![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
More than 50% Sapiosexual
বিজ্ঞানীরা শক্তি এবং বল কথা দুটো থেকে সরে interaction বা আন্তঃক্রিয়া শব্দটির বেশি ব্যবহারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে । প্রথম দিকে আন্তক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার পিছে একটি কারন রয়েছে। আজকে আমাদের বিষয় আন্তক্রিয়া।
বিজ্ঞানীরা আন্তক্রিয়া কথাটা বেশি ব্যবহারের পিছিনে অনেক যুক্তিসঙ্গত কারন রয়েছে , সৌমেন সাহা স্যারের বই মহাবিশ্বের রহস্য থেকে একটি উদাহরন নিয়ে আসা যাকঃ
মসৃন বরফের উপর একজন লোক এক সেকেন্ড এর বেশি সময় সোজা হইয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে নাহ। যদি সে একতা বল হাতে পায় তাহলে সে নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পাড়বে। এখন যদি একজন লোকের স্থলে দুইজন লোক থাকে আর বল যদি একটি থাকে তাহলেও কি নির্ভয়ে দুইজন মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে পাড়বে?
আসুন প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করি , নাহ তারা দাঁড়িয়ে থাকতে পাড়বে নাহ। কিন্তু যদি তাদের টাস্ক দেয়া হয় দুইজন কেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে! তখন? যদি তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে বল দেয়া নেয়া করতে থাকে তাহলে দুজন ই দাঁড়িয়ে থাকতে পাড়বে । একটা কথা মাথায় রাখতে হবে , যে সময় এর পার্থক্য অনেক কম হতে হবে। আশা করি interaction বা আন্তঃক্রিয়া শব্দটি সম্পর্কে ভাল ধারনা পেয়েছেন ।
এবার আসুন , চার ধরনের আন্তক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
1. Strong interaction: সহজ ভাষায় বলতে গেলে , পরমানুর কেন্দ্রে অবস্থিত প্রোটন এবং নিউট্রন কে এই শক্তি ধরে রাখে ।
2.Weak interaction: রেডিইয়াম থেকে বিটা রশ্মি বের হবার পিছে এই শক্তি সম্পুর্নভাবে দ্বায়ী
3.Electromagnetic interaction: যেহেতু ইলেক্ট্রোমেগনেটিক তাহলে তড়িৎ আধান এর ভুমিকা অবশ্য রয়েছে। সহজ ভাষায় যদি বলি, দুটি তড়িৎ আধানের মধ্যে যে আকর্ষন বিকর্ষন হয় তার পিছে মুলত এর হাত রয়েছে।
4.Gravitational interaction: এটা কম বেশি সবার ই জানা , মহাবিশ্বে যে বস্তুদ্বয়ের মধ্যবর্তী আকর্ষন।
উপরে যেহেতু তড়িৎ নিয়ে কথা হলো তাহলে এই বিষয়টিকে আরো বর্ধিত করা যাক। আপনারা হয়ত সবাই জানেন যে , একটি তড়িৎ আধান যুক্ত কনা কোথাও থাকলে তার আশেপাশে তড়িৎক্ষেত্র তৈরি করে । যদি এই তড়িতক্ষেত্রের মাঝে একটি আধান (ধনাত্মক বা ঋনাত্মক) আনা হয় । তাহলে আকর্ষন বা বিকর্ষন করবে । কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন দুটি আধান এর মধ্যে দুরুত্ব থাকা সত্ত্বেউ তারা কিভাবে একে অপরকে প্রভাবিত করে?
আসুন প্রশ্নের উওরে আসা যাক, আসলে দুটি বস্তু পরস্পরে ফোটন কনা বিনিময় করতে থাকে , হায় হায় বলেন কি! তাহলে তোহ খালি চোখে বা কোন যন্ত্র ধরা পড়ার কথা। আজ্ঞে নাহ তা সম্ভব নয়। স্থির আধান থেকে ফোটন নিঃস্বরন কোন যন্ত্র ধরা পড়ে নাহ । কারন আমাদের মহাশয় হাইজেনবার্গ একটি তত্ত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন 10^-15 সেকেন্ড এর কম স্থায়িত্বকাল বিশিষ্ট কোন ফোটন যন্ত্রে সিগনাল তৈরি করতে পারে নাহ । ত্তাহলে তোহ এই ধরনের ফোটন একটু ভিন্ন ধরনের হয়ে গেল। আজ্ঞে হযা, তাই এর নাম দেয়া হয়েছে Firtual photon যা একেবারেই কনার ছায়ামাত্র ।
যেহেতু এরা ফোটন ক্যারি করে তাহলে তোহ এরা এক দিক দিয়ে শক্তি পরিবাহীর এর মত কাজ করে । চার রকমের কনার চার ধরনের বিষেষ কনা রয়েছে যারা ফোর্স ক্যারিয়ার নামে পরিচিত।
©somewhere in net ltd.