নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধ মেজর জলিল ছিলেন ভারত ও শেখ মুজিবের ২য় শিকার

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৪




মোহাম্মদ আবদুল জলিল (জন্ম: ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪২ - মৃত্যু: ১৯ নভেম্বর, ১৯৮৯) যিনি মেজর জলিল নামেই বেশি পরিচিত, বাংলাদেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ছিলেন একজন রাজনীতিক ও সামরিক কর্মকর্তা৷ তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৯নং সেক্টরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও এই মুক্তিযোদ্ধাকে তার প্রাপ্ত সম্মান দেয়নি শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরবর্তী কোন সরকার। তিনিই একমাত্র সেক্টর কমান্ডার যিনি দেশ স্বাধীন করেও তার প্রাপ্য সম্মান পাননি। তবে এ নিয়ে তার আফসোস বা আক্ষেপ ছিলো না। দুনীতিবাজদের দেওয়া সম্মান তিনি লাথি মেরে ফেলে দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, কেন মেজর জলিলকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি? কারণ তার রাজনৈতিক আদর্শ ছিল, শেখ মুজিবের নতজানু আদর্শের চেয়ে ভিন্ন। শেখ মুজির যুদ্ধ না করেও একাই সব কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছিলেন। পক্ষান্তরে মেজর জলিল সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেও সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন একমাত্র ভারতের বিরোধিতা করার কারণে ৷স্রোতের বিপরীত একা চলা এক অকুতোভয় সেনার নাম হচ্ছে, মেজর আবদুল জলিল৷

তার প্রথম অপরাধ ছিল, তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, "জেনারেল ওসমানী থাকতে কেন পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের জেনারেলের কাছে আত্মসমর্পণ করলো? সেই সময় জেনারেল ওসমানী কোথায় ছিলেন?" শেষের প্রশ্নটিতে ভারত বিব্রতবোধ করতো কারণ, সেই সময় ধারণা করা হয়, "জেনারেল ওসমানীকে ভারতে নজর বন্ধি করে রাখা হয়েছিলো।"

তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নিয়েও শুধুমাত্র গাদাবন্দুক চালাবের প্রশিক্ষন দিয়ে কি করে এতো বড় একটি জয়ের কৃতিত্ব ছিনিয়ে গেলো? জলিলের এই প্রশ্ম হুজুগে প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ মুজিব আর তার চাটুকারদের ভালো লাগেনি।

এছাড়াও মেজর জলিলের, আরো একটি অপরাধ ছিলো,স্বাধীনতার পরে পাকিস্তানিরা চলে যাবার পর ভারতের সৈন্যরা যখন এ দেশে লুটপাট চালাচ্ছিল, মেজর জলিল তখন তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, দেখা মাত্র ভারতীয় সৈন্যদের গুলি করার হুকুম দিয়েছিলেন। শুধু তা না, সে কথা ভারতীয় কমান্ডারের কাছে ফোন করে জানিয়েও দিয়েছিলেন। বাথরুমের কমট থেকে আয়না সব খুলে নিয়ে গিয়েছিলো ভারতীয় বাহিনী।

গার্ডিয়ানের রিপোর্টে বলা হয়, মিল ফ্যাক্টরির মেশিনাদি যন্ত্রাংশ পর্যন্ত লুটপাট করে ভারতীয় সেনারা। পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও খাদ্যশস্য, পাট, সুতা, যানবাহন, এমনকি সমুদ্রগামী জাহাজ, কারখানার মেশিনপত্র, যন্ত্রাংশ পর্যন্ত লুট করে। এই লুটের সম্পদের পরিমাণ ছিলো সবমিলিয়ে সেইসময়ের হিসাবে ২.২ বিলিয়ন ডলার।

এই যেমন হাসিনার পালানোর পর গণভবনের দৃশ্য আমরা দেখেছি অনেকটা সেরকম। এ দুটি অপরাধ খুনি শেখ মুজিবের ভালো লাগেনি। কত্ত বড় সাহস মনিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে? জলিল যদি সেনা অফিসার না হতেন তাহলে তাকেও সিরাজ সিকাদারের মতো হত্যা করা হতো।

সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলকে তার প্রাপ্য সম্মান দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হোক। যদিও তিনি শেখ মুজিবের মতো ক্ষমতালোভী এক ভারতীয় দালালের কাছ থেকে সম্মান নেওয়ার চেয়ে সম্মান না পাওয়াটাকেও বেশি সম্মানের মনে করতেন। এখন সময় এসেছে এই বীরকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার৷তাই এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মরোণোত্তর সম্মান দেওয়া হোক।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৩

গেছো দাদা বলেছেন: =p~

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২১

অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: এই বিষয় গুলো জানা ছিল না। তথ্যবহুল লেখা ধন্যবাদ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মেজর জলিল এর নিজের লেখা বই রয়েছে পড়ুন । একজন সেক্টর কমান্ডারকে কত বড় অকৃতজ্ঞ হলে তার প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করতে পারে । শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনা দু'টোই বাঙ্গালীদের রং চয়েস ।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৬

আদিত্য ০১ বলেছেন: আমি বলি কি বাবন সাহেব, এই সব চটির ব্যবসা এখন ভালো চলে না, আপনি বরং তিন এক্স বানান যদি একটু আয় রোজগার হয়, এই রকম তিন এক্স বানিয়ে একজন কমিটিতে ঢুকে যাচ্ছে, আপনি এই যেড-এর যুগে পিছিয়ে কেন থাকবেন, দেখেন তিন এক্স কিছু বানাতে পারেন কিনা, প্লট কিন্তু ছয় পান্ডব দেয়, ও চোখ নামক নিউজ থেকেও আসে। চালিয়ে যান!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: গায়ে লাগলো বুঝি ? বাংলাদেশীদের অভাবে কলকাতার ব্যবসায়ীরা ভিক্ষা করতে শুরু করেছে । অর্থ পাচার ও বন্ধ খাবেন কি দাদা ?

গার্ডিয়ানের রিপোর্টে বলা হয়, মিল ফ্যাক্টরির মেশিনাদি যন্ত্রাংশ পর্যন্ত লুটপাট করে ভারতীয় সেনারা। পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও খাদ্যশস্য, পাট, সুতা, যানবাহন, এমনকি সমুদ্রগামী জাহাজ, কারখানার মেশিনপত্র, যন্ত্রাংশ পর্যন্ত লুট করে। এই লুটের সম্পদের পরিমাণ ছিলো সবমিলিয়ে সেইসময়ের হিসাবে ২.২ বিলিয়ন ডলার।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২

প্রহররাজা বলেছেন: এই অভিযোগ এর প্রমান দেন তো ভাই!! না দিতে পারলে পোষ্ট ডিলিট মারেন মাফ চেয়ে৷

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এতো দেখছি গর্ত ছেড়ে বের হয়ে আসা বিএনপির তুখোর নেতা । লজ্জা করে না , নিজের নেত্রীকে রক্ষা করতে পারেন নাই ? অবশ্য লজ্জা থাকলে পোস্ট ডিলিট দিতে বলতেন না । মেজের জলিলের নিজের লেখা বই পড়ুন ।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তি বাহিনী যখন দেশের ৯৫-৯৯ শতাংশ অঞ্চল মুক্ত করে ফেলেছিল, ঠিক তখন ৩রা ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনী লুটপাট করার জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তারা ১৬ ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশ জুড়ে নজির বিহীন লুটপাট চালিয়েছিলো। ৯৩ হাজার পাকিস্তানী সৈন্যদের ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ- যার মূল্য ওই সময় ছিলো ২৭ হাজার কোটি টাকা, তার সবই ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৫টি বিশাল জাহাজে করে বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়ে যায়। অথচ সেই অস্ত্রের মালিকানা ছিলো পুরোপুরি বাংলাদেশের।

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের শত শত মিল কারখানার যন্ত্রপাতি, ব্যাংক, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ঘর-বাড়ির গৃহস্থালী জিনিসপত্র পর্যন্ত বাদ যায়নি লোভী ভারতীয় লুটেরাদের হাত থেকে। এসব সম্পদ ও দ্রব্যাদির তখনকার মূল্য ছিলো আনুমানিক ৯০ হাজার কোটি টাকা। শৌচাগারের বদনাগুলোও বাদ দেয়নি ভারতীয় লুটেরার দল। এছাড়াও যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধ পরবর্তীকালীন সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রদত্ত বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অন্যান্য সাহায্যও লুট করে নিয়ে যায় আমাদের পরম মিত্র ভারত।

বাংলাদেশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লুন্ঠনের ব্যাপারে আজিজুল করিম ‘হোয়াই সাচ এন্টি-ইন্ডিয়ান ফিলিংস এমং বাংলাদেশী?’ শিরোনামে এক নিবন্ধে ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ভারতীয় মাসিক ‘অনিক’-এর রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন, “ভারতীয় সৈন্যদের লুণ্ঠিত মালামালের মূল্য ছিল প্রায় ১শ’ কোটি মার্কিন ডলার।”

বাংলাদেশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লুণ্ঠনের ব্যাপারে ‘বাংলাদেশ পাস্ট এন্ড প্রেজেন্ট’ পুস্তকে সালাহউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, “যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর ভারতীয় সৈন্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিক সময় অবস্থান করতে থাকায় ভারত সমালোচিত হতে থাকে। অভিযোগ করা হয় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ট্রাক বহরে করে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ভারত বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশালী রাষ্ট্রের পরিবর্তে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এমন একটি আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় নীতির বিরুদ্ধে উত্তেজনা ও সংশয় সৃষ্টি হয়।”

মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক জয়নাল আবেদীনের ‘র এন্ড বাংলাদেশ’ শিরোনামে লেখা একটি বইয়েও বাংলাদেশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লুন্ঠনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বইটিতে তিনি লিখেছেন, “পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের পর ভারতীয় সৈন্যদের ব্যাপক লুটতরাজ দেখতে পেয়ে ভারতের প্রকৃত চেহারা আমার কাছে নগ্নভাবে ফুটে উঠে। ভারতীয় সৈন্যরা যা কিছু দেখতে পেতো তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়তো এবং সেগুলো ভারতে বহন করে নিয়ে যেতো। লুটতরাজ সহজতর করার জন্য তারা আমাদের শহর, শিল্প স্থাপনা, বন্দর, সেনানিবাস, বাণিজ্যিক কেন্দ্র এমনকি আবাসিক এলাকায় কারফিউ জারি করে। তারা সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে সামরিক সাজসরঞ্জাম, তৈজষপত্র ও পানির ট্যাপ পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে যায়। লুণ্ঠিত মালামাল ভারতে পরিবহনের জন্য হাজার হাজার সামরিক যান ব্যবহার করা হয়।”

বইটির আরেকটি অংশে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারত অর্থনৈতিক, সামরিক, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। এ কারণে দেশটি তার নিজের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়, আমাদের স্বার্থে নয়।”

বাংলাদেশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লুণ্ঠনের ব্যাপারে “বাংলাদেশ পাস্ট এন্ড প্রেজেন্ট” পুস্তকে সালাহউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, “যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর ভারতীয় সৈন্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিক সময় অবস্থান করতে থাকায় ভারত সমালোচিত হতে থাকে। অভিযোগ করা হয় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ট্রাক বহরে করে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ভারত বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশালী রাষ্ট্রের পরিবর্তে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এমন একটি আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় নীতির বিরুদ্ধে উত্তেজনা ও সংশয় সৃষ্টি হয়।”

এবার আসুন দেখি মুক্তিযুদ্ধে “তথাকথিত” সাহায্যের কারণ এবং বর্তমানের লুটপাট।

১. পাকিস্তানকে অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল করার লক্ষ্যে দুই টুকরো করতে পারলে ভারতের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করা, ভারতও ভালভাবেই জানত পূর্ব পাকিস্তানের আয় (বিশেষত পূর্ব পাকিস্তানের পাট, চা, চামড়া, নিউজপ্রিন্ট ও আরো অন্যান্য পন্য রপ্তানী বাবত বিপুল বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন ) দিয়েই পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা অর্থনীতির চাকা সচল রাখা হত।

২. পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তানের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা গেলে সামরিক দিক দিয়েও লাভবান হবে ভারত, ভারতকে আর তার পূর্রাঞ্চলে (ইস্টার্ন সেক্টরে) সামরিক শক্তি মোতায়েন রাখতে হবেনা, পুরো সামরিক শক্তিই তখন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে (ওয়েস্টার্ন সেক্টরে) পাকিস্তানের বিপরীতে প্রস্তুত রাখা যাবে। আরেকটা ব্যাপার ছিল ৬৫ সালের পাক-ভারত পুর্ব পাকিস্তানী(বাংলাদেশী) সৈন্য দের ব্যাপক বীরোচিত আক্রমন।

৩. ভারত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধীরে ধীরে এমনভাবে ভারত নির্ভরশীল করে তুলবে এবং বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থনীতি ও অর্থনীতির মূল শক্তিগুলোকে এমনভাবে ধ্বংশ করে দিবে যাতে বাংলাদেশ অনেকাংশে ভারতের উপর নির্ভর শীল হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পাট ও চা শিল্প আরো অনেক আগেই ধ্বংশ হয়ে এখন এই বাজার একচেটিয়া ভারতের দখলে চলে গেছে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প এবং জনশক্তি রপ্তানী খাতও ভারতের তীব্র প্রতিযোগিতা ও ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিনত হয়েছে।

আর উজানে বিভিন্ন নদীতে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের নদ-নদীকে মরুভূমি বানিয়ে বাংলাদেশের কৃষি, জলবায়ূ ও প্রকৃতিকে ইতমধ্যেই ধ্বংশের শেষ সীমায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও ভারতের জন্য কোন হুমকী হবেনা, বরং ভারতের লাভই হবে এবং কার্যত ভারতই বাংলাদেশের জন্য হুমকী হয়ে থাকতে পারবে। এসব হিসাব-নিকাশ সঠিকভাবে করেই ভারত ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে পৃথক তথা স্বাধীন বাংলাদেশ হতে সাহায্য করেছিল।

যে কারনে বাঙ্গালীদের মনে এতো প্রশ্ন ভারতের সেই তথাকথিত সাহায্যের জন্য।
কেন ভারত আমাদের ২৬ শে মার্চ এর পর পরই সাহায্য করল না, যদি সত্যই তারা আমাদের সাহায্য করতে চাইত?
রেসকোর্স ময়দানে আমাদের জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী সাহেব ছিলেন না কেন? তাকে কি আসতে বাঁধা দেয়া হয়েছিল?
কেন আমরা ৯০ভাগ অঞ্চল মুক্ত করার পর ভারত ডিসেম্বরের ৩ তারিখ আক্রমণ করল?
আপনাদের মনে আছে জর্জ হ্যারিসনের “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” এই ধরনের অনুষ্ঠান গুলো থেকে প্রাপ্ত অর্থ সহ বিশাল পরিমাণ ফান্ডের টাকা গুলো কোথায় গেল? ভারত কি হিসেব দিয়েছিল?

কেন রাশিয়ার দেয়া অস্ত্র গুলো ভারত নিজেদের দেয়া বলে চালিয়ে নিয়েছিল?
‘ইটস মিলিনিয়াম ইয়ার অপরচুনিটি টু ডিভাইড পাকিস্থান ইন্টু টু পিস’ – এই কথাটি কে বলেছিল?
বস্তুত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারত অর্থনৈতিক, সামরিক, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। এ কারণে দেশটি তার নিজের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়, আমাদের স্বার্থে নয়।” আজ এরাই গলা লম্বা করে বলে তারা নাকি বাংলাদেশকে সাহায্যে না করলে দেশ স্বাধীন হতনা!!! এই জন্যই বলে চোরের মার বড় গলা !

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

এম ডি মুসা বলেছেন: বাঙালি জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন ১৯৭১ থেকেই। এর আগে বাঙালির নিজস্ব রাষ্ট্র ছিল না। বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা এনেছে। বাঙালির মতের বিরুদ্ধে মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে। উদাহরণ দেই, নিজের ঘরের পরিবেশের লোকের সাথে মনোমালিন্য হয়। তাহলে একসাথে চলতে গেলে হতে পারে না?? স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিকামী মানুষের ভিতরে আলোচনা ভিতরে ভিন্ন মতের সিদ্ধান্ত হতে পারে। এটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সকলের চেষ্টায়। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ছাড়া।ব
এর জন্য কাউকে সম্মান থেকে দূরে রাখবে? আর দুই ভাগে বিভক্ত করার ইশতেহার নেই। ১৯৭১ সালের সকল সংগ্রামী নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধো শহীদ পরিবারকে ভিন্ন করে দেখা এরা প্রকৃত দেশপ্রেমিক নয়। ১৯৭১ এর ত্যাগ কখনো ভোলা যাবে না। বর্তমানে দমন পীড়ন নোংরা রাজনীতি জন্য কখনো দেশ স্বাধীন হয়নি্।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে , স্বাধীনতার পর যারাই বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় বসেছেন তারাই ব্যক্তি স্বার্থের কারণে দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়েছে । আর এর মূল্য তাদের দিতে হয়েছে নিজের জীবন দিয়ে নয়তো অপমান সহ্য করে । অপমানিত হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক শ্রেয় এটা হারামখোরেরা কখনো বুঝে না ।

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দেখুন তো ভদ্রলোককে কার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে? ভদ্রলোকের মৃত্যু যে পাকিস্তানে দাওয়াতে গিয়ে হয়েছিল জানেন? উনি যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করায় অনুতপ্ত ছিলেন; এটা জানেন? জাসদের রাজনীতির নামে কী শুরু করছিলেন তাও জানেন না?

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

নতুন বলেছেন: এছাড়াও মেজর জলিলের, আরো একটি অপরাধ ছিলো,স্বাধীনতার পরে পাকিস্তানিরা চলে যাবার পর ভারতের সৈন্যরা যখন এ দেশে লুটপাট চালাচ্ছিল, মেজর জলিল তখন তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, দেখা মাত্র ভারতীয় সৈন্যদের গুলি করার হুকুম দিয়েছিলেন। শুধু তা না, সে কথা ভারতীয় কমান্ডারের কাছে ফোন করে জানিয়েও দিয়েছিলেন। বাথরুমের কমট থেকে আয়না সব খুলে নিয়ে গিয়েছিলো ভারতীয় বাহিনী।

আফসোসলীগের অনেকেই এটা বিশ্বাস করতে চাইবেনা।

কিন্তু এই বিষয়ে আমার বাবার বন্ধু যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় আর্মি ক্যাপটেন ছিলেন তিনি বলেছেন যে এটা সত্যি। মেজর জলিল ভারতীয় সেনাদের ট্রাকের বহর আটকে ছিলেন।

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: অনিকেত বৈরাগী তূর্য্যঃ নিজামি, গোলাম আজম এদের সাতেহ তো শেখ হানিনা মিটিং করা, আলোচনা করার অনেক ছবি আছে। তখন কী বলবেন? জাসদ এরা শুরু করেছিল দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরে। ঐসময় দেশে কোনো গনতন্ত্র ছিল নাকি? ছিল তো বাকশাল। রক্ষী বাহিনী ২৫ হাজার জাসদ কর্মীদের হত্যা করেছিল।

লেখকঃ জেনারেল ওসমানী হেলিকপ্টারে করে আসছিলেন পাকিস্থানীদের আত্মসমার্পণ অনুষ্ঠানে। সেই হেলিকপ্টারে গুলি করা হয়েছিল বাধ্য হয়েই। উনি প্রাণ বাঁচাতে হেলিকপ্টার ঘুড়িয়ে অন্যদিকে চলে যান। নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কে গুলি করেছিল হেলিকপ্টারে?



০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আজ কোথায় সেই জাতির খাম্বা সরি জাতির আব্বা? কোথায় সেই মাদার অব ডাইনি?

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: জলিল সাহেবের বীর উত্তম খেতাব শেখ মুজিব ভারত মানা করার কারণে দেয়নি। ভারতের প্রেস্ক্রপশন ছাড়া উনি এক ঢোক পানিও খেতেন না।

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।

১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

আদিত্য ০১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: গায়ে লাগলো বুঝি ? বাংলাদেশীদের অভাবে কলকাতার ব্যবসায়ীরা ভিক্ষা করতে শুরু করেছে । অর্থ পাচার ও বন্ধ খাবেন কি দাদা ?

নাহ গায়ে লাগে নি... এই সব চটি পড়ে হাসি পায়, আগে এক্স চটিতে তাও শুড়শুড়ি থাকতো, আপনার অখাদ্য আর আজগুবি গপ্প লেখায় তেমনটাও নেই, এই জন্য বল্লাম দেখেন তিন এক্সের ভিডিও মানান, কিছু মানুস যদি একটু দেখে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.