নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কী লিখব ঠিক জানি না

বিজ্ঞানসম্মত জীবন পরিচালনা স্রষ্টাও পছন্দ করেন

শওকত আলী খান হিরণ

নিউট্রন বিনা হাইড্রোজেন প্রোটন আমি।

শওকত আলী খান হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের নবজাগরণের সংগীত, রচনা- মোস্তফা আনোয়ার স্বপন

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১

।।১।।

পার পেয়ে যাবে একথা জেনেই

আজো তারা খুন করে।।

যখনো তখনো দেশের পতাকা

ভূলুণ্ঠিত করে।

আমরা দেবোনা হতে

মাগো জেগে আছি তোমার সন্তান

শাহবাগ চত্বরে।।



আরো কতো খুনে ফাঁসির দন্ড

মুখোশ খুলো আজ সকল ভন্ড

নতুবা করবো লন্ড-ভন্ড

ক্ষমতার মসনদ।।



চালবাজি করে চারটি দশক

যারা রাজাকার-দালাল পোষক

শুধু নিজেদের আখের চেয়েছো

লুটিয়াছো সম্পদ

এবার শুধুতে হবে

বীরাঙ্গনা ও শহীদ জননীর ঋণ পাই পাই করে।।



শহরে নগরে গ্রাম প্রান্তরে

ফাঁসির দাবী আজ সবার অন্তরে

বাঁচানোর ষড়যন্ত্র করে

কেহই পাবেনা পার

দেশের পতাকা ম্লান করে যারা

খুনের উৎসবে ছিলো মাতোয়ারা

সংসদে বসে রাজাকার যারা

দিন করিয়াছো পার

দম্ভ তোমার শেষ

কসাইয়ের দল, কতো ধানে দেখো কতো চাল আজ ধরে

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩







।।২।।

এ সমুদ্র জনসমুদ্র নতুন প্রজন্মের ভীড়ে

অসংখ্য নদী-নালা,

খাল-বিল, স্রোতধারা

মিশে গেছে আজ এক সুরে।।

নর্দমা-নোংরায়

কীটানুর দল সব

ভেসে যাবে

যাক ভেসে দূরে।।



জনরোষ জনঢেউ

সমুদ্র উত্তাল

ঘূর্ণী-বিজলী মিলে চমকায় উজ্জ্বল

কসাইয়ের রাজপাট

রাজাকার-চন্ডাল

দালালের ঘর যায় উড়ে।।

জনমনে বিবমিষা

সুনামির শক্তিতে

জঞ্জাল দেয় উগড়ে।।



এই দিন নতুনের

ভেঙেচুড়ে গড়বার

ক্রীড়ানক হয়ে নয়

কারো হাতে বারবার

প্রয়োজনে গর্জণে

ছাড়িয়াছে হুংকার

নয় পোষা কারো কোন সুরে।।

বাংলার স্বাধীনতা

থাকবেই চিরজীবী

বিনাশ করিয়া অসুরে

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩



।।৩।।

দুষ্টনীতির পোষক-শাসক/থামো থামো এইবার

শুধুই ফাঁসির রায় নিয়ে যাবো/হয়ে গেছি দূর্বার।।

ভাষণ শুনেছি অনেক ওদের/বচনের ঠাঁই নাই

মঞ্চে শুধুই কবিতায়-গানে/খুনিদের ফাঁসি চাই

চার দশকের বচন-কথন/শেষ হোক এইবার।।

শুধুই ফাঁসির রায় নিয়ে যাবো/হয়ে গেছি দূর্বার।।



নয়া প্রজন্মের ভাষা ও বার্তা/আজো যারা বোঝেনি

এখনো যাদের মর্মে পশেনি/নয়া মঞ্চের ধ্বনি

গো-ভাগারে হোক তাদের আসন /এই রায় জনাতার।।

শুধুই ফাঁসির রায় নিয়ে যাবো/হয়ে গেছি দূর্বার।।

(১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)





।।৪।।

বাংলা বসন্তে আজ উত্তাল শাহবাগ চত্তর

খুনির ফাঁসির রায় দিয়ে দাও, আজ অতি সত্ত্বর



শিশুরা এসেছে মায়েরা এসেছে বৃদ্ধ-বনিতা যুবা

শ্রমিক, শিল্পী,সেবিকা,শিক্ষক বাকী রইলই কেবা

ছাত্র এসেছে বগলে নিয়ে বই আর পত্ত্বর।।



শহীদের পিতা বুকে ক্ষত নিয়ে,বীরাঙ্গনা, বীরজায়া

মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ জননী চোখে হতাশার ছায়া

বিচারহীনতার কলংকে কেনো ঢেকে আছে অন্তর।।

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩



।।৫।।



শুদ্ধ হওয়ার এই মন্দির শাহবাগে এসো সবে।

ঋদ্ধ হওয়ার এই তো সময় বসন্ত উৎসবে।।



দ্বিধার খোলস দূরে ছুড়ে দাও

রাজাকারদের দূরে ফেলে দাও

নয়া প্রজন্মের এই মঞ্চেই জয় বাংলারই হবে।

সময় এসেছে নয়া শতাব্দির চিন্তাকে ধরবার

সময় এসেছে অতীতের ভুল ধুয়ে মুছে ফেলবার।

মুক্তিযুদ্ধ একা কারো নয়

বাংলার মাটি খাঁটি দূর্জয়

খুনির ফাঁসিতেই লাখো শহীদের চেতনার জয় হবে।

(বসন্তের প্রথম দিন ১৪১৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)



।।৬।।

এই বসন্তে ফেব্রুয়ারির আগুনের এই দিনে

শহীদের ঋণ শোধ করি আজ উত্তাল ফাল্গুনে।।



শাহবাগ থেকে টেকনাফ হয়ে তেঁতুলিয়া দূর্বার

সিন্দাবাদেন ভুত ফেলো দিতে রাজাকার গুরুভার

জঞ্জাল আর কলুষমুক্ত হয়ে যাই এই দিনে।।



মায়ের কান্নার অপমান যারা করিয়াছে এতোকাল

স্বাধান বাংলার পতাকাকে যারা দলিয়াছে দুরাচার

কারো ঠাঁই নাই, খিনের জবাবা দিবো আজ সঙ্গীন।।

(বসন্তের প্রথম দিন ১৪১৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)



।।৭।।

এই ফাল্গুনে একুশ এসেছে অনন্য রূপ ধরে

দ্রোহ, ভালোবাসা একাকার হবে

বিচারহীনতার সব কলংক মুছে দিয়ে চিরতরে।।



আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি

লাখো শহীদের বোবা কান্নায় বাতাস এখনো ভারী।

বীরাঙ্গনা আর জননীর ঋণ দিতে হবে শোধ করে।।



নীতিহীনতায় যারা এতোকাল বিভোর থেকেছো, শোনো

কোন ক্ষমা নেই, বিচার হবেই, মৃত্যুর দিন গোনো।



বাংলাদেশের পতাকাকে আজো স্বীকার করে না যারা

সমূলে তাদের ভাসিয়ে নিতেই আজ এই স্রোত ধারা

শাহবাগ কাঁপে নয়াপ্রজন্মের উত্তাল পদভারে।

২ ফাল্গুন ১৪১৯, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ১৪ ফেব্রুয়ারি২০১৩



।।৮।।

কফিন যাঁদের লাল-সবুজের পতাকা ঢেকে আছে

পদ্মার জলে অশ্রু যাঁদের হতাশায় মিশে গেছে

আমরা তাঁদের ভাই।

এই বাংলায় রাজাকার আর খুনিদের ঠাঁই নাই।।



যুগ যুগ ধরে আমরা এসেছি ফিরে ফিরে বারবার

ঘুমন্ত জাতিকে পথ দেখাবার

গান গেয়ে গেয়ে শিকল ভাঙার

আমরাই ভাঙি অশুভ আঁতাত অনাচার কারবার।

তারুণ্যের এই দীপ্ত আলোয় আঁধারের ঠাঁই নাই।।



কুটকৌশলে ক্ষমতায় যেতে খাটে যারা রাতদিন

আমরা তাদের সমাধি রচিয়া

ঘৃণার আগুনে তাদের পুড়িয়া

মুক্ত বাতাসে দেশের পতাকা করে দিই উড্ডিন।

ললাট হইতে বিচারহীনতার কলংক মুছে যাই।।

২ ফাল্গুন ১৪১৯, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)



।।৯।।

প্রদীপ জ্বলছে আজ দিকে দিকে আঁধার হয়েছে দূর।

বাংলাদেশের ঘরেঘরে বাজে নয়া প্রজন্মের সুর।।

ওয়াই-ফাই আর ল্যাপটপে বাজে যুদ্ধের দামামা।

শাহবাগে এসে অভিযোগ করে লাখ শহীদের মা

‘খুনিদের তোরা ছাড়বি না কভু-যাবে ওরা কত দূর!’

সাইবার জুড়ে সুনামীর ঢেউ, উত্তাল ফাল্গুন

দমকা হাওয়ায় আরো তেজী হয় চেতনার সে আগুন

মায়ের বোনের প্রিয়ার সে গান বেদনায় বিধূর।।

৪ ফাল্গুন ১৪১৯,১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩



।।১০।।

আর কইরো না দেরি/এইবার সময় হইছে মাঝি

লগিমারে তাড়া তাড়ি/ দিতে হবে সাগর পাড়ি।।

শাহবাগেই আছেরে কান্ডারি।।



চোখের পানি মিশে আছে এই মোহনাতে

অলস বইসা থাইকোনা আর পাল খাটাও হাতে

গুণ টানিয়া যাইতে হইবে উজান দিয়া পাড়ি।।



স্বধীনতার ফসল খাইলো যেই শকুনের দল

তাদের তাড়াইতে আইছে নতুন সেনার দল।



চল্লিশ বছর পর ওরা বুঝলো প্রাণের ব্যথা

ওরা সুনলো মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মায়ের কথা

জোয়ার পাইবো শাহবাগে পাড় হইলে এই খাড়ি।।

৪ ফাল্গুন ১৪১৯,১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

।।১১।।

রাজীব আমার ভাই

আমার রক্ত টগবগ ফোটে

খুনিদের ক্ষমা নাই।



ল্যাপটপে আর ব্লগের যুদ্ধ

তোমার শানিত চেতনা ঋদ্ধ

শাহবাগে আছি কোটি প্রাণ জেগে

রাজপথ ছাড়ি নাই্।।

বায়ান্ন থেকে দুহাজারতেরো সব মহাজাগরণ

তোমার জন্যেই অপেক্ষা করে সব মাহেন্দ্রক্ষণ।।

এই বসন্তে লাল ফুল তুমি

তোমার রক্তে ভেজা এই ভূমি

লাখো শহীদের কাতারে তোমার চেনা মুখ খুঁজে পাই।।

(৩ ফাল্গুন ১৪১৯ তারিখ শহীদ ব্লগার রাজীব হায়দারের মহান আত্নত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ,৪ ফাল্গুন ১৪১৯/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.