নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুকে পাথর বেঁধে বাংলাদেশ শিক্ষাব্যবস্থা নামক ডেড সি তে লাফিয়ে পড়া একজন

সাজিদ শুভ

অসাধারণের মাঝে অতি সাধারণ একজন

সাজিদ শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরবা একটা নদীর নাম

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:২২



আরবা হারায় গেছে, এই পৃথিবীর জ্যামিতিতে, মেট্রোরেলের তলায়, ব্যস্ত মোড়ের ভিড়ে। এখানে হারিয়ে যাওয়ার নামই থাকা, আর থেকে যাওয়ার মানে একটু একটু করে মুছে যাওয়া। আরবা এই শহরেরই কেউ ছিল, কিংবা ছিল না—আমার পকেটে থাকা পুরোনো ট্রেনের টিকিটের মতো, যার গন্তব্য আমি ভুলে গেছি, কিন্তু ফেলতে পারিনি।

পৃথিবী সেবার ভেসে গিয়েছিলো রূপসার জলে। আমাদের দুটো হাত, বৃষ্টির ছোঁয়া, বাতাসের চিলতে হাসি—সব মিলে একটা বেহেশতি শ্যামল সন্ধ্যা। শরীর আর নদীর সীমানা যেন ঘুঁচে গিয়েছিল সেদিন। তার আঙুলের ডগায় জল ছিল, আমার বুকে কাঁপুনির মতো চাওয়া—যদি এই স্রোতটাকে একটা কাঁচের বোতলে ভরে রাখা যেতো! যদি এক আকাশের বিনিময়েও সেই সময়টারে ধরে রাখা যেতো!

আমি মাঝে মাঝে ভাবি, ভালোবাসা কি মুদ্রার মতো? যার মালিক বদল হয়, কিন্তু মান হারায় না? নাকি নদীর মতো—যার স্রোত ধরা যায় না, শুধু তাকিয়ে থাকা যায়?
নদীরা যেমন ঘাট বদলায়, সময়ের সাথে সাথে মানুষও নিজের বন্দরের নাম পাল্টায়। এখন সে নদী হয়তো অন্য কোন তীরে আছড়ে পড়ে, অন্য কোন হাতের বৃত্তে তার গতির বিশ্রাম। শহর তার নিয়মে অনড়—রাস্তা বদলায়, মানুষ বদলায়, হাত বদলায়।

আমারও হাতের তালুতে একটা নদী ছিল। এখন শুধু শুকনো তীর, বালির নিচে চাপা পড়ে থাকা কিছু নামহীন কল্পনা। এখন আমি শুধু এক পুরনো ব্রিজ, নিচ দিয়ে সে বয়ে যায়, ফিরে তাকায় না। আমি ভেবে দেখেছি, মানুষ আসলে নদী ভালোবাসে না, তারা ভালোবাসে তীর। তারা চায় কোনো এক জায়গায় নোঙর ফেলতে, অথচ নদীর শরীরে কোনো স্থিরতা নেই।

আরবা—তুমি কি এখনো আমার বিষাদ সিন্ধুর উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া কোনো নাবিকের মতো? তোমার চোখ কি এখনো রূপসার জলে ডোবে? নাকি তুমি আমার হাতের রেখার মতোই মুছে গেছো, একদম নিঃশব্দে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.