নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কী লিখব ঠিক জানি না

বিজ্ঞানসম্মত জীবন পরিচালনা স্রষ্টাও পছন্দ করেন

শওকত আলী খান হিরণ

নিউট্রন বিনা হাইড্রোজেন প্রোটন আমি।

শওকত আলী খান হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘বীক্ষণ প্রান্ত’-সাহিত্যের নতুন রচনাশৈলী ‘সোশ্যালফিকশন’ এর প্রথম ও কিছুটা স্বার্থক প্রয়োগ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮



ক্ষণ প্রান্ত

মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়

প্রচ্ছদ: রুবেল শাহ

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৮

মূল্য: ১৪০ টাকা

প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০১৩



নিছক গল্পগ্রন্থ বলে ঠিক তৃপ্তি পাচ্ছি না। প্রবন্ধ? না, আবার হ্যাঁ। একই সূত্রে গাঁথা খণ্ড গল্পের সমন্বিত উপন্যাস? না তাও নয়। তবে কি রূপকথার গল্প? এটা হতে পারে কিন্তু...। সায়েন্সফিকশনতো নয়ই।



তবে হ্যাঁ ‘লাল নীল দ্বিপাবলী’কে হুমায়ুন আজাদ যে বিবেচনায় কাব্য বলেছিলেন সেই কাঠামোয় ‘বীক্ষণ প্রান্ত’ কাব্যগ্রন্থ। হ্যাঁ কব্যগ্রন্থ তবে পুরোপুরি না। তবে কী? লেখক মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়ের ভাষায় ‘বীক্ষণ প্রান্ত’ শিরোনামে আমি মূলত একটা মজলিস এর আয়োজন করেছি;’ সূচিপত্রের সাব-টাইটেল ‘গল্পমানচিত্র’ শব্দটি দেখেও দশটি শিরোনামে গল্প(?) পাঠান্তে তা প্রচলিত ধারণার গল্পের ছকে বাধা কঠিন।



পাদটিকা, নতুন নতুন শব্দ, গল্প শেষে গল্পাশ্রমে ভ্রমণ, বন্ধনী, আন্ডারলাইন, ‘ব্যাপক বিনোদন’-টাইপের শব্দচয়ন, বিষয় নির্বাচন ইত্যাদি মিলিয়ে মনে হয় প্রথা ভাঙ্গার প্রতিজ্ঞা নেয়া কোনো সম্পাদকের সম্পাদনায় প্রকাশিত একটি ত্রৈমাসিক এটি। আবার প্রচ্ছদ ও বাধাই বিবেচনায় লিটল ম্যাগ মনে হতে পারে। এখানেও লেখক মিতব্যয়ী ও ভিন্নতা দেখিয়েছেন।। প্রচ্ছদটি বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ফিসারের ‘পাখি’ ও ‘খালি’ অথবা ‘সাদা পাখি’ ও ‘কালো পাখি’ র মত আঁকা বৃক্ষকে ‘শাখা’ ই ‘শিকড়’ এ উপস্থাপন দ্বিধা দ্বন্দ্বে ফেলে দেয়। প্রচ্ছদের মতই গ্রন্থের বিষয়বস্তু ও ঘটনাপ্রবাহ পাঠককে ঘোরের মধ্যে ফেলে দেয়-ভাবায়-কল্পনা করতে শেখায়। একই সময়ে স্বপ্ন দেখতে ও নতুনের সন্ধান করতে প্রাণিত করে।



প্রথম গল্প ‘কিন্তু’ নিয়তির চেয়ে বড় হওয়ার গল্প। পিপড়া কলোনির ষৎকো নামক পিপড়ার নেতৃত্ব ও প্ররোচনা দেয়ার বয়ান। পিপড়ার বিজ্ঞান সম্মত জীবন যাপনের বর্ণনার সাথে উঠে এসেছে নিদারূন কল্পনা। হ্যান্স এন্ডারসনের রূপকথার সাথে তুলনীয় এই গল্প শেষ পর্যন্ত পিপড়াদের থাকে না, হয়ে যায় পিপড়ার রূপকে মানুষের গল্প। হতে পারে হিটলারের, ওসামাবিন লাদেনের গল্প আথবা হতে পারে মাহাথির মোহাম্মদেরও গল্প। ষৎকো কোণাকুণি হেঁটে হবে ফড়িং। বাহ্ ! দারুন সমাপ্তি।





লেখক হিমালয় যে শব্দ ব্যবহারে প্রচন্ড সতর্ক ও পরিশ্রমী তা ‘ধাঁধাঁয় দ্বিধা’ গল্পে স্পষ্ট ধরা পড়ে। অনুপ্রাস যোগে দুটি শব্দ নিয়ে সাব-টাইটেল দিয়ে দিয়ে গল্পে নতুনমাত্রা সংযোজন করেছেন। তবে গল্পটি বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা। পুরোপুরি নতুন রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে এক অপরাধী পানচেনিকে কেন্দ্রকরে গল্প এগিয়ে চলে। কল্পকাহিনী হলেও বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় যে মৃত্যুদণ্ডের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাচ্ছে তার সমর্থন মেলে এই গল্পে। লেখক সম্পূর্ণ নতুন বিচার ব্যবস্থার অবতারনা করেছেন। সে যেন তাত্ত্বিক সমাজতন্ত্রের প্রবক্তার পথ অণুসরণ করেছেন। কেউ হয়তো এই রাষ্ট্রব্যবস্থার বাস্তব রূপ দিবেন সেই আশায় লেখক পাপ, অপরাধ, অন্যায়,শাস্তি প্রদানের অভিনব সব পদ্ধতিসহ ধাঁধাঁ পদ্ধতি , শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ইত্যাদির নিঁখুত ও বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। পানচেনি অপরাধে আনন্দ পায়। তার পুরো নামে দক্ষিণ আমেরিকার কোন রাষ্ট্রব্যবস্থা মনে হলেও পুরোটাই যৌক্তিক কল্পনার দেশ এই গল্পের স্থান।



‘৩য় বন্ধনী’ বিবাহ প্রথা বা সামাজিক বিধি-বিধান বিষয়ক গল্প। লেখক এখানে যুক্তিবাদি ও সমাজ সংস্কারক। বিবাহের অনুষ্ঠানিকতা, দেনমোহর, যৌতুক ইত্যাদির অপ্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করেছেন। ৩য় বন্ধনির মধ্যে লেখক পাঠক হয়ে প্রশ্ন করেছেন আবার পাঠকের প্রশ্নের নিরর্থক জবাব দিয়েছেন। এটা গল্পের প্রচলিত কাঠামো ভাঙ্গার প্রয়াস-সন্দেহ নেই। জহুরুলের ছেলে শরিফুলের বিয়েকে কেন্দ্রকরে খোকা নামাক থার্ডপার্সনের প্ররোচনায় গল্পে নাটকিয়তা আসে। খোকা প্রথা ভাঙ্গার সংগ্রামে নিজে ব্যর্থ হয়ে জহুরুলের মনে বিখ্যাত হওয়ার বাসনা জাগিয়ে ছেলের বিয়ে মাটির গহনা ও দেনমোহর বিহীন করাতে চায়। কিন্তু হাজার বছরের নিয়মের কাছে সামান্য জহুরুল পরাজিত হয়। নিছক সামাজিক গল্প তবে সমাপ্তিটা এতোটাই আভিনব ও প্রতীকি যে পাঠককে ভিন্ন এক স্বাদে তৃপ্ত করে-পূর্ণতা দেয়।



এখন মুক্তবাজার অর্থনীতির বিশ্ব। পৃথিবী ক্রমান্বয়ে বহুজাতীক কোম্পানির হাতে চলে যাচ্ছে। প্রেম-ভালোবাসা, মায়া-মমতা, আদর-স্নেহ ইত্যাদি মানবীয় বিষয়কে এখন পন্য করে বাণিজ্য চলে।‘অমূলদ ডট ডট ডট’ এসব স্বর্থান্বেসী গোষ্ঠির কর্মকাণ্ডকে স্পষ্ট করে তুলেছে। ল্যামডা গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং এর আইডিয়ায় পন্যের বিজ্ঞাপন ‘কাক’ কৌশলকে কেন্দ্র করে অসাধারণ এক গল্প বলেন লেখক। টোটাল গল্প বলতে যা বুঝায় তা এখানে আছে। একটি অভিনব বিজ্ঞাপন রাষ্ট্র ও জনজীবনের যত ধরনের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে বা জড়িত করতে পারে তা তিনি অবলিলায় উপস্থাপন করেছেন। পারিবারিক সম্পর্ককে পুজি করে Friend Your Child স্লোগান তুলে যে ব্যক্তিটি এলাহি কান্ড ঘটিয়ে ফেললো, নিজের প্রমোশন হল, ল্যামডা গ্রুপ কোটি কোটি টাকা ব্যবসা করল তারই ছেলে বাবা-মা’র স্নেহ ভালোবাসার অভাবে ঘর ছাড়ছে। এমন নির্লজ্জ কনজুমারিজমের দারুন চিত্র তুলে ধরার জন্য ধন্যবান হে হিমালয়।



‘গল্প মানচিত্র: একটি বইয়ের মূল লেখক এবং এর অনুবাদক কি কখনো অদৃশ্য মনস্তাত্ত্বিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন?’ সূচিপত্রে এমনটাই লেখা ‘গ্রে স্কেচ’ গল্পের নিচে। মিলান কুন্ডেরার উপন্যাস অনুবাদ করে গল্পের নায়ক যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং পরিস্থিতির সম্মুখিন হয়েছেন তা সংঘাতের মূল কারণ। মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব ও প্রকাশনার সমূহ সংকট তাকে প্রতিশোধ প্রবণ হতে সহায়তা করেছে। একজন নতুন লেখক যেভাবে অবহেলা ও প্রতারণার শিকার হন তা এই গল্পে সহজে উঠে আসলেও সমাপ্তিটা চমৎকার- প্রতিশোধ নেয়ার কৌশলটা অভিনব।



‘বরফবিম্বের’ মাত্রা ফিরিস্তি জটিল ও দুর্বোদ্ধ। তবে ‘খেলনা’ নামক রূপকের সাহায্যে যে গল্পের ফাঁদ পাতা হয়েছে তা অসাধারণ। মানুষ এখানে নিছক প্রাণী, প্রকৃতির সৃষ্টিমাত্র। অতৃপ্ত হৃদয়ের অজানা প্রত্যাশা মানুষকে অচ্ছন্ন করে রাখে বরফের মত। মানুষ খুঁজতে থাকে সেই খেলনা যা সে নিজেও জানে না তার স্বরূপ। এমনি ভাবে কনক এর মৃত্যুতে তার ছেলে খুঁজে ফিরে ছোটবেলার গল্পে বলা সেই খেলনা। রওনকের দেশপ্রেম শেকড়ের টান বা মানব জাতির ইতিহাস বা ভৌগোলিক সীমানা সবই পরিবর্তনশীল মেনেই গল্পের শেষ হয় ‘আসলে স্থির ছিল কে কবে!,’ এমন চিরন্তন উক্তি দিয়ে।





হিমালয় কৌশলী লেখক। গল্প হঠাৎ করে গতি পরিবর্তন করে। এভাবে নতুন কার্যকারণ যেমন বেড়িয়ে আসে তেমনি মনোজগতের অজানা দিক উন্মোচিত হয়। ‘কর্মচারী যজ্ঞ’ গল্পটি সেই বিচারে সেরা একটি গল্প। রবীন্দ্রনাথ বা হাসান আজিজুল হক এর গল্পে আমরা যেমনটা দেখতে পাই । পার্থক্য এই যে ঘটনা-বর্ণনার ধরন এবং কাঠামো তাঁদের মত নয়। একই ঘটনাকে এক এক কর্মচারি ও ব্যক্তি নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গী বিবেচনায় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ব্যখ্যা প্রদান করেন। একই ঐতিহাসিক ঘটনা যে বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপিত হতে পারে তার বিশ্বাসযোগ্য উদাহরণ এটি। একারণেই হয়তো নিরপেক্ষ জায়গায় দাঁড়িয়ে সত্যটা ধরা কঠিন। এই গল্পে আফসার আহম্মেদ তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত কর্মচারিটির উপর প্রতিশোধ নেয়। কারণ ঐ কর্মচারির সু নিয়ন্ত্রণের কারণে তার উদারতা প্রকাশ এবং চোর ও দুর্নীতিবাজকে মাফকরে দেয়ার সুযোগ নষ্ট হয়। এতে আফসার আর মহত্ব প্রকাশের সুযোগ পান না, এটা তার ভালো লাগে না । গল্পটিতে মহত্ব প্রকাশের নিষ্ঠুর কৌশল সত্যিই মনোবিকারের নতুন মাত্রার সুন্দরতম প্রকাশ।





‘গল্প গবেষণা প্রকল্প’ একটি সুষ্পষ্ট প্রবন্ধ। নব ধারার গল্প রচনা কৌশল বিষয়ক কাল্পনিক প্রকল্প। প্রবন্ধে উদাহরণ হিসেবে অবশ্য ছোট ছোট গল্প তৈরি করেছেন লেখক। পিথাগোরাস যেমন সবকিছুকেই সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশের চেষ্টা করেছেন তেমনি গল্পের সাথে সংখ্যা পদ্ধতির সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে চেয়েছেন। হিমালয় হয়তো চতুর্দশপদী কবিতা বা হাইকু থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তা গল্পে সংখ্যার কাঠামো প্রয়োগ করতে চেয়েছেন। নিউক্লিয়াস গল্প, ৫ বর্ণের টুকরো গল্প, রাহুল দ্রাবিড়ীয় গল্প ইত্যাদি কাঠামোর গল্পের বৈশিষ্ট্য, বর্ণ বা শব্দ সংখ্যার ব্যখ্যা দিয়েছেন উদাহরণ সহ। হতে পারে গল্প নিয়ে গল্প গল্প খেলা বিষয়ক গল্প এটি।



যে গ্রন্থের গল্পমানচিত্র পুরো পৃথিবী সেখানে বাংলাদেশের আটপৌড়ে গ্রামীণ প্লট নিয়ে রচিত গল্পে সর্বময় গ্রামীণ টিউন ধরে রাখা যে একজন মহৎ লেখকের গুণ তা হিমালয় ‘গ্যাড ফ্লাই’ এ প্রমাণ দিয়েছেন। এ গল্পে প্রেম যৌনতা এসেছে চিরায়ত রূপ নিয়ে তবে পরিমিত ও পরীশীলিত ভাষায়। টাউট হাশেম, যে মেম্বার নির্বাচন করবে এবং প্রান্তিক চাষী ময়নাল এ দুজনের পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্রকরে গল্প এগুলেও হাশেমের সামাজিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ ও শত্রুতা উদ্ধারের প্রচেষ্টা গল্পকে রাজনীতির পাঠে রূপান্তরিত করে। ভার্সিটি পড়ুয়া অনুপ ও হাশেমের সাক্ষাত যেন গ্রামীণ ও অভিজাত রাজনৈতিক চিন্তার মেলবন্ধন ও তুলনামূলক চিত্র। শেষটায় গ্যাট ফ্লাই হাশেমকে চট করে গরুর লেজ বানিয়ে পাঠককে চমকে দেয় লেখক।



সর্বশেষ ‘ঢ়-তত্ত্ব’ রাষ্ট্রচিন্তা বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ফিকশন। ভবিষ্যতে ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিণতি কি হতে পারে তার কাল্পনিক চিত্র আঁকা হয়েছে এখানে। ‘আমি যা দেখতে চাই বা ভবিষ্যতে কখনো দেখতেও পারি বলে ধারণা করি সেসকল কল্পনাশ্রয়ী দৃশ্যকল্পই আমার লেখনি’- লেখক হিমালয় তার এই কথা পুরোপুরি রেখেছেন এই গল্পে। দেউলিয়া দেশ, প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রত্যেক নাগরিকের বিচারব্যবস্থা এমনকি বিচারকেরও, এরপর নিলাম হয়ে যাওয়া টুকরো টুকরো ভুখণ্ড, অতঃপার আদিম সামাজিক জীবনে প্রত্যবর্তণের গল্প ঢ়-তত্ত্ব।





নতুন কাঠামোর 'বীক্ষণ প্রান্ত' গ্রন্থ পাঠান্তে এক অনির্বচনিয় অনুভুতি সৃষ্টি হয়। কল্পনার জগতে ভাসতে থাকে এক নতুন সমাজ ব্যবস্থা আর ভিন্ন রাষ্ট্রকাঠানো। চোখের সামনে ভাসে অভিনব বিচারালয়, হিউম্যান রিসোর্স স্কুল আর উত্তরাধুনিক শাস্তির চিত্র ও নতুন সংস্করণে বিবাহ প্রথা। ব্যক্তি-সমাজ-সংস্কৃতি-সভ্যতা-রাষ্ট্রকাঠামো সমেত পুরো মানবজাতির পূর্ণাঙ্গ নতুন জগত তৈরি হয়েছে একটি গ্রন্থকে কেন্দ্র করে। বীক্ষণ প্রান্তে লেখক মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রকে সচেতনভাবে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরতে চেয়েছেন এবং সফলও হয়েছেন। এ যেন সোশ্যালফিকশন। তবে পাঠকের মনে প্রতিটি গল্পই সর্বজনীন, স্থান-কাল-পাত্র নিরপেক্ষ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে 'গল্পাশ্রমে ভ্রমণ' বাধা হয়ে উঠেছে। গল্পের সানেনুজুল পাঠককে না জানালেই ভালো হতো, এতে হঠাৎ করে পাঠকের মনে জায়গা করে নেয় গল্পাশ্রমে ভ্রমণে বর্ণিত সত্য-বাস্তব-সিমীত-নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও ঘটনা। ফলে সর্বজনীন আবেদন নিয়ে পাঠক যে ঘোরের মধ্য আনন্দ খুঁজেত থাকতো তা থেকে বঞ্চিত হয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২

তরিকুল ইসলা১২৩ বলেছেন: অস্থির একটা বই. হিমালয় পাই ভাই একটা জিনিয়াস

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৮

শওকত আলী খান হিরণ বলেছেন: সতিই জিনিয়াস। ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা বুক রিভিউ! পড়ে দেখার ইচ্ছা জাগল। আপনি বেশ চমৎকার লিখেন। আপনাকে অনুসরনে নিলাম। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.