![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
More than 50% Sapiosexual
শুভ হোক আপনাদের পথচলা। ঘুড়াঘুড়ি বিনোদন এর অন্যতম একটি মাধ্যম । আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা বর্ননা করছি।
পর্ব-১ ( ঢাকা টু সিলেট )
আমার ২৬ তারিখ বিকেলে ছিলো ভর্তি পরিক্ষা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে । তাই ভাবলাম দুইদিন আগেই সিলেট এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে ভাল হয় । তাই ব্যাগ গুছিয়ে ২৩ তারিখ রাতেই রওনা হলাম সিলেট এর উদ্দেশ্যে। অহ হ্যা! বলে রাখা ভাল , আমাদের টিকেট এক সপ্তাহ আগেই বুক করে রাখা হয়েছিল। ইউনিক পরিবহনের গাড়ি প্রতি সিটের ভাড়া পড়ল ৪৭০ টাকা করে। যাত্রা পথে আমার সঙ্গী হয়েছিলো লিমন , ফাহিম , রিয়ন । তারা সবাই আমার খুব কাছের বন্ধু। আমরা ২৩ তারিখ রাতে খুব আনন্দের সাথে ছোট বাসে উঠে বসলাম আর ওদিক থেকে আমাদের আব্বু আম্মু মায়া ভরা চোখে আমাদের বিদায় দিচ্ছে। আমাদের কে ছোট বাসে উঠানো হলো কারন আমাদের নিয়ে যাবে গাবতলী থেকে সরাসরি সায়দাবাদ । কারন ওখানেই বড় গাড়ি পার্কিং স্থানে পার্কিং করে রাখা হয়েছে। আমরা উঠে পড়লাম আর লুফে নিলাম আমাদের চারটি সিট একদম মাঝে নিয়েছিলাম । কারন দুর্ঘটনা হলে শুনেছি মাঝের দিকে কম ক্ষয়ক্ষতি হয়। তারপর আমাদের বাস ছাড়ল ১২ টার একটু পরে হয়ত ১২:১০ হবে। পুরো রাস্তা ফাকা ছিলো ঢাকার মধ্যে তাই খুব দ্রুত বাস ঢাকা ত্যাগ করতে পারে । আমাদের মনের মধ্যে তখন আনন্দ গুলো কড়া নাড়ছে কারন এটা সবার প্রথম ট্যুর বন্ধুদের সাথে । আমরা সারারাত মজা করতে করতে দেখি হুট করে বাসের লাইট গুলো হেল্পার জ্বালিয়ে দিল । তখন হেল্পার বলে আপনাদের যাত্রাপথে ২০ মিনিটের বিরতি । তখন আমরা সবাই কাধের ব্যাগ গুলো সিটের উপরে রেখে নেমে যাই ফ্রেশ হবার জন্য । জায়গাটা ছিলো আশুগঞ্জ । আমরা সবাই চিপ্স , কোক , স্যান্ডুইচ নিয়ে বাসে উঠে খেতে থাকি। খেতে খেতে কখন যে ২০ মিনিট শেষ হয়ে গেল টের পেলাম নাহ। তারপর বাস ড্রাইভার আবার আমাদের নিয়ে চলল সিলেট কদমতলীর উদ্দেশ্যে । চলতে চলতে রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেল । আমাদের শরীরে শীতল বাতাস গুলো স্পর্শ করে যাচ্ছে। কারন আমরা সিলেট এর প্রায় কাছেই চলে এসেছি। সিলেট হলো বাংলাদেশ এর সবচাইতে শীতল স্থান । তাই ঠান্ডা এখানে আগেই পড়ে। আমরা এই শীতল হাওয়া সাথে প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য উপভোগ করছিলাম । তার পর কিছুক্ষনের মধ্যেই কদমতলীর যাত্রীদের নামার জন্য অনুরোধ করা হলো কারন আমরা গন্তব্যস্থলে পৌছে গিয়েছি। বাস থেকে নামতে নাহ নামতেই সি.এন.জি ওয়ালা মামারা হাজির। আমাদেরকে বলতেছে কোথায় যাবেন ? আমরা উত্তরে বললাম যাব মাজারগেইট। প্রথমে সে চাইল পুরো সি.এন.জি রিজার্ভ ২৫০ টাকা । আমরা দামাদামি করে ১৫০ টাকায় আনলাম । তারপর আমরা যাত্রা পথেই সি এন জি মামাকে বললাম মামা বেশি হোটেল কোথায় পাওয়া যাবে? মামা বলল তাহলে আপনারা আম্বরখানা নামুন। আমরা মামার কথা মত আম্বরখানা নামলাম । ভাগ্যের কি নির্মম হাল পেলাম নাহ একটা হোটেল এর সিটও। কারন সবাই আগেই বুকিং দিয়ে রেখেছে। তারপর আবার পিছনে হাটা শুরু করলাম মাজার গেইট এর উদ্দেশ্যে । কারন সেখানেও অনেক হোটেল রয়েছে। আমরা ছাতা হাতে নিয়ে বৃষ্টির মাঝে হোটেল খুজতে বেরিয়ে পড়লাম। অনেক গুলো হোটেল খুজার পর দামে আর মানে নাহ মিলার কারনে আমরা প্রায় অস্থির হয়ে উঠেছিলাম। কারন আমাদের ২৬ তারিখ পরিক্ষা ছিলো। তারপর একটি হোটেল এর খোজ পেলাম যার নাম 'হোটেল দারগা ভিউ' । তাদের সাথে চুক্তি হলো প্রতি রাত থাকার জন্য ১১০০ টাকা করে দুই রুম নিলাম। কারন কোন হোটেল পাওয়া যাচ্ছিলো নাহ। তাই এই দামের মধ্যেই নিয়ে নিলাম দুটি রুম । কারন আমরা চারজন থাক.......চলমান
©somewhere in net ltd.