নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাতসাগর

সাতসাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপনের সাধারণ ইতিহাস

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

পার্বত্য চট্টগ্রামে কখন থেকে জনবসতি গড়ে উঠেছে তা নিয়ে যথেষ্ট তর্ক বিতর্ক রয়েছে। তবে এই লেখায় পার্বত্য এলাকার আদিবাসীদের বসতি স্থাপনের সাধারণ ইতিহাসকে পর্যালোচনা করা হবে। ভৌগলিক অবস্থার প্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে দূরধিগম্য অঞ্চল বলা যায়। ১৮৬০ সালে ইহাকে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে পৃথক করে একটি স্বতন্ত্র জেলায় পরিণত করা হয়। আর তাই এই পৃথকীকরণ স¤পর্কে বলতে গিয়ে তঞ্চঙ্গ্যা বীরকুমার (২০০৬) বলেন, চট্টগ্রামের সমতল অঞ্চলের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-প্রকৃতির যেমন মিল নেই আদিবাসীদের মধ্যেও তেমন মিল নেই। তাই বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার উপজাতীয় জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এই পর্বতসংকুল অঞ্চলকে পৃথক করা হয়ে থাকতে পারে। ইহা সম্পূর্ণভাবে বিভিন্ন মঙ্গোলীয় উপজাতীয় জনগোষ্ঠী দ্বারা অধ্যুষিত। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো বা মুরং, পাংখোয়া, লুসাই, বম, খিয়াং, খুমী, চাক এই এগারটি উপজাতীয় জনগোষ্ঠী প্রাক মোঘল যুগ থেকে এতদ অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। এই সকল উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর শারীরিক গঠন, মুখাবয়ব বা চেহারা এবং প্রকৃতি (স্বভাব চরিত্র) দেখতে প্রায় একই রকম। চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যাদের ভাষা ভারতীয় বগট্য ভাষার অন্তর্গত। লুসাই , পাংখোয়া, বম, খুমীদের ভাষা বুকী চীন ভাষার অন্তর্গত। অপর পক্ষে ত্রিপুরা কিংবা উচইদের ভাষা বোরো বা বাডো গ্র“পের । মারমা, খিয়াং চাকমাদের ভাষা তিবেতো বর্মন ভাষার অন্তর্গত। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাষা বাংলা হলেও বাংলাদেশের অপরাপর আঞ্চলিক ভাষার সাথে বিস্তর পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।



বীরকুমারের বক্তব্য অনুযায়ী বলা যায় চট্টগ্রামের সমতলের মানুষের ভাষা, বর্ণ, আচরণ থেকে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের ভাষা, বর্ণ, আচরণ ভিন্নতর। যা তাদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী থেকে স্বাতন্ত্র্যতাকে তুলে ধরে। তবে এই স্বাতন্ত্র্যতাধারী জনগোষ্ঠীর ক্ষুদ্র জাতিগুলো একই সাথে ঐ এলাকায় বসতি স্থাপন করেন নি। তাদের মধ্যে কোন জাতি আগে বসতি স্থাপন করেছে তাও বলা বেশ কঠিন। তঞ্চঙ্গ্যা বীরকুমার (২০০৬) তার লেখায় লেখেন যে “এদের মধ্যে কোন জনগোষ্ঠী কখন বা কোন সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে তা সঠিক বলা কঠিন। বিভিন্ন তথ্য ও উপজাতি সমূহের অবস্থানগতদিক বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় ‘কুকি’ নামক জনগোষ্ঠীই সর্বপ্রথম এতদ অঞ্চলে বাস করতো। অর্থাৎ তারাই এতদ অঞ্চলে ভূমিজ সন্তান। তা ছিল একাদশ শতকের গোড়ার দিকে। পরবর্তীতে এই ‘কুকি’ শব্দটি লোপ পায় কেননা তারা এই নামে পরিচিতি হতে চাইত না বা চায় না । তৎপরিবর্তে লুসাই, বনযোগী বা বম, পাংখোয়া (আবার বনযোগীরাই পাংখোয়া বলে পরিচয় দেয়) প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর নাম আবির্ভূত হয় বলে ঐতিহাসিকগণ মনে করেন। ক্রমে ক্রমে অপরাপর উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর আগমন ঘটে। তবে তাদের আগমন বা অবস্থান নিয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা কঠিন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্র পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়া যায় যে চৌদ্দ শতকের গোড়ার দিক হতেই ঐসব উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর এখানে আগমন ঘটে।”



আবার ত্রিপুরা সুরেন্দ্রলাল (১৭৭৯) তার ‘ত্রিপুরা পূজাপার্বন ঃ ১ম সংস্করন’ এ লেখেন যে, ১৫২৮ খৃষ্টাব্দে থেকে মহারাজ বিজয় মানিক্য নামে ত্রিপুরা রাজ্যের একজন পরাক্রমশালী রাজা ছিলেন। এই বিজয় মানিক্যের উপস্থিতির বিষয়টি দিল্লীর সম্রাট বাদশা আকবরের দরবারের ঐতিহাসিক আবুল ফজলের লেখালেখিতেও পাওয়া যায়। অন্যদিকে পাশ্চাত্য পর্যটক ঋরঃপয জধষঢ়য (১৭৭৯) তার ভ্রমণ বৃত্তান্তে উল্লেখ করেন “ঋৎড়স ঝধঃমধড়হ ও ঃৎধাবষবফ নু ঃযব বড়ঁহঃৎু ড়ভ ঃযব শরহম ড়ভ ঞৎধঢ়ঁৎধ”।



সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরা (১৭৭৯) এধমবঃঃবৎ ড়ভ ওহফরধ এর চৎড়ারহপরধষ ঝবৎরবং এর ‘ঊধংঃবৎহ ইধহমধষ ধহফ অংংধস’ গ্রন্থটির উল্লেখ করে বলেন যে, “ঃযব ধহপরবহঃ শরহমফড়স ড়ভ ঃরঢ়ঢ়বৎধ ধঃ াধৎরড়ঁং ঃরসবং বীঃবহফবফ রঃং ৎঁষব ভৎড়স ংঁহফধৎনধহ রহ ঃযব বিংঃ ঃড় ইঁৎসধ রহ ঃযব বধংঃ ধহফ হড়ৎঃয ড়িৎষফ ধং ভধৎ ধং শধসৎঁঢ়”।



অন্যদিকে দেওয়ান কুমার অশোক (১৯৯১) এর ‘চাকমা জাতির ইতিহাস বিচার, ২য় খন্ড’ লেখাটিতে চাকমা জাতির পার্বত্য এলাকায় গোড়াপত্তন দিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন “ষোড়শ শতকের গোড়ার দিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের উপস্থিতি প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য পাওয়া যায়। এই উপস্থিতি পঞ্চদশ শতাব্দীতেও হতে পারে। ১৫৫০ সালে পর্তুগীজ দলনেতা ঔড়ধড় উব ইড়ৎৎড়ং কর্তৃক অংকিত মানচিত্রে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ও স্থানের মোটামুটি অবস্থান নির্দেশ করা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ঈযধঃরমধস বন্দরের নাম দেখা যায়। তখন ইহা আরাকান রাজার অধীন ছিল। ঈযধঃরমধস এর দক্ষিণে অৎৎধপধস বা আরাকান রাজ্য, উত্তরে ঝরৎড়ঃব বা সিলেট। সিলেটের উত্তর পশ্চিম দিকে ঈড়সড়ঃড়র বা কামতা রাজ্য। ঞরঢ়ড়ৎধ বা ত্রিপুরা রাজ্যের অবস্থান দেখানো হয়েছে সিলেটের দক্ষিণ পূর্বে কিন্তু কর্ণফুলী নদীর উপরের অংশকে (অর্থাৎ চেঙ্গী, মাইনী, কাচালং অববাহিকা) উত্তরের দিক থেকে প্রবাহিত দেখানো হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর উপনদী চেঙ্গী ও মাইনী নদীর অববাহিকার উত্তরাংশ তৎকালে প্রকৃত পক্ষেই ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত বলে মনে হয়। ত্রিপুরা রাজ্যের কিঞ্চিৎ দক্ষিণ পূর্ব কোনায় মোটামুটি বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রামের মাঝামাঝি স্থানে ঈযধপড়সধং বা চাকমাদের অবস্থান দেখানো হয়েছে। ঔড়ধড় উব ইড়ৎৎড়ং নিজে এ সমস্ত রাজ্য ভ্রমন করেছিলেন বলে মনে হয় না। ধারণা হয় যে তিনি অপরের মুখে শুনে জায়গাগুলির অবস্থান তার মানচিত্রে নির্দেশ করেছিলেন।



তঞ্চঙ্গ্যা বীরকুমার (২০০৬) তার লেখায় আরো দেখান যে, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। তঞ্চঙ্গ্যাগণ বর্তমানে একটি পৃথক জাতিসত্ত্বার বিকাশমান জনগোষ্ঠী হলেও তাদের উৎপত্তির ইতিহাস চাকমাদের উৎপত্তির সাথে সামঞ্জস্য থাকার কথা স্বীকার করা হয়। পার্বত্য চট্রগ্রামের অপরাপর জনগোষ্ঠী লুসাই, পাংখোয়া, বমদের সমগোত্রীয় বলা যায়। তাদের আগমন পূর্বদিক বা ভারতের মিজোরাম হতে। লুসাইরা রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি থানার সাজেক উপত্যকায়, পাংখোয়ারা রাঙামাটি সদর থানার বসন্ত মৌজায়, বিলাইছড়ি থানায় পাংখোয়া পাড়া, জুড়াইছড়ি থানায় দুমদুম্যা মৌজা, বরকল এলাকায় বসবাস করছে। ম্রো বা মুরুংদের ইতিহাসে জানা যায়। এককালে আরাকানের কোলাডান নদীর অববাহিকা থেকে খুমীদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে এতদ অঞ্চলে প্রবেশ করে। পরে খুমীরাও অপর একটি শক্তিশালী জনগোষ্ঠী দ্বারা বিতাড়িত হয়ে এতদ অঞ্চলে প্রবেশ করে বর্তমানে বান্দরবান জেলার দক্ষিণ ও পূর্ব প্রান্তে বসবাস করছে।



আবার কুমার অশোক (১৯৯১) তার আলোচনায় আরো বলেন যে, “পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের আগমনের পূর্বে এই অঞ্চলে কাদের বাস ছিল কি ছিল না সে কথা বলা কঠিন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পার্বত্য এলাকা এবং কর্ণফুলী অববাহিকাসহ চেঙ্গী, কাচালং প্রভৃতি নদীর উর্বর সমভূমি অঞ্চল চিরকালই জনবসতিহীন গোত্রের জুম্ম কৃষিজীবী এবং শিকারজীবী কিছু অনুন্নত যাযাবর জনগোষ্ঠী এই অঞ্চলে পরস্পর বিচ্ছিন্ন অবস্থানে বাস করতো। এরা ছিল নিতান্তই বন্য স্বভাবের। কুকি নামে অভিহিত এসব দুর্দান্ত প্রকৃতির জনগণের সঙ্গে নিুাঞ্চলের বাঙালি অধিবাসীদের যোগাযোগ অত্যন্ত শিথিল থাকার কথা। চট্টগ্রাম অঞ্চল ছিল একটি জনবিরল এলাকা স্বল্প সংখ্যক বাঙালিদের বসবাস ছিল প্রধানতঃ সমুদ্রোপকুলবর্তী অঞ্চলে। অরণ্যাবৃত, শ্বাপদ সংকুল এই দুর্গম পার্বত্য ভূমি নিুাঞ্চলের বাঙালিদের নিকট অনেকটা অনাবি®কৃত একটি ভূখন্ড হিসেবে পরিগনিত থাকাই স্বাভাবিক। মনে হয় চাকমাদের আগমনের পরেই নিুভূমি বাঙালিদের নিকট এ অঞ্চলের দ্বার উন্মুক্ত হয়। চাকমারা জুম কৃষিজীবী হলেও সমতলবাসী। চাকমাদের চরিত্রে এই দিকটি লক্ষ্য করে খবরিহ (১৮৬৯) তাদের “খ্যাংথা” বা নদী তীরবর্তী লোক বলে অভিহিত করেছেন। অধিকন্তু বাঙালি ভাষী সুতরাং এত দিন পর্যন্ত পর্বতচূড়ায় বসবাসকারী দুর্দান্ত প্রকৃতির বিভাষীয় এবং বিজাতীয় জনগণের স্থলে বাংলা ভাষী শান্তি প্রিয় এবং বন্ধুভাজন চাকমাগণ উপস্থিত হওয়ায় সুনাব্য কর্ণফুলী নদীর উপরিভাগ নিুভুমির বাঙালিদের নিকট খুলে যায় এবং ক্রমে উভয় স¤প্রদায়ের মধ্যে ঘনিষ্ট থেকে ঘনিষ্টতর যোগাযোগ স্থাপিত হয়”।



আবার অষর গধযধসঁফ (১৯৯৩) তার ‘ঞযব ঋবধৎভঁষ ঝঃধঃব: চড়বিৎ, ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ওহঃবৎহধষ ধিৎ রহ ঝড়ঁঃয অংরধ’ হতে বলেন, “আজকের যে পার্বত্য অঞ্চল তা বাংলার অংশ হিসেবেই ব্রিটিশদের শাসনভুক্ত হয়। কিন্তু প্রাক ব্রিটিশ আমলে সমতলের মানুষের ভূমির অভাব ছিল না। আবার তখন যোগাযোগের ব্যবস্থাও ছিল বেহাল। তাই তখন পার্বত্য ঐ এলাকা গুলোতে সমতলের বা বাঙালিদের বসতি স্থাপনের দরকার যেমন ছিল না তেমনি সুযোগও ছিল অপ্রতুল”।



অষর এর আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে, প্রাক ব্রিটিশ আমলে পাহাড়ী অঞ্চলে বাঙালিদের নিবাস ছিল না বললেই হয়। তাই পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহাসিকতার বিচারে আমরা কতগুলো বিষয়কে ফোকাস করতে পারি। প্রথমত, পার্বত্য অঞ্চলের আজকের যারা অধিবাসী (পাহাড়ী) তারা সবাই পার্বত্য অঞ্চলের পার্শ¦বর্তী এলাকা থেকে আসা জনগোষ্ঠী। তবে তাদের এই আগমন সা¤প্রতিক কালের কোন ঘটনা নয় বরং তার বিস্তার ঘটে ব্রিটিশ পূর্ব যুগ/আমলে। তাদের এই আগমন ঘটে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাকে সামনে রেখে। দ্বিতীয়ত, তারা (পাহাড়ী) বাইরে থেকে আসলেও পার্বত্য অঞ্চলে গোড়াপত্তনকারী জনবসতির মধ্যে অন্যতম। তাই একভাবে তারা পার্বত্য এলাকার আদি বাসিন্দা হিসেবে দাবি করতে পারে। তৃতীয়ত, আজকের যে বাঙালি তাদের অবস্থান ছিল সমতলে তারা সমতলের চাষাবাদ ও সাংস্কৃতিক উপাদান দ্বারা চালিত একটি গোষ্ঠী। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ের বাস্তবিক প্রয়োজন মেটাতে ও ক্ষমতার বলে তারা সেখানে ক্রমান্বয়ে তাদের উপস্থিতির বিস্তার ঘটায়। ফলে বাঙালিরা কোনভাবেই পার্বত্য অঞ্চলের আদি নিবাসকারী জনগোষ্ঠীর কাতারে পড়ে না। চতুর্থত, আজকের যে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র তার জন্মের সময় নির্ধারিত সীমানার মধ্যে একটা অঞ্চল হলো পার্বত্য অঞ্চল। তবে দেশের মধ্যকার সমস্ত অঞ্চলে ক্ষমতাশীন জাতির (বাঙালি) আধিপত্যের বা গোড়াপত্তনের ইতিহাস থাকবে তা নয়। বরং আধুনিক রাষ্ট্রের নীতি অনুযাযী পার্বত্য অঞ্চলের উপর রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব থাকবে এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু নিদিষ্ট অঞ্চলের ইতিহাসের উপর বলপূর্বক কর্তৃত্বের বিষয়টা দৃষ্টিকুটুই বটে।



তাই পার্বত্য অঞ্চলের বসতি স্থাপনের ঐতিহাসিকতার বিচারে বাঙালি নয় বরং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা তথা বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীই প্রথম ঐ অঞ্চলে বসতি গড়ে তোলে। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ইতিহাসও ঐতিহাসিকতার সাথে ওতোপ্রতোভাবে যুক্ত। যা আমাদের ইতিহাসের নির্মিতিকে বুঝতে সহায়তা করবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮

গরল বলেছেন: তাদের মানে উপজাতিদের পূর্বপূরুষেরা কোথা থেকে এসেছিল সেটা নিে কি কোন গবেষণা হয়েছিল? তাদেরকে দেখলে কখনো মঙ্গল, কখনো থাই বা কখনো তিব্বতীয় মনে হয়। এ নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.