নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নবদিগন্ত

সাহিত্য লেখক

সরদার হারুন

সাহিত্য লেখক

সরদার হারুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাতিস্মরের আম্মতৃপ্তি ২ য় আংশ

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

২ য় অংশ



(ভিক্ষা নিয়ে কিশোরী প্রবেশ করবে।সাধক হাতে ভিক্ষা নিয়ে কিশোরীর মুখের দিকে চাইতেই

হাত থেকে থালা পরে যবে)



সাধক- কে তুমি দাঁড়ায়ে সম্মুক্ষে মোর ?



কিশোরী - আমি পুরবাসিনী এক

লহ ভিক্ষা মোর ।



সাধক - তিষ্ট ক্ষণকাল ।দেখে লই তোমা,

সেই মুখ, সেই চোখ

নয়নের ভাতি তেমনি উজ্জল।

কপোলের তিলক দুটি

আজো তেমনি আছে।

সেই শান্ত সাম্য মূর্তি হেরি

বদনে তোমার ।

কালের ব্যবধান ভিন্ন অন্য কিছু

নাহি হেরি তোমার ভেতরে।

সত্য করে কহ হে কিশোরী-

কে তুমি দাঁড়ালে আসি সম্মুক্ষে আমার ?



(বিরক্ত হয়ে বলবে)

কিশোরী- ভিক্ষা তব অভিলাষ

তাই ভিক্ষা লয়ে চলে যাও

দ্বার প্রান্ত হতে।বৃথা বাক্য ব্যায় মোর

নাহি প্রয়োজন।

তোমার আমার মাঝে বহু ব্যাবধান।



সাধক- সময়ের ব্যবধান ভিন্ন অন্য কোন ব্যবধান

নাহি হেরি তোমা সাথে মোর ।

মনে পড়ে ? যেই দিন তুমি মরণের

দ্বার প্রান্তে এসে ,ঘুম ঘোরে ডাকিলে আমায় ?

ভুলিয়া লোক লাজ সমাজ বন্ধণ বলে ছিলে

''ভালবাসি তোমা"।সে দিন আমার সকল সত্তা আত্মার

শতবীণা ভৈরবী রাগে উঠেছিল বাজি।

যতদিন ছিলে তুমি সমাজ বন্ধণে

লোক লাজ হেতু,বুকের ভাষা তব ফোটেনি অধরে।

গোধুলির অন্তিম লগনে যবে

তোমার জীবন রবি ছাড়িয়া ধরণীরে,

চলে গেল অনন্তের পথে।

পশিল বসুধা বক্ষে আঁধারের ছায়া-

প্রকৃতির তৃণলতা ধুলীকনা সাথে

মিশে গেলে তুমি ।

ওপারের যাত্রা ক্ষনে বলে ছিলে-

তোমার জীবন পুস্পের প্রণয়ের মালা

রেখেছিলে সযতনে পড়াতে আমার গলে।

নাহি পেয়ে সারা মোর,ভোরের শিশিরের মত-

ঝড়া বকুলের শুভ্র মালা

জড়ায়ে আপণ গলে, প্রকৃতির

শ্যামল প্রান্তরে-প্রাণের রক্ত শতদল

বিন্দু বিন্দু করি শুকিয়েছ তুমি।

সেদিন হে অভিমানিনী-ছাড়িয়া রাজ্যবাস

ছিন্ন করি সহস্র বন্ধন- তোমাকে খুঁজেছি আমি

নক্ষত্র মন্ডলে,নিহারিকা ছায়া পথে-

অসীম অনন্ত লোকে জনমে জনমে।

না পেয়ে তোমার দেখা ফিরে এস পূণ:

ধরণীর বুকে, শুধালাম শ্যামল তৃণদলে

তোমারে দেখেছেকিনা?

সন্ধ্রা মালতি ডেকে বলেছে আমায়

আমি তার পাবনা সন্ধান

তারপর-তারপর বহু সাধনায়-

অশররী আত্মার দুর্ভেদ্য রহস্য জাল

করি ভেদ স্বপ্নযোগে শুধালাম তোমা

বিদায়ের পূর্বে প্রণয়ের বানী

ভাষা হয়ে তব কন্ঠে কেন ফুটিলনা ?

আত্মা তব জানাইল মোরে

প্রেমের গোলাপ কলি নারীর কাননে

কভু ফোটেনা প্রথম

না পেলে নরের ছোঁয়া ভ্রমরের সম।



কিশোরী- তব বাক্য বুঝিতেনা পারি ।

(চলবে)



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সরদার হারুন বলেছেন: All blog brothers and sisters are requested to pass their opinion about the part of the dramatic poem.It is second part.

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ak soto bosor age hole valo hoto. in modern time, it is simply kopy of writing of rabindranath, bonkim, madusudon.

akale ata chalbe k?

ami janina,moncho natoke hoito cholbe

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

সরদার হারুন বলেছেন: আমি প্রথম অংশের লেখায় বলেছি যে এটা জন্মান্তর বাদের উপর হিন্দুদের বিস্বাস এর উপরে লিখেছি।প্রাচীন আঙ্গিক বিধায় পুরানো বাংলায় লিখছি। মহা কবি মধুসুদনের আমদানিকৃত
অমৃতাক্ষর ছন্দে লেখার ব্যার্থ চেষ্টা করছি।বঙ্কিম বাবু এধরনে কাব্য নাট্য লিখেছেন বলে আমার জানা নাই
আপনি বলেছেন আমি রবিন্দ্র নাথ,বঙ্কীম, এর লেখা কপি করেছি।আপনি তাদের কোন লেখা কপি করেছি তা যদি বলতে পারেন তাহলে আমি কর জোরে ক্ষমা চাব এবং কপি রাইট আইন
মোতাবেক শাস্তি নিব। আর যদি না পারেন তাহলে আপনি সবার কাছে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার জন্য ক্ষমা চাইবেন কি ?
আমি ব্যাবসায়ি নই তাই লাভ লোকসান হিসেব করে লিখিনি।
আমার লেখা শেষ হোক তারপর দেখবেন এরূপ ধ্যান ধারনা নিয়ে ইতি পূর্বে কেউ লিখেনি।
আপনাকে ধন্যবাদ।

প্রথম পর্বের উপরে যারা মন্তব্য করেছেন তাদের মন্তব্য পড়ুন।আমাকে উপদেশ দিতে চাইলে আপনি মাত্র ৫ টি অনরূপ লাইন লিেখে দেখান কিরূপ লিখতে হয়।
আমার মনে হয় সাহিত্য সম্মন্ধে আপনার ধারনা সীমিত।
একজন উচ্চ শিক্ষিত লোকের মুখে যে ভাষা ব্যাবহার করা উচিৎ সে ভাষা একজন অশিক্ষিত
লোকের মুখে খাটেনা।কাজেই স্থান কাল বিবেচনা করে লিখতে হয়বলে জানি । তাই লিখেছি।




৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪

বেবিফেস বলেছেন: যে যুগের যাই হোক, আমার ভাল লেগেচে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.