![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা আমার ক্যানভাস। এখানে আমি আমার মনের কোণে উঁকি দেয়া রঙ-বেরঙের কথাগুলোর আঁকিবুঁকি করি।
মাঝেমাঝেই নিজেকে খুব অসহায় লাগে। জগতের কোন কিছুতেই মন লাগাতে পারি না। বিষণ্নতায় গড়িয়ে যায় সকাল-দুপুর তার সাথে তাল মিলিয়ে সন্ধ্যে-রাত। গতকাল থেকে পারভেজ নামের এই ছেলের রক্তমাখা ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকের ওয়াল জুড়ে। তার অসহায় চোখের চাহনি বিষাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে আমার চারপাশে। চোখ বন্ধ করলে ভেসে উঠছে তার মায়াভরা মুখ।
শুনেছি—হাসি দিয়ে নাকি বিশ্ব জয় করা যায়, থামিয়ে দেওয়া যায় যুদ্ধের দামামা। হাসিতেই নাকি ফেঁসে যায় শত্রু, বইয়ে দেয় মিত্রতার বাতাস। কিন্তু এই ভুবন ভুলানো হাসিই যে কারো মৃত্যুর কারণ হতে পারে, তা আমার জানা ছিল না। পারভেজ কখনো বুঝতেই পারিনি, যে হাসির কারণে মানুষের খুব কাছে আসতে পারে সে—সেই হাসিই একদিন তাকে পৃথিবীর সবার কাছ থেকে দূরে পাঠিয়ে দেবে।
যখনি পারভেজের রক্তমাখা ছবিটি দেখছি, আমার দৃষ্টি থমকে যাচ্ছে তার অসহায় চাহনিতে। ওই অসহায় চোখ যুগল পলকহীন থেকেও যেন কত কথা বলে যাচ্ছে। একটা নিরপরাধ ছেলে, তার নিজের ক্যাম্পাসে রক্তাক্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। এই বিষয়টি আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আরও বেশি কষ্ট লাগছে, যখন দেখছি এই মৃত্যু নিয়ে এক শ্রেণি জঘন্য রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। আমাদের দেশের মতো এমন জঘন্য রাজনীতি হয়ত পৃথিবীর কোথাও নেই। এ দেশের স্বার্থান্বেষী মানুষ প্রতিটি মৃত্যুতে পায় পরিপূর্ণ এক ইস্যু আর মা-বাবা পায় শূন্য এক ঘর।
কী এমন অপরাধ ছিল তার? যার কারণে তাকে মেরে ফেলতে হলো? এই জেনারেশন ঠিক কোথায় যাচ্ছে? আমি এদের নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। এত অস্থির এরা, সারাক্ষণ মারমুখো হয়ে থাকে। জয়ী হওয়ার নেশায় এমনভাবে বিভোর হয়ে থাকে—কাউকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করে না। এরা না ছেড়ে দিতে জানে, না জানে ছাড় দিতে। এরা শুধু জানে জয় ছিনিয়ে আনতে যদিও বা তা হয় রক্তমাখা হাতে।
আমি এই অপরাধাগুলোর পুনরাবৃত্তি চাই না। চাই না নতুন করে কোনো মা-বাবার ঘর খালি হোক। শুধু চাই অপরাধীর সর্বোচ্চ শান্তি হোক।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৭
শাওন আহমাদ বলেছেন: এই জেনারেশন ভীষণ পরিমাণে অবাধ্য। এই অবাধ্যতাই যত নষ্টের মূল।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:২০
রানার ব্লগ বলেছেন: আমরা অতি দ্রুত জানোয়ারের দলে রুপান্তর হব ।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৮
শাওন আহমাদ বলেছেন: মুক্তির পথ কী নেই?
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১১
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এর জন্য দায়ী। এখনতো আর আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় নাই যে , বিচার বভাগ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এখনো কেন কোন অপরাধের বিচার হচ্ছে না ? এই বিষয়ে একটা জনমত অতি দ্রুত গড়ে ওঠা প্রয়োজন।
যে দেশে আইনের শাষন নাই, সেই দেশে মানুষ দানব হয়ে ওঠাটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৯
শাওন আহমাদ বলেছেন: এই বিষয়ে আমি আপনার সাথে শতভাগ একমত।
যে দেশে আইনের শাষন নাই, সেই দেশে মানুষ দানব হয়ে ওঠাটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৭
যামিনী সুধা বলেছেন:
@মেঠোপথ২৩,
আপনি দেশকে মিলিটারীর হাতে দেখতে চেয়েছিলেন; দেশ এখন মিলিটারী ও শিবিরের হাতে; আপনি সুখী মানুষ?
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ওরা জানে, মারামারা কাটাকাটি করলেও দলাদল শূন্য।
এজন্য সকলে উজাইছে।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫১
শাওন আহমাদ বলেছেন: এর সমাধান কী বলে আপনার মনে হয়?
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এর সমাধান কী বলে আপনার মনে হয়
দরিদ্র দেশ গুলোতে সমস্যা হয়, সমাধান হয় না। কিন্তু সমস্যা ও সমাধান নিয়ে বছরের পর আলাপ আলোচনা হয়।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
শাওন আহমাদ বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০
যামিনী সুধা বলেছেন:
Generation-Z, জল্লাদ জেনারেশন।
আমেরিকা দেশের ছাত্রদেরকে ক্যু'তে ভাড়াটে হিসেবে খাটায়েছে জল্লাদ হিসেবে। আমাদের ছাত্ররা জল্লাদে পরিণত হয়েছে।