![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা, গলাচিপা) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি একহাত নিলেন আওয়ামী লীগের পাঁচ প্রভাবশালী মন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত,কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রী হাছান মাহমুদ-তাদেরকে নিয়ে ফেসবুকে এমপি রনির করা এক মন্তব্য নিয়ে তারা ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পাঁচমন্ত্রীর দুজন ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। শনিবার ফেসবুকে এমপি গোলাম মাওলা রনি একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি লেখেন-বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে বাম নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যে ভুল করেছিলেন ২০১৩ সালে আমরা সেই একই কাজ করছি। তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে লিখেছেন আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আবুল মাল আবদুল মুহিত, মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ ও দীপু মনি কেন দৃশ্যত বেশি ক্ষমতাধর হয়ে উঠলেন? কেন হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সমঝোতার জন্য ড. হাছান মাহমুদের পরিবর্তে সিনিয়র নেতা কূটনীতিক এবং সুনাম আছে এমন নেতাদের দায়িত্ব দেইনি? কেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্লগারদের বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেননি।’ রনির এসব মন্তব্যকে ভালভাবে নেননি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় তারা একে দৃষ্ঠতাপূর্ণ ও ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, এমপি রনি শুরু থেকেই নিজের এলাকায় একে পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। দলের প্রতি তার কোনো কমিটমেন্ট নেই। তিনি সিনিয়র নেতাদের কখনও সম্মান দেন না।তার সর্বশেষ এসব মন্তব্য পুরোপুরি দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এর বিহীত হওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাস করা হলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে মন্তব্যের ব্যাপারে দল যা ভাল মনে করে করবে বলে তিনি আশা করেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকরী মাহবুব-উল আলম হানিফ ঢাকা টাইমসকে বলেন, বিষয়টি ভালভাবে খতিয়ে দেখে যা করার করবেন।
আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসকে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি বড়দের ব্যাপার আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
অন্যদিকে গোলাম মাওলা রনি এমপি ঢাকা টাইমসকে বলেন, তিনি তার বক্তব্যে অটল আছেন। আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী বামনেতারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছেন। এ মতিয়া চৌধুরী এক সময় বলেছিলেন ‘শেখ মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানাবেন’। তিনি সেই লক্ষ্যেই কাজ করছেন।
Click This Link
©somewhere in net ltd.