নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেরাগ আলী ও কালো যাদু - ৬ষ্ঠ পর্ব (চেরাগ আলী সিক্যুয়েল)

১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩



মনের দুয়ার খুলে দু'চোখ বন্ধ করে পদ্মাসনে উপবিষ্ট হয়ে আছি । পুরোহিত কাছে এসে প্রথমে আমায় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলেন। জহুরীর মতো তীক্ষ্ণ দৃষ্টি গ্রহ-নক্ষত্রের ন্যায় আমাকে পরিক্রম করতে লাগল। বোঝার চেষ্টা করছেন, আমি কে ? কী পরিচয় ? হঠাৎ করে এখানে ই বা এসে উদয় হলাম কেন ? ইত্যাদি, ইত্যাদি ।

বাহির থেকে দেখে মানুষের কতটুকুই বা চেনা যায় । পুরোহিত'কে যে বিষয়টি বেশি ভাবিয়ে তুলেছে সেটি হচ্ছে, একটু আগে আমার দেখানো ভেল্কি ভাজি । তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না কোন এঙ্গেলে আমার সাথে কথা বলবেন । আধ ময়লা পোশাক আষাকে সাধু,সন্ন্যাসী ভাবতে পারছেন না আবার ভেল্কি ভাজি দেখাবার কারণে ফেলে ও দিতে পারছেন না ।

পদ, পদবী আর ক্ষমতার মোহ মানুষকে অন্ধ করে দেয়। ক্ষমতা অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতা হারানোর ভয়ও জন্মায়। পুরোহিতকে দেখে মনে হচ্ছে, তিনিও সেই ভয় পাচ্ছেন । হঠাৎ তার চেয়ে জ্ঞানী কেউ এসে যদি হুট করে তার পদটি ছিনিয়ে না নেয়। সেটা তার জন্য মোটেও ভালো হবে না । ইতিমধ্যে যারা আমার পেছন করজোড়ে বসে আছে তাদের প্রতি পুরোহিত মশাই তীক্ষ্ন চাহনীই বলে দিচ্ছে সে কথা ।

মিনিট পাঁচেক নিরীক্ষণের পর, পুরোহিত একটু ঝাঁজের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করলেন,
"তুমি কে হে বাপু? এখানে কি চাও ?"
আমি ধীরে ধীরে চোখ খুলে তাকালাম তার দিকে। শত হলেও তিনি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, তদুপরি বয়সে প্রবীণ।

"আমি?"
"হ্যাঁ, তোমাকেই তো বলছি। কে তুমি? কী পরিচয়? এখানে কেন এসেছো?"
আমি মৃদু হেসে বললাম, "পরিচয় দেবার মতো তেমন পরিচয় নেই আমার। যা ছিল, বহু আগেই তা পেছনে ফেলে এসেছি।"

পুরোহিত এবার ঠোঁট উল্টে বললেন,
"জাত-পাত নেই, নাকি?"
আমি হেসে বললাম,
"জাত-পাত দিয়ে কী আসে যায় বলুন? জাত থাকলে কি হাত,পা দুটো বেশি গজায়, না মাথা একটার জায়গায় দুটো হয় ? জগত-সংসারে জাত-পাতের বালাই নেই।"

তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম,
"সবই তার; কোনো কিছুই তার পর নয়, সবাই তার আপন ।"

এলোমেলে উত্তর শুনে পুরোহিত একটু নরম হলেন। মনে মনে ভাবছেন, রাস্তা ঘাটে পড়ে থাকা এসব সাধু সন্যাসীদের বেশি না ঘাটানোই ভালো । কি বলতে কি বলে বসবে পরে হিতে বিপরীত হবে । গুরুত্ব না দিলে দু' চারদিন থেকে এমনিতেই বিদেয় নিবে । পুরোহিত মশাই এবার তাই, খানিক নরম কণ্ঠে বললেন,

"এখানে আসার উদ্দেশ্য কি ? মায়ের আর্শিবাদ চাও? "
তার প্রশ্ন শুনে আমি এবার সরাসরি তার চোখের দিকে তাকালাম। সে দৃষ্টির গভীরে এমন কিছু ছিল, যা মুহূর্তেই পুরোহিত'কে আরও নম্র করে তুলল।

তিনি তৎক্ষণাৎ প্রশ্নের ধরন পাল্টে বললেন, "না, মানে জানতে চাচ্ছিলাম, ,মায়ের কাছে কোন মানত আছে কি ? থাকলে আমায় বলো । তোমার যদি কোনো প্রয়োজন থাকে, আমাকে বলতে পারো; আমি হচ্ছি গিয়ে এই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত।"

আমি আগের মতো মৃদু হেসে বললাম,
"আমায় নিয়ে অযথা বিচলিত হবেন না। ভবঘুরে মানুষ আমি। রাত্রিটা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলাম, আজ চলে যাবো।"

কথাটা বলার সাথে সাথেই আমাদের কথোপকথন শুনতে ভিড় করে থাকা লোকজনের মধ্যে এক ধরনের গুঞ্জন উঠল। তাদের কারও চোখে কৌতূহল, কারও চোখে সন্দেহ, কেউ কেউ হয়তো অলৌকিক কিছু আন্দাজ করে শিহরিত হচ্ছেন।

পুরোহিত চারপাশে তাকালেন। মানুষের ফিসফাস তাকে যেন আরও অস্বস্তিতে ফেলল। তিনি আবার আমার দিকে ফিরে বিস্মিত কণ্ঠে বললেন, "কি বললে,তুমি,তুমি গত রাত্রিটা এ মন্দিরে কাটিয়েছো?
আমি মাথা নেড়ে হ্যা বলতে বিস্ময়ে পুরোহিতের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। মুখ ঝুলে পড়লো বুকের কাছে। সেই সঙ্গে উপস্থিত সকলের মধ্যে আবার গুঞ্জন উঠলো।
পুরোহিত এবার, ফিসফিস করে বললেন,
রাত্রি এখানে কাটাবার পরেও তুমি প্রাণে বেঁচে আছো? এ যে অবিশ্বাস্য! তুমি জানো না, এ মন্দীরে রাত্রি যাপন নিষিদ্ধ?
আমি মাথা নেড়ে বললাম, না জানি না৷ গত রাত্রিরে এখানে যখন এসে পৌছালাম তখন কাউকে পাইনি। দোকান পাঠ ও সব বন্ধ ছিলো। তাই মন্দিরে ঢুকে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
পুরোহিত আমার কথা শুনে বললেন,
এখানে রাত্রি যাপন করে কেউ প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারে না । তারা তোমায় ছেড়ে দিলো দেখে অবাক হচ্ছি। মা বাবার আর্শিবাদ আছে তোমার উপর। সাক্ষাৎ যমের বাড়ি থেকে ফিরে এসেছো৷

পুরোহিতের কথা শুনে মুহূর্তে বুঝে গেলাম, তিনি কাদের কথা বলছেন। তাহলে গতরাতে আমার সঙ্গে যা ঘটেছে, তা নিছক স্বপ্ন ছিল না।

উপস্থিত সবাই জানে, এই মন্দিরে রাত্রিযাপন করলে কেউ আর প্রাণে বাঁচে না। তাই তো আমার কথা শুনে তাদের মধ্যে গুন্জন উঠেছিলো ।

হঠাৎ করে কুকুরওয়ালী দেবীর কথা মনে পড়ে গেল। হ্যাঁ, তিনিই তো আমায় রাতে এখান থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন। তার মুখেই যেন সেই সতর্ক বার্তা ছিল। দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় আমার হৃদয় সিক্ত হয়ে উঠল।

পুরোহিতের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলাম। লোকজনের চোখে কৌতূহল আর ভয়। মন্দিরের বাতাস যেন ভারী হয়ে উঠেছে । আমার চোখে তখন দেবীর করুণাময় মুখটি ভেসে উঠল। নিজেকে সামলে নিয়ে শান্ত গলায় বললাম, "সব তার ইচ্ছে। তিনি যাকে রক্ষা করেন, তাকে কেউ স্পর্শ করতে পারে না।"

আমার এই কথা শুনে চারপাশে এক মুহূর্তের নিস্তব্ধতা নেমে এলো। ধীরে ধীরে সেই নিস্তব্ধতা আরও গভীর হয়ে উঠলো। নিস্পলক দৃষ্টিতে সকলে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে ।

পুরোহিত মশাইয়ের সাথে কথোপকথন গোগ্রাসে গিলছে । তাদের কারও ঠোঁটের কোণে বিস্ময়, কারও মনের মধ্যে অলৌকিক কোনো ঘটনা দেখার বাসনা। আর পুরোহিতের কথা কি বলবো, সে ব্যাচারার চোখে মুখে তখন ও এক ধরনের অনিশ্চয়তা, ভয় আর শঙ্কা ঘুরে বেড়াচ্ছে ।

তিনি যেনো আমায় ঠিক বিশ্বাস করতে পারছেন না । আবার একেবারে অবিশ্বাসও করতে পারছেন না ।

আমি তাই প্রসঙ্গ পরিবর্তন করার জন্য পুরোহিত মশায়ের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকটিকে লক্ষ্য করে বললাম,"ঠাকুর মশাই "আপনি ওই ছেলেটির কাছে যান । ওরা অনেকক্ষণ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে । আর ঠিক তখনি দেখতে পেলাম ছেলেটির পেছনে,আবছা এক কালো ছায়া দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাকাতেই ছায়াটিও তাকাল আমার দিকে । তারপর চট করে মিলিয়ে গেলো হাওয়ায়। মাথার উপর নিম গাছের পাতাগুলো হঠাৎ ঝরঝর করে কেপে উঠলো । উত্তর পূর্ব কোণ হতে হালকা একটা ঘুনী হাওয়া বয়ে গেলো মন্দিরের উপর দিয়ে ।

বা পাশের একচালা ঘরের চালের উপর বসে একটা কাক কা কা করে ডেকে উঠলো ।

আমার কথা শেষ হতে, পুরোহিত মাথা ঘুরিয়ে চারপাশে তাকালেন । তারপর কিছুক্ষণ কাকটির দিকে তাকিয়ে থেকে । চিন্তিত মুখে যুবকটির দিকে হেঁটে গেলেন ।তারপর চাতালের সিড়ি বসে যুবকটির পাশে দাড়িয়ে থাকা প্রৌঢ়ের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “অবস্থা কি আরও খারাপ হয়েছে?”

লোকটি এবার দু'কদম এগিয়ে এসে পুরোহিতের সামনে দু'হাত জোড় করে বললেন, “ঘর রাখতে পারছি না, ঠাকুর। পাগলামির চূড়ান্ত করে ছাড়ছে। যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই মারছে। জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলছে। রাতে বাধ্য হয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলাম। সকাল হতেই নিয়ে এসেছি। কিছু একটা করুন।”

সব শুনে পুরোহিত মশাই চাতালের উপর দাঁড়িয়ে থাকা অল্পবয়সী একজন পুরোহিতকে ইশারা করতেই, সে লাল টকটকে জবা ফুল চুবানো এক ঘটে পানি পুরোহিতের পাশে এনে রাখল।

পুরোহিত বিড়বিড় করে কিছু মন্ত্র উচ্চারণ করে ঘটের পানিতে ফুঁ দিলেন। তারপর আঙুলের অগ্রভাগ পানিতে চুবিয়ে নিয়ে, ছেলেটিকে ধরে রাখা লোকগুলোর উদ্দেশে বললেন, “ ওকে কাছে এদিকে নিয়ে এসো ।”

লোক দু'জন ছেলেটিকে একপ্রকার চেংদোলা করে সামনে নিয়ে এল। ছেলেটি কোনো বাঁধা দিল না। সে এখনো ভীত সন্ত্রস্ত চোখে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে । আর কিছু একটা দেখে একটু পর পর কুঁকড়ে কুঁকড়ে যাচ্ছ । আমি ছেলেটির চারপাশে তাকিয়ে ভয় পাওয়ার মতো কিছু দেখতে পেলাম না ।

ছেলেটি কাছে আসতেই পুরোহিত দাঁড়িয়ে পরপর তিনবার ঘটের পানি ছেলেটির শরীরে ছিটিয়ে দিয়ে বললেন, “ছেড়ে দাও ওকে। আর ভয় নেই।”

পুজারীর কথা ছেলেটিকে ধরে থাকা লোক দু'টো যেন বিশ্বাস করতে পারছিলো না । তারা তাকালো ছেলেটির বাবার মুখের দিকে । প্রৌঢ় লোকটি তাকালেন , পুজারীর দিকে । পুরোহীত মশাই তাকে আশ্বস্ত করে বললেন, " ভয় নেই, ছেড়ে দাও ওকে। আমি তো আছি ।"

লোক দু'টো এবার ছেলেটিকে ছেড়ে দিয়ে পিছিয়ে গেলো ।
সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটি হাঁটু ভেঙ্গে বসে পড়লো মাটিতে । তারপর হাত, পা ছড়িয়ে আকাশের দিকে মুখ করে শুয়ে পড়লো । উপস্থিত সকলে কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে আছে পুরোহিত আর ছেলেটির দিকে। আমি আগ্রহ নিয়ে দেখছি সব ।

নিজের কৃতিত্বে পুরোহিতের মুখে আত্মতুষ্টির রেখা ধীরে ধীর উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে। সকলের উপর দৃষ্টি বুলিয়ে নিয়ে তিনি, ছেলেটির বাবার উদ্দেশ্যে বললেন, "পরিমল দেখেছো ? বলেছিলাম না ভয়ের কিছু নেই । এখন দেখলে তো, এক টোটকাতেই কেমন কাজ হলো? জয় মা ভবানী, জয় মা কালী। যাও... যাও.. ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাও ৷ ও বেলা সময় পেলে আমি একবার গিয়ে দেখে আসবো। এ সপ্তাহটা মাছ, মাংস কিচ্ছু খেতে দেবে না ৷ লুচি,তরকারি, মিষ্টি,পায়েস এই হচ্ছে,পথ্য। এর বাইরে কিছু দেবে না। সব সময় চোখে চোখে রাখবে। একা কোথাও যেতে দিবে না ৷ মনে থাকবে তো?

পৌঢ় ভদ্রলোক কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মাথা নেড়ে বললেন,মনে থাকবে ঠাকুর। ভক্তি আর কৃতজ্ঞতায় তার মুখ বুক পর্যন্ত ঝুলে পড়েছে। পুত্রকে নিয়ে সকল দুশ্চিন্তার অবসান হয়েছে দেখে তাকে এখন বেশ প্রানবন্ত দেখাচ্ছে। ধুতির সাথে বেধে রাখা একটা থলে থেকে দুটো দশ টাকার নোট বের করে তিনি পুরোহিতের পায়ের কাছে রাখলেন।

পুরোহিত টাকাটা ছুঁলেন না। আড়চোখে সেদিকে একবার তাকিয়ে তারপর আশীর্বাদের ভঙ্গিতে ডান হাতটা উপরে তুলে তারপর আমাকে দেখে নিয়ে পুজোর আসনে গিয়ে বসলেন। চোখে মুখে তার যুদ্ধ জয়ের প্রশান্তি।

পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট পুরোহিত টাকা আর ঘটে'টি তুলে নিয়ে যেই না মন্দিরের দিকে পা বাড়িয়েছে, ওমনি পেছন থেকে শোরগোল উঠল— "গেলো! গেলো! ধর ধর!"

সকলের সঙ্গে চমকে উঠে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম,"ছেলেটি শোয়া থেকে হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে বসে ব্যাঙের মতো লাফাতে লাফাতে নিম গাছের বাধানো দেয়ালের উপর চড়ে বসে এদিক-ওদিক তাকিয়ে কাকে যেনো খুজতে লাগল৷ তারপর চালের উপর বসে থাকা কাকটির দিকে তাকিয়ে , অবিকল কাকের কণ্ঠে কা কা কা করে ডেকে উঠতেই কাকটি চালের উপর থেকে উড়ে চলে গেলো ।

ছেলেটি তাতে যেনো কোন সংকেত পেয়ে চোখের পলকে তরতর করে বেয়ে নিমগাছের মগডালে উঠে বসে হাততালি দিতে দিতে হাসতে হাসতে নিচে দাড়িয়ে থাকা সকলের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো , "ধর , ধর । পারলে আমায় ধর , আয় আয় ধরে দেখা ।"

ঘটনার আকস্মিকতায় সকলে হতবাক হয়ে বিস্ময়ে তাকিয়ে রইল ছেলেটির দিকে । এবার ছেলেটির ঠিক পেছনের ডালে সেই কালো ছায়াটিকে আবার দেখতে পেলাম। গভীর আগ্রহ নিয়ে সে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে।

ভয়ংকর কিছু একটা ঘটার আশঙ্কায় আমার পুরো শরীর কেঁপে কেঁপে উঠলো ।

চলবে....

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: স্যার ছোট করে পোস্ট দিলে সবাই পড়বে।

১৩ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ , ভাই গল্পটা ব্যাক আপ রাখার জন্য পোস্ট করছি । ব্লগে একটা কপি থাকুক । কারো পড়ার ইচ্ছে হলে এমনিতেই পড়বে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.