![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
More than 50% Sapiosexual
মৌলিক কনিকা সম্পর্কে আমাদের স্বল্প ধারনা থাকার পিছনে মুল কারন হলো আমাদের জানার আগ্রহ। তথাকথিত বই এর ভাষায় মৌলিক কনিকা হলো যাদের ক্ষুদ্রতর কোন ভিত্তি বা গাঠনিক একক নেই। এখনও প্রচুর পরিমানে গবেষনা করা হচ্ছে এই মৌলিক কনিকার শ্রেনিবিভাগ নিয়ে।
মৌলিক কনিকা গুলোকে মুলত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ
১.বোসন
২.ফার্মিয়ন
এদের সমন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করার আগে আমাদের স্পিন সমন্ধে একটু জেনে নেয়া দরকার। কারণ, স্পিনের উপর ভিত্তি করেই আমাদের এই মৌলিক কনিকার প্রকারভেদ করা হয়েছে। স্পিন হলো পৃথিবী, লাটিম যেমন নিজের অক্ষের সাপেক্ষে ঘোরে। তাহলে কি এই মৌলিক কনিকা গুলোও নিজের অক্ষের সাপেক্ষে ঘুড়বে? কোন একটি কনার স্পিন আছে নাকি এটা পরিক্ষালব্ধ ভাবে দেখা আজ পর্যন্ত সম্ভব হয় নি। যদি তড়িৎ আধান যুক্ত কনা হয় তাহলে ঘটনা একটু ভিন্ন ঘটতে পারে। আমরা জানি তড়িৎ আধান যুক্ত কনা গুলোর স্পিনের ফলে ক্ষুদ্র চুম্বকের মত সৃষ্টি হয়। পরিক্ষালব্ধ ভাবে যে চুম্বকক্ষেত্র এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তাই বলা যায় কনার স্পিন রয়েছে।
বোসন ও ফার্মিয়নের প্রথম পার্থক্যঃ প্রথমেই যেহেতু স্পিন সমন্ধে আলোচনা করা হয়েছে তাহলে এতটুকু পরিষ্কার যে স্পিনের উপর ভিত্তি করে এই শ্রেনিবিভাগ করা হয়েছে।
যেসব কনার প্লাংকের ধ্রুবক (h) পুর্ন সংখ্যা লাভ করে তাদের কে বোসন বলা হয়েছে। পুর্নসংখ্যা বলতে 1h, 2h, 3h কে বুঝাচ্ছে।
তাহলে আপনারা বলুন তোহ ফার্মিয়ন কে কিভাবে সজ্ঞায়িত করা যায়? ভাবুন ভাবুন!!
জ্বি! তাদের কে অর্ধেক করে ভগ্নাংশ আকারে আনতে হবে। তাহলে বলা যেতে পারে যেসব কনার প্লাংকের ধ্রুবক (h) বোসনের স্পিনের অর্ধেক হচ্ছে তারাই ফার্মিয়ন। যেমনঃ (1/2)h , (3/2)h , (5/2)h।
উপরের গুলো সহজে বুঝার উপায় হলেও এখন একটু কঠিনের দিকে আসি "কন্সার্ভেশন ল" নিয়ে। কন্সার্ভেশন ল এর উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় পার্থক্য গঠন করা হয়েছে।
এবার আসি কন্সার্ভেশন ল কি জিনিস?
দুটি মৌলিক কনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে যেহেতু নতুন কনার সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনেই এই বিক্রিয়া গুলোই ঘটা উচিত। সংঘর্ষ কখনই নিয়মের বাহিরে হয় নাহ। তাই এই নিয়মের নাম দেয়া হয়েছে কনসার্ভেশন ল।
কন্সার্ভেশন ল শুধু ফার্মিয়ন রাই মেনে চলে , বোসন এই সব ল এর ধারে কাছেও নেই । কন্সার্ভেশন ল এর একটু হালকা ধারন দেই, সংঘর্ষের আগে যতটুকু তড়িৎ আধান নিয়ে সংঘর্ষে জড়াবে, সংঘর্ষের পরেও ঠিক ততটুকু তড়িৎ আধান সংরক্ষন থাকবে। এটাকেই ইলেক্ট্রিক চার্জের ল অফ কন্সার্ভেশন বলে।
এখন আসি একদম সহজ ভাষায়, এই বিশ্বের পদার্থের উপাদান কনিকারা সবাই ফার্মিয়ন আর অন্তক্রিয়ার বাহক যারা তারা সবাই বোসন।
©somewhere in net ltd.