![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
ইদানীং আবারও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা আলোচনায় এসেছে। আইন উপদেস্টা ও বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরকে নিয়ে একটি তদন্ত কর্মিটিও ঘটন করা হয়েছে ।
যতবার এই বিষয়টি সামনে আসে, ততোবার একটা শব্দ বারংবার উচ্চারিত হয় । শব্দটি হচ্ছে ; "হ্যাকিং"। বলা হয় — বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে রিজার্ভ চুরি হয়েছে।
কিন্তু সত্যি বলতে, আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন আইটি রিসোর্স পারসন হিসেবে এটিকে কখনোই হ্যাকিং বলে মনে করিনি। যেটা হয়েছে, তা পরিকল্পিত চুরি — একদম সোজা বাংলায় বললে, ভেতরের লোক দিয়ে চুরি করানো হয়েছে। তারপরেও হ্যাকিং শব্দটি ব্যবহার করে চোরদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে ।
ব্লগে সবাই জ্ঞানি, তারপরেও আসুন জেনে নেই চুরি আর হ্যাকিং এর মধ্যে পার্থক্য কি ?
হ্যাকিং আর চুরির পার্থক্য হ্যাকিং ও চুরি এক বিষয় নয়।
হ্যাকিং-এর সংজ্ঞা:
হ্যাকিং হলো কোনো সিস্টেমে অননুমোদিত প্রবেশ করে ডেটা, তথ্য বা কন্ট্রোল নিয়ে নেওয়া। এটি বিভিন্নভাবে হয়:
এথিক্যাল হ্যাকিং (সাদা টুপি) – নিরাপত্তা জাচাইয়ের জন্য
অ্যানএথিক্যাল হ্যাকিং (কালো টুপি) – ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে
গ্রে হ্যাট হ্যাকিং – মিশ্র উদ্দেশ্যে
উদাহরণ:
ফেসবুক আইডি হ্যাক ; ব্যাংক একাউন্টের তথ্য চুরি ; সরকারি সাইটে ঢুকে ডেটা পরিবর্তন
তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিং কি হয়েছিল?
বাংলাদেশ ব্যাংকে চোরেরা কোনো সফিস্টিকেটেড জিরো-ডে এক্সপ্লয়েট ব্যবহার করেনি, ফায়ারওয়াল ভেঙে ঢোকেনি, সিস্টেম বাইপাস করেনি। বরং যা হয়েছে, তা ছিল খুবই অভ্যন্তরীণ সহযোগিতাপূর্ণ একটি চুরি । ব্যাংকের সিকিউরিটি আইডি, পাসওয়ার্ড, SWIFT কোড, OTP ইত্যাদি ভেতরের লোক স্বেচ্ছায় অন্যদের হাতে তুলে দিয়ে বলেছে - "এই নাও চাবি, ভেতরে ঢুকো, চুরি করো, এবং বেরিয়ে যাও!"
এ যেনো, আপনি আপনার ঘরের , চাবি বন্ধুর হাতে তুলে দিয়ে বললেন, তোর ভাবির গয়নাগুলি সড়িয়ে নে ।
এই চুরির সাথে অনেক জাতির নাতি জড়িত ছিলো । তাকে সহায়তা করেছে মাদার অব অর্থ পাচারের জননী ।
এ জন্যই সিআইডি , র্যাব, এনএসআই কাউকেই সঠিক ভাবে তদন্ত করতে দেওয়া হয়নি ।
আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, "নাটের গুরু , আতিয়ার কানাডায় পালিয়ে গেলেও , সেই চুরির সাথে জড়িত অনেকে এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকে আইটি বিভাগে চাকরি করে যাচ্ছে ।"
এখন দেখার বিষয় নতুন তদন্ত কর্মিটি চোর ধরতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করে । তারা যদি এটিকে "হ্যাকিং" ধরে কাজ শুরু করে তবে রেজাল্ট হবে, যেই লাউ সেই কদু।
০৩ রা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আশা না থাকলে তো মরে যেতে হবে । চোরের রাজ্যে গৃহস্থ চিরকাল অসহায় ।
২| ০৩ রা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭
০৩ রা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: হয় উনি ভদ্রবেশি শয়তান না হয় ওনার অগোচরে ওনাকে ব্যবহার করে সবকিছু করা হয়েছে । আমি মনে করি , রির্জাভ চুরির প্লান করা হয়েছে , লম্বা সময় নিয়ে । হয়তো ওনাকে নিয়োগ ই দেওয়া হয়েছে , এ কাজে ব্যবহার করা হবে তার অংশ হিসাবে । কাজ শেষে বের করে দেওয়া হয়েছে । হাসিনা ,রেহানা দ্বারা সব সম্ভব ।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:১৫
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: পড়লাম।
০৩ রা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৩০
আমি নই বলেছেন: ঐ সময়েই সুইফট জানিয়েছিল যে ভাবে দাবী করা হচ্ছে, ঘটনা সেভাবে ঘটে নাই। যতটুকু মনে পরে একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল, এবং চুরির পর যেখানে তাদের বিরোদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিৎ ছিল সেখানে আজব কারনে তাদেরকেই নিরাপত্তা ত্রুটি খোজার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ফলাফল তারা সকল ট্রেস মুছে ফেলে হ্যাকিং হিসেবে চালিয়ে দেয়াটা সহজ করে দেয়।
০৩ রা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:২০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যারা এ চুরির সাথে জড়িত তারা এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকে রয়ে গেছে ।
৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন:
০৩ রা জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: শুধু কি পাচ? এই স্কেম এর সাথে ডজন ডজন অমানুষ জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে চুরির পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। আমার ধারনা,আগেও এমন অনেক ছোট ছোট অংকের অর্থ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেগুলি প্রকাশ করা হয়নি৷ বিষয়টির জোড় তদন্ত চাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩
রাসেল বলেছেন: উদাহরণ দেয়ায় হ্যাকিং এবং চুরির পার্থক্য বোঝা সহজ হয়েছে, যা আমাদের নিষ্পাপ আতিয়ার তথা সরকার ভুল বুঝিয়েছেন।
যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ। তারপর আশায় বুক বাঁধলাম।