসংগিক কিনা জানিনা , আপনার ব্লগ পড়েই একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয় - যেখানে ব্রেইন কথা বলে / কথা বলে যুক্তি ! আপনার ব্লগে অনায়েশে রাত পার করে দেয়া যাবে ! আপনার ব্লগ গুলি খুটায় খুটায় পড়লে একটা মানুষের যুক্তির মারপ্যাচে অনাগ্রহ নিমরাজি থাকার কথা না !
প্রিয়তে নিলাম , লিংক্টাও এড করে নিলাম -কিছু মনে করবেন না , ভালো খারাপ মিলিয়েই তো অনুভুতির সূচনা - খারাপটারে গালি যদি দিতে পারি ভালোটারে আদর করতেও লজ্জাবোধ করি নাহ
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০০
দাসত্ব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
ডাব্বা বলেছেন: এক্সিলেন্ট!