নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী,পুরুষের পর্দা নিয়ে কিছু বলার মানেই যুদ্ধাপরাধী,রাজাকার বা মৌলবাদী নন

০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৪



বিশ্বব্যাপী চলছে দাঙ্গা হাঙ্গামা । ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার সাথে আমেরিকা ও ইই্‌উ যুদ্ধ বোনাস হিসাবে বিশ্বের রাজনৈতিক অঙ্গনে হাওয়া দিচ্ছে । এসব ছাপিয়েও যে বিষয়টি সকলকে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে, সেটা হচ্ছে নারী স্বাধীনতার নামে ইরানে হিজাব নিয়ে নারীবাদীদের আন্দোলন । অবশ্য নারীবাদি ইস্যুতে ইরানে যতোটা না আন্দোলন হচ্ছে, তারচাইতেও নারীবাদীদের আন্দোলনের হাওয়া দিচ্ছে ইউরোপীয় মিডিয়া ও নারীবাদীরা এবং এদেশের সো কলড কিছু নারীবাদি ।

চলছে তাদের নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ । বুঝে না বুঝে অনেক এশিয়ান সে সব ইরানে আন্দোলনের ছবি ভেবে মনের আনন্দে শেয়ার করে বেড়াচ্ছেন । এর ই মধ্যে ইডেনের ঘটনাটি যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে । ইডেনের অভ্যন্তরীন বিষয় মিডিয়াতে বলে দেওয়ায় প্রাণ নিয়ে পালাচ্ছে অনেক সাধারণ ছাত্রী ।

বাংলাদেশে সো কলড নারীবাদীরা যারা নারী স্বাধীনতা বলতে , নারীদের পোশাক খুলে অথবা স্বল্প বসনে চলাফেরা করাকে নারী স্বাধীনতা বুঝে । তারা সরাসরি এসব কথা বলতে না পারলেও তাদের কথাবার্তায় সেটিই প্রকাশ পায় ।

বিশ্বে যতোগুলো ধর্ম রয়েছে , তাদের সবগুলোতেই নারী,পুরুষের পোশাকের ব্যাপারে বিশেষ ভাবে বলা হয়েছে । সমাজের অনাচার , খুন, খারাবি,অন্যায় অত্যাচার প্রায় সবগুলোর সাথে নারী, পুরুষের অবাধ বেল্লাপানা ও ধর্মীয় অনুশাসন না মানা জড়িত । একটা প্রশ্ন যদি করেন তাহলে উত্তরটা সহজ হয়ে যাবে , নারীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করে কারা , উত্তরটা হবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই ।?

ধর্ম কখনো মানুষকে দাস বানায় না । ধর্ম মানুষকে ইহ ও পর জগতে মুক্তির পথ দেখায় । একজন প্রকৃত ধার্মীক কখনো এইডসে, সিফিলিস,গনোরিয়ার মতো যৌন রোগে আক্রান্ত হয় না । পারিবারিক অশান্তির কারণে , পরকিয়ার কারণে খুন বা আত্মহত্যা করে না ।

দেশের সো কলড কিছু নারীবাদী, যারা নারী স্বাধীনতার অর্থ ই বুঝে না , তারা নারীবাদী শব্দটার সাথে যুদ্ধ অপরাধী শব্দটা জুড়ে দিয়ে নিজেদের দল ভারি করতে সদা তৎপর থাকে । নিজেরা রাজাকার বলে, সহজেই অন্যকে রাজাকার বলে দূর্বল করে দিতে চায় ।
তাদের পোস্টে প্রায়ই দেখা যায়, পর্দার বিষয়ে কোন প্রসঙ্গে আসলেই ৭১ এর প্রসঙ্গ টেনে এনে যে কাউকে রাজাকার বানিয়ে ফেলার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে । কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, রাজাকার কিন্তু যুগে যুগে জন্মে । ৭১রের পরেও এ দেশে অনেক রাজাকার জন্মেছে । এবং আরও জন্মাবে । এরা এতোটাই ভয়ংকর যে । যে কোন মুর্হুতে রং পাল্টে ফেলে । এই সব নারীবাদিরা আবার নারীবাদি আন্দোলনের নামে অর্থ আয় করে নিজেদের পেট চালায় । জি আপু হু আপু , অপূর্ব লাগছে আপু বলে , প্রেম প্রেম খেলে ।

তবে নারী স্বাধীনতার সংজ্ঞা কিন্তু কখনো নারীদের খুল্লাম, খুল্লা পোশাক পরিধানকে বুঝাবে না । নারী স্বাধীনতা বলতে, নারীদের পারিবারিক ,রাজনৈতিক, অর্থনীতিক ,সামাজিক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকারকে বুঝায় । এটা তাদের ঘিলুতে ঢুকবে না ।

যে দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, যে দেশের বিরোধী দলের নেত্রীও একজন নারী । সে দেশের নারীদের পরাধীন বলা শুধু অন্যায়ই নয় রীতিমতো অপরাধ ও ।

কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে ততোক্ষন পর্যন্ত অন্য কারো হস্তক্ষেপের অধিকার নেই, যতোক্ষন পর্যন্ত না তা সমাজ ও রাস্ট্রের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয় । যৌন সুরসুরি দেওয়া যেমন অপরাধ তেমনি যৌনসুরসুরি অনুভুব করে ঝাপিয়ে পরাও অবরাধ । বেছে নিন আপনি কোন দলে ।


মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৮

নতুন বলেছেন: ধর্ম কি জোর করে পর্দা করতে বলেছে?

জোর করে পর্দা করাতে গিয়ে একজনকে হত্যা করলো। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আরো মানুষ হত্যা করলো সেটা কি ঠিক আছে?

ধর্ম মানা না মানা মানুষের ইচ্ছা মাত্র। সেখানে বাড়াবাড়ী করতে গিয়ে মানুষ হত্যা করছে সেটা সম্পর্ক আপনার মতামত কি?

০২ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধর্ম চলে ধর্মীয় অনুসাশনে । অবশ্যই ধর্ম নারী পুরুষ উভয়কেই পর্দা করতে বলেছে । কারো কারণে যদি ধর্মীয় সমাজে বিস্মৃঙ্খলা দেখা দেয় তাকে প্রতিহত করা রাস্ট্রের দ্বায়িত্ব । এ জন্য রাস্ট্রের আইন রয়েছে । ইরানে যদি আত্মীয় স্বজন থেকে থাকে তাহলে খোজ নিয়ে দেখুন যতো লোক হত্যার কথা বলা হচ্ছে, সেটার অনেকটাই গুজব । আপনি যে, ধর্মের সে ধর্মের অনুসাশন মেনে চুলুন কেউ বাধা দিবে না । কিন্তু নিজে ..শ্যা হয়ে অন্যকে ..শ্যা বানাতে চাইলে সেটা অপরাধ ।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩১

এমজেডএফ বলেছেন: "কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, রাজাকার কিন্তু যুগে যুগে জন্মে। ৭১রের পরেও এ দেশে অনেক রাজাকার জন্মেছে। এবং আরও জন্মাবে।" -এর চমৎকার উদাহরণ যে আপনি নিজেই - সেটাও উল্লেখ করলেন না কেন? :P

নারী স্বাধীনতা বলতে, শুধু নারীদের পারিবারিক, রাজনৈতিক, অর্থনীতিক, সামাজিক স্বাধীনতাকে বুঝায় না ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকেও বুঝায়।

"সমাজের অনাচার , খুন, খারাবি,অন্যায় অত্যাচার প্রায় সবগুলোর সাথে নারী, পুরুষের অবাধ বেল্লাপানা ও ধর্মীয় অনুশাসন না মানা জড়িত।"
আপনার কথা অনুসারে উন্নত বিশ্বের সব দেশেই 'নারী-পুরুষের অবাধ বেল্লাপানা ও ধর্মীয় অনুশাসন না মানা' নিত্য-নৈমত্তিক ব্যাপার। সেখানকার সমাজে তো অনাচার, খুন, খারাবি, অন্যায় অত্যাচার খুব কমই হয়। বাস্তবে এগুলো সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ধর্ম বিশ্বাসী লোকদের দেশে। কারণ কী?

ইরানের মাহসা আমিনির অপরাধ ছিল তার হিজাবের ফাঁক দিয়ে চুল বেরিয়ে এসেছিল। আপনার কথা অনুযায়ী এ কারণে সমাজে অনাচার শুরু হবে তাই একে দমন করতে হবে! কোনো নারীর হিজাবের ফাঁক দিয়ে বের হওয়া সামান্য চুল দেখে আপনার মতো যেসব ধর্ম বিশ্বাসী পুরুষের যৌন উত্তেজনা শুরু হয় তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে দেওয়া উচিত।

"যে দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী যে দেশের বিরোধী দলের নেত্রীও একজন নারী সে দেশের নারীদের পরাধীন বলা শুধু অন্যায়ই নয় রীতিমতো অপরাধ।" এগুলো হলো সম্পূর্ণ আবাল ও হাস্যকর কথাবার্তা। তাই আর বেশি কিছু বললাম না।

০২ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: রাজাকারের কাছে দুনিয়ার সবাইকেই রাজাকার মনে হয় এটাই স্বাভাবিক । অশিক্ষিত মানুষ নিজের স্বার্থে আঘাত লাগলে অন্যকে নোংড়া ভাষায় আঘাত করে । এতে তাকে দোষ দেওয়া যায় না এটা তার পিতামাতার দোষ কারণ তারা প্রকৃত শিক্ষা দিতে পারে নাই । আপনার মন্তব্য বলে দিচ্ছে কতোটা অজ্ঞ আপনি । কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আঘাত করার আগে নিজের অজ্ঞতা দূর করুন ।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: স্যোশাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করে পোস্ট লেখাও কতটা ঝুঁকি পূর্ণ তা আপনার এই পোস্টে একটা মন্তব্য!

০২ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এদের সংখ্যাটা বেশি নয় । তবে এদের দোষ দেই না । এটা তাদের পারিবারিক শিক্ষার অংশ । পরিবারে যা শিখেছে সেটাই সর্বত্র করে বেড়ায় । এদের আমি সব সময় ইগনর করি ভাই ।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার লেখা এবং মন্তব্য এর প্রতুত্তরে আপনার মন মানসিকতা বুঝা যায়। আপনি ধর্ম বা সভ্যতা কোনটাই ঠিকমত বূঝেন না।
ইসলামী আইন অনুযায়ী কেউ যদি ঠিকমত হিজাব না পরেন তার শাস্তি কি হত্যা?

এ বিষয়ে আপনি আপনার লেখায় একটি শব্দ উঢ্ঢারন করেননি এমনকি একজন আপনাকে প্রশ্ন করায় পরোক্ষ ভাবে হত্যা কান্ডকে সমর্থন করে গেছেন।
আমিও শালীনতার পক্ষে। তবে সেটা হওয়া উচিত সঙশ্লিষ্ট দেশের সংস্কৃতি অনূযায়ী।

গুগল এ সার্চ দিয়ে দেখূন তো বিশ্বের যে সমস্ত দেশ শান্তি ও শৃংখলায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে তার কয়টি দেশে হিজাব বাধ্যতামূলক?

বিশ্বাস করি তাই ধর্ম মানি কিন্তু তার সাথে কুযুক্তি দিয়ে ধর্মকে সমালোচিত করার কোন মানে হয়না।



৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধর্মীয় অনুশাসনের নামে জোর-জবরদস্তি কতটা ন্যায্য?

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০১

কামাল৮০ বলেছেন: দেশ ধর্ম মতে চলে না।দেশ চলে সংবিধান মতে।ধর্ম পালন যারযার ব্যক্তিগত বিষয়।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আসলে সকল রাজাকার জামাতই নারী,পুরুষের পর্দা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে। যারা বাড়াবাড়ি করে তারা যুদ্ধাপরাধী সমমনা। তাই কোন সাধারণ ইসলামিস্টরা উক্ত বিষয় নিয়ে কথা বললেই, অধিকাংশ তাদের যুদ্ধাপরাধী,রাজাকার বা মৌলবাদী মনে করে।

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্ম চলে ধর্মীয় অনুসাশনে । অবশ্যই ধর্ম নারী পুরুষ উভয়কেই পর্দা করতে বলেছে । কারো কারণে যদি ধর্মীয় সমাজে বিস্মৃঙ্খলা দেখা দেয় তাকে প্রতিহত করা রাস্ট্রের দ্বায়িত্ব । এ জন্য রাস্ট্রের আইন রয়েছে । ইরানে যদি আত্মীয় স্বজন থেকে থাকে তাহলে খোজ নিয়ে দেখুন যতো লোক হত্যার কথা বলা হচ্ছে, সেটার অনেকটাই গুজব । আপনি যে, ধর্মের সে ধর্মের অনুসাশন মেনে চুলুন কেউ বাধা দিবে না । কিন্তু নিজে ..শ্যা হয়ে অন্যকে ..শ্যা বানাতে চাইলে সেটা অপরাধ ।

আপনি যেহেতু মানুষের জীবনের মুল্যায়ন করতে শেখেন নি তখন আর কি বলবো।

চুল দেখা যাওয়ার জন্য যখন মানুষকে মেরে ফেলতে হয় এবং রাস্ট সেটার পক্ষে দাড়ায় তখন মানুষ অবশ্যই প্রতিবাদ করবেই।

যারা মানুষের জীবনের মূল্য বোঝে না তারা ধমান্ধের মতন বড় হুজুরের শেখানো বুলিই আউড়াবে।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: " কিন্তু নিজে ..শ্যা হয়ে অন্যকে ..শ্যা বানাতে চাইলে সেটা অপরাধ ।"

এসব কি লিখেছেন ভাই!!!!

আপনিও একজন বলগার?

আগে কিছুটা মানবিকতা, মনুষত্য এবং মগজ বাড়িয়ে তারপর এইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট দিলে হয়না?

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: উপরের মন্তব্যগুলোর সবগুলো আমি পড়িনি । পড়ার প্রয়োজন বোধ করিনি , কারণ আমি জানি আমি কি লিখেছি । ধর্মীয় বা অন্য কোন কারণে কারো মৃত্যুই কাম্য নয় । কারণ একটি মৃত্যু একটি পরিবারের জন্য বিশাল শূন্যতা । বিশাল বড় ক্ষতি, যে ক্ষতি কোনদিন পূরণ হবার নয় । বিশ্বের মধ্যে ইরানই একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে শাস্তির ব্যাপারে নারী পুরুষ বিবেচনা করা হয় না । অপরাধীর যেখানে ভিন্ন কোন পরিচয় নেই ।

ইরান যেহেতু ,শরীয়া আইন অনুযায়ী চলে, সেহেতু যেখানে নারী পুরুষের পোশাকের ব্যাপার বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখা হয়, কারণ হিসাবে তারা বলে, এতে অন্যরা নারীদের ক্ষতি করতে পারে । কেউ আইন ভঙ্গ করলে, তার জেল, জরিমানা,বেত্রাঘাত এই সব শাস্তি দেওয়া হয় । ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড, বিবাহ বহিভূত সর্ম্পকেট শাস্তি সেখানে মৃত্যুদন্ড । মোট কথা যে কোন, যৌন সর্ম্পক যুক্ত অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ড । ফলে অপরাধের প্রবনতা সেখানে কম । এছাড়াও মাদক,দ্রব্যমূল্য,খাদ্যে ভেজাল এ সবের শাস্তিও মৃত্যু দন্ড । রাজনৈতিক পরিচয় সেখানে কোন গুরুত্ব রাখে না ।

"১৯৭৯ সাল থেকে ঘরের বাইরে নারীদের হিজাব বাধ্যতামূলক করে ইরান। গত আগস্ট মাসে দেশটি আরও কড়া বিধিনিষেধ নিয়ে নতুন হিজাব আইন পাস করে। এতে অফিস, গাড়ি ও রাস্তার মতো কোনো পাবলিক স্পেসে বা জন পরিমণ্ডলে নারীদের একরত্তি চুলও হিজাবের বাইরে আসলে, তা আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে । " এবং এটা তাদের সংবিধানের ধারা অনুযায়ী ঘটছে । এই আইনটি ভঙ্গ করার জন্য প্রতিদিন, অসংখ্য নারী পুরুষ শাস্তির আওতায় এসে শাস্তি ভোগ করে । মাসা ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটার কথা ছিলো , জেল না হয় জরিমানা অথবা বেত্রাঘাত । কিন্তু সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে । যা কাম্য নয় । আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অতি উৎসাহী অনেকে থাকে যাদের কারণে অনেক নিরীহ মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে । মাসার ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটেছে বলে আমার ধারনা ।

শয়তান আপনাকে, আমাকে সব সময় খারাপ কাজের দিকে আহবান করবে । এটাই শয়তানের কাজ , কথা হচ্ছে, আপনার পারিবারিক ও ধর্মীয় শিক্ষা অনুযায়ী আপনি কি করবেন সেটা আসল ব্যাপার ।

মাসার মৃত্যুতে যে, আন্দোলন হচ্ছে, সেটা হচ্ছে, ইই উ ও আমেরিকার চক্রান্তে । ইরানে আন্দোলনের ঢেউ যতোটা না তার চাইতে বেশি ইউরোপে । এরই মধ্যে আর এক নারীকে মৃত ঘোষুনা করে আন্দোলন আরো দাববান করা হয়েছিলো । সারাদিন আন্দোলন করে ফেসবুকে ওই নারী নিজের ছবি দেখে নিজেই পোস্ট দেয় আমি মরি নাই । বেচে আছি । আন্দোলন করছি । এর পর তাকে আর আন্দোলনে দেখা যায়নি । নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছে । আমেরিকা ও ইউরোপে এখনো কোটি কোটি মানুষ আছে যারা জানে ই না ইসলাম কি । তারাও না বুঝে আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে, কারণ এর পেছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে । যাদের মাথায় ঘিলু আছে তারা বুঝবেন , এই আন্দোলন ইরানের জন্য কোন গুরুত্ব রাখে না । দু এক দিনে বা সপ্তাহের মধ্যেই কান্ত হয়ে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন ভেস্তে দিবে ।

প্রশ্ন হচ্ছে, ইরানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আসল কারণটা কি ?

কারণ খুব সহজ, ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যবহৃত ইরানে তৈরি ড্রোন । যা দিয়ে ইউক্রেনে গোপনে যুদ্ধরত আমেরিকা ও ইউরোপের সৈন্যদের নাস্তানাবুদ করে দেওয়া হয়েছে । ইউক্রেনে বিদেশী সৈন্য মারা গেছে প্রায় ২০ হাজারের উপরে । এখন যদি ইরানের উপর চাপ প্রয়োগ করে ড্রোন হামলা বন্ধ করা না যায় তাহলে ইউক্রেনে ভাড়া খাটা বাহিনীর ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না । সব হচ্ছে রাজনীতি । আর এই রাজনীতি খেলায় ব্যস্ত আমরা সবাই ।

একজন মাদকাসক্ত চায় অন্যজন ও মাদকাসক্ত হোক , কারণ তাতে তার দল ভারি হবে । মাদক নেওয়া সহজ হবে । হাতাকাটা ব্লাউজ পরলেই নারীবাদি হওয়া যায় না । নিজে খারাপ বলে অন্যকে খারাপ বনাতে হবে এই মানসিকা যাদের আছে তা তাদের ত্যাগ করা উচিত । যদিও তা অসম্ভব ।

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১০

নতুন বলেছেন: আরেকটা মজার জিনিস কি জানেন?

আপনি সম্ভবত সুন্নি মুসলিম। আর ইরানিরা শীয়া মুসলিম।

আপনি ইরানে ধর্মের নামে নারীদের অত্যাচারের পক্ষে কিন্তু আপনি শিয়াইজম মেনে নেবেন না। তাদের বিশ্বাস আপনি মানবেন না। বলবেন তারা ভ্রান্ত পথে আছে।

তাহলে দাড়ালো টা কি?

নারীর উপরে নিয়ন্ত্রন করার তরিকা মেনে নেবেন কিন্তু শিয়াদের ধর্ময় বিশ্বাস মেনে নেবেন না। =p~

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার কি ধারনা এই জ্ঞান আমার নেই ? ধন্যবাদ ভালো থাকুন । ইরান সর্ম্পকে আমার পোস্ট রয়েছে । একটু খুজে পড়বেন প্লিজ ।

নারীদের নিয়ন্ত্রন করার প্রয়োজন নেই । তারা জন্ম থেকেই পুরুষের মতো মেধা, মননে ও যোগ্যতায় স্বাধীন । এটা আপনার মাথায় ঢুকবে না :-B

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কি ধারনা এই জ্ঞান আমার নেই ? ধন্যবাদ ভালো থাকুন । ইরান সর্ম্পকে আমার পোস্ট রয়েছে । একটু খুজে পড়বেন প্লিজ ।

নারীদের নিয়ন্ত্রন করার প্রয়োজন নেই । তারা জন্ম থেকেই পুরুষের মতো মেধা, মননে ও যোগ্যতায় স্বাধীন । এটা আপনার মাথায় ঢুকবে না :-B


মানুষ যে কেন চুল দেখা যাবার কারনে নারীর সাজা দেবার পক্ষে সমর্থন করে সেটা অবশ্যই আমার মাথায় ঢুকে না। :-B

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

মুনাওয়ার সিফাত বলেছেন: নারীবাদীরা নিজেদের স্বার্থের জন্য নারীদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বলে মনে হয়।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.