![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবই সাদামাটা একজন মানুষ। শখের বশে লেখালেখি শুরু করেছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু লেখার। পছন্দ করি বই পড়তে।
যেকোনো মানুষের টাকা পছন্দ হলেও, জাল টাকা বা নোট কেউ পছন্দ করে না। বরং কোন কারণে জাল টাকা বা নোট হাতে আসলেই আমাদের বিপদ এবং দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়।
"জাল নোট " সম্পর্কে অধিকাংশ সহজ সরল মানুষ অবগত না হওয়ার কারণে অনেক দুঃখে পড়ে যায়। কেননা জাল নোট বা টাকা হচ্ছে দেখতে হুবহু আসল টাকা বা নোটের মতোই। সহজে অধিকাংশ মানুষ জাল টাকা চিনতে বা ধরতে পারে না।
তাই কোন মানুষই চায় না তার কাছে জাল নোট বা টাকা আসুক। কেননা জাল নোট বা টাকা রাখা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং জাল টাকা বা নোট রাখা দেওয়া বা নেওয়া উভয়ই ক্ষতিকারক।
জাল টাকার মতো ইসলামেও ইবাদতের ক্ষেত্রে জাল নোট বা টাকা রয়েছে। আমরা যেমন টাকা দিয়ে এই দুনিয়াবী সকল কিছু ক্রয় করতে পারি। ঠিক তেমনি আল্লাহ্র ইবাদতের মাধ্যমেও আমরা দুনিয়া এবং আখিরাতের সুখ সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারি।
এখন আল্লাহ্র ইবাদত করতে গিয়ে যদি কেউ জাল নোট বা টাকার মতন জাল ইবাদত করে। তখন তা আল্লাহ্ গ্রহণ করেন না। বরং দুনিয়ায় যেমন জাল নোটের লাঞ্চনা এবং শাস্তি পোহাতে হয়। ঠিক তেমনি জাল ইবাদতের জন্যেও আখিরাতে রয়েছে লাঞ্চনা এবং শাস্তি।
সুতরাং আমাদের প্রত্যেকের উচিত জাল ইবাদত থেকে বিরত থাকা।
এখন আমাদের প্রশ্ন আসতে পারে, ইবাদত তো বুঝি। কিন্তু জাল ইবাদত কী?
জাল ইবাদত হলো- ঐ ইবাদত, যে ইবাদতের স্বীকৃতি রাসূলুল্লাহ সাঃ কিংবা তার সাহাবী, তাবেয়ী, তবেতাবেয়ী রাঃ গণ দিয়ে যাননি।
আসল নোট বা টাকা যেমন সরকার কতৃক স্বীকৃত। ঠিক তেমনি আসল ইবাদতও রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং সাহাবীদের রাঃ থেকে স্বীকৃত।
কেউ যদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে বা অগ্রাহ্য করে নিজের লাভের জন্য জাল টাকা তৈরি এবং বিতরণ করে। তাহলে তাকে অবশ্যই আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে এবং শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
ঠিক তেমনি কেউ যদি সুন্নাহর অনুসরণ না করে নিজ দায়িত্বে জাল ইবাদত শুরু এবং প্রচলন করে। তাহলে তাকে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ঘৃণা এবং আল্লাহ্র শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
এইকারণে আমাদের জানা উচিত, জাল নোটের মতো জাল ইবাদত কী?
জাল ইবাদত হলো "বিদআত"। আর বিদআত হলো, যে ইবাদত রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং সাহাবী, তাবেয়ী, তবেতাবেয়ী রাঃ গণ করেননি এবং তাঁদের দ্বারা স্বীকৃত নয়।
সুতরাং যেকোনো ইবাদত যা আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য করা হয় তা অবশ্যই বিদআত মুক্ত হতে হবে। যদি ইবাদত বিদআত যুক্ত তথা জাল হয়, তবে তা কখনোই আল্লাহ্ গ্রহণ করবেন না।
অথচ আমরা পূর্বপুরুষদের অনুসরণে কিংবা বাপ-দাদার অনুসরণে আজ এমন অসংখ্য বিদআত তথা জাল ইবাদত সৃষ্টি করেছি এবং করে যাচ্ছি। যা কখনোই রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে স্বীকৃত নয়।
আমরা সহজ সরল এবং জ্ঞানহীন হওয়ার কারণে যেমন জাল নোট চিনতে পারি না। ঠিক তেমনি ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণেও জাল ইবাদত তথা বিদআত সম্পর্কেও জানি না।
অতএব, আমাদের উচিত ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জানার চেষ্টা করা। কেননা ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জানলেই তবে সঠিক ইসলাম পালন করা যাবে।
আসুন জাল নোটের মতো জাল ইবাদত তথা বিদআত পরিহার করি। সুন্নাহর অনুসরণে জীবনযাপন করি।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে ক্লিক করুন -
বিদআত কী? এবং এর পরিনাম
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
২৩ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৩
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
তবে খারাপে মজাও বেশী! তাই সবাই খারাপটাই বেশী করতে চায়।
জাযাকাল্লাহ খাইরান।
২| ২৩ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:১৪
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: জাল মানে খারাপ। তবে মাছ ধরার জাল না।
২৩ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৩
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৩ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জাল ইবাদত (বিদআত) ঠেকান বড় কষ্টের। মানুষ চুরি করলে এক সময় উপলব্ধী আসে যে খারাপ কাজ করেছি; এমন ভাবে সব খারাপ কাজেই উপলব্ধী আসার সম্ভাবনা থাকে। তবে বিদআতকে যেহেতু মানুষ ভালো ইবাদত মনে করেই করে, তাই তাদের মধ্যে ঐ উপলব্ধী আনানোটাই কষ্টের।
২৩ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৫
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: আপনি চমৎকার বলেছেন
যারা বিদআত করে তারা নেকীর আশায় বিদআত করে। ফলে তওবা করার প্রশ্ন আসে না।
তবে মারাত্মক হয় তখন। যখন বিদআত একজনকে শিরকে নিয়ে যায় তখন।
৪| ২৩ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট কি জাল? না আসল?
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:০২
একজন নিষ্ঠাবান বলেছেন: জাল সবকিছুই খারাপ।