নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবই সাদামাটা একজন মানুষ। শখের বশে লেখালেখি শুরু করেছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু লেখার। পছন্দ করি বই পড়তে।
আমাদের বর্তমান আধুনিক মুসলিম সমাজে "জন্মদিন" পালন একটি ট্রেন্ড হিসাবে ধরা দিয়েছে। আধুনিক পশ্চাত্য জীবনযাপনের অনুসরণে সাধারণ মুসলমানগণ নিজের অজান্তেই পা দিচ্ছে পাপের গন্তব্যে। কেননা এই জন্মদিন পালন কখনোই ইসলামী সংস্কৃতি নয়। তাই আসুন দেখি কুরআন এবং হাদিসের আলোকে কেন ইসলাম জন্মদিন পালন সমর্থন না।
জন্মদিনের ইতিহাস
লিখিতভাবে জন্মদিনের কথা প্রথম জানা যায় বাইবেলের জেনেসিস অধ্যায় থেকে। মিশরের ফারাওদের জন্মদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন ছিল মিশরে। বাইবেলে জন্মদিনের কথা বলা থাকলেও সেটি জন্মের দিন নাকি সিংহাসনে বসার দিন সেটি নিয়ে ইজিপ্টোলজিস্টদের মাঝে বিতর্ক রয়েছে।
প্রাচীন মিশরে ফারাওদেরকে ঈশ্বর মনে করা হতো আর সিংহাসনে বসার দিনটিকে মনে করা হতো তাদের মানুষ থেকে ঈশ্বরে রূপান্তরের দিন। তাই ঠিক কোন দিনটির কথা বলা হচ্ছে সেটি পরিষ্কার বোঝা না গেলেও ফারাও এর জন্মের দিন কিংবা ‘ঈশ্বরে রূপান্তরের দিনটিকে’ বেশ ধুমধামের সাথেই পালন করা হতো। বাইবেলে বর্ণিত এই ফারাও ছিলেন ইউসুফ (আ) এর সময়ের ফারাও, যে সময় ইউসুফকে (আ) যৌন নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। বাইবেলের বর্ণনা থেকে জানা যায়,
“তৃতীয় দিনটি ছিল ফারাউনের জন্মদিন। ফেরাউন তার সব কর্মকর্তাদের জন্য ভোজের আয়োজন করেন। ফেরাউন তার মদ-পরিবেশক ও রুটি প্রস্তুতকারককে ক্ষমা করে দিলেন”। [ওল্ড টেস্টামেন্ট, জেনেসিসঃ ৪০-২০]
সে সময়ে সাধারণ মানুষদের জন্মদিন পালনের কোনো তথ্য ধর্মীয় কিংবা সাধারণ ইতিহাসে পাওয়া যায় না। ইউরোপেও জন্মদিন পালন শুরু হয় গ্রীক দেবি আর্টেমিসের জন্মদিনে চাঁদ আকৃতির কেক উৎসর্গ করে। ঠিক কীভাবে জন্মদিনের প্রথা গ্রীসে গিয়েছে সেটা জানা না গেলেও ধারণা করা হয় মিশরীয়দের ফারাওয়ের জন্মদিন পালন করার রীতি অনুসরণ করে গ্রীকরা তাদের দেব-দেবীদের জন্মদিন পালন করা শুরু করে। আসুন আমরা দেখি বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসে কীভাবে জন্মদিন পালন শুরু হয়েছে।
ইহুদি ধর্মে জন্মদিন
ইহুদি ধর্মে মানুষকে উৎসাহিত করা হয়েছে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় সজনদের জমায়েত করে ধর্মীয়ভাবে আনন্দ উদযাপনের সাথে জন্মদিন পালনের জন্য। ইহুদিদের অনেক রাবায়ি (আলেম) মনে করেন কোন ব্যক্তির জন্য তার জন্মদিনটি তার জন্য দোয়া কবুলের একটি বিশেষ দিন। আধুনিক জন্মদিনে ধর্মনিরপেক্ষ অনেক বিষয় থাকলেও এটা ধর্মীয় আচারেরই সার নির্যাস।
হিন্দুধর্মে জন্মদিন
হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রীয় বিবরণ ও জ্যোতিষ গণনার ভিত্তিতে লোক বিশ্বাস অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ৩২২৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের ১৮ অথবা ২১ জুলাই। এ দিনটি জন্মাষ্টমী নামে পরিচিত। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে। ভাদ্র ও মাঘ মাসের শুক্লা চতুর্থীকে গণেশ চতুর্থী বলা হয়। গণেশ চতুর্থী বা গণেশোৎসব যা হিন্দু দেবতা গণেশের বাৎসরিক পূজা-উৎসব। হিন্দু বিশ্বাসে এই দিনটি গণেশের জন্মদিন।
হিন্দু ধর্মে দ্বাদশ অথবা ত্রয়োদশ বছরে জন্মদিন পালিত হয় ‘পৈত পরিধান উৎসব’ হিসেবে। বয়স পূর্তিতে শিশু একটি বড় সূতার কুণ্ডলী কাঁধের একপার্শ্বে ঝুলিয়ে রেখে পরিধান করে। এছাড়াও, এই উৎসবটি উপনয়ণ নামে স্বীকৃত। হিন্দুদের বর্ণপ্রথায় উচ্চতর বর্ণ হিসেবে ব্রাহ্মণ পরিবারের সংস্কৃতিতে এ উৎসবটি মূলতঃ বালকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বৌদ্ধধর্মে জন্মদিন
আমরা সবাই বুদ্ধ পূর্ণিমার কথা জানি। বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। বৌদ্ধধর্ম মতে এই পবিত্র তিথিতে বুদ্ধজন্মগ্রহণ করেছিল, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিল এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিল।
এই দিনে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা স্নান করে, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকে। ভক্তরা প্রতিটি মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হয়। এছাড়া বুদ্ধরা এই দিনে বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেদ প্রার্থণাও করে থাকে।
খৃষ্টানধর্মে জন্মদিন
ক্রিস্টমাস খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর রোমান ক্যাথলিক ও প্রটেস্টান্ট চার্চের অনুসারীরা যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এ উৎসব পালন করে। খ্রিস্টিয় ২০০ সাল থেকে এ উৎসব পালন শুরু হয়। ৩৫৪ সালে দিনটিকে যিশুর জন্মদিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং এ ঘোষণা ৪৪০ সালে পোপ স্বীকার করেন। মূলত পৌত্তলিক রোমানদের উৎসবের বিপরীতে ক্রিস্টমাস পালন শুরু হয়। মূলকথা বলতে গেলে জন্মদিনের ব্যাপক প্রচলন খৃষ্টানদের মাধ্যমেই ছড়িয়েছে।
সামগ্রিকভাবে জন্মদিন পালনের ইতিহাস
ধর্মীয় বেড়াজালের বাইরে প্রথম জন্মদিনের কথা জানা যায় রোমে। রোমে সাধারণ জনগণ পরিবার ও বন্ধুদের জন্য জন্মদিনের পার্টি শুরু করে। এমনকি বিশেষ ক্ষমতাশালী ও সম্মানিত ব্যক্তিদের জন্মদিনে সরকারিভাবে ছুটিও চালু হয়। তবে জন্মদিন পালন শুধুমাত্র পুরুষদের জন্যই ছিল। নারীদের জন্মদিন পালনের কোনো রীতি তখনো চালু হয়নি।
প্যাগান সমাজে জন্মদিন পালনের রীতি থাকলেও সেমেটিক সমাজে জন্মদিন মোটেও স্বাভাবিক নিয়ম ছিল না। বরং প্যাগানদের থেকে উৎপত্তি হবার কারণে ইহুদী ও খ্রিস্টানরা প্রথমদিকে জন্মদিন পালনকে শয়তানের রীতি হিসেবে মনে করতো।
তবে খ্রিস্টানদের ধ্যানধারণা পাল্টাতে থাকে চতুর্থ শতাব্দীর পর থেকে। প্রথমদিকে কোনো নিয়ম না থাকলেও চতুর্থ শতাব্দীর পর থেকে ঈসা (আ.) এর জন্মদিন পালন শুরু করে খ্রিস্টানরা। এর ফলে খ্রিস্টান চার্চগুলো জন্মদিন পালনে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে থাকে। প্রথমদিকে ধর্মীয় চরিত্রগুলোর মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষেরাও কেউ কেউ জন্মদিন পালন শুরু করে। বর্তমানে ক্রিসমাস পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।
এটা কাদের সংস্কৃতি
উপরোক্ত জন্মদিনের ইতিহাস থেকে আমরা এটা সুস্পষ্টভাবে জানতে পারলাম যে, এই সংস্কৃতির আশেপাশে ইসলামের নাম গন্ধও নেই। অর্থাৎ এটা স্পষ্টতই বিধর্মীদের আচার অনুষ্ঠান। যা তাদের মূলত ধর্মীয় অনুষ্ঠানই। পরবর্তীতে তাদের এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
যারফলে এই সংস্কৃতি বিশ্বের সব দেশ এবং জাতির মধ্যে তারা খুব সুক্ষ্মভাবে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। এতে করে তাদের দুটি লাভ সাধিত হয়েছে। এক হচ্ছে আর্থিক। অর্থাৎ জন্মদিন পালন নিয়ে যাবতীয় সামগ্রীর ব্যবসা। দুই হচ্ছে তাদের ধর্মীয় আচার এবং ধর্মবিশ্বাসকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে।
ইসলামের ইতিহাসে জন্মদিন
ইসলামে জন্মদিন বা জন্মবার্ষিকী পালন বলতে কিছু নেই। বছরের যে দিনটিতে কেউ জন্ম গ্রহণ করেছে, সেই দিনকে তার জন্য বিশেষ কোন দিন মনে করা বা এই উপলক্ষ্যে আনন্দ-ফুর্তি করা অথবা ইবাদতের উদ্দেশ্যে কোন আমল করার কথা কুরআন-সুন্নায় কোথাও কিছু পাওয়া যায়না।
খাইরুল কুরূনেও (সাহাবী ও তাবেঈন রা. এর স্বর্ণযুগ) জন্মদিন পালনের কোন অস্তিত্ব ছিল না। যদি জন্মদিন বলতে ইসলামে কোন কিছু থাকত তাহলে হাদীস ও ইতিহাসের কিতাব গুলোতে সাহাবী ও তাবেঈন রা. এর জন্মদিন পালনের কোন না কোন ঘটনা থাকত। অথচ তাদের জন্মদিন পালনের কোন প্রমাণ কোন সূত্রেই পাওয়া যায়না।
এমন কি জন্মদিনের বিশেষ কোন গুরুত্বই তাদের কাছে ছিল না। এর প্রমাণ মেলে তাদের জীবনী পর্যালোচনা করলে। সাহাবা ও তাবেঈন রা. এর জীবনী দিকে লক্ষ্য করলে এটা স্পষ্ট হয় যে, তারা কে কোন সনে জন্মগ্রহণ করেছেন তা কারো কারোটা জানা গেলেও কোন মাসের কোন তারিখে জন্ম করেছেন তা জানা খুবই দুস্কর।
এমনকি আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রবিউল আওয়াল মাসের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন এটা নিশ্চিত ভাবে জানা না থাকায় সীরাতপ্রণেতাদের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়।
ইসলামে জন্মদিন পালন গুরুত্ববহন করলে কমপক্ষে সে সময় সাহাবিদের সন্তান সন্তুতি জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের জন্মতারিখ সংরক্ষিত থাকত। তারা জন্মদিন ঘটা করে পালন করতেন। অথচ জন্মদিন পালন তো দূরের কথা তাদের জন্মতারিখই ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হয়নি।
এটা যদি ইসলামে পালনীয় বিষয় হতো বা গুরুত্ব বহন করত তাহলে অবশ্যই তারা তদাদের সন্তানদের জন্ম তারিখ সংরক্ষণ করতেন। এর মাধ্যমে এ কথা প্রমাণিত হয় জন্মদিন বলতে বর্তমানে যা বুঝায় তার অস্তিত্ব কখনোই ইসলামে ছিল না।
কেন জন্মদিন জায়েজ নয়
ইতিমধ্যে আমরা তথ্য প্রমাণাদি দ্বারা এটা বুঝতে পেরেছি যে, জন্মদিন পালন কখনোই ইসলামী সংস্কৃতি নয়। সুতরাং এটা যেকোনো মুসলিমের জন্য হারাম। কেননা ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার ধর্ম। ইসলামে অপূর্ণ বলতে কোনো শব্দ নেই। আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল সা. মানব জীবনের এমন কোনো দিক পরবর্তীতের জন্য বাকি রেখে যাননি। ঠিক এই জন্মদিন নিয়েও ইসলামের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,
"আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম"।[ সুরা মায়েদা ৫:৩ ]
অর্থাৎ আল্লাহ যখন দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলেন সেখানে নতুন করে কোনো কিছু (যা মূল নীতির সাথে সাংঘর্ষিক) যুক্ত হওয়ার অবকাশ নেই। আল্লাহ আরো বলেন,
"তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষথেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ কর। তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য সাথিদের অনুসরণ করনা। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর"। (সূরা আ’রাফঃ৩)
এখানে আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন যে, যা তিনি আমাদের অর্থাৎ মুসলিমদের নির্ধারণ করে দিয়েছেন তারই শুধুমাত্র অনুসরণ করা যাবে। তা বাদ দিয়ে অন্য কোনো জাতি ধর্ম গোষ্ঠীকে অনুসরণ করা যাবে না। আল্লাহ আরো উল্লেখ করেন,
"এরপর আমি আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি দ্বীনের বিশেষ বিধানের উপরঃ সুতরাং আপনি এর অনুসরণ করুন, মূর্খদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করবেননা"।(সূরা যাসিয়াঃ১৮)
সুতরাং আল্লাহ আমাদের যে নির্দিষ্ট নিয়মকানুনের মধ্যে একটি জীবনবিধান দিয়েছেন সেই বিধানেরই অনুসরণ করাই একজন মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। যেহেতু জন্মদিন পালন বা বার্ষিক কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের ইসলামের ইতিহাসে নেই। সেহেতু এটা পালন করা জায়েজ নয়। তারপরও আমরা যারা উদারপন্থী মুসলমান তাদের এটা মেনে নিতে কষ্ট হবে। তাই তাদের জন্য রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শিক মহামানব রাসুলসাঃ এর প্রসিদ্ধ হাদীস।
হযরত ইবনে উমার রাযি. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুরূপ অবলম্বন করে, সে তাঁদেরই দলভুক্ত। (সুনানে আবূ দাঊদঃ ৪০৩১)
অর্থাৎ কেউ ইসলামের আদর্শের বাইরে গিয়ে অন্য কোনো আদর্শ বা সংস্কৃতিকে পছন্দ করে লালন করে তাদের অনুসরণ অনুকরণে চলে। তবে সে ঐ দলের বা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হলো।
এখন যদি কেউ বলে আমি জন্মদিন হিসেবে শুকরিয়া স্বরূপ কিছু আমল (হুজুরদের দিয়ে দোয়া, একটি নির্দিষ্ট দিনে মানুষকে খাওয়ানো, কেক কাটা ইত্যাদি) করবো তাহলে এই ব্যাপারে কথা হলো, ইসলামে যে বিষয়টি নেই তা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত করা বিদআত। যা আল্লাহ্ ও রাসূল সা. কতৃক সরাসরি প্রত্যাখ্যাত। হাদীস শরীফে এসেছে –হযরত আয়েশা রাযি. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কেউ আমাদের এ শরীয়তে সংগত নয় এমন কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটালে তা প্রত্যাখ্যান করা হবে। (বুখারী, হাদীস ২৬৯৭)
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন কোন কর্ম করলো যাতে আমাদের নির্দেশনা নেই, তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (মুসলিম হাদিস ৪৩৮৫)
হযরত যাবের ইব্ন আব্দুল্লাহ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার মাঝে বলতেন, যাকে আল্লাহ হেদায়াত দেন তাকে ভ্রষ্টকারী কেউ নেই। আর যাকে পথভ্রষ্টকরেন তার জন্য হেদায়াত কারী কেউ নাই। নিশ্চয়ই সবচেয়ে খাটি কথা হল আল্লাহর কিতাব ও সর্বোত্তম দিশারী হল মুহাম্মাদ সা এর সুন্নাত এবং সর্ব নিকৃষ্ট কর্মহল (দ্বীনের মাঝে) নতুন কিছু উদ্ভাবন করা। প্রত্যেক নতুন উদ্ভাবিত বিষয়ই বিদআত; প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতাই জাহান্নামী। (সুনানে নাসাঈঃ১৫৭৭)
সুতরাং নিজ থেকে শুকরিয়ার ইবাদতের জন্যও কেউ কিছু করলে সেটা ইসলাম সমর্থন করে না। যা ইসলাম সমর্থন করে না তা পালন করলে আমরা বিদআত করছি। আর এই বিদআত ধীরে ধীরে একজন মুসলমানকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়। আল্লাহ আমাদের বিদআত সম্পর্কে জানার বোঝার সুযোগ দিন এবং সঠিক আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।
তথ্য সংগ্রহ এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার
https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://roar.media/bangla/main/history/history-of-birthday/amp&ved=2ahUKEwijr5e6pr77AhVI2DgGHZOLBDgQFnoECBAQAQ&usg=AOvVaw3pDv566QzSh5GtLWiH1vCU
মাওলানা মুহাম্মাদ আরমান সাদিক
ইফতা বিভাগ
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
১৯ অক্টোবর, ২০২১ ইংরেজী
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
২২ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২৪
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: প্রিয় সুহৃদ
আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, না লিখে রাখেনি। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হলো, জ্বী যেদিন আমার জন্ম হয়েছে, সেইদিন ই আমার মায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিলো। আমরা ভাইবোন নয় জন। সুতরাং গুরুত্ব আর কতটুকু হতে পারে!
আর শেষ প্রশ্নের উত্তর হলো, আমি এখানে ইসলামী চিন্তাধারা কী তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এতে আপনি কষ্ট পেলেও কিছু করার নেই। আর ইসলাম কেন এমন চিন্তা করে, তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণও রয়েছে।
ধন্যবাদ।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৮
আঁধার রাত বলেছেন: ইহা দ্বারা ইহা রা ইহাদের মশা মাছি তাড়াই। একটা আয়াত দেন যেখানে আল্লাহ জন্মদিন পালন হারাম বলে নাই। আপনার কাছে বা আবু হুরাইরার কাছে নতুন করে কোন ওহি নাজিল হয় নাই। ম্যাথমেটিক্যাল ইন্ডাকশন প্রসিডিউর প্রযোজ্য বলে মনেকরি না। আমরা কেউ ইবাদত মনে করে জন্মদিন পালন করি না। তাই ধর্ম এইখানে আপনি আপনার পকেটে রাখেন, জন্মদিনে আমরা আমাদের মত করে উৎসব করি। আল্লাহর ইসলাম আপনার ইসলামের চেয়ে অনেক সহজ।
হালাল ও হারাম স্পষ্ট, কোন বিষয় আপনার সন্দেহযুক্ত মনেহলে আপনি কইরেন না। আমার সন্দেহ যুক্ত মনে হচ্ছে না। আল্লাহ কোরআনে যা হারাম করেন নাই তা হারাম বলেন কেন? আপনার উপর কি ওহি নাজিল হয়েছে নতুন করে।
সেই কাজ গুলো করেন যেগুলোর প্রতিদানে আল্লাহ জান্নাত দেবে বলেছেন, সেই গুলো থেকে বিরত থাকেন যা করলে আল্লাহ জাহান্নামে দেবেন বলেছেন। এটি যদি গুরত্বপূর্ণ হত তাহলে আল্লাহ বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে বলতেন নিশ্চয় জন্মদিন পালনকারীকে জাহান্নামের লাকড়ী বানানো হবে। আল্লাহ তা বলেন নাই। আর আপনি এইখানে থেকে একটুকরা ঐখান থেকে আরেক টুকরা তুলে এনে বলবেন ইহা দ্বারা ইহাতে প্রমানিত হইলো যে জন্মদিন পালন করা হারাম, এই বালখিল্য আচরণ থেকে বিরত থাকুন।
২২ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩১
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন
আমি সুস্পষ্ট আয়াতের ভিত্তিতে কথা বলার চেষ্টা করেছি। আমি যদি কোন আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে থাকি তাহলে আপনি সেটা তুলে ধরুন। আর জন্মদিন পালন করার নিষেধাজ্ঞা কেন? এই ব্যাখ্যা করতে গেলে আরেকটি লেখা লিখতে হবে। যেখানে জন্মদিন পালনে ইসলামের সমস্যা কোথায় তা তুলে ধরার হবে।
আপনি ঠিক বলেছেন হালাল হারাম স্পষ্ট। অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট। তাহলে আপনার কাছে আমার প্রশ্ন "ইয়াবা" খাওয়া কি হারাম? কেননা ইয়াবার কথা কুরআন হাদিসের কোথাও উল্লেখ নেই।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫০
নতুন বলেছেন: কেন জন্মদিন জায়েজ নয়
ইতিমধ্যে আমরা তথ্য প্রমাণাদি দ্বারা এটা বুঝতে পেরেছি যে, জন্মদিন পালন কখনোই ইসলামী সংস্কৃতি নয়। সুতরাং এটা যেকোনো মুসলিমের জন্য হারাম।
হারাম ঘোষনা দেবার অধিকার কি কারুর আছে? না কি সেটা কোরানে বা হাদিসে হারাম হিসেবে উল্লেখ থাকতে হবে??
এই যে আপনি ব্লগিং করছেন এটাও ইহুদী/নাসারাদের আবিস্কার, কম্পিউটারে পর্ন দেখা যায় ব্লা ব্লা ব্লা..... এই তেনা প্যাচাইয়া এটাকেও হারাম ঘোষনা করা যায়....
আপনার প্রফাইলে লাল রং এর সাট পরিধান করেছেন সেটা সুন্নতি পোষাক না, বাংলাদেশী পোষাকও না, সেটা খৃস্টান/নাসারাদের পোষাক.... আপনি প্রতিদিন কতগুলি জিনিস করছেন যেটা অন্য ধর্ম বা কালচার থেকে এসেছে....
তাই শুধুই জন্মদিন পালনের উপরে ফোতয়া দিয়ে মানুষের মাঝে বিভক্তি সৃস্টি না করাই ভালো।
যেহেতু এটাে
২২ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৮
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: Comments
প্রিয় ব্লগার,
আপনার যুক্তি খুবই চমৎকার। প্রথমত আমি লাল শার্ট আলহামদুলিল্লাহ কখনো পড়িনি। যেটা দেখছেন সেটা লাল নয়। ওটা মেজেন্ডা কালার। দেখুন জন্মদিন পালন কেন হারাম সেটার ব্যাখ্যা খুবই ব্যাপক। এখানে কী কী কারণে জন্মদিন পালন জায়েজ নয় তা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামের চিন্তা চেতনা খুবই সুদূরপ্রসারী। তাই ইসলাম সরাসরি অনেক কিছু কে হারাম নাজায়েজ ফতোয়া দেয়নি। কিন্তু অনেক কিছু ধরনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যাইহোক ইনশাআল্লাহ কেন জন্মদিন হারাম তার একটি বিশদ ব্যাখ্যা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
আর বিধর্মীদের অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু দুনিয়াবী কোনো সুযোগ সুবিধা নেওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে বলে আমার জানা নেই। যদি থাকে তাহলে জানাবেন। কৃতজ্ঞ হবো।
সুতরাং সেই হিসাবে বিধর্মীদের দ্বারা যেকোনো কিছু ব্যবহারের ইসলামের বাঁধা নেই। তবে আমরা তাদের ধর্মীয় কোনো কিছুই গ্রহণ করতে পারবো না।
আর সুন্নতি পোশাকের কথা বলছেন, পোশাকের ইসলামী বিধান হলো ডিলাডালা পোশাক পরিধান করা। বর্তমান পৃথিবীতে শার্ট কারো নির্দিষ্ট ধর্মীয় পোশাক নয়। যেমন হিন্দুদের ধুতি,। হুজুরাও জুব্বা পড়ে পাদ্রীও কিন্তু জুব্বা পড়ে।
অন্য কালচার থেকে আসলেই যে পরিত্যাগ করতে হবে এমন নয়। পরিত্যাগ তখনই করতে হবে, যখন তা সরাসরি অন্য ধর্মের নির্দশন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত থাকে। আর জন্মদিনের ইতিহাস সরাসরি অন্যান্য ধর্ম থেকেই এসেছে। আর কেন এটা হারাম হবে তার একটা এবং বৃহৎ কারণ হচ্ছে "ব্যাক্তি পূজা"। জন্মদিন পালন করার ফলে ব্যাপকভাবে ব্যাক্তি পূজার উদ্ভব হয়েছে। যা অতীতে ছিলো না। আর ইসলাম এই কারণেই এটাকে নিষিদ্ধ করে।
আর আমি মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য লেখা লিখিনি। আমি মুমিন মুসলমানদের জন্য লিখেছি। এই লেখা নাস্তিক, মুরতাদ, সংশয়বাদী, মুনাফিক এবং বিধর্মীদের জন্য নয়। সুতরাং তারা এই বিষয়ে চিন্তা করার কোনো দরকার নেই।
ধন্যবাদ। ভালোবাসা অহর্নিশ।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৭
রানার ব্লগ বলেছেন: বুঝে বললেন তো? জন্মদিন সম্পুর্ন ঘরোয়া উৎসব। এখানে রাস্ট ধর্মের কোন সংস্পর্শ নাই। যদি আপনার ভাষ্য মতাবেক এটা হয় জন্মদিন পালন করা বিধর্মীদের কাজ। ওজু নামাজ পরার ধরন ও আজান এই তিন খানাই কিন্তু ইহুদিদের কাছ থেকে কপি করা। তথ্য খানা কিন্তু ভয়াবহ। প্রমান ইউটিউব জুড়ে আছে। দেখে বুঝে জেন নবেন। আমি জানি আপনি কোন কমেন্টের উত্তর দেবেন না। তাই উত্তরের অপেক্ষাও করি না।
২২ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৬
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: প্রিয় সুধী,
আলহামদুলিল্লাহ বুঝেই বললাম।
আপনার কমেন্টের উত্তর নেওয়ার আগে বলে নিই, আমার এই লেখা শুধুমাত্র মুমিন মুসলমানদের জন্য। কোনো নাস্তিক, মুরতাদ, সংশয়বাদী, মুনাফিক কিংবা বিধর্মীদের জন্য নয়। অতএব সে হিসাবে আমার লেখাটা নেওয়া দরকার।
আপনি বলেছেন, জন্মদিন ঘরোয়া উৎসব। সত্য কথা। কিন্তু এই উৎসব কতদিন হলো আমাদের দেশে চালু হয়েছে? আর কীভাবে বুঝলেন এটাতে ধর্মের কোনো সংস্পর্শ নেই? ইসলাম মসজিদ ভিত্তিক ধর্ম নয়। ইসলাম একটি জীবন বিধান। অর্থাৎ একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সবকিছুই ইসলামের দিকনির্দেশনায় চলতে হবে।
যে এর বাইরে যাবে, সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে। আর আপনি বলেছেন, "ওজু নামাজ পরার ধরন ও আজান এই তিন খানাই কিন্তু ইহুদিদের কাছ থেকে কপি করা।" আপনার জেনে রাখা উচিত যে, ইহুদী খ্রিস্টান মুসলমান এই তিন জাতিই আসমানী গ্রন্থের উপরই প্রতিষ্ঠিত। যারা এক "আল্লাহকেই " মানে তবে ভিন্নভাবে।
আপনার যুক্তির বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে যদি বলি, খাবার কীভাবে খাবো? অবশ্যই হাত দিয়ে ছাড়া উপায় নেই। সুতরাং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ওজু করতে আর কী ভিন্নতা আপনি চাইছেন?
আর আযান শুধুমাত্র ইসলামের জন্য খাস। সালাত যেহেতু এক আল্লাহর জন্যই তাই এতে সরাসরি ভিন্নতা থাকে কীভাবে? যেহেতু আল্লাহ্ তাদেরও কিতাব দিয়েছিল। তবুও আমার জানামতে যথেষ্ট ভিন্নতা আছে।
যদি আপনার কাছে এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে দিতে বা জানাতে ভুলবেন না।
আশাকরি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আমি জায়েজ নাজায়েজ এর ধারধারি না। যদি ভালো লাগে জন্মদিন পালন করে যাবো।
২২ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৭
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: শ্রদ্ধেয়,
আপনার জন্য তো এই লেখা লেখা হয়নি! এটা তারাই ফলো করবে, যারা নিজেদের মুমিন মুসলিম মনে করে।
আশাকরি আপনি কোনো লকব ধারণে বিশ্বাসী নন।
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:২২
শার্দূল ২২ বলেছেন: লেখক ধর্ম নিয়ে নতুন করে গবেষণা শুরু করেছে তাই নিজেকে একটু জাকির নায়েক ষ্টাইলে এখানে উপস্থাপণ করার চেষ্টা করিয়াছেন মাত্র এতে আমার ব্যক্তিগত কোন সমস্যা নেই। উনি ধর্মের দুনিয়ায় পা রেখেছেন, মোটা মুটি ঘাটাঘাটি শুরু করেছেন, দিনে দিনে বদলাবেন আরো জানবেন বুঝবেন, এবং এক সময় এটাও বুঝবেন সব কিছু ধর্ম দিয়ে ধরাশায়ী করা ঠিক না। আমিও এক সময় এমন ছিলাম, যখন সকল হাদিস কোরাণ এবং বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ্য পড়েছি তখন বুঝতে পারলাম আল্লাহ আমাদের চমৎকার একটা গ্রন্থ্য দিয়েছেন যা মানুষ জীবন যাপন সহজ ও সুন্দর করে তুলতে পারে অনায়েশে , সেইথেকে এখন আর আয়াত নাম্বার দিয়ে কাউকে আঘাত করে কারো চর্চা কে চিবিয়ে খাইনা।
শুনেন ভাইজান, আমাদের নবী যাহা কিছু কোরাণে পেতেন তাহা তিনি অনুসরণ করতেন, যাহা কোরানএ নেই তাহা তিনি ওনার সমাজ থেকেই নিতেন , ওনার সমাজ তখন ওল্ড টেষ্টামেন্ট এবং নিউ টেষ্টামেন্টের অনুসরাী ছিলেন। যেমন ইহুদিরা চুল লম্বা রাখতেন মাথার মাঝে সিথি করতেন নবীজিও তেমনি করতেন। ওনার সমাজ দাড়ি রাখতেন তিনিও তাই করতেন, ওনার সমাজ লম্বা জামা পড়তেন, ইহুদিরা টুপি পড়তেন তিনিও তাই পড়তেন ইত্যাদি ইত্যাদি। এমন যত কিছুকে আপনারা সুন্নত সুন্নত করে সুর তুলছেন এসব ছিলো আমাদের নবীজির সময়ের কালচার। এসবের সাথে কোরানের বা ধর্মের যেমন সম্পর্ক নেই তেমনি বিরোধ ও নেই।
সমাজের যেটা ক্ষতিকারক ছিলো সেটা আল্লাহ সাথে সাথে আয়াত দিয়ে নবিজিকে নিষেধ করে দিয়েছেন, যেটা সমস্যা ছিলোনা সেটা নবীজি করে যেতেন।
আমার ছেলে যেদিন জন্ম নিয়েছে সেদিন আমি বাবা হয়েছি, এই দিনটা আমার জন্মের দিনের চেয়েও আমার কাছে অনেক দামি, এটাকে স্বরণ করে আমি আমার ছেলেকে বুকে নিয়ে যদি সেদিন কিছু খাই কিংবা কাউকে খাওয়াই তাতে কোনো ধর্মের মানুষের ধুতি খুলে যাবে বলে মনে হয়না। না আমার আল্লাহ বিশ্বাসে ফাটল ধরবে? না আমার নবিজিকে অসন্মান করা হবে? ফেরাউন বাবা হয়েছে এখন আমি বাবা হওয়াতে গুনাহ হবে? ফেরাউন তো দাসি বউ নিয়ে মেতে থাকতেন। তাহলে হুজুর কেন বউ ফেলে আরেকজনকে নিয়ে হোটেলে উঠলো? ওনার তখন ফেরাউনের কথা মনে আসেনি? আর হাদিস? সেসব এখনো আপনার মাথায় আসবেনা। ছেড়ে দিলাম সেটা।
শুনেন ভাই আপনার ধর্মীয় পালন পোষনকে আমি শ্রদ্বা করি কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখবেন যে কোন ছলে মানুষকে ভালো থাকতে দিন, যে কোন অজুহাতে মানুসে মানুষের সাথে মিলতে দিন, একে অন্যের কাছে ঘেষে দাড়াতে দিন, মানুষ মন ভালো থাকে এমন কিছু করতে দিন যদি সমাজের ক্ষতি না হয়। মানুষ আজ মন হারিয়ে অমানুষ হয়ে যাচ্ছে।
শুভ কামনা
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৬
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,
মাশা আল্লাহ্ খুবই সুন্দর সুন্দর কথা বলে নিজেকে আস্তিক রেখে উপস্থাপন করেছেন!
এতে আপনার দোষ নেই। যারা এমন তারা ছলেবলে কৌশলে প্রকৃত মুমিনকে তার রাস্তা থেকে সরাতে পারলেই ইবলিশের কাজ শেষ!
আপনি আমার সম্পর্কে খুব সুন্দর একটি বক্তব্য দিয়েছেন যাতে সাপ মরবে লাঠি ভাঙ্গবে না!
যাইহোক প্রথম কথা হচ্ছে, আপনি কতটুকু কী পড়েছেন, জেনেছেন বা আল্লাহ্ আপনার জন্য কতটুকু কী রেখেছেন তা আপনি এবং আল্লাহ্ই ভালো জানেন। আমার দুঃখ হয়, যখন কমেন্টকারীরা কমেন্টের প্রতিউত্তরের উত্তর দেন না যখন।
আচ্ছা ভাই আল্লাহ্ যে গ্রন্থ দিয়েছেন, তার কতটুকু কী পড়েছেন, কীভাবে পড়েছেন তা আমি জানি না। তবে অনুভব করছি আবু জাহেলগং আরবি ভাষী হলেও যেভাবে কুরআন পড়েছে বা জেনেছে তা তার থেকেও আপনার অনেক কম জানার দূর্ভাগ্য হয়েছে। তা না হলে আপনি বলতেন না রাসূল সা. ইহুদি নাসারাদের অনুসরণ করতেন। অথচ পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে অহরহ আয়াত রয়েছে যেখানে ইহুদি নাসারাদের অনুসরণ অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর আপনি বলছেন রাসূল সা. তাদের অনুসরণ করতেন। আপনি লেখাটা গভীরভাবে খেয়াল করেননি হয়তো। সেখানে আমি সুস্পষ্ট উল্লেখ করেছি। হয়তো আপনি না পড়েই শিরোনাম দেখেই মন্তব্য করে ফেলেছেন!
জ্বী আপনি ঠিক বলেছেন। আমরা সুন্নাত বলতে রাসূল সা. এর কালচারকেই বুঝি। কেননা ঐ কালচার পালনে আল্লাহ্র রহমত রয়েছে। তাই তাঁর কালচার পালনই হচ্ছে ঈমান। একইসাথে রাসূল সা. যা বলেছেন করেছেন তাও আল্লাহ্ কতৃক অনুমোদিত। মোটকথা রাসূল সা. যা করেছেন করতে বলেছেন, নিষেধ করেছেন তা মান ই হচ্ছে ঈমান। আপনি কুরআন হাদিস পড়েছেন ইসলামের খুঁত ধরার জন্য। ঈমান আনার জন্য নয়। তাই এইসব আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে।
আপনি সুন্দর বলেছেন যা ক্ষতিকর ছিলো তা আল্লাহ্ জানিয়ে দিয়েছেন। আচ্ছা এখনও তো অনেক কিছুই ক্ষতিকর হচ্ছে হবে। তা আল্লাহ্ কাকে জানাবেন? যা জেনে আমরা উপকৃত হবো! আপনি নিজেকে যথেষ্ট উদারপন্থী মনে করেন। আর ইসলামে উদারপন্থী লোক হলো মুনাফিক। আর এই মুনাফিকের শাস্তি হবে বিধর্মীর চাইতেও বেশী।
আপনি কুরআন হাদিসের কী পড়ে এই কথা বললেন যে "রাসূলের সুন্নাহর সাথে ইসলামের সম্পর্ক নেই?"
ভাইজান, আপনি আপনার ছেলের জন্মদিনে যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না, যদি আপনি ঈমানদার হন। যদি ঈমানহীন হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই করতে পারেন।
দেখুন ইসলাম আপনার ছেলের জন্মদিনে আপনাকে কিছু করতে বলে না। তবে ইসলাম চায় আপনি আপনার সন্তানকে সৎ শিক্ষা দিবেন। এটা ফরজ। আর আপনার সন্তানের উপর ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় ফরজ হচ্ছে আপনার প্রতি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনার অনুগত থেকে আপনার সেবা করে যাওয়া। যা আপনার উপরও আপনার বাবার জন্য অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব। যা থেকে বর্তমান মুসলমানগণ যোজন যোজন দূরে আছে।
আর আপনি আপনার মতে চললে অবশ্যই তা ইসলাম এবং রাসূলুল্লাহ সা. এর বিরোধিতা করা হবে। আর ইসলামের সাথে ব্যক্তিকে মিলানো খুবই হাস্যকর কথা। যারা ইসলাম মানে তারা ফিরিশতা নয় যে তাদের দ্বারা পাপ হবেনা!!! এই দুনিয়া হচ্ছে পরীক্ষা ক্ষেত্র। এখানে যেকেউ যেকোনো সময়ই ফিতনায় পড়তে পারে।
আপনি আমার ধর্ম পালনকে শ্রদ্ধা করেন ভালো কথা। তারমানে আপনি ধর্ম পালনে উৎসাহী নন। এটা আপনার ব্যাপার। তবে আপনার উদারতা কখনোই যৌক্তিক নয়। আপনার চাইতেও ইসলাম বেশী উদার। মানুষে মানুষে ঘেঁষতে ইসলাম বাঁধা দেয় না। তবে মানুষের ভালো করতে গিয়ে এমন কিছু করা যাবে না যা তাদের হীতে বিপরীত হয়। কেননা বর্তমান দুনিয়া আমরা যা ভালো মনে করে চোখে দেখি তা আসলেই ভালো নয়। কারণ খারাপকেই আজকাল আমাদের ভালো মনে হয়। তাই বলে কি মানুষের ভালোর জন্য তাদের তা করতে দেওয়া উচিত।
শেষকথা ইসলামকে সত্যিকার ভাবে জানার জন্য চেষ্টা করুন। ইনশা আল্লাহ্ হিদায়াত থাকলে অবশ্যই সত্য পথ পাবেন।
আপনার মন্তব্য আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখলাম। যদি কোনো প্রয়োজন হয় তবে Shakawat971097@ আমাকে স্বরণ করবেন আশাকরি।
৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪২
নতুন বলেছেন: দেখুন জন্মদিন পালন কেন হারাম সেটার ব্যাখ্যা খুবই ব্যাপক। এখানে কী কী কারণে জন্মদিন পালন জায়েজ নয় তা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামের চিন্তা চেতনা খুবই সুদূরপ্রসারী। তাই ইসলাম সরাসরি অনেক কিছু কে হারাম নাজায়েজ ফতোয়া দেয়নি। কিন্তু অনেক কিছু ধরনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যাইহোক ইনশাআল্লাহ কেন জন্মদিন হারাম তার একটি বিশদ ব্যাখ্যা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
কোন জিনিসকে হারাম ঘোষনা দেওয়া একটা সর্বোচ্চ রায় দেওয়া।
যেমন মানুষ বলতে পারেনা যে তাকে মৃত্যুদন্ড দিলাম। তেমনি হারাম ঘোষনা যদি কোরানে বা হাদিসে এসে থাকে তবে আপনি মুসলমানের জন্য হারাম বলতে পারেননা।
আপনি অনুসরন করতে নিষেধ করতে পারেন কিন্তু হারাম বলতে পারেন না। হারাম মানে হলো, মদ, সুদ যেমন হারাম তেমন হারাম।
আপনার সার্ট ম্যাজেন্টা রং ভুলের জন্য দুক্ষিত।
অন্য কালচার থেকে আসলেই যে পরিত্যাগ করতে হবে এমন নয়। পরিত্যাগ তখনই করতে হবে, যখন তা সরাসরি অন্য ধর্মের নির্দশন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত থাকে। আর জন্মদিনের ইতিহাস সরাসরি অন্যান্য ধর্ম থেকেই এসেছে। আর কেন এটা হারাম হবে তার একটা এবং বৃহৎ কারণ হচ্ছে "ব্যাক্তি পূজা"। জন্মদিন পালন করার ফলে ব্যাপকভাবে ব্যাক্তি পূজার উদ্ভব হয়েছে। যা অতীতে ছিলো না। আর ইসলাম এই কারণেই এটাকে নিষিদ্ধ করে।
জন্মদিন পালনের তরিকা কোন অন্য ধর্মের নির্দেশ থেকে চালু হয়েছে সেটার কোন প্রমান আছে?
কোন ধর্মীয় বইয়ে জন্মদিন পালনের ব্যাপারে নির্দেশ বা গাইডলাইন দেখেছনে?
যদি বলেন তারা তাদের ধর্মীয় নেতার জন্মদিন পালন করে তাই সেটা তাদের ধর্মের নির্দেশ তেমনি বলাজায়।
দেওয়ানবাগীরাও রাসুল সা: এর জন্মদিন পালন করে, এটা ইসলামের নির্দেশ !!!!!
২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০০
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: প্রিয় সুহৃদ,
আপনি বলেছেন,
"আপনি অনুসরন করতে নিষেধ করতে পারেন কিন্তু হারাম বলতে পারেন না। হারাম মানে হলো, মদ, সুদ যেমন হারাম তেমন হারাম।"
অনুসরণ অনুকরণ নিষিদ্ধ! সেটা কুরআন এবং হাদিস থেকে প্রমাণিত। মদ হারাম কেননা এটা নেশাদ্রব্য। ঠিক তেমনি ইয়াবার কথা কুরআন হাদিসের কোথাও নেই। তাই বলে কি ইয়াবা খাওয়া হারাম হবে না!! আপনি তথাকথিত জন্মগত মুসলমানদের ন্যায় কথা বলছেন। দয়াকরে ইসলাম নিয়ে আরও গবেষণা করুন।
আপনি কি আমার লেখাটা পুরো পড়েছেন? আশাকরি আমি বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ভালোভাবে পড়লে জন্মদিনের ইতিহাস আপনি পেয়ে যাবেন।
আর দেওয়ানবাগী নয়, পুরো সৌদিআরবসহ সারা বিশ্বের মানুষ রাসূল সা. এর জন্মদিন পালন করলেও তা ইসলামে জায়েজ হবে না। সুতরাং কোনো ব্যক্তি কিংবা কোনো গোষ্ঠীর নির্দেশে ইসলামে কোনো কিছুই নতুন করে যুক্ত কিংবা মুক্ত (বাদ) হতে পারে না। আর এই জন্মদিন হচ্ছে ইসলামের জন্য নতুন কিছু। যাকে বলা হয় "বিদআত"।
আপনার জন্য শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৮
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার জন্মদিন কি আপনার পরিবার লিখে রেখেছিলেন? দিনটি কি আপনার মায়ের জন্য গুরুত্বপর্ণ ছিলো না? আপনার চিন্তাধারা আপনার কাছে সঠিক বলে মনে হয়?