![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামের বিরচদ্ধে ব্যবহৃত সরকারের কোন এজেন্ডাই আর কাজে আসছে না। একের পর এক ইস্যু সামনে নিয়ে এসে ইসলামকে বদনাম করার চূড়ান্ত আয়োজন সম্পন্ন করলেও সরকারের কোন এজেন্ডাই আর কাজ আসছে না। এছাড়া সম্প্রতিক সময়ে শাহবাগী নাস্তিক বগারদের আস্ফালন, নাগরিক সমাজ ব্যানার দিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে ঐক্য গড়া এবং সর্বশেষ সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার নাটক সাজিয়েও সফল হতে পারেনি সরকার। বরং সংখ্যালঘু নির্যাতনের ইস্যু মুসলিমদের ওপর চাপানোটা বুমেরাং হয়ে উল্টো সরকারের ওপরই চাপছে।
অভিজ্ঞমহল মনে করছেন, ইসলামকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে দূরে সরিয়ে বিশেষ একটি গোষ্ঠীর প্রেসক্রিপশনে ভিন্ন কৌশলে আল্লাহ'্র নাযিল করা মানুষের প্রতি সীমাহীন দয়ার বহিপ্রকাশ প্রাচীন এই দ্বীন তথা ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করে দিতেই ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার নানামুখী এজেন্ডা নিয়ে সামনে এগুতে থাকে। তবে সরকারের সবচেয়ে শক্তিশালী ও শেষ অস্ত্র যুদ্ধাপরাধ ইস্যুটিও দেশে বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়েছে। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের এই ইস্যুটিও মাঠে মারা যাবে এই ভেবে এখন থেকেই জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরিয়ে নিতে সরকার সুকৌশলে শাহবাগ ও সংখ্যালঘু ইস্যুটি অত্যন্ত চাতুরতার সাথে সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু এখন সবকটি ইস্যুই সরকারের জন্যই বুমেরাং হয়েছে।
সম্প্রতি না’রায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যাকান্ড নিয়েও সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে মন্দির ও শহীদ মিনার ভাংচুরের ঘটনাতে আওয়ামী লীগের লোকজনই ধরা পড়েছে। ফলে জনগণের দৃষ্টিও এখন খুলে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিরামহীন প্রোপাগান্ডা আর কিছু একচোখা মিডিয়ার দৈন্যদশার কারণে জনগণের মধ্যে থাকা বিভ্রান্তি অনেকটাই এখন কেটে গেছে। সাধারণ জনগণও এখন সঠিক তথ্যটি অনায়াসেই উপলব্দি করতে পারছেন।
সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার দায় সরকার মুসলিমদের ওপর চাপানোর নানারকম চেষ্টা করার পরেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের বাশখালি, মহেশখালি, কুমিলvর দেবীদ্বার, খুলনা, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, বগুড়া, ফেনী, ঠাকুরগাঁ ও চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় সরকারের দলীয় লোকজনই যে জড়িত এই বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের কাছে ধরা পড়ে গেছে। বগুড়াতে শহীদ মিনার ভাংগে গিয়ে যুবলীগের এক কর্মী হাতে নাতে ধরা পড়েছে। পরে তাকে পাগল আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনই থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। এই ঘটনার পরে সাধারণ মানুষ বলতে শুরু করেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে এই ধরনের পাগলের উপদ্রব বেশি হওয়ার কারণেই দেশে এখন এত ব্যাপক হারে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা হচ্ছে।
অবশ্য এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তিনি অনেক গবেষণা করে নতুন তথ্য আবিষ্কার করে বলেছেন, দেশে সম্প্রতি এত বেশি হারে সংখ্যালঘুদের নির্যাতিত হতে হচ্ছে যে, এতে মনে হয় আগামী ২০ বছর পরে এদেশে আর কোন হিন্দু বা কোন সংখ্যালঘু খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এদিকে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টির সভাপতি শচীন্দ্র লাল দে বলেছেন, বিশ্বাস করে নৌকায় উঠে এখন অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। সহিংসতার ঘটনায় সংখ্যালঘুরা পথহারা দিশেহারা। অথচ রাজনীতির দাবানলে যখন ধর্মীয় সম্প্রীতি জ্বলছে তখন ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার রাজনৈতিক ময়দানে বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাতক্ষীরার ঘটনা উলেখ করে তিনি বলেন, সেখানে একই পরিবারের আটজন সদস্যের মধ্যে ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন একজন আওয়ামী সর্মথক মেম্বার। এর কারণ ছিল ওই ব্যক্তির ৫০ বিঘা জমি দখল।
(Click This Link)
©somewhere in net ltd.