![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতি সিলেট মেডিকেলে নার্সদের সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটা সংঘর্ষ হয়ছে। ঘটনা সিলেটের অথচ আন্দোলন করছে ঢাকা নার্সিং ইন্সটিটিউটের নার্সসহ দেশের সকল নার্স। নার্সরা কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হয়েই এর প্রতিবাদে নেমেছে। অথচ ঢাকা মেডিকেলে যখন চিকিৎসক প্রহৃত হলো তখন ঐ ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষেরই তেমন কোন মাথা ব্যাথা ছিলোনা। সিলেট মেডিকেলে ঘটনার শিকার এক জুনিয়র নার্স। অথচ সিলেট, ঢাকাসহ সব যায়গায় নার্সদের আন্দোলন চলছে এবং সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে সিনিয়র নার্সরা। মিডিয়ার সামনে কথা বলছেও তারা। এততুকু ঐক্য যদি আজ আমাদের দেশের চিকিৎসকদের মধ্যে থাকতো তাহলে চিকিৎসকরা এভাবে নির্যাতিত হতোনা। ঢাকা মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা যখন ধর্মঘটে গিয়েছিল তখনও কিন্তু সেই ঢাকা মেডিকেলেই IMO, HMO, Consultant, Professor সবাই রোগীদের চিকিৎসা সেবা ঠিকই দিয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যম ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য ধর্মঘটে যাওয়াকে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অথচ চিকিৎসকদের সাথে ঢাকা মেডিকেলের নার্সদের কোনরুপ সংঘর্ষ না হওয়া সত্তেও ঢাকা মেডিকেলের নার্সরা যখন ধর্মঘটে যায় তখন মিডিয়ার ভুমিকা কিন্তু নার্সদের পক্ষেই। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা একটি সমন্বিত বিষয়। ডাক্তাররা ধর্মঘটে গেলে যেমন চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয় তেমনি নার্সরা ধর্মঘটে গেলেও সেই একই ভাবেই চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়। খুব অল্প সময়ের ব্যাবধানে চিকিৎসকরা এবং নার্সরা ধর্মঘট করলো। কিন্তু মিডিয়া সবসময় চিকিৎসকদের সবকিছুই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই তুলে ধরলো। চিকিৎসকদের সব কিছুকে এভাবে নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করা আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থা ধংসের চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই না।
প্রতিটি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা একটি সমন্বিত বিষয়। এখানে ডাক্তার থেকে শুরু করে নার্স, ওয়ার্ডবয় এমনকি সুইপার সবারই কমবেশি ভুমিকা আছে। কিন্তু সবার চিন্তা ভাবনাটা এমন যে হাসপাতালে নার্স, ওয়ার্ডবয় সুইপার সবাই যেন খুব সুন্দরভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে আর চিকিৎসকরাই কেবল দায়িত্তে অবহেলা করছে। সবাই কেবল হাসপাতালে চিকিৎসকের ভুল খুজতেই ব্যস্ত। যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় অথবা চিকিৎসা দেয় তারা সবাই এটা জানে যে রোগীর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নার্সদের গাফিলতি কতটুকু। কিন্তু সেগুলো দেখার কেও নেই। আমি ইন্টার্নি সময়ে দেখেছি যে এই নার্সরা জুনিয়র ডাক্তারদের কতটা অবমূল্যায়ন করে। বিশেষ করে বয়স্ক নার্সরা এই কাজটা বেশী করে। কর্মক্ষেত্রে ডাক্তার নার্স একসাথে কাজ করলেও পদাধিকার বলে ডাক্তার আর নার্স কখনই সমান না। যেমন সমান না একজন জুনিয়র ডক্টর এবং একজন কনসালটেন্ট। চিকিৎসক যদি কর্মক্ষেত্রে তার সহকর্মীর কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মানটুকু না পায় তখন মনে একধরণের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রোগীর সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোথাও যদি কোন নার্স ভুল করে আর চিকিৎসক যদি সেই নার্সকে তার ভুলটি ধরিয়ে দেয় আর সেই নার্স যদি তখন উল্টা চিকিৎসকের সাথেই তর্ক শুরু করে দেয় তাহলে কর্মক্ষেত্রের সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকেনা। MBBS পাশ করার পর থেকে আজ পর্যন্ত যত হাসপাতালে কাজ করেছি, এই সত্যটিই বিস্ময় নিয়ে আবিস্কার করে চলেছি যে কোন নার্স কখনই তার ভুল স্বীকার করতে অভ্যস্ত না। আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার সবারই আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে একজন নার্সকে তার ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য সে উল্টা চিকিৎসকের সাথেই উগ্র পন্থায় তর্ক শুরু করে দিবে। ইণ্টার্নীর সময় সার্জারি ওয়ার্ডে যখন placement ছিলো তখন প্রতিদিন প্রায় ৬/৭ টা রোগীর ড্রেসিং করতে হতো। এক রোগীর ড্রেসিঙের কাজে ব্যবহৃত ইন্সট্রুমেন্ট (artery forcep, plain forcep, scissor etc) properly sterilization না করে তা দিয়ে আরেক রোগীর ড্রেসিং করা উচিৎ নয়। কারণ এতে জীবাণুর সংক্রমণ এক রোগী থেকে আরেক রোগীতে খুব সহজেই ছড়িয়ে যায়। এই sterilization এর কাজটা হাসপাতালে নার্সরাই করে থাকে। কিন্তু সেই সময় এই সহযোগিতা তাদের কাছে আমরা পাইনি। তারা সরাসরি বলে দিত এতবার এই instruments sterilization করা তাদের পক্ষে সম্ভব না। তখন বাধ্য হয়েই ২/১ টা বেশী খারাপ রোগীর ক্ষেত্রে শুধু ইন্সট্রুমেন্ট sterilize করাতাম আর বাকী রোগীর ক্ষেত্রে বাধ্য হয়েই স্পিরিট দিয়ে সেই instruments গুলো ধুয়ে আমরা কাজ চালাতাম। আমি মানলাম যে একটা ওয়ার্ডের এতগুলো রোগীর ড্রেসিঙের জন্য বারবার এতগুলো ইন্সট্রুমেন্ট sterilization করা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু রোগীর স্বার্থে এই কাজটাতো তাদের করার কথা। হাসপাতালে কোন রোগীর খিঁচুনি হলে অনেক সময় আমরা Phenobarbitone injection আমরা ব্যবহার করি। এই injection শিরা পথে দিতে হয় এবং খুব ধীরে ধীরে কমপক্ষে ৫ মিনিট সময় ধরে। তারাতারি দিলে এটা respiratory arrest করতে পারে। কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত কোনদিন কোন নার্সকে দেখলামনা যে এই injection টা খুব ধীরে ধীরে দিতে। আসলে বলতে চাইলে এরকম অনেক উদাহরণ তুলে ধরা সম্ভব। আমি ২০১০ সালে ঢাকা মেডিক্যালে অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে শিশু বিভাগে ১ বছর কাজ করেছিলাম। একরাতের ঘটনা। সেটা ছিল আমার ইউনিটের admission night. রাত ১১ তার সময় নার্স আমাকে এসে বলল, “ রাত ১ টার পর আর কোন রোগী ভর্তি দিবেননা। আর রোগী ভর্তি দিলেও আমি কোন রোগীর ক্যানুলা করতে পারবোনা।“ কথাটা শুনেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। কিন্তু কিছুই করার নেই। কারণ রাগারাগি করলে যতটুকু সহযোগিতা পাওয়ার তাও পাবোনা। ভদ্র ভাবে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে ঢাকা মেডিকেলের মতো একটা যায়গায় সারা রাতই রোগী আসবে। খারাপ রোগী আসলে ভর্তি দিবোনা তা কি হয়? Ultimately ঐ রাতে ঠিকই রোগী এসেছে। রোগী ভর্তিও দিতে হয়েছে এবং তাদের ক্যানুলা শেষ পর্যন্ত আমাকেই করতে হয়েছে। এর মাঝে রোগী মারা গেছে সেই situation সামাল দিতে হয়েছে, খারাপ রোগী যা আগেই ভর্তি ছিল তাদেরকেও দেখতে হয়েছে। সরকারী হাসপাতালে এই নার্সদের কোন জবাবদিহিতা নাই। প্রতিনিয়তই এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। দেখার কেও নাই। আরেক admission night এর ঘটনা। Severe respiratory distress নিয়ে এক বাচ্চা রোগী এসেছে। অক্সিজেন দিতে হবে, সাকশন দিতে হবে। নার্স নাই। নার্সের রুমে গিয়ে দেখি সেখানেও কেও নাই। নিজেকেই সাকার মেশিন নিয়ে এসে সাকশন দিতে হয়েছে, পাশের ওয়ার্ড থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার খুঁজে এনে অক্সিজেন দিতে হয়েছে। অনেকক্ষণ পরে কর্তব্যরত সেই নার্সের দেখা পেলাম। জানতে পারলাম সে আরেক ওয়ার্ডে আরেক নার্সের সাথে সে গল্প করতে গিয়েছিলো। ওয়ার্ডে যখন কোন মৃত্যুপথযাত্রী রোগী আসে আর আমি দেখি যে আমাকে সাহায্য করার জন্য আমার আসেপাশে কোন helping hand কেও নাই। তখন ঐ রোগীর attendantsদের চেয়ে নিজেকেই বেশি অসহায় লাগে। এসব নিয়ে আসলে নার্সদের প্রতি কখনোও কেও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ আনেনি। আসলে এরকম কোন এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সিলেট মেডিকেলে পুঞ্জিভূত ক্ষোবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিলো। সিলেট মেডিকেলের ঐ চিকিৎসক নিজের রাগকে সামাল দিতে পারেনি বলেই সেই রাতে এরকম এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিলো। ঘটনা যখন এতদূর গড়িয়েছে তখন চিকিৎসকদেরও উচিত এই বিস্ময়গুলোকে সামনে নিয়ে আসা। এই ঘটনাগুলো প্রতিনিয়তই ঘটছে, এসব নিয়ে চিকিৎসকদেরও ক্ষোভ আছে কিন্তু এসব সমাধানের কোন চেষ্টা নেই কারো। একক ভাবে শুধু ডাক্তারকে নয়, বরং নার্স, আয়া, ওয়ার্ডবয় সবাইকেই জবাদিহিতার আওতায় আনা উচিত। হাসপাতালে রোগী যেহেতু ডাক্তারের কাছেই আসে তাই রোগীরা সব সমস্যার সমাধান ডাক্তারের কাছেই চায়। আর এসব সমাধান না পেলেই সব দোষ ঐ নন্দঘোষ। সময়মত নার্স ইঞ্জেকশন দেয়নি-দোষ ডাক্তারের, দুপুরে খাবার পায় নাই, সুইপার ওয়ার্ড পরিষ্কার করেনাই- ডাক্তারের দোষ। বিছানা পায়নি, মাটিতে শুতে হয়েছে তাও ঐ ডাক্তারের কারনেই। এই কয়দিন বেশ কিছু টক শো দেখলাম। সেসব টক শোতে নার্সদের প্রতিনিধিত্ত যারা করলেন তাদেরও বড় বড় বুলি আওরাতে শুনলাম। একজন সেদিন বলছিল যে চিকিৎসা এবং সেবা দুটো আলাদা বিষয়। চিকিৎসার কাজটা চিকিৎসক করেন। কিন্তু রোগীর বিছানার পাশে গিয়ে সেবা দানের কাজটা কিন্তু ঐ নার্সরাই করে থাকেন। কিন্তু আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে যে রোগীর মেডিসিন দেয়া ছাড়া সেবা দানের আর যা যা কাজ আছে তার প্রায় প্রতিটা কাজই নার্সদের বলে বলে করাতে হয়। নিজে দায়িত্ত নিয়ে কোন নার্স এই কাজগুলো করেনা। আরেকটা অদ্ভুত বিষয় খেয়াল করেছি যে হাসপাতালে কোন রোগী তার বেডের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া কোন নার্সকে যদি বলে, “এই যে নার্স একটু শুনে যান” তাহলে সেটা সেই নার্সের খুব গায়ে লাগে। যদি কেও নার্সকে নার্স বলে ডাকে তাহলে কেন জানি সে খুব অপমানিত বোধ করে। ডাক্তারকে ডাক্তার বলে ডাকলে ডাক্তার সাহেবের জাত চলে যায়না। কিন্তু একজন নার্স কে নার্স বলে ডাকলে যেন তাদের জাত চলে যায়। তাদের নিজেদের এই পেশার প্রতি তাদের নিজেদেরই কতটুকু শ্রদ্ধাবোধ আছে সেটাই এক প্রশ্ন। তারপরেও নার্সদের মধ্যে কিছু ভাল নার্স যে নেই তা নয়। কিছু নার্স আছে যারা তাদের নিজ পেশার গুরুত্ব বোঝে, যারা চিকিৎসকদের তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়, যারা রোগীর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়, যারা নিজ দায়িত্তে তাদের কাজগুলো করে ফলে তারা যখন ডিউটিতে থাকে রোগীর সেবার ব্যাপারে অনেক নির্ভার থাকা যায়। যদিও তাদের সংখ্যা খুব কম।
যেখানে রোগীর attendants মাঝে মাঝেই অযথা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে শত্রু সুলভ আচরণ করে, যেখানে সাংবাদিক চিকিৎসকদের নামে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে শত্রুসুলভ আচরণ করে সেখানে নতুন করে আর কাওকে শত্রু বানানো উচিৎ হয়নি। একটু technically চললে অনেক অনাকাংক্ষিত ঘটনা সহজেই এড়ানো যায়। colleagues এর সাথ আজ যদি কোন বিষয়ে ঝামেলা হয়; খুব বেশী হলে তা কথা কাটাকাটি পর্যায়ে যেতে পারে। কিন্তু আমি বা আমার colleague কেও কারো গায়ে হাত তোলার কথা চিন্তা করাতো উচিত না। আসলে “চিকিৎসা এক মহান পেশা”, “চিকিৎসকরা এই সমাজের সম্মানিত মানুষ” এসব নানা কথা মনের ভিতর ছোট বেলা থেকেই লালিত পালিত হয়। অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে একটা ছেলে বা মেয়ে যখন Final professional exam পাস করে চিকিৎসক হিসেবে তার কর্মক্ষেত্রে পদার্পণ করে তখন সে দেখে পরিবেশ যথেষ্ট প্রতিকুল।সে এতকাল যা জেনে এসেছে তার সাথে বাস্তব পরিস্থিতির অনেক কিছুরই মিল নেই। এই প্রতিকুলতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে যতটুকু সময় প্রয়োজন সেই তুলনায় ঐ ইন্টার্নশিপের ঐ এক বছর যথেষ্ট অপ্রতুল। একজন মারমুখী রোগীর attendants এর সাথে আসলে কিভাবে কথা বললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করতেও তো কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তার উপর রয়েছে সবকিছুতে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার বাড়তি চাপ। বেশীর ভাগ হাসপাতালে দুপুর ২ টার পর সিনিয়র চিকিৎসক তেমন কেও থাকেননা। ফলে রোগী চিকিৎসার গুরু দায়িত্ব এসে পরে ঐ ইন্টার্নদের উপর। সিনিয়র চিকিৎসকরা যদি এই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটু বেশী সময় দেন। যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তারাই যদি নিজ থেকে তার মোকাবেলায় এগিয়ে আসেন তাহলে অনেক অনাকাঙ্কিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে এবং ইন্টার্নদ চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্র আরেক্তু হলেও নিরাপদ হবে। ইন্টার্ন চিকিৎসক ছোট ভাইবোনদের প্রতি ছোট একটা পরামর্শ দিয়েই শেষ করবো। ধৈর্য্য সহকারে এবং ঠাণ্ডা মাথায় যে কোন প্রতিকুল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। একটা কথা মনে রাখবে, "রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন”।
২| ২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৪২
আমি নী বলেছেন: সমস্যার গভীরে যাওয়ার কোন ইচ্ছে কোন কর্তাব্যক্তির নেই, সাংবাদিক, সুশিল, বা জন গন কারো নেই। সবাই ঝাল-চানাচুর খাওয়ায় ব্যস্ত, তাই ভাতের ক্ষিধা মরে গেছে। এই মানসিকতা পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত শান্তি আসবেনা।
২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
Tareq Imtiaz বলেছেন: চিকিৎসা ব্যাবস্থার সব কিছু ঢেলে সাজাতে হবে। তা নাহলে এই সমস্যা থেকে সহসাই উত্তরণের কোন পথ নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৩৬
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: সবকিছুই একটা নিয়মের মাঝে আসা উচিত। আফসোস, সেই ছোটবেলা থেকেই আন্দোলন দেখে আসছি আর দেখে আসছি সেই আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে কিছু সাময়িক পদক্ষেপ। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী কোন গঠন মূলক পদক্ষেপ নিতে কোন সরকারকে আজ পর্যন্ত দেখি নাই।
বর্তমান সমস্যা নিয়েও কারো তেমন মাথা ব্যথা নাই। আমি ভাবলাম স্বাস্থ্যমন্ত্রী এতদিন ধরে চুপচাপ কেন ? উনাকে খুঁজতে গিয়ে দেখি উনি জাতিসংঘে অটিজম নিয়ে কি যেন প্রস্তাব পাশ করতে গেছেন ।
সবকিছুই হাস্যকর মনে হয় এজন্য, যেখানে যে দেশে সরকারী হাসপাতালগুলাতে এত দুর্নীতি, এত সংঘর্ষ, চিকিতসকদের বা অন্য রোগীদের নাই কোন দিরাপত্তা, নাই কোন সাংবাদিক আইন, যেখানে অক্সিজেন এর ট্যাংক মাঝে মাঝে ফাঁকা পাওয়া যায়, যেখানে অনেক সময় হাসপাতালের নেবুলাইজার চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীরা পাচার করে দেয় ক্লিনিকে, সেখানে আসল সমস্যাগুলার কোন সমাধান না করে আমরা অটিজম এর উপর তেমন কোন কাজ না করেই আমরা জাতিসংঘে প্রস্তাব রাখতে গেলাম।
বেসিক সমস্যা যেখানে সেগুলা র সমাধান না করলে হাসপাতাল আর হাসপাতাল থাকবে না। সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, রাজনৈতিক নেতাদের ক্যান্টিন এ মিটিং এর পর মিটিং, চিকিতসকদের উপর হামলা, রোগীর মৃত্যু (অবহেলাজনিত কারণে বা সুপারভাইজারদের অভাবে) চলতেই থাকবে।