![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবই সাদামাটা একজন মানুষ। শখের বশে লেখালেখি শুরু করেছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু লেখার। পছন্দ করি বই পড়তে।
ইসলামই একমাত্র ধর্ম যেখানে স্রষ্টা অর্থাৎ আল্লাহ তার কোনো ক্ষমতাতেই কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করেননি। আল্লাহই একমাত্র একক ইলাহ যিনি সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী। সৃষ্টির শুরু থেকেই আল্লাহ তাওহিদের এই একটি বাণীই প্রচার করেছেন। তারপরও যুগে যুগে মানুষ আল্লাহর বিভিন্ন ক্ষমতার সাথে তাঁর সৃষ্টিকে অংশীদার সাব্যস্ত করেছে। আর এই অংশীদার করাই হলো শিরক। যা ক্ষমার অযোগ্য একটি অপরাধ। আজ আমরা জানার চেষ্টা করবো শিরক কী, কীভাবে মানুষ শিরক করে।
শিরকের অর্থ
শিরকের অর্থ হলো অংশীদার স্থাপন করা। অর্থাৎ কোনো বিযয়ে একজনের সাথে অন্য কারো শরীক সাব্যস্ত করাই হলো শিরক। শিরক শব্দটি যখন আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত হয় তখন এর অর্থ দাঁড়ায়, আল্লাহর কোনো ইবাদত বা ক্ষমতার সাথে অন্য কাউকে শরিক বা অংশীদার করা।
অর্থাৎ আল্লাহর তাওহিদ সম্বলিত যেসব গুণাবলী রয়েছে, তা আল্লাহরও আছে সেইসাথে অন্য কারোরও আছে এমন ধারণা বা বিশ্বাস করাটাই হচ্ছে আল্লাহর সাথে শিরক করা। প্রকৃতপক্ষে যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে তারাই শিরক করে। অর্থাৎ যারা ঈমান এনে বা না এনে আল্লাহকেও বিশ্বাস করে, পাশাপাশি আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে তাঁর শরীক সাব্যস্ত করে তারাই হচ্ছে শিরককারী মুশরিক। সোজা কথায় আল্লাহকে ইলাহ মেনে তাঁর সাথে তাঁর প্রিয় বান্দা, নবি, রাসূল, ফিরিশতা, দেবদেবী ইত্যাদিকেও আল্লাহর মতো ক্ষমতাশালী মনে করাই হচ্ছে শিরক।
শিরকের প্রকারভেদ
তাওহিদের মতো শিরকও তিন প্রকার। অর্থাৎ তিনটি বিষয়ের সাথে শরিক স্থাপন করাই হলো শিরক। এই তিনটি বিষয়ের সাথে কেউ শরিক স্থাপন করলে সে মুশরিক হয়ে যায়।
এই তিনটি বিষয় হলো,
১ .আল্লাহর রুবূবীয়্যাহর সাথে শিরক
২. আল্লাহর উলুহিয়্যাহর সাথে শিরক
৩. আল্লাহর আসমা ওয়াস সিফাতের সাথে শিরক
আল্লাহর রুবূবীয়্যাহর সাথে শিরক
তাওহিদুল রুবূবীয়্যাহ হলো, আল্লাহ-ই আমাদের একমাত্র রব। অর্থাৎ সৃষ্টি, রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও পরিচালনা এবং একমাত্র আইনপ্রণেতা ইত্যাদিতে আল্লাহকে এক, একক এবং অদ্বিতীয় হিসাবে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদে রুবূবীয়্যাহ।
যারা আল্লাহর এই গুণ স্বীকারের পাশাপাশি অন্যান্য কোনো উপাস্যকে বা আল্লাহর কোনো বান্দাকে একই গুণের অধিকারী মনে তাহলে তা হবে আল্লাহর রুবূবীয়্যাহর সাথে শিরক। এটি তিনটি ভাগে বিভক্ত।
ক) সৃষ্টিতে আল্লাহর একত্বের সাথে শিরক: আল্লাহ একাই সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা। তিনি ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আল্লাহ ছাড়া কোনো স্রষ্টা আছে কী? যে তোমাদেরকে আকাশ ও জমিন হতে জীবিকা প্রদান করে। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই।” (সূরা ফাতির, আয়াত: ৩)
অর্থাৎ জীবন্ত সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা শুধুমাত্র আল্লাহ। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন,
"আল্লাহ সৃষ্টিকর্তাদের মধ্যে উত্তম সৃষ্টিকর্তা।” (সূরা আল-মুমিনূন আয়াত: ১৪)
অর্থাৎ পৃথিবীর মানুষও কিছু না কিছু সৃষ্টি করেন। তবে তারা যা সৃষ্টি করে তার থেকে সর্বোত্তম সৃষ্টিকারী হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। সুতরাং আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাঁর অনুরূপ সৃষ্টি কখনোই মানুষ বা অন্য কোনো কথিত বাতিল ইলাহ সৃষ্টি করতে পারে না।
অতএব, আল্লাহ যা যে রূপ সৃষ্টি করেছেন এবং করতে পারেন, ঠিক একইরকম অন্য কেউ সৃষ্টি করে পারে এমন ধারণা পোষণ করাই হচ্ছে আল্লাহর সালে সৃষ্টিগত একত্বের সাথে শিরক। শিরকের বিরুদ্ধে আল্লাহর চ্যালেঞ্জ,
"হে লোক সকল! একটি উপমা বর্ণনা করা হলো, অতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন; তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে না, প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়েই শক্তিহীন। "(সূরা: হাজ্জ্ব, আয়াত: ৭৩)
খ) আল্লাহর রাজত্বের একত্বের সাথে শিরক: আল্লাহ হচ্ছেন সকল রাজত্বের মালিক। তাঁর হাতেই পুরো সৃষ্টি জগতের রাজত্ব। আল্লাহ বলেন,
“( আল্লাহ) সেই মহান সত্বা অতীব বরকতময়, যার হাতে রয়েছে সকল রাজত্ব। আর তিনি প্রতিটি বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান।” (সূরা আল-মুলক, আয়াত: ১)
অতএব পুরো সৃষ্টি জগতের রাজত্ব আল্লাহর। কেউ যদি আল্লাহর একছত্র রাজত্বে তাঁর সাথে কাউকে শরিক করে তাহলে তা হবে আল্লাহর সাথে শিরক।
গ) পরিচালনায় আল্লাহর একত্বের সাথে শারিক: আল্লাহ ব্যতীত সমগ্র জগতের আর কোনো দ্বিতীয় পরিচালক নেই। একমাত্র আল্লাহই পরিচালনা করেন সমগ্র বিশ্ব জগত। তাঁর আদেশ নির্দেশ এবং আইনেই চলছে, চলবে এবং চলতে হবে পুরো বিশ্ব জাহান। আল্লাহ বলেন,
"সাবধান! সৃষ্টি তাঁরই, এর উপর প্রভুত্ব চালাবার-একে শাসন করার অধিকারও একমাত্র তাঁরই। " (সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৪)
অর্থাৎ, সমগ্র বিশ্ব জাহানের সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন আল্লাহ। আর এই বিশ্ব চলবেও একমাত্র আল্লাহর বিধানে তথা আইনে। এখন যদি ঈমানের দাবিদাররা দুনিয়ায় আল্লাহর আইনের সাথে বা পরিবর্তে অন্য কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অনুসরণে দেশ পরিচালনা করে তবে তা হবে আল্লাহর বিধি বিধানের বিরুদ্ধে শিরক। আল্লাহ বলেন,
"নিশ্চয় আমি (হে রাসূল) আপনার প্রতি সত্য কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যা আল্লাহ আপনাকে হৃদয়ঙ্গম করান।" (সূরা: আন নিসা, আয়াত: ১০৫)
অতএব, সৃষ্টি যার পরিচালনার আইন, বিচার, বিধি বিধান ও ক্ষমতাও তাঁর। এখন কেউ যদি আল্লাহর আইনের সাথে বা পরিবর্তে নিজেরাই আইন তৈরি করে বা অন্য কোনো উৎস থেকে আইন তালাশ করে তাহলে তা হবে সুস্পষ্ট রাষ্ট্রীয় শিরক।
আল্লাহর উলুহিয়্যাহর সাথে শিরক
আল্লাহ তাঁর বান্দা থেকে ইবাদত পাওয়ার একক এবং একমাত্র মালিক। মানুষ আল্লাহর জন্য যে ইবাদত করে সেই একই ইবাদত অন্য কারো জন্য করা যাবে না। যদি কেউ আল্লাহর ইবাদত, আল্লাহর ভয় বা আশা নিয়ে না করে অন্য কারো ভয়ে (ক্ষতির আশঙ্কায়) বা লৌকিক ভাবে অন্য কাউকে দেখানোর জন্য করা হয় তাহলে তা হবে শিরক। অথবা আল্লাহকে বিশ্বাস করে আল্লাহর জন্য ইবাদত না করে অন্য কারো মন জয়ের জন্য ইবাদত তথা সালাত, তাওয়াফ, দান, সদকা, মানত, কুরবানী ইত্যাদি করা হলে তা হবে সুস্পষ্ট শিরক।
আরবের মক্কার মুশরিকরা আল্লাহ কে স্বীকার করতো এবং মানতো। কিন্তু তাঁরা আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি অন্যান্য দেব দেবী এবং আল্লাহর পূর্ববর্তী যুগের অলি আউলিয়ার মূর্তিরও ইবাদত করতো। শুধুমাত্র শিরকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই মক্কার মুশরিকরা রাসূল (সা.) কে মেনে নিতে পারেনি এবং ঈমান আনেনি। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন,
"নিশ্চয় যে ব্যক্তি শিরকে লিপ্ত হবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। তার ঠিকানা জাহান্নাম। আর যালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।" (সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭২)
যুগে নবি রাসূলগণ এই তাওহিদুল উলুহিয়্যাহর দাওআতই সাধারণ মানুষকে দিয়ে এসেছিলেন। যারা আল্লাহ কে স্বীকারের পাশাপাশি অন্যান্য উপাস্যও তৈরি করেছিল। সুতরাং আল্লাহর জন্য নির্ধারিত অনির্ধারিত যেকোনো ইবাদতে অন্য কাউকে শরীক করা যাবে না। শরিক করার সাথে সাথে তা শিরকে পরিনত হবে।
উদাহরণ: সালাত, সিয়াম, হজ্জ্ব, যাকাত, কুরবানি ইত্যাদি আনুষ্ঠানিক ইবাদত সমূহ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহর জন্য। অর্থাৎ আল্লাহর ভয় (জাহান্নাম) এবং আশা (জান্নাত) সহকারে তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এইসব ইবাদত করা।
কোনো ঈমানদার এইসব ইবাদত লোক দেখানোর জন্য অর্থাৎ সালাত, সিয়াম আদায় করছি লোকে পরহেজগার বলবে, হজ্জ্ব করছি লোকে হাজী বলবে, যাকাত, কুরবানি দিচ্ছি লোকে বড় দানবির বলবে এই উদ্দেশ্যে করে ; তাহলে তা হবে ছোট শিরক।
একইসাথে কোনো ঈমানদার যদি আল্লাহর কোনো বান্দাকে (জীবিত বা মৃত) খুশি বা সন্তুষ্ট করার জন্য (যেমন মাজারে) দান, সদকা, কুরবানি ইত্যাদি করবে তবে তা হবে তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ বিরোধী তথা বড় শিরক। আল্লাহ বলেন,
"(হে রাসূল) আপনি বলুন: আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।" (সূরা: আল আনআম, আয়াত: ১৬২)
আল্লাহর আসমা ওয়াস সিফাতের সাথে শিরক:
সিফাত হলো গুণ। আসমা হলো নাম। আসমা ওয়াস সিফাত হলো, আল্লাহর গুণাবলী সম্বলিত নাম। অর্থাৎ আল্লাহ নিজেকে যেসব গুণাবলী সম্বলিত নামে নামকরণ করেছেন সেইসব নামে এবং গুণে তিনি একক এবং অদ্বিতীয় কতৃত্ববাদী। অর্থাৎ তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই এবং হতে পারে না।
যদি কেউ আল্লাহর এইসব গুণাবলী গুলো অন্য কারো কাছে আছে বলে মনে করে তবে তা হবে শিরক। অর্থাৎ আল্লাহর কোনো গুণে কাউকে ধারণা করা যাবে না। যেমন: সন্তান দেওয়ার মালিক (আশ শুরা :৪৯-৫০) রিজিক দেওয়ার মালিক (তালাক :২-৩,সাবা: ৩৯), বিপদে উদ্ধারকারী (আন আম :৬৩), কারো ভালো করার মালিক (তাওবা : ৫০- ৫১) ইত্যাদি সবই হচ্ছে আল্লাহর একমাত্র একক গুণ।
এখন কেউ যদি এইসব গুণ আল্লাহর কোনো বান্দার (অলি-আউলিয়ার) আছে বলে বিশ্বাস বা ধারণা করলে তা আল্লাহর তাওহিদুল আসমা ওয়াস সিফাত বিরোধী হবে। এবং কেউ এমন করলে তা সরাসরি শিরক হবে।
উদাহরণ: সুফি সুন্নিদের আকিদা হচ্ছে তাদের পীর অলি আউলিয়ারা যেকোনো মানুষের ভালো মন্দ হায়াৎ রিজিক ইত্যাদি পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে। অর্থাৎ তারা বিশ্বাস করে আল্লাহর পাশাপাশি তাদের পীর আউলিয়াদেরও বিভিন্ন ক্ষমতা আছে। যা দ্বারা তারা জীবিত কিংবা মৃত যেকোনো অবস্থায় তাদের ভক্ত মুরিদদের ভালো মন্দ ইত্যাদি করতে পারে।
তাই সুফি সুন্নি দাবিদারেরা বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর নিজস্ব যেসব বিভিন্ন ক্ষমতা রয়েছে, তা তিনি তাঁর বিভিন্ন অলি আউলিয়াদের ভাগ করে দিয়েছেন। আর তারাও সময়ে অসময়ে তাদের ভক্ত মুরিদের সাহায্য সহযোগিতা করে তাদের উদ্ধার করেন।
এই যে বিশ্বাস সুফি সুন্নিরা ধারণ করে আছে, তা-ই হচ্ছে শিরক। যেখানে তারা আল্লাহকে বিশ্বাস করছে। এবং পাশাপাশি তাঁর বান্দাদেরও ক্ষমতার মালিক সাব্যস্ত করে তাদের থেকে সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার আশা করছে।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন যে, কিয়ামতের ময়দানে শিরককারী মুশরিককে আল্লাহ কখনোই ক্ষমা করবেন না। শিরক ছাড়া যেকোনো পাপ তিনি চাইলেই কিয়ামতে যেকোনো কাউকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম কী কী ভাবে এবং কী কী কারণে আল্লাহর সাথে শিরক হয়। সুতরাং আমাদের ঈমানী দায়িত্ব হলো জীবনের সর্বাবস্থায় শিরক থেকে বেঁচে থাকা। যাতে করে দুনিয়া থেকে সঠিক ঈমান আকিদা নিয়ে কবরে যেতে পারি।
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৪
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: আমি অলি আউলিয়া সম্পর্কিত মানুষের যেসব আপত্তি তুলেছি, আপনি বলতে চাইছেন তা শুধু ভন্ডদের জন্য। আপনার উল্লিখিত অলি রা এইসব থেকে মুক্ত। দয়াকরে আমার এই লিঙ্কে আপনার উত্তর আছে।
https://shakawatarticle.blogspot.com/2022/12/blog-post.html
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪০
কাঁউটাল বলেছেন: ওয়াহাবি?
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৬
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: আপনি কি সামু থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত? ব্লগ এ্যাকাউন্ট করেই শুড়ঁশুড়ি দেওয়া শুরু করেছেন!!
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
কোন দেশে প্রবাসী ছিলেন? সেখানে কি করতেন?
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩১
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ
অনেক দিন পর আপনার দেখা পেলাম। আমি আরব আমিরাতে দুবাই এবং আজমান দুই প্রদেশে ছিলাম। আমার সেলস ম্যানের চাকরি ছিলো। দুবাই ড্রাগন মার্ট এবং আজমান ড্রাগন মার্ট এই দুই মার্কেট সহ দেরা দুবাই এবং বার দুবাইয়েও কাজ করেছি।
৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি যেহেতু আরব আমিরাতে ছিলেন কোনো মাজার দেখেন নাই কিন্তু চিটাং এত মাজার কেনো।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৯
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: যারা যেভাবে ইসলামকে পেয়েছে জেনেছে এবং বুঝেছে, তারা ঠিক সেভাবেই ইসলাম পালন করে
চট্টগ্রামের মানুষ হচ্ছে সুবিধাবাদী মুসলিম। এরা আমল ছাড়াই জান্নাতের আশা করে বলেই মাজার বেশী।
৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অলি-আউলিয়া আল্লাহর ইচ্ছা ও প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মানুষের উপকার ও ক্ষতি করতে পারে। এর প্রমাণ কোরআনেই আছে-
সূরাঃ ১৮ কাহফ, ৬০ থেকে ৮২ আয়াতের অনুবাদ-
৬০।যখন মূসা তাঁর সংগীকে বলেছিল, দুই সমুদ্রের সংগমস্থলে না পৌঁছে আমি থামব না অথবা আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব।
৬১।তারা উভয়ে যখন দুই সমুদ্রের সংগমস্থলে পৌঁছল তারা নিজেদের মৎসের কথা ভুলেগেল।উহা সুড়ংগের মত নিজের পথ করে সমূদ্রে নেমে গেল।
৬২। যখন তারা আরো অগ্রসর হলো মূসা তার সংগীকে বলল আমাদের নাস্তা নিয়ে আস।আমরা তো আমাদের সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
৬৩। সে বলল, আপনি কি দেখেছেন? যখন আমরা শিলাখন্ডে বিশ্রাম নিতে ছিলাম তখন আমি মৎসের কথা ভুলে গিয়ে ছিলাম! শয়তান উহার কথা বলতে ভুলিয়ে দিয়েছিল।মৎসটি বিস্ময়করভাবে সমূদ্রে নিজের পথ করে নেমে গেল।
৬৪। মূসা বলল, আমরা তো সেই স্থানটিই খুঁজতেছিলাম।অতঃপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চলল।
৬৫। অতঃপর তারা সাক্ষাৎ পেল আমাদের বান্দাদের মধ্যে একজনের।যাকে আমরা আমাদের নিকট হতে অনুগ্রহ দান করে ছিলাম এবং আমরা তাকে আমাদের নিকট হতে শিক্ষা দিয়ে ছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান।
৬৬। মূসা তাকে বলল, সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে তা’ হতে আমাকে শিক্ষা দিবেন এ শর্তে আমি আপনার অনুসরন করব কি?
৬৭। সে বলল, আপনি কিছুতেই আমার সাথে ধৈর্য ধরে থাকতে পারবেন না।
৬৮। যে বিষয় আপনার জ্ঞানায়ত্ত নয় সে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধরবেন কেমন করে?
৬৯। মূসা বলল, আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন এবং আপনার কোন আদেশ আমি অমান্য করব না।
৭০। সে বলল, যেহেতু আপনি আমার অনুসরন করবেনই তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যতক্ষণ না আমি সে সম্বন্ধে আপনাকে কিছু বলি।
৭১।অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল। পরে যখন তারা নৌকায় চড়লো সে ইহা ফুটো করে দিল।মূসা বলল, আপনি কি আরোহীদিগকে নিমজ্জিত করে দেবার জন্য উহা ফুটো করলেন? আপনিতো গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন।
৭২। সে বলল, আমি কি বলিনি যে আপনি আমার সাথে ধৈর্য ধরতে পারবেন না?
৭৩। মূসা বলল, আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না এবং আমার বিষয়ে অত্যাধিক কঠোরতা অবলম্বন করবেন না।
৭৪। অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল।চলতে চলতে ইহাদের সাথে এক বালকের সাক্ষাত হলে সে উহাকে হত্যা করল। তখন মূসা বলল, আপনি এক নিস্পাপ জীবন নাশ করলেন হত্যার অপরাধ ছাড়াই। আপনিতো এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন।
৭৫।সে বলল, আমি কি বলিনি যে আপনি আমার সাথে ধৈর্য ধরতে পারবেন না?
৭৬।মূসা বলল, এরপর যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাস করি তবে আপনি আমাকে সংগে রাখবেন না।আমার ওযর-আপত্তি চূড়ান্ত হয়েছে।
৭৭।অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল।চলতে চলতে তারা এক জনপদের অধিবাসীদের নিকট পৌঁছে তাদের নিকট খাদ্য চাইল।কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। অতঃপর তারা এক পতনোন্মুখ দেয়াল দেখতে পেল এবং সে উহা সুদৃঢ় করে দিল।মূসা বলল, আপনিতো ইচ্ছা করলে এর জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারতেন।
৭৮। সে বলল, এখানেই আপনার এবং আমার মধ্যে সম্পর্কছেদ হলো।যে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি আমি তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করছি।
৭৯।নৌকাটির ব্যাপার-এটা ছিল কতিপয় দরিদ্র ব্যক্তির, উহারা সমূদ্রে জীবিকা অন্বেষণ করত। আমি নৌকাটিতে ত্রুটিযুক্ত করতে ইচ্ছা করলাম। কারণ উহাদের সম্মুখে ছিল এক রাজা, যে বল প্রয়োগে নৌকা সকল ছিনিয়ে নিত।
৮০। আর বালকটি, তার পিতামাতা ছিল মু’মিন। আমি আশংকা করলাম যে সে বিদ্রোহাচরণ ও কূফুরি দ্বারা তাদেরকে বিব্রত করবে।
৮১। অতঃপর আমি চেয়েছি যে তাদের প্রতিপালক যেন তাদেরকে তার পরিবর্তে এক সন্তান দান করেন। যে হবে পবিত্রতায় উত্তম এবং ভক্তিতে ঘনিষ্ঠ।
৮২। আর ঐ দেয়ালটি ছিল নগরবাসী দুই পিতৃহীন বালকের।যার নীচে রয়েছে তাদের গুপ্তধন।আর তাদের পিতাছিল সালেহ বা সৎকর্মপরায়ন।সুতরাং আপনার প্রতিপালক দয়া পরবশ হয়ে ইচ্ছা করলেন যে তারা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে তাদের ধনভান্ডার উদ্ধার করুক।আমি নিজ হতে কিছু করিনি। আপনি যে বিষয়ে ধৈর্য ধরতে অপারগ হয়েছিলেন এটা তার ব্যাখ্যা।
* এখানে অলি আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা ও ইচ্ছায় বাহ্যত মানুষের উপকার ও ক্ষতি করেছেন। যদিও বাস্তবিক অর্থে ক্ষতির বিষয়টা উপকার ছিল। সুতরাং আল্লাহর ইচ্ছা ও ক্ষমতায় কেউ কারো উপকার-ক্ষতি করার বিষয়টি শিরক নয়। কেউ কি বলে আল্লাহর ক্ষমতা লংঘন করে অলি কারো উপকার ও ক্ষতি করতে পারে?
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
শ্রদ্ধাভাজন, সুফিবাদ কি ইসলামের মধ্যে পড়ে? আপনি পুরো সূরা কাহাফ এখানে তুলে ধরে কী বুঝাতে চাইছেন? অলি সন্তান দেয়, হায়াৎ দেয় রিজিক দেয়, জান্নাত দেয়। তারা মরে গিয়ে শক্তিশালী হয়, মোট কথা কুরআন হাদিস ছেড়ে শুধু পীর অলি আউলিয়া পড়ে থাকাটাই হচ্ছে ইসলাম! তাই না?
আচ্ছা অলি কে বা কারা?
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫১
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: শুধু অলি আউলিয়ারাই আল্লাহর অলি নয়
https://shakawatarticle.blogspot.com/2022/12/blog-post.html
সুফিবাদী সুন্নিদের আকিদা সমূহ
https://shakawatarticle.blogspot.com/2022/01/blog-post_3.html
সুফিদের শরিয়তের উৎস ও যৌক্তিকতা
https://shakawatarticle.blogspot.com/2022/01/blog-post_46.html?m=1
৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২০
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি আরবে থাকার কারণে অপ্রোজনীয় ও ভুল বিষয়ের ওস্তাদ হয়েছেন।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪০
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: আমি পৃথিবীর যেখানেই থেকে থাকি না কেন, আপনার উত্তর কিন্তু এটাই হতো।
যাইহোক প্রয়োজন এবং অপ্রয়োজন এই দুটি বিষয়ই কিন্তু আপেক্ষিক। আপনার আর আমার প্রয়োজন অপ্রয়োজন দুটো কখনোই এক হতে পারে না।
৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি যেটা বললেন অলি আউলিয়া দের আল্লাহ তার ক্ষমতা ভাগ করে দিয়েছেন। আসলে আপনি যেভাবে বলছেন ব্যাপারটি ঠিক তেমনটি নয়। অলি আউলিয়াদের জীবনে অনেক অলৌকিক ঘটনা আছে। এগুলো দেখে হয়তো তাদের মনে হয় তাদের প্রিয় মানুষটির অলৌকিকত্ব। আসলে বিষয়টি সেই অলৌকিক কর্মকান্ড ঘটনা আল্লাই ঘটায়।
" মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে। যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে "। (সূরা: ইউনুস, আয়াত: ৬২, ৬৩)
আয়াতটি লক্ষ্য করুন। আল্লাহ বলছেন তাদের ভয় ভীতি নেই চিন্তাও নেই। কারন তারা আল্লাহর প্রতি এতটাই ভরসা করে যে তাদের ধারনা আল্লাহ কোন মঙ্গলের কারনে এই ভয় ভীতি প্রদর্শন করছেন তাই তারা নির্বিকার হয়ে থাকেন ভয় পান না।
আসলে অলি আউলিয়াদের সাথে আল্লাহর কানেকটিং হয়ে যায়। আসলে জীবাত্মা পরমাত্মা যে বিষয় থাকে এটি বোঝাতে গেলে একটি পোষ্ট দিতে হবে। (আল্লার প্রিয় বন্ধুর সাথে আল্লা মিশে যায়। পরমআত্মার মাধ্যমে।) ধরেন আল্লার প্রিয় বন্ধুটি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় পাগল প্রকৃতির। রাস্তা দিয়ে যাইতে গিয়ে কারো সাথে তার ধাক্কা লাগলো। সেই লোকটি খুব বড় মাপের মানুষ। পাগল বলে আল্লার প্রিয় বন্ধুটিকে মারলো এক থাপ্পড়। আল্লার প্রিয় বন্ধুটি মার খেয়ে মিষ্টি হেসে চলে গেলো। কিন্তু কিছুক্ষন পর যে লোকটি তাকে মারলো। তার হাতে প্যারালাইসড হয়ে হাতটি অচল হয়ে গেলো।
আল্লার প্রিয় বন্ধুদের জীবনচক্র এমন। এমন অসংখ্য ঘটনা তাদের জীবনে ঘটে। এরা হয়তো নামাজ পড়ে না। প্রচলিত ইবাদত করে না। কিন্তু তাদের অন্তর আল্লাহ প্রেমে সর্বদা রত থাকে তারা ঈমানও আনে তাকওয়াও করে। এই বিষয়টি সর্ম্পূন ভিন্ন।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: আপনি কষ্ট করে যে বিষয়টি আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন, তা হচ্ছে "সুফিবাদ"। যা ইসলাম থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। দয়াকরে সুফিবাদ আর ইসলামকে এক করে ফেলবেন না। আপনি বলুন তো অলি কারা? তাকওয়া কী? ইবাদত ছাড়া কীভাবে সে মুসলিম? যেখানে রাসূল ইবাদত করতে করতে পা ফুলিয়ে ফেলেছেন! সেখানে আপনারা পাগল ছাগল হয়ে জান্নাতে চলে যাবেন। শুধু তাইনয়, আপনারা জান্নাতের ঠিকাদারিও নিয়ে নিয়েছেন। যাকে তাকে ঈমান আমল ছাড়াই জান্নাতে পাঠিয়ে দেন। আল্লাহ প্রেম করার জন্য নয় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কথাই কুরআনে বলেছেন। যাইহোক যারা সুফিবাদী তারা ত কুরআন হাদিসও স্বীকার করে না।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: শুধু অলি আউলিয়ারাই আল্লাহর অলি নয়
https://shakawatarticle.blogspot.com/2022/12/blog-post.html
সুফিবাদী সুন্নিদের আকিদা সমূহ
https://shakawatarticle.blogspot.com/2022/01/blog-post_3.html
সুফিদের শরিয়তের উৎস ও যৌক্তিকতা
https://shakawatarticle.blogspot.com/2022/01/blog-post_46.html?m=1
কুরআনের আয়াত দ্বারা পীরের দলিল খন্ডন
https://shakawatarticle.blogspot.com/2020/04/blog-post_90.html?m=1
https://shakawatarticle.blogspot.com/2020/04/blog-post_77.html?m=1
https://shakawatarticle.blogspot.com/2020/04/blog-post_46.html?m=1
https://shakawatarticle.blogspot.com/2020/04/blog-post_69.html?m=1
https://shakawatarticle.blogspot.com/2020/04/blog-post_48.html?m=1
৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৯
এভো বলেছেন: শিরক করার করা নাকি মহাপাপ --- এটা আপনি কোথা থেকে পেলেন ভাই ? প্রত্যেক মুসলমান ই শিরককারি । শিরক হোল আল্লাহর কোন গুণা বলি বা বৈশিষ্ঠকে কোন রুপ ভাবে শিরক করা যাবে না । আল্লাহ মহাবিদ্যাবান--- এই গুণটা প্রতিকি করে হিন্দুরা সরস্বতির পুজা করে । এই ভাবে কোন কিছুকে আল্লাহর যে কোন গুণাবলিকে শিরক করা হারাম ।
মানুষের গুণা মাপ করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো নেই , যদি ক্ষমাকারি রুপে কোন বস্তু বা দেব দেবিকে শিরক করা হয় তাহোলে সেটা হারাম এবং কবিরা গুণা । তাহোলে ভাই কাবা শরিফের ভিতরে ঐ কালো পাথরখানি কি করে মানুষের পাপকে মোচন করে । ঐ কালো পাথরটাকে কি আল্লাহর ক্ষমার গুণের সাথে শিরক করা হোল না ?
তাহোলে নামাজ পড়লে কি শিরক করা হয় না ? আপনি বোলছেন শিরক করা নাকি মহাপাপ তাহোলে মুসলমানরা কেন ঐ কালো পাথরকে ক্ষমা কারি বিশ্বাষ করে এবং শিরক করে । তারমানি শিরক করা কোন পাপ ই নহে, যদি পাপ হোত তাহোলে ঐ পাথরকে এত মর্যাদা দেওয়া হোত না ।
ভাই এই সব বিষয় চিন্তা করে তালগোল হারিয়ে ফেলেছি , যদি উদ্ধার করতে পারেন , তাহোলে খুব উপকার হয় ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫০
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: একই কমেন্ট আর কয়বার কপি পেস্ট করবেন?????
৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখুন।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫২
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: অবশ্যই ধর্ম নিজের জন্যই। ধর্ম কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। সুতরাং ধর্মকে নিজের মধ্যেই ধারণ করা উচিত। যা করার চেষ্টা করছি।
১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অলি সন্তান দেয়, হায়াৎ দেয় রিজিক দেয়, জান্নাত দেয়। তারা মরে গিয়ে শক্তিশালী হয়, - এসব কথা আমি বলেছি কি? এসব ছাগলামী ব্যবহার কোথায় পেয়েছেন?
১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @এভো, তাহোলে নামাজ পড়লে কি শিরক করা হয় না ? আপনি বোলছেন শিরক করা নাকি মহাপাপ তাহোলে মুসলমানরা কেন ঐ কালো পাথরকে ক্ষমা কারি বিশ্বাষ করে এবং শিরক করে । তারমানি শিরক করা কোন পাপ ই নহে, যদি পাপ হোত তাহোলে ঐ পাথরকে এত মর্যাদা দেওয়া হোত না ।
এভো ভাই নামাজ পড়াটা শিরক হবে কেনো? আপনার লালু উস্তাদ টাইপের প্রশ্ন শুনে অবাক হলাম!
ভাই এই সব বিষয় চিন্তা করে তালগোল হারিয়ে ফেলেছি , যদি উদ্ধার করতে পারেন , তাহোলে খুব উপকার হয় । কিন্তু আপনাকে উদ্ধার করবো কিভাবে আপনি যে বুঝতে চান না বা চেষ্টা করেন না! তো যাক নামাজের বিষয়ে আসি। আচ্ছা আপনি বলেন তো সিজদা দেওয়া মানে কি সকল ক্ষেত্রেই আমরা যে অর্থে সিজদা বুঝি সেই অর্থে বোঝায়? তাহলে আমি আপনাকে বলি আল্লাহ ফেরেস্তাদের কেনো আদমকে সিজদা দিতে বললেন? আদম কি আল্লা? এই ক্ষেত্রে সিজদা বলতে আপনি কি বুঝবেন? ভাইগো আল কোরআন ১৪০০ বৎসরের অল্পশিক্ষিত মানুষের জন্য নাজিল করা হয়েছিলো। আর যেই সময় আল কোরআন নাযিল হয় তখন আরবী ভাষার শব্দ ভান্ডার খুব বেশি ব্যপকতা ছিলো না। তাই অনেক সময় রুপক বা সাংকেতিক অর্থে শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ফেরেস্তাদের বোঝানো হয়েছে আমার প্রতিনিধি মানুষ যার মাঝে আমার রুহু আছে বা আমি আছি তাই তোমাদের সকল কর্মকান্ড তাদেরকে ঘিরে চলুক। মানুষের উন্নয়নে তোমাদের ভূমীকা থাক। সিজদাটি ঠিক এই অর্থে
মিনিং করা হয়েছে।
এবার আসি নামাজ বা মক্কার পাথর সংক্রান্ত বিষয়ে। আপনি পাথরকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কারন কি প্রশ্ন করছেন? আপনি বোঝাতে চাচ্ছেন আমরা মক্কাকে কেন্দ্র করে সিজদা দিই তাই আমরা পাথরকে সিজদা দিই। তার কারন এখানেও আছে একটি রুপক মিনিং। আর সেই রুপকটা আপনাকে বোঝায়। মক্কা পাথরটি ২৪ টি পাথর দিয়ে তৈরী। আর একটি পাথর আছে যাকে বলা হয় হাজরে আসওয়াদ। এই পাথর গুলো অর্থ আছে। ভাই আল কোরআনের উল্লেখিত ২৪ জন নবী রাসুলের প্রতীকি অর্থ হলো মক্কা নির্মানের ঐ ২৪ টি পাথর। আর একটি পাথর হাজরে আসওয়াদ। যেটি দিয়ে মক্কা নির্মান করা হয় নি। কিন্তু পাথরটিকে সীমানা থেকে বের করা হয় নাই। এই পাথরটির প্রতিকী অর্থ হলো আগামী পৃথিবীতে আসবেন ঈসা আঃ। এই ইসা আঃ এর কথাটিও আল কোরআনে উল্লেখিত। সেই হিসাবে আল কোরানে মোট ২৫ জন। এই ২৫ টি পাথর বা ২৫ জন নবী রাসুল আল্লার সত্ত্বাকে ধারন করেছিলেন। ২৫ জন নবী রাসুলের সম্মিলিত জ্ঞা্নই আল্লার জ্ঞান। ২৫ জনের সম্মিলিত রুহু হলো আল্লার রুহ। এই ২৫ জনই আল্লার রুহুকে প্রকাশ করেছিলেন। সেই পাথরগুলোর দিকে সিজদা দিলে আল্লাকেই সিজদা করা হয়। এখন আপনি যদি প্রশ্ন করেন পশ্চিম দিকই কি আল্লার দিক। আল্লা আপনার এই প্রশ্নকেও খোলসা করে দিয়েছেন্ তার আয়াতে। আয়াতটিতে বলা হচ্ছে “সকল দিকই আল্লার দিক। পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ।
এই সাংকেতিক বিষয়কে অবলম্বন করেই মক্কা নির্মান করা হয়েছিলো। এখন হয়তো আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন আল্লা মানুষের মাঝে থাকে কি করে? আল্লার সত্ত্বা সবর্ত্রই বিরাজিত । এই যে জগত। এই জগতের বাইরে আল্লার অবস্থান। এই যে জগৎ ১০ মাত্রার এখানে আল্লা সৃষ্টিকর্তা রুপে বিরাজ করছেন। এবার আমাদের ত্রিমাত্রিক জগৎ এখানে আল্লা ত্রিমাত্রিক মানুষের মাঝে অবস্থান করেন। তাহলে আল্লাহকে আপনি তিন রুপে পাচ্ছেন। জগতে বাইরে আল্লার অবস্থান। জগতের ভিতরে ১০ মাত্রিক রুপে সাকার রুপে আল্লার অবস্থান। আবার ত্রি মাত্রিক জগতে মানুষরুপি আল্রার অবস্থান। কিন্তু ফেরেস্তাদের জগৎ ৭ মাত্রার তাদের মধ্যে আল্লার কোন অবস্থান নেই বলেই তারা মানুষকেই তাদের কর্মকান্ডর মুল উপজীব্য বিষয় বলে মনে করে। এই ৭ মাত্রার জগতই ত্রিমাত্রিক মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রিত করে। ফেরেস্তারাই সকল কিছুই নিয়স্ত্রন করে তাদের অন্তবর্তী জগতে অবস্থান করে। আমরা যাকে রুহানী জগৎ বলি। সেখানে থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় ত্রিমাত্রিক জগতের হিসাব। আমাদের ত্রিমাত্রা ফেরেস্তাদের সাত মাত্রা নিয়ে মোট দশ মাত্রার জগৎই সৃস্টিকর্তার অবস্থান। অতএব আল্লার সত্ত্বাকে একজন নবী রাসুল ধারনে করতে পারেন নাই। তাই আল্লার সত্ত্বাকে ধারন করতে ২৫ জন নবী রাসুলের সম্মিলিত প্রয়োজন ছিলো।
যদি বুঝতে না পারেন প্রশ্ন করেন উত্তর দিবো।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৫
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খাইরান।
১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৩
এভো বলেছেন: একই কমেন্ট আর কয়বার কপি পেস্ট করবেন?????
একই দাবি নিয়ে আপনি আর কয়বার পোস্ট করবেন ? শিরক নাকি হারাম , তাহোলে হাজরে আসওয়াদ নামক শিরকি পাথরটা কি ? ক্ষমা করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তালার তাহোলে এই পাথর কি করে মানুষের গুণা মাপ করে ? এই পাথর নাকি সাদা থেকে কালো হয়েছে মানুষের গুণা চুষে নিয়ে । এই দৈব ক্ষমতা সম্পন্ন পাথর কি আল্লাহর ক্ষমতার সাথে শিরক করে না ?
আপনি নিজে শিরকির যে সংগা দিলেন, সেটার সা্থে কি হাজরে আসওয়াদের বৈশিষ্ঠের সাথে মিলে না ?
শিরকি নিয়ে এত বড় লেখা লিখলেন -- এই বিষয় নিয়ে কেন কিছুই লিখেন নি ?
এখন প্রশ্ন নামাজ পড়লে শিরক করা হয় কিনা ? হয় কারন শিরক পাথর হাজরে আসওয়াদ মুখি হয়ে নামাজ পড়লে সেটা তো অবশ্যই শিরকি হবে ?
রাস্তার পাশে কোন বিখ্যাত লোকের ভাষ্কর্য থাকলে নাকি শিরক করা হয় , তাহোলে কাবা ঘরে যদি ঐ কালো পাথর থাকে তাহোলে কি শিরকি হবে না ?
১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো, তাহোলে হাজরে আসওয়াদ নামক শিরকি পাথরটা কি ? ক্ষমা করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তালার তাহোলে এই পাথর কি করে মানুষের গুণা মাপ করে ? ভাইগো এই পাথর গুনা মাফ করে এমন কোন ম্যাসেজ কি কোরানে আছে? যদি না থাকে তাহলে অযথা এই অজুহাত তুলছেন কেনো? হাজরে আসওয়াদ পাথর ছুয়ে কসম করে আল্লাকে কিছু বলার রেওয়াজ অাছে। পাথর ছুয়ে আল্লাকে বলতে হয় আল্লা তুমি আমার গুনা মাফ করে দাও। ইত্যাদি! ইত্যাদি! অনেকে চুম্বন করে। কিন্তু পাথর যে গুনা মাফ করে দিবে এমন কোন নির্দেশনা নেই। স্বল্পবুদ্ধি মানুষেরা এগুলো করে, চুম্বন করে।
এই পাথর নাকি সাদা থেকে কালো হয়েছে মানুষের গুণা চুষে নিয়ে । এই দৈব ক্ষমতা সম্পন্ন পাথর কি আল্লাহর ক্ষমতার সাথে শিরক করে না ? এগুলো সব বাজে কথা। অতিবিশ্বাসি মানুষেরা এগুলো বলে। পাথর সাদা থেকে কালো হওয়ার কোন বক্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়। তবে পূববর্তী যুগে আগুনে পাথরটি পুড়ে গেছিলো সেই থেকে পাথরটি কালো হয়ে গেছে। তবে হাদীসে এ জাতীয় মন্তব্য করা হয়ে থাকতে পারে। আবার সেটি যে সাদা ছিলো তারও কোন এভিডেন্স নেই। রাসুল (সাঃ) পাথরটিকে একদা চুমু খেয়েছিলেন বলে সুন্নত ধরে অনেকে এটা করে। আবার অনেকেই এটা করে না।
এখন প্রশ্ন নামাজ পড়লে শিরক করা হয় কিনা ? হয় কারন শিরক পাথর হাজরে আসওয়াদ মুখি হয়ে নামাজ পড়লে সেটা তো অবশ্যই শিরকি হবে ? এ কথাটিও আপনি ভূল বললেন। পাথরকে কেন্দ্র করে বা হাজরে আসওয়াদ অভিমূখী কেউ নামাজ পড়ে এটা আপনাকে কে বললো? নামাজ পড়ে মানুষে আল্লার ঘর কাবাকে কিবলা করে। এটি রুপক অর্থে করা হয়। প্রতিটি ধর্মে এমন সিস্টেম বিদ্যমান। হিন্দুরা মন্দিরকে পূজা করে না। পূজা করে মন্দিরে অবস্থিত প্রতিমাকে। খ্রিষ্টানেরা অনুরুপ তাদের গীর্জাকে প্রার্থনা করে না। প্রার্থনা করে মন্দিরে অবস্তিত ঈশ্বরে নতুবা যীশু খ্রীষ্টরে মুর্তীকে। ইহুদীরা অনুরুপ যোহেবার ঘরকে প্রাথনা করে। এই পদ্ধতি অনুসরন করে আমরা যারা মুসলিম তারা নামাজ পড়ি আমাদের কিবলা মক্কা নামক আল্লার ঘরকে কেন্দ্র করে। হয়তো আপনি প্রশ্ন করতে পারেন। এভোবে নামাজ পড়ি কেনো? এভাবে কি ইবাদত হয়? কিন্তু আপনার প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে আমরা তো আমাদের নিয়ম পরিবর্তন করতে পারি না। নামাজ তো আমাদের পূর্বেও ছিলো। ইহুদীরা তো নামাজ পড়তে গিয়ে শুয়ে পড়ে। আবারা উঠে রুকু করে। আমাদের নামাজটি এরকম।
সুতরাং এগুলো সিস্টেম। তৈরী করা বিষয়বস্তু। কল্পনা করা হয় আল্লাহ আছেন এমন একটি ঘরে। সেই ঘরকে আমরা কিবলা মুখি করে নামাজ পড়ি। আমরা মনে করি আমরা আল্লাকেই সিজদা করছি। আর আল্লার ঘরের অন্য কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা থাকতেও পারে। আমরা জানি না। তবে ইদানিং কিছু কিছু গবেষক আমাদের ছায়াপথ (গ্যালাক্সি)-এর ঠিক মাঝখানে থাকা সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলটিকে কেন্দ্র করে পাশ্ববর্তী সকল বস্থুর ঘুর্নায়মান বিষয়বস্তুকে আমাদের হজ্বের সাথে তুলনা করেন। সেই অর্থে মক্কা হলো সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল। এখন এই ব্লাক হোলে আল্লা আসেন কিনা তাতো আমরা বলতে পারিনা। ব্লাকহোলে তো সময় নেই। আল্লাও সময়বিহীন অস্তিত্ব। সেই হিসেবে তিনি ব্লাক হোলে আসতেই পারেন। আসলে এক কথায় আমরা জানি না। আমাদের এত জানার প্রযোজন ও নেই। ত্রিমাত্রিক জগতের এই মানুষ এত জানবো কিভাবে? আমরা নিয়ম পালন করি আরকি।
১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো, আপনাকে ২৪ টি পাথরে কথা বলেছিলাম মক্কা বানানোর শুরুতে। এ সংক্রান্ত কোন এভিডেন্স নেই। জানা কথা শোনা কথা। বর্তমানের যে কথা সেটি হলো হাজরে আসওয়াদই আছে তাও আবার ৩ টুকরা রুপা দিয়ে বাধানো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ঢালাওভাবে আল্লাহর অলিদের সমালোচনা করছেন।
ইমাম গাজ্জালি, আব্দুল কাদির জিলানি, ইবনে জউজি, সালাহুদ্দিন আয়ুবি, শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলভি, মুজাদ্দেদ আলফেসানি, নিজামুদ্দিন আউলিয়া, সাইয়িদ আহমদ শহীদ, মাওলানা ইলিয়াস, মাওলানা জাকারিয়া, হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মাক্কি, মাওলানা আশরাফ আলী থানভি, মাওলানা কালিম সিদ্দিকি, হজরত শাহজালাল, হজরত শাহ মখদুম, বায়েজিদ বোস্তামি, শাহ আমানত, শাহ পরাণ, খান জাহান আলী, সায়িদ আবুল হাসান আলী নাদভি সহ আরও অনেক অলি আওলিয়া ছিলেন যারা কোরআন সুন্নাহর পূর্ণ অনুসরণ করতেন।
ভণ্ড পীরের সাথে এনাদের মিলানো যাবে না।