![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাকালের সন্ধানে, অমৃতের আঘ্রাণে ছুটে চলা নিরন্তর
ছবির মত মুখখানি তার, মায়ায় ভরা চাহুনি
দুষ্টুমিষ্টি হাসি কলরবে, মাতায় যে দিন-রজনী।
হাসিতে তার সৌরভ আছে, ভাসে মৌ মৌ সুবাসে
বারে বারে মরি, আমি প্রতিবার, তার-ই প্রেম পাশে।
রুপের কথা কি বলব আর, ঈষৎ কালো রমণী
তাকেই আমি বাসি যে ভালো, আমার অর্ধাঙ্গীনি।
এ ঘর ও ঘর ঘুরিয়া বেড়ায়, তাথৈ তাথৈ নাচিয়া
থমকে দাঁড়ালে হঠাৎ সামনে, উঠে সে ভয়ে কাঁপিয়া।
রাগলেও হাসে, কাঁদলেও হাসে, আর বকলেই অট্টহাসি
কিছুই বোঝেনা মনের বেদন, ঐ হাসি যে সর্ব্বনাশী।
শুধু, অভিমান তার একটু বেশি, বেদনার মায়ায় বিরহীনি
যাবো কোথায় তাকে ছাড়া? সে যে আমার-ই অর্ধাঙ্গীনি।
কিছুদিন পর..........
ওগো শুনছো, কাঁঠালতলীর গাঁয়ে যাবো, নিয়ে যাবে আমায়?
ঘুরবো মোরা, ঝুলন মেলায়, মিষ্টি গোধূলি বেলায়।
মেলায় গিয়ে ঘুরবো, খাবো আর কিনব টুকিটাকি
টাকা-কড়ি কিছু জমিয়ে রাখো, আর দিন পনের বাকি।
কাঁচের চুড়ি, মুক্তোমালা, বিছার নূপুর আর টিপ নিব কিনি
বললাম আমি.......
তোমায় ছাড়া আর কাকে দিব বলো? ওগো মোর অর্ধাঙ্গীনি।
যাচ্ছিল ভালোই ওর আর আমার, ভালোবাসার সংসার
ঈশ্বরের বুঝি সহ্য হলো না, ভেঙ্গে দিল সব চুরমার।
শরীরে তার বাঁধলো অসুখ, চোখে জলে ছলছল
হাসিমাখা মুখ, নিমেষেই মলিন, প্রনয় অস্তাচল।
ডাক্তার বললেন, ওষুধ দিয়েছি, পেয়ো নাকো কোন ভয়
বোঝা যাচ্ছে না, রাতটা পেরুক, দেখা যাক কি হয়।
সারারাত ধরে মাথার পাশে, বসেছিলাম আমি ঠায়
তবুও কেন, সে ফাঁকি দিল আমায় নিঝ্ঝুম নিরালায়।
এই কি ছিল ভাগ্যে মোর? বলো হে ভাগ্যবিধাতা
ললাটে ছিল এমনতর শাস্তি, এই কি তোমার মমতা?
দাবানলে দহন মনের শহর, পুরে হলো সব ছাই
চিৎকার করে কাঁদিয়া খুঁজি, কোথা আমি তারে পাই।
উন্মাদ আমি, দিশেহারা আমি, কোথা গেল মোর সম্বল
চোখেতে বরষা, এলো সহসা, বিরহ হচ্ছে প্রবল।
হাতে হাত ধরে বলেছিলে আমায়, পাশে থাকবে চিরদিন-ই
পড়ে রয় কেন নিথর দেহ? ওগো মোর আদরিনী।
কথা দাও তুমি, প্রাণের আকুতি, বলে যাও একটিবার
বারে বারে তুমি, হবে মোর প্রিয়া, শতরুপে শতবার।
মেলায় যাওয়া হলো নাকো তার, বাঁধা হলো না শেষ বিনুনি
চিরপিপাসিত করে রেখে গেলে আমায়, নিঠুর অর্ধাঙ্গীনি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! হৃদয়ে ছুঁয়ে গেল। শুভেচ্ছা অনন্ড।