![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন ভাল মানুষ হওয়া আমার সবসময়ের লক্ষ্য। আমার ভাল লাগে নেটওয়ার্ক তৈরী করতে, লিখতে, বই পড়তে, ভ্রমণ করতে। ভাল লাগে প্রকৃতি, নিরবতা, জোসনা , নদী। ঘৃণা করি দূর্ণীতিবাজ, প্রতারক, মোনাফেককে। গঠনমূলক সমালোচনা পছন্দ করি।
গত বছরের ২২ আগষ্ট এক নারী সাংবাদিক গণধর্ষণ মামলার রায়ে তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন দেশটির এক আদালত। [সূত্র প্রথম আলো, ০৪ এপ্রিল ২০১৪]
মাত্র ৮মাসের মাথায় এমন যুগান্তকারী রায় সত্যি ভারতের আইন প্রয়োগের একটি প্রশংসনীয় উদাহরণ।
দ্রুত বিচার ত্বরান্বিত করার পেছনে অনেক কারণ উঠে আসতে পারে। নির্যাতিতা ছিল একজন ‘সাংবাদিক’, কিংবা হয়ত মামলাটি ছিল ‘চাঞ্চল্যকর’, ইত্যাদি- ইত্যাদি। তবে আমরা খুশি হব এটা বিশ্বাস করে যে একজন সাধারণ ভুক্তভোগী হিসেবে চাঞ্চল্যকর না হওয়া সত্বেও আইনের স্বাভাবিক কার্যক্রমেই মামলাটি এমন আলোর মুখ দেখল। তাছাড়া মামলা চাঞ্চল্যকর হওয়ার সৌভাগ্য (!) সব ভুক্তভোগীর হয়না। যে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে এবং তার পরিবারই জানে এর কি জ্বালা। সব মামলাই তাই চাঞ্চল্যকর হিসেবে বিবেচনায় নেয়া উচিৎ। অর্থাৎ সব মামলাই সমান গুরুত্ব ও স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সুরাহা হওয়া দরকার। তবেই না ‘আইন সবার জন্য সমান’ মতবাদের প্রবাহ চলমান ও স্বচ্ছ হবে।
দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বছর পাঁচেক বাড়িয়ে নিল আমাদের সরকার। সেটা কি শুধু রাজনীতির মাঠে বিরোধীদের দমন পীড়নে নাকি সাধারণ ভূক্তভোগীরা দ্রুত আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত দেখতে পাবে সেটা দেখতে বেশীদিন অপেক্ষা করতে হবে না। ভারতের কাছ থেকে ত অ-নে-ক কিছুই নিচ্ছি আমরা, ভারতপন্থী বর্তমান সরকার কি পারবে আইন প্রয়োগের এমন ভারতীয় নজির বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষ ও ত্বরিৎ প্রয়োগ করতে?
©somewhere in net ltd.