নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঠ প্রতিক্রিয়া; উপন্যাস – সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে; ঔপন্যাসিক – মোস্তাক শরীফ; প্রকাশক – অ্যাডর্ন

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৪

প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে যদি কেউ সেঞ্চুরি করেন, তখন সেই ক্রিকেটারের উপর সমর্থকদের প্রত্যাশা বেড়ে যায় । মোস্তাক শরীফ তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে’ লিখে তেমনি এক বিশাল কীর্তি গড়ে তুলেছেন; তাঁর কাছে পাঠকের প্রত্যাশা আকাশ ছোঁয়া । কিন্তু প্রতিদিন তো আর সেঞ্চুরি করা যায় না; পাঠককে এই বাস্তবতা বুঝতে হবে । হয়তো সেঞ্চুরি হচ্ছে না, কিন্তু উনার প্রতিটি লেখাই বেশ মান সম্পন্ন ।
.
‘সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে’ শেষ করে আমার একটাই অনুভূতি হচ্ছে, এমন উপন্যাস বারবার পড়া যায়; কখনো পুরনো হয় না । উপন্যাসের নায়ক মারুফ আহমেদ । তাঁর স্মৃতিভ্রষ্ট বাবা, বিপথগামী ছোট ভাই মুহিব আর কলেজ পড়ুয়া ছোট বোন মুনিয়াকে নিয়ে উপন্যাসের কাহিনি দানা বেধে উঠেছে । বন্ধু হাসিব, অদিতি (হাসিবের কাজিন, এবং...), লায়লা (হাসিবের স্ত্রী), আনিস ভাই (মারুফের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের বড় ভাই), নিজাম ভাই ( আনিসের বন্ধু, ক্রসউইন্ডের মালিক), নিঝুম আপা ( মারুফের সহকর্মী ক্রসউইন্ডে) , হারুন কাকা (মারুফের বাবার পুরনোবন্ধু) এমনি আরো অনেক চরিত্রের সমাবেশ ঘটেছে সমগ্র কাহিনি জুড়ে । তাঁদের চারিত্রিক মাধুর্যে আমি মুগ্ধ । আবার বেশ ছোট-খাট চরিত্রও আছে; মোফাজ্জল মাস্টার, প্রধান শিক্ষক হামিদুর রহমান, পাঠান সাহেব – এদেরকেও লেখক সৃষ্টি করেছেন অসম্ভব মায়া আর দরদ দিয়ে ।
.
অবিবাহিত, সুদর্শন আনিস ভাইকে নিয়ে আগের একটা লেখায় কিছু লিখেছিলাম । আজ আর কিছু না লিখে শুধু হাসিবের একটা মতামত জানিয়ে দিচ্ছি, আনিস ভাইকে ও মহামানব বলে আখ্যায়িত করেছে ।
এই মহামানবের বন্ধু নিজাম ভাই । সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র শিশুদের শিক্ষার জন্য গড়ে তুলেছেন ক্রসউইন্ড নামক একটা কনসাল্টিং ফার্ম । মারুফকে উনি প্রথম কাজ করার সুযোগ দেন । মারুফকে বলা নিজাম ভাইয়ের কথাগুলো শুনে মনটা উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে:
‘আমি সব সময়ই শিশুদের জন্য কিছু করতে চেয়েছি । যখন ঢাকার রাস্তা দিয়ে যাই, দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা ফুটপাতে শুয়ে আছে বা খেলা করছে । আর আমার চোখে ভাসে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে স্কুলে যাওয়া শিশুদের ছবি । ফুটপাতের ঐ শিশুগুলোর জন্য তখন আমার বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠে, বুঝলে । প্রচণ্ড কষ্ট হয় । একটা বাচ্চা ফুটপাতে বড় হবে কেন? আমরা যখন বড় বড় গাড়ি দিয়ে বা রিকশা চড়ে পাশ দিয়ে যাই, বাচ্চাগুলো তখন খেলা থেকে চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে, আমার প্রচণ্ড কান্না আসে তখন ।‘
উনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, একটা শিশুও যতো দিন ফুটপাতে জন্ম নেবে বা বড় হবে, ততো দিন মানুষ হিসেবে বিশেষ করে শিক্ষিত মানুষ হিসেবে আমাদের গর্ব করার কিছু নেই ।
এমন সুন্দর মনের একজন মানুষ কেন তাঁর প্রতিষ্ঠানটিকে হঠাৎ একদিন বন্ধ করে দিলেন?
মুহিবকে কোন পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে?
মারুফ চাকরি হারিয়ে কীভাবে আবার ঘুরে দাঁড়ালো?
মারুফ কী অদিতির মতো ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নারীকে শেষ পর্যন্ত উপেক্ষা করতে পেরেছিল?
.
এমনি আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর আছে ‘সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে’ ।
.
মো. শামছুল ইসলাম
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

.

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০০

রাজীব নুর বলেছেন: সংগ্রহ করার ইচ্ছা আছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই ।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দারুণ

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.