নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাওর

আমার চুল আেছ

সাওর

আিম আম খাই

সাওর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেতনার ভিত্তি নিরুপণ করার পদ্ধতি হল

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন, চেতনা বা বিশ্বাসের ভিত্তি কিভাবে নিরুপণ করা হবে, আল্লাহ্ না মুক্তিযুদ্ধ? আমার মত চেতনার ভিত্তি নিরুপণ করার পদ্ধতি হল-



(ক) মানুষের শুরু এবং শেষ কোথা থেকে? উত্তর ঃ আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা



(খ) সত্য আর মিথ্যার ভিত্তি কি? উত্তর ঃ আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা



আল্লাহ্ বারি তায়ালা, যিনি আমাদের লালন-পালন করছেন এবং আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে সবকিছুর তিনিই একক স্রষ্টা ও মালিক।



আর ৭১ মুক্তিযুদ্ধ হল সৃষ্টি জগতের বহু ঘটনা প্রবাহের একটি ঘটনা প্রবাহ মাত্র। এই সৃষ্টি জগতে ৭১ মুক্তিযুদ্ধের চেয়েও বহু ছোট-বড় ঘটনা ঘটেছে। তাই ৭১ মুক্তিযুদ্ধ কোনভাবেই চেতনা বা বিশ্বাসের ভিত্তি হতে পারে না। কতিপয় মানুষেরা বার বার ৭১ মুক্তিযুদ্ধকে জেনে/না জেনে চেতনার কথা বলে ইসলামের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে কলুষিত করছে এবং মুসলিম উম্মাহ্’র উপর অপসংস্কৃতি ও নাস্তিকতার কুফুরি চাপিয়ে দেয়ার ব্যার্থ চেষ্টা করছে। আর সেই সাথে মুসলিম উম্মাহ্'কে ঈমানের পথে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। তাই আপনাদের সকলকে নিজেদের ঈমানকে রক্ষা করার জন্য মহান আল্লাহ্ তায়ালার সাহায্য নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐ শয়তানী শক্তির বিরুদ্ধে প্রাণপণ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান জানাচ্ছি।



মহান আল্লাহ্ তায়ালার ভূমিকা আর ৭১ মুক্তিযুদ্ধের মাঝে কি কেউ কোন পার্থক্য খোঁজে পান না? বার বার নাস্তিকরা বলছে ইসলাম না’কি দেড় হাজার বছর আগে এসেছে। তাহলে এখন আমার প্রশ্ন কুরআন মাজীদ ও হাদিসে মুহাম্মাদ (দ.) কে কেন সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নাবী ও রসূল বলা হয়েছে? এই পৃথিবীতে ইসলামের আগে কোন দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা আসেনি। যেগুলো এসেছে তাও আবার শয়তানরা মানুষের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টির জন্য উদ্ভাবন করেছে। বর্তমানে ভারত বর্ষের পুরাতন গ্রন্থগুলো অধ্যয়ন করলে বুঝা যায় ইসলামের আগে কোন কিছুই আসেনি। যেমন- রিগবেদ, অথর্ববেদ, যদুরবেদ, শামবেদ, ঊপনিষদ গ্রন্থ সমূহ, পুরানা, গীতা ইত্যাদি গ্রন্থগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উদ্ধৃতি দেয়া আছে এক আল্লাহ্’র ইবাদাতের ব্যাপারে, কল্কি অবতার বা মুহাম্মাদ (দ.) এর ব্যাপারে, ঊপনিষদ গ্রন্থ সমূহের মাঝে একটি অধ্যায়ের নামকরণ করা হয়েছে আল্লো (আল্লাহ্) ঊপনিষদ এবং আসম্ভুতি বা মূর্তি পুজা নিষিদ্ধের ব্যাপারে আছে বহু উদ্ধৃতি।



এই থেকেই প্রমাণ হয় যে, হাজার বছর থেকে নয় হাজার-হাজার বছর অর্থাৎ বহু হাজার বছর থেকেই ইসলাম ছিল, আছে এবং থাকবে। হাজার বছরের বাঙ্গালীর ঐতিহ্য বলে যে সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে তা মূলত সৃষ্টি লগ্ন থেকে সত্য-মিথ্যার যে চিরন্তন লড়াই চলছে তার-ই ধারাবাহিকতার অংশবিশেষ বর্তমান চাপিয়ে দেয়া নাস্তিকতার কুফুরী সংস্কৃতি যা ৭১ মুক্তিযুদ্ধকে শ্বাসত দ্বীন ইসলামের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে চেতনার নামে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের আদলে কলুষিত করছে এবং বৈশাখীর মঙ্গল শোভাযাত্রা, মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো, শিখা অনির্বাণ, বিভিন্ন শৌধে পুষ্প অর্হ্য দেয়া ইত্যাদির মাধ্যমে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.