নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত জীবনের গল্প

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৪



রেল লাইন ধরে বিরামহীন ভাবে হাঁটছি ঘণ্টা খানেক হলো ।
ঘন ঘন ট্রেন আসায় হাটায় ছেদ পড়ছে । শালা'র শান্তিতে যে কোথাও একটু হাটাবো সে উপায়ও নেই । পুরো শহর জুড়ে লোকজনে কিলবিল কিলবিল করছে । রাস্তাঘাট,পার্ক সর্বত্র মানুষ আর মানুষ । ভেবে পাই না এতো এতো মানুষ শহরে আসে কোথা থেকে । যে শহরে এমএ পাশ একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সর্বক্ষণ যুদ্ধ করতে হয়, তিন বেলা খাবার জোটাবার জন্য লুট-তরাজ, ছিনতাইয়ের মতো ঘৃণ্য কাজ করতে হয় সে শহরে পঙ্গপালের মতো এতো এতো মানুষ এসে করেটা কি ?

অনেক ভেবে চিন্তে ট্রেন লাইনটা বেছে নিয়েছিলাম । এর পেছনে অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে । কিন্তু এখানেও শান্তিতে হাটাতে পারছি না । একটু পর পর ট্রেন এসে চিন্তা,ভাবনা সব তালগোল পাকিয়ে দিয়ে যাচ্ছে । সন্ধ্যা হতে এখনো অনেক বাকি । ক্লান্ত সূর্য একটু একটু করে ঢলে পরছে পশ্চিমে। গোধুলির সময় আকাশে রঙের খেলতাই খেলে যায়। কুমারী মেয়ের মতো নিজের সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে অস্তিত্ব জানান দিতে চায়। যেনো প্রদীপের শিখা নিভে যাবার আগে দপ করে জ্বলে উঠে বিলীন হয়ে যায় কৃষ্ণ গহব্বর অন্ধকারে।

ধীরে ধীরে রেল লাইনটা ফাকা হয়ে আসছে । এখানে ওখানে এখনো দু'একজন আড্ডা দিচ্ছে । দাড়িয়ে, বসে গল্প করছে । তবে, আশা করা যায় সন্ধ্যা নাগাদ একেবারে ফাকা হয়ে যাবে । ফাকা মাঠেই গোলটা দিতে হবে ।

রেল লাইনও যে, মানুষের বেড়াবার জায়গা হয় সেটা আজই বুঝলাম । যাকগা , যে যেখানে, যা ইচ্ছা করে বেড়াক তাতে আমার কি ? সবকিছু নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না । আমার কাজটা সন্ধ্যার আযানের পরপর সেরে ফেলতে হবে । সে সময় লাইনে লোকজন থাকবে বলে মনে হয় না ।

আট বছর ধরে করে আসা চাকরিটা একটু আগে ছেড়ে দিয়ে এসেছি ।
আমি না ছাড়লে ওরাই আমাকে ছাড়িয়ে দিতো । প্রাইভেট সেক্টরের চাকরির এমনিতেই কোন মা, বাপ নেই । এই আছে তো এই নাই । বসের মর্জিই যেখানে জীবন ও জীবিকার চাবিকাঠি জীবনের মূল্য সেখানে কোন গুরুত্ব রাখে না । বস্ ভালো হলে সব ভালো, বস ভালো না হলে সব জাহান্নাম । তবুও দিনরাত পরিশ্রম করে একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছিলাম । ভেবেছিলাম, এমনি করেই বোধ হয় জীবনটা কেটে যাবে । কিন্তু কথায় আছে না, কাঙ্গাল যেখানে রয় সন্ধ্যা সেখানে হয় ।

করোনায় বসের মৃত্যুর পর তার বিলাত ফেরত সু-পুত্র পিতার ব্যবসা বুঝে নেওয়ার বছর খানেকের মধ্যে সব লাটে উঠেছে । একে একে ব্রাঞ্চগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে । তিনমাস যাবত কারো বেতন হচ্ছে না । ৪০ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী থেকে কমতে কমতে ৬ জনে এসে ঠেকেছে ।

গতকাল বসের পিয়ন মনির অফিস থেকে একটা ল্যাপটপ নিয়ে কেটে পরছে । অনেক পুরাতন কর্মচারী, সে যে এমন একটা কাজ করবে তা আমরা কেউ কল্পনাতেও ভাবিনি । তিন মাস ধরে বেতন না পেলে এমনটা করা অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু না ।
মনির যাবার আগে বসের পুত্রের উদ্দেশ্যে একটা চিঠি লিখে রেখে গেছে । তাতে লেখা ছিলো,
জনাব সাব্বির সাহেব,
আলেমের ঘরে যেমন জালেম জন্মে আপনার পিতার ঘরে তেমনি আপনি জন্মেছেন ।
আমাদের রক্তের বিনিময় অর্জিত অর্থ দিয়ে বিদেশে লেখা পড়া করে আপনি মানুষ নয় গাধা হয়ে ফিরে এসেছেন । তা না হলে আপনার পিতার প্রচেষ্টা ও আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তিল তিল করে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানটি এক বছরের ধ্বংস হয়ে যেতো না । এর জন্য দায়ী আপনি,আপনার উ শৃঙ্খল জীবন ।
আমরা আপনার পিতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, ব্যবসার শুরুতে আপনার পিতা কি করে একটা পাউরুটি অফিসের সবার সাথে ভাগ করে খেয়েছেন । সে ইতিহাস হয়তো আপনার জানা নেই ।

আমাদের বিপদে আপদে, সন্তানের জন্মদিন, বিবাহে,কারো মৃত্যুতে আপনার পিতা নিজ ভাইয়ের মতো সকলের পাশে দাঁড়িয়ে দু হাতে খরচ করেছেন । অফিসের সকল কর্মচারীর সুখে, দুখে তিনি ছিলেন একজন যোগ্য অভিভাবক । সেই পিতার ঘরে আপনার মতো একজন কুলাঙ্গারের জন্ম হবে এমনটা কল্পনাও করতে পারিনি । আপনার পিতা ছিলেন , ফেরেশতার মতো মানুষ । আর আপনি .......।কর্মচারীদের বেতন হয় না তিনমাস ধরে অথচ আপনি আমাদের দিয়ে বিরানি এনে বন্ধুদের নিয়ে চেম্বারে বসে মজা করে খান । থাক আর কিছু লিখতে ইচ্ছে, করছে না । যাবার সময় ইচ্ছে করেই আপনার ল্যাপটপটা নিয়ে যাচ্ছি । এটা বিক্রি করে তিন মাসের বেতন যদি উসুল করতে পারি । আপনি চাইলে মামলা করতে পারেন । আমার বড় ছেলে জজ কোটের উকিল হয়েছে, আপনার বাবার টাকায় । তাই মামলার ভয় আমি পাইনা । আমি দেখতে চাই সে কত বড় উকিল হয়েছে । বাবাকে রক্ষা করার জন্য সে কি কি করে । তবে এই বিশ্বাস আছে যে,সে আপনার মতো বিশ্বাসঘাতক হবে না।

বি।দ্র : আপনার ল্যাপটপের সব ডাটা মুনাম ভাইয়ের ডেস্কটপে রাখা আছে । সেখান থেকে কপি করে নেবেন ।

ল্যাপটপ চুরির ঘটনাটা ধরা পরার পর বসের ছেলে প্রথমে পুরো অফিস তোলপাড় করে তুলল। এই পুলিশ ডাকে তো, এই র‍্যাব আনে। হাউকাউ, চেচামেচি করে পুরাই অস্থির। কিন্তু চিঠিটা হাতে পাওয়ার পর , একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে গেলো । জরুরী মিটিং ডেকে সবার উদ্দেশ্যে বলে দিয়েছে, আমি আর আপনাদের রাখতে পারছি না । এমনিতে আপনাদের তিন মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে । সে টাকাও আপাতত দিতে পারবো না । কোনদিন পারবো কিনা সেটাও জানি না । তাই আপনারা চলে যেতে পারেন ।

এর পর আর ঝুলে থাকার কোন মানে হয় না । ম্যানেজার কামাল সাহেব'কে দেখলাম, বকেয়া আদায়ের জন্য জোট পাকাচ্ছেন। আমি কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে এসেছি । দুপুরে কিছু খাওয়া হয়নি । পেটের ভেতর একটু পর পর মোচড় দিচ্ছে। কিন্তু সেটা পাত্তা দিচ্ছি না। সব কিছু পাত্তা দিতে নেই। কোথাও থেকে দু আজলা পানি খেয়ে নিলেই হবে। দুনিয়া জুড়ে আল্লাহ পানি ফ্রি করেছেন গরিবের খাদ্য হিসাবে। তাছাড়া একটু পরেই যখন সব শেষ হয়ে যাবে তখন আর পেটের জ্বালাকে পাত্তা দিয়ে কি লাভ । শুধু শুধু কিছু অর্থের অপচয়। অর্থের কথা ভাবতেই মনে এলে, রাতে বাসায় ফিরে বাসা ভাড়া দেবার কথা । গত মাসে বুয়ার বেতন, খাবারের বিল দেওয়া হয়নি । দোকানে বাকি রয়েছে হাজার পাঁচেক । সেটাও আজ ফিরে দিবো বলে কথা দিয়ে এসেছি । বোনের বিয়ের জন্য বছর পাঁচেক আগে ব্যাংক থেকে লোণ নিয়েছিলাম ৫ লাখ। পাঁচ বছর মাসে মাসে সুদসমেত কিস্তি দেবার পরেও সেটা ৫ লাখে রয়ে গেছে । কেয়ামত পর্যন্ত সে ঋণ আর শোধ হবে বলে মনে হয় না ।

নীলা অপেক্ষা করে আছে দীর্ঘদিন ।
দিন নয়, এক যুগ, বলতে হবে । বেতন বন্ধ হবার পর থেকে বেচারি যখন যা পারছে, দিয়ে আসছে । আর কতো ? সব কিছুর শেষ আছে । এ যুগে নাকি সত্যিকারের প্রেম, ভালবাসা নেই । কিন্তু এ পৃথিবীতে যতদিন নীলা'র মতো মেয়েরা থাকবে ততদিন সত্যিকারের প্রেম, ভালবাসা পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে না ।

একসাথে লেখাপড়া শেষ করার পর নীলা ঢুকলো, জীবন বীমা'য় আমি ঢুকলাম রাশেদ গ্রুপে । আহ! কি দিন ছিলো সেসব । কিন্তু দু'টো বছরের মধ্যে সব তচনচ হয়ে গেলো । ভেবেছিলাম, ব্যাংকের ঋণটা শোধ হয়ে গেলে বিয়েটা করে ফেলবো । কিন্তু সে আর হচ্ছে না ।

হঠাৎ তীব্র হুইসেলের শব্দে কানে তালা লেগে যাবার যোগার হলো । সেই সঙ্গে প্রচণ্ড একটা ধাক্কায় ছিটকে পড়লাম, লাইনের এক পাশে স্তূপ করে রাখা পাথরের উপর। তীব্র ব্যথায় চোখ, মুখ কুচকে গেলো । মনে হলো, মরে গেছি । মরে গেছি শব্দটা মাথায় আসতেই মনে হলো, যাক বাবা, বড় বাঁচা গেছি । আর কোন চিন্তা নেই । সব শেষ হয়ে গেছে । মৃত্যু বিষয়টা যে, এতো সহজ, তা আগে বুঝতে পারি নাই । আর কোন চিন্তা নাই । ক্ষুধা, তৃষ্নার যন্ত্রনা নেই । বাড়িওয়ালার চিন্তা নেই , খাবারের বিল দেবার চিন্তা নেই । নীলাকে বিয়ে করার চিন্তা নেই । স্বপ্নগুলো ব্যস্তবে রুপ দেবার ব্যস্ততা নেই । ব্যাংক ঋণের কিস্তি দেবার পেশার নেই । সব কিছু থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে ।

নাটক, সিনেমায় দেখা, দৃশ্যের মতো এখনই হয়তো আমার আত্মা দেহ ছেড়ে আকাশে উঠে যাবে । চোখ বন্ধ করে আমি বাতাসে উঠে যাবার অনুভূতি অনুভব করতে চাইলাম । কিন্তু কিছুই হলো না । কয়েক মুহূর্ত পরেই, বিকট শব্দ করে ট্রেনটা চলে গেলো পাশ দিয়ে । তাকিয়ে দেখি, ট্রেন চালক জানালা দিয়ে মুখে বের করে আমার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে, নেড়ে কিছু একটা বলছে । কি বলছে, বুঝতে না পারলেও তার শেষ কথাটা কানে এলো, "এতো জায়গা থাকতে এখানেে কেন মরতে এসেছিস, বোকাচোদা ?"

বোকাচোদা, বোকাচোদা শব্দটা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে লাগলো ।
ট্রেন চলে যাবার পরেও বেশ কিছুক্ষণ পড়ে রইলাম । কিছুই ঘটলো না । উঠে দাড়িয়ে বুঝতে চেষ্টা করলাম শরীরের কোথায় কোথায় আঘাত লেগেছে । ট্রেনের ধাক্কায় সব থেঁতলে যাবার কথা কিন্তু আমার তো দেখি কিছুই হয়নি । হয়তো মরে গেছি বলে কিছুই টের পাচ্ছি না। উল্টো দিক থেকে একটা লোককে দৌড়ে আসতে দেখলাম । কাছাকাছি এসে লোকটা আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে বলল, ভাই ব্যথা পান নাই তো ? ট্রেন'টা বুঝি দেখতে পান নাই । আমি সেই কখন থেকে চিৎকার করছি সেইটাও শুনেন নাই । বয়রা নাকি? তারপর একটু থেমে বলল, এই জায়গাটার দোষ আছে,"গত সপ্তাহেও একজন মরলো, আজ আপনে ........।"
আমি বললাম, আপনে ! আপনে মানে কি ? আমি, কি তাহলে মরে গেছি ?
লোকটা তখন দাঁত কেলিয়ে এমন ভাবে হাসলো, যার অর্থ কিছুই বুঝতে পারলাম না।

..........................................শেষ..........................................................

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭

নাহল তরকারি বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের এত কষ্ট কেন? বিদেশীরা কত আরামে আছে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কিছু মানুষের লোভ, আর দুনীতির কারণে

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯

জগতারন বলেছেন:
লিখাটি বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া কিনা জানি না।
তবে পোযষ্টটি পড়ে আমার মনে হয়েছে এ এক বাস্তব জীবনেরই
প্রতিছবি।
যাহারা গড়ে তাহারা জানে সৃষ্টি করার কি জ্বালা ।
পরের প্রজন্ম তার প্রকৃত মূল্য না বুঝারই কথা।
এ ঘটনাটি বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া হয়ে থাকলে লেখক
-এর প্রতি সহমর্মিতা অনুভব করি।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: হ্যা,ভাই লেখা জীবন থেকে নেওয়া। তবে আমার নয়, সবাই জীবনের সবটুকু নিয়ে গল্প হয় না। ইট পাথরের মতো একটু একটু করে ঘাতনি দিতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্যে

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৫

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ইউরোপেরর লোকেরা কত্ত বড়লোক। তারা কত আরামে আছে। আমরা বাংলাদেশীরা কত কষ্টে আছি।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সবই কপাল, আমি কপালে বিশ্বাসী

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এ যেন আমারই জীবনের গল্প।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

জুল ভার্ন বলেছেন: জীবন ছোঁয়া গল্প ভালো লেগেছে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:

চমৎকার লেখা! ভালো লেগেছে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: অনেক অনেক শুভ কামনা

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৫

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। বলেছেন: আমার দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২,৮১৪ মার্কিন ডলার - কিন্তু প্রশ্ন হোলো কতো জন মানুষ ২,৮১৪ মার্কিন ডলার আয় করতে পারছে ? কতো জন মানুষ - মাথাপিছু আয় ২,৮১৪ মার্কিন ডলারের বহু বহু নিচে আছে ? দেশে মাত্র অ্যাক লাখ আট হাজার (সামান্য বেশি) সংখ্যক কোটিপতি মানুষের ব্যংক হিসাব রয়েছে - তা হলে মাথাপিছু আয় ২,৮১৪ মার্কিন ডলার কাদের হিসেবে করা হয় ?

০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: জটিল একটি প্রশ্ন করেছেন , সাধারণত GDP নিধারিত হয়, জিডিপি = ব্যক্তিগত খরচ + মোট ব্যক্তিগত বিনিয়োগ + সরকারি বিনিয়োগ + সরকারি ব্যয় + (রপ্তানি - আমদানি)। অন্যদিকে মাথাপিছু আয় বলতে কোন দেশের মোট আয়কে জনপ্রতি ভাগ করে দিলে যা হয়, তাকে বোঝায় । জনগনের সর্বমোট ব্যক্তিগত আয়কে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে মাথাপিছু আয় পাওয়া যায়| সাধারণতঃ মাথাপিছু আয়কে টাকা প্রতিবছর এককে প্রকাশ করা হয় । আবার মাথাপিছু আয়কে আপনি এভাবেও বলতে পারেন; একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি দেশের মোট জনসংখ্যার গড় আয়। মাথাপিছু আয় নির্ণয় করা হয একটি দেশের প্রতি ব্যক্তি গড় আয় নির্ধারণ করতে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান নির্ণয় করতে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ১ বছর নির্দিষ্ট সময়কালে কোনো ভৌগলিক অঞ্চলের অধীনে বসবাসকারী ব্যক্তির জীবনমানের মূল্যায়ন করার জন্য একজন ব্যক্তির দ্বারা অর্জিত গড় আয় নির্ধারণ করাই হলো মাথাপিছু আয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে , ২,৮১৪ এতো মার্কিন ডলার কিভাবে হয় ? ২৮১৪ টাকাকে যদি ১০০ দিয়ে পুরন দেই তাহয়ে দাড়ায় - 2,81,400 টাকা । এটা একজনের এক বছরের আয় । আপনার প্রশ্ন হচ্ছে , এ্‌ই অর্থ কতজন আয় করতে পারছে , এক্জন রিকশা চালকের দৈনিক আয় মিনিমাম , ১৫০০ টাকা ইন্টু ২৫ দিন = ৩৭৫০০ টাকা মাসে । ৩৭৫০০ ইন্টু ১২ = ৪,৫০,০০০ টাকা । এতোটা যদি না ও হয় , তবুও ২৬১৪ ডলার এর বেশি হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.