নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেরাগ আলী ও কালো যাদু -৫ম পর্ব (চেরাগ আলী সিক্যুয়েল)

১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:১৩



ঘুম ভালো অনেক মানুষের কোলাহলে।

গাছের পাতার ফাঁক গলে সূর্যের আলো এসে চোখ-মুখে পড়ে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে সারা দেহ মনে। চোখ খোলার পর শরীর বেশ ঝরঝরে লাগছে। এক কটোরা গরম গরম চা পেলে মন্দ হতো না। হাই তুলে পরম আবেশে আড়মোড়া ভেঙে শোয়া থেকে উঠে বসে চারপাশে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম । চারপাশে লোকে লোকারণ্য হয়ে আছে । আমি শুয়ে আছি মন্দিরের ভেতরে, নিম গাছের তলায় গোল করে ইট বাঁধানো সিমেন্টের প্লাস্টার করা কালো রং এর মোটা দেয়ালের উপর । গতরাতে মন্দিরে প্রবেশের পর এখানেই শুয়ে ছিলাম ।

জনা পাঁচেক লোক অনতিদূরে দাঁড়িয়ে ভক্তিসিক্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আমাকে সাধু-সন্ন্যাসী ভেবে বসেছে। তাদেরই বা কী দোষ দিই বলো! আমার বর্তমান বেশভূষা এমনই যে, যে কেউ ভুল বুঝতেই পারে। এখন এদের যদি এক-আধটু ভুজুং-ভাজুং দেখাই, তবে এরা হাঁটু গেড়ে বসে পূজা-অর্চনায় লেগে যাবে। এ দেশের লোকজনের ভক্তিশক্তি বড়ই বেশি। সামান্যতেই গলে যায়। তাই বুঝি তাদের এত ভোগান্তি।

আধ্যাত্মিক ক্ষমতা কতটা অর্জন করতে পেরেছি, তা না জানলেও কিছু ভুজুং-ভাজুং ক্ষমতা এরই মধ্যে বেশ কিছু আয়ত্ত হয়েছে আমার। যেমন ধরো, শূন্য হাতে মিষ্টি কিংবা বাতাসা তুলে আনা, হাতের মুঠোয় ফুঁ দিয়ে পাখি বের করে আকাশে উড়িয়ে দেওয়া, না দেখেই অন্যের পকেটে কী আছে তা বলে দেওয়া—ইত্যাদি। আরও অনেক কিছু খুব সহজেই করতে পারি।

ঝন্টু বলল, তাই নাকি? কই, আমাদের তো একদিনও আপনার সেসব ভুজুং-ভাজুং শক্তি বা ক্ষমতা দেখালেন না ?
ঝন্টুর হঠাৎ প্রশ্নে চেরাগ আলী গম্ভীর মুখে বিরক্ত হয়ে বললেন, "সে সবার জন্য নয় । কথার মধ্যে বা হাত দেবার অভ্যেসটা তুমি ছাড় তো বাপু।

এরপর আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, "যা বলছিলাম, "চাইলে শুধু এসব ভুজুং-ভাজুং শক্তি দিয়েই এ জীবনে অনেক অর্থ -বিত্ত মালিক হতে পারতাম । কিন্তু তোমরা তো জানো, অর্থে বিত্তে এই চেরাগ আলীর কোন মোহ নেই। অতি উর্চ্চ বংশের সন্তান হবার পরেও এই যে, খেয়ে, না খেয়ে পথে পথে ঘুরছি তা কি শুধু এ সামান্য অর্থে বিত্তের জন্য ? মোটেও তা নয় । পথে পথে ঘুরছি প্রকৃত সত্তার সন্ধ্যানে । পরম আত্মাকে পেলে সব পাওয়া হবে আমার।

চেরাগ আলীর কথায় এমন কিছু ছিলো যা আমাদের সকলের মন ছুঁয়ে গেলো ৷ ব্যাপারটা লক্ষ্য করে তিনি আমাদের সেটা হজর করার সুযোগ দিতেই যেন প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ফশ করে আগুন জ্বেলে দীর্ঘ একটা টান দিয়ে হুশ করে ধোয়া ছেড়ে তারপর বললেন, "আহ! কি দিন ছিলো সে সব।"

চেরাগ আলীর মূল গল্প থেকে সরে যাচ্ছেন বুঝতে পেরে ঝন্টু একটু বিরক্ত নিয়ে বলে উঠলো , "আহা ! চেরাগ দা, তারপর কি হলো সেটা বলুন না। আপনার যে এক ঈশ্বর ছাড়া অন্য কিছুতে মোহ নেই সে কথা আমরা সবাই বেশ ভালো করেই জানি । তাই ওসব কথায় না যেয়ে তাড়াতাড়ি গল্পটা শেষ করুণ ।

চেরাগ আলী এবার ঝন্টুর দিকে ঘোলা দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে তারপর থুকথুক করে বার দুই বা কাঁধের পেছনে থুতু ছেটাবার ভঙ্গি করে বললেন, "বলছি,বলছি এতো অধৈর্য হলে কি চলে ?"

“তা যা বলছিলাম, এসব হচ্ছে, নিম্ন পর্যায়ের সাধনার ফল। আমার লক্ষ্য অনেক উপড়ে । পরম আত্মা সবাইকে ধরা দিতে চান না । তাই কাউকে কাউকে দু একটা এসব ক্ষমতা দিয়ে মনোযোগটা অন্যদিকে সরিয়ে দেয় । যারা এর পেছনে পরে থাকে শেষতক তাদের আর কিছুই মিলে না ।

তাই এসব ভুজুং-ভাজুং কেরামতি আমি কাউকে দেখাই না। তবে হ্যাঁ ,কেবলমাত্র যখন শিশুদের সঙ্গে থাকি, তখন তাদের খুশী করতে দু-একটা ভেল্কি দেখিয়ে তাদের আনন্দ দেই। শিশুরা হলো জান্নাতের দূত। তারা পবিত্র । তাদের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠলে চিত্তের উন্নতি ঘটে, হায়াত বৃদ্ধি পায়। বুঝতে পেরেছো?” যাদের সখ্যতা শিশুদের সাথে যত বেশি তাদের আত্মা ততো পরিষ্কার বলে জানবে ।

এরপর চেরাগ আলী সিগারেটের শেষ অংশ এসট্রেত গুজতে গুজতে বললেন, সম্মুখে কৌতূহল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ করেই, গতরাতের সব কথা মনে পড়ে গেলো । অবাক হয়ে ভাবলাম, আরে! রাতে তো আমি প্রাণ বাঁচাতে মন্দির থেকে দৌড়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম । তাহলে আবার এখানে এলাম কি করে ? তবে কি রাতে যা দেখেছি তার সবই স্বপ্ন ছিল? কিছুক্ষণ থম মেরে বসে থেকে । গতরাতে ঘটে যাওয়া সব ঘটনাগুলো মনে করার চেষ্টা করলাম । একেএকে সব মনে পড়ে গেলো । এমনকি অপ্সরাদের চেহারাগুলো পর্যন্ত মনে আছে । ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারলাম না । তারপরেও মনে কোণে তা চেপে রেখে, আড়মোড়া ভেঙে চারপাশে দৃষ্টি বুলিয়ে দেখতে লাগলাম ।

বেশ সকাল হয়ে গেছে। দলে দলে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ মন্দিরে আসছে, পূজা দিয়ে চলে যাচ্ছে। যারা সচ্ছল, তারা সঙ্গে পূজার থালা নিয়ে সোজা উঠে যাচ্ছে মন্দিরের চাতালে, প্রধান পুরোহিতের কাছে। তিনি মন্দিরের দরজার সামনে বসে পূজা করছেন। অন্যরা ছুটে যাচ্ছে চাতালের ডান-বামে বসে থাকা ছোট পুরোহিতদের কাছে। মন্দিরের চাতালে মোট পাঁচ জায়গায় পূজা-অর্চনা চলছে। ধূপ-জলের গন্ধ আর নারকেলের ছোবা থেকে নির্গত ধোঁয়ার সঙ্গে মিলেমিশে চারপাশের পরিবেশকে ভারী করে তুলেছে।

মধ্যবয়স্ক প্রধান পুরোহিতকে ঘিরে তাকে ঘিরে ছোট খাটো একটা ভিড় জমে উঠেছে । পূজারী খুব ব্যস্ত হয়ে ধুপ জল ছিটিয়ে বিড়বিড় করে মন্ত্র পড়ছেন । তারপর পাশে বসে থাকা অন্য দু' জন যাদের পুজো শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের হাতে প্রসাদ তুলে দিচ্ছে । প্রতিটি মন্দিরেই এসব গতানুগতিক দৃশ্য ।

চারপাশে চোখ বুলাতে বুলাতে হঠাৎ অন্য একটা দৃশ্য দেখে চোখ আটকে গেলো । মন্দিরের চাতালে উঠার বা'পাশের সিঁড়ি ঘেঁষে জনা পাঁচেক লোক ষোল, সতেরো বছরের এক যুবক'কে দুই পাশ থেকে শক্ত ধরে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর মাঝে মাঝে নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কথা বলছে । যুবকটি ভীত-সন্ত্রস্ত দৃষ্টিতে বারবার এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। তার মুখের কয়েক দিনের না কামানো খোচাখোচা দাড়ি, পড়নের মলিন পোশাক যেন শরীরের ক্লান্তির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে অসহায়ত্বের ছাপ স্পষ্ট তুলেছে। ছেলেটিকে দেখেই ক্যামন মায়া হলো ।

এ দৃশ্যের সাথে আর একটি দৃশ্য নজর পড়লো । তা হলো , ছেলেটি থেকে হাত পাঁচেক দূরে মধ্য বয়স্ক এক মহিলা একাকী দাড়িয়ে মুখে শাড়ীর আচল দিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন । মহিলাটিকে দেখে এ ধরানা করলাম যে, মহিলাটি খুব সম্ভব ছেলেটির মা হবেন । পুত্রের হেন হালে মায়ের এ অবস্থা হয়েছে। মায়ের ক্রন্দন দেখে ছেলেটি সর্ম্পকে আগ্রহী হয়ে উঠলাম ।

গাছের বেদি থেকে উঠে দাঁড়ালাম। আমাকে উঠে দাঁড়াতে দেখেই , সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলো দু'কদম পিছনে চলে গেলো । আমি তাদের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে মাথার চুল ঠিক করতে করতে বললাম, যা...., যা..... ভাগ....ভাগ..... ।

নিজের কণ্ঠস্বর নিজের কাছেই অপরিচিত বলে মনে হলো ।

লোকগুলো এখনো অবাক হয়ে বড় বড় চোখ করে আমায় দেখছে। আমার হাঁক শুনে তারা আর একটি পিছিয়ে গেলেও একেবারে চলে গেলো না । তাদের মধ্যে ভদ্র দুরস্ত ও কয়েকজন রয়েছে । মনে মনে ভেবে দেখলাম ওই ছেলেটিকে সাহায্য করতে এমন কিছু একটা করা উচিত যাতে অন্যদের মনোযোগ আকৃষ্ট করা যায় ।

যে ভাবা সেই কাজ , লোকগুলোর চোখের সামনে হুট করে শূন্যে হাত উঁচিয়ে আঙুল ঘুরিয়ে একটা আপেল নিয়ে এলাম । তারপর, আপলটা বেশি সামনে থাকা আধ বুড়ো লোকটির দিকে ছুড়ে দিয়ে বললাম, নে , সবাই ভাগ,যোগ করে খা । যা , যা ভাগ এবার । আর শোন , এতে তোর পেট ব্যথা ভালো হয়ে যাবে । ভাল হলে, জনা দশেক গরীবকে এক বেলা খাইয়ে দিবি । মনে থাকবে ? একে তো শূণ্য থেকে আপেল পাড়ার দৃশ্য তার উপর বহুদিন থেকে পেটের ব্যথার খবর প্রকাশ হয়ে পড়তেই লোকটা বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে ডানে,বামে মাথা নাড়ে তারপরেই বাবা গো ..... বলে পরম ভক্তিতে ছুটে এসে পায়ে লুটিয়ে পড়লো ।

অন্যদের অবস্থাও তার মতো; বিস্ময়ের ঘোর কটতে কয়েক সেকেন্ড সময় নিলো। হঠাৎ এমন একটি দৃশ্যে দেখে তারা সকলে হতবাক হয়ে গেছে ।

তারপরেই সকলে একযোগে , জয় হোক, জয় হোক , জয় হোক জটাধারী বাবার বলে হুড়মুড় করে লুটিয়ে পড়লে পায়ে ।

আকস্মিক চিৎকারে মন্দির চত্বরের সবদিক থেকে লোকজন এদিকে তাকাতে লাগলো । শোরগোলের শব্দে প্রধান পুরোহিতের কানে গিয়ে পৌছলে তিনি ও মন্ত্র উচ্চারণের ফাঁকে ফাঁকে আমার দিকে তাকাতে লাগলেন । আমার উদ্দশ্যটা কাজে দিয়েছে দেখে মনে মনে খুশি হয়ে উঠলাম ।

বিপত্তিতে পড়তে হলে, ভক্তদের যন্ত্রনায় । সকলেই আমার পা ছুঁতে চায় । কিন্তু পা তো মাত্র দুটো । সকলে ধরে টানাটানি করছে । শেষমেষ পরিস্থিতি এমন হলো যে, মনে হলো শক্ত করে তাদের বাধা না দিলে ব্যালেন্স হারিয়ে পড়ে ই যাবো ।

তখন তাই কঠিন কণ্ঠে চিৎকার করে বলে উঠলাম, "সর সর বলছি , তা না হলে এখুনি ভস্ম করে ফেলবো । এবার কাজ হলো । লোকগুলো পা ছেড়ে পিছিয়ে গিয়ে দু'হাত জোর করে দাঁড়িয়ে রইলো ।

আমি পড়নের কালো লুঙ্গি আর ফতুয়া ঠিকঠাক করে একটু ভদ্র হবার চেষ্টা করলাম । তারপর হেটে ছেলেটার কাছে, গিয়ে তাকে ধরে থাকা একজনার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, "কি হয়েছে ওর ? ওকে এভাবে ধরে রেখেছ কেন ?" সাধু সন্যাসীদের এই এক দোষ , ছোট বড় সবাইকে তুমি করে বলে । এই তুমি বলার অবশ্য একটা কারণ আছে । সে বলবো অন্যদিন । ঝন্টু ব্যাগ্র হয়ে বলল, সেই ভালো , এখন বলুন তারপর কি হলো ?

আমার প্রশ্ন শুনে লোকটা জ্বিহবা বের করে শুকনো ঠোট চেটে কিছু বলতে যাচ্ছিলো, কিন্তু তার আগেই তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে ধূতি পাঞ্জাবি পরিহিত এক পৌঢ় বললেন, বুঝতে পারছি না বাবা । কেউ বলছে, মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে । আবার কেউ বলছে, জিন,ভূতের আছর হয়েছে । পুরোহিতের কাছে নিয়ে এসেছি তদবিরের জন্য । তিনি ঝাড় ফুক করেন ।

আমি আর কিছু বললাম না । ও বলে ; ছেলেটির কাছ থেকে বেশ একটু দূরে গিয়ে মন্দিরের দিকে মুখ করে মাটিতে আসন ঘেরে বসে পড়লাম । তারপর দু'চোখ বন্ধ করে রইলাম । পূজারীর ঝাড় ফুকের পদ্ধতিটা দেখতে হবে । হয়তো নতুন কিছু শিখতে পারবো । ইতিমধ্যে আমার পেছন পেছন সেই দলটা নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে বসে পড়েছে । লক্ষণটা ভালো না । এমন হলে সাধনায় বিঘ্ন ঘটে । প্রকৃত সাধু সন্যাসীরা তাই লোকজন এড়িয়ে চলে ।

প্রধান পুরোহিত কিন্তু পুরোটা সময় আমাকে নজর বন্ধি রেখেছেন । আমার উপর থেকে এক মুর্হুতের জন্যও তার দৃষ্টি সরাচ্ছেন না । তার মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা কাজ করছে এটা বেশ বুঝতে পারছি । বিষয়টা বুঝতে পেরে মনে মনে হাসতে লাগলাম । এরপর প্রধান পুরোহিত ঝটপট বাকি পূজো শেষ করে এগিয়ে এলেন আমার দিকে । চোখে মুখে তার স্পষ্ট দুশ্চিন্তার ছাপ ।


চলবে .............

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:২৪

নকল কাক বলেছেন: +++++++++++

১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:০০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৪ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখা ভালো এগোচ্ছে।

১৪ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.