নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানিনা কি লিখতে চাই,কি বা বলতে চাই,কত শত অব্যক্ত কথনগুমরে মরে হৃদয়ের কারাগারে .....

শেহজাদী১৯

আমি যে আঁধারের বন্দিনী আমারে আলোতে নিয়ে যাও

শেহজাদী১৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানের স্মৃতিময় শৈশব কৈশোর এবং বর্তমান

০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ১:৫১


দূয়ারে উঁকি দিচ্ছে ঈদ। এই ঈদ এবং রমজান নিয়ে প্রতি বছরেই মনে পড়ে আমার সোনালী শৈশব। সাথে কৈশোরের ঈদ এবং ইফতার সন্ধ্যাগুলিও। শৈশবে রোজা মানেই ছিলো বাড়তি এক গাদা সান্ধ্যকালীন নাস্তা টাইপ খাবারের আনন্দ যা শিশু হৃদয়ে দোলা জাগাতো। এখনকার বাচ্চাদের মত তো বার্গার কে এফসি দেখিনি আমরা আমাদের শৈশবে। কাজেই বাড়িতে মেহমান এলে বিস্কিট আর চানাচুরের প্লেটগুলোর উপর আমাদের নজর থাকতো। ভাত তরকারী মাংস মাছ সব্জীর সাথে সাথে বাচ্চাদের এসব ফাস্টফুড টাইপ খাবারের প্রচলন ছিলোনা বলতে ফেলে। আর তাই মায়ের বানানো আলুচপ, কাবাব, ফিরনি পায়েস হালুয়াই আমাদের কাছে অমৃত ছিলো। চিন্তা করে দেখি আজকাল সেসব যেমনই ছিলো সাস্থ্যসন্মত তেমনি ছিলো ভালোবাসায় মোড়া স্বর্গের অমৃতসম। আমরা আমাদের মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ চিনতাম। এখন কি বাচ্চারা চেনে?

শৈশবের রোজা এবং ইফতার সন্ধ্যা
ইফতারের ঠিক আগ মুহুর্তে ডাইনিং টেবিল ঘিরে বসে থাকতাম আমরা। মা বাবা ভাই বোন। মা হয়ত তখনও ব্যস্ত রান্নাঘরে তার শেষ কাজটুকু নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। আমরা বসে আছি টেবিল ঘিরে। বিকেল থেকেই শুরু হত সেই ইফতার আয়োজন। মনে পড়ে ছোট্ট একটা স্টিলের বাটিতে ভেঁজানো কিছু কাঁচা ছোলা,সাথে একটু গুড়, তেঁতুল পানি এসব নাকি সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরের জন্য খুব ভালো। এগুলোর কোনোটাই আমার খুব যে ভালো লাগতো তা না তবুও দু একটা গলাধকরন করতাম।
কাঁসার থালায় থরে থরে সাজানো থাকতো বেগুনী পেঁয়াজু, ছোলাবুট, মুড়ি, চপ, কাবাব, ফিরনী পায়েস সাথে কিছু মৌসুমী ফল, খেঁজুর। বলতে গেলে রোজই একই টাইপ আয়োজন। তবুও শৈশবের রোজা মানেই আমার চোখে ভাসা সেই ইফতারের টেবিল। বাবার মাথায় টুপি এবং পবিত্র এক দ্যুতি, আতর ছড়ানো সৌরভে চারিদিক ভরে উঠতো রোজার এক আলাদা সৌরভে। মায়ের ঘর্মাক্ত মুখ খুব দ্রুত অজু করে পানি ভেঁজা এবং আচলে আধা মোছা সেই চেহরাটা। ফিরে যাওয়া যায়না সেখানে আর কখনও কোনোদিন।

কৈশোরের রোজা এবং ইফতার- ইফতার আইটেমে তেমন পরিবর্তন হয়নি তখনও শুধু আমরা তখন রোজা রাখতে শুরু করেছি। টেবিলে ইফতার সাজিয়ে দেওয়া এবং রান্নাঘরে রান্নাতেও মাকে কিছু সাহায্য করতে শিখে গেছি। কে কয়টা রোজা রাখতে পেরেছে তার হিসাব কষি। যে যত রোজা সে তত সোয়াব পাবে তত নিজেকে শক্তিশালী ভাবি। নামাজ পড়া শিখেছি এবং ইফতার আধা রেখেই মাগরিব ঠিক সময়ে পড়তে হবে শিখেছি। মায়ের পাশে জায়নামাজ পেতে রোজ নামাজ পড়ি। দোওয়া করি প্রাণ থেকে সবার জন্য। আমার ধারণা তখন ঐ বয়সটাতে সেই খাঁটি দোয়া ছিলো। ঐ নিস্পাপ নিস্কলুষ হৃদয় আমরা হারিয়ে ফেলি বড় হবার সাথে সাথে।


বর্তমানের রোজা- রোজা সবটুকু জৌলুষ হারিয়ে ক্ষীন প্রদীপ শিখার মত জেগে আছে আজ। চারিদিকে কত আয়োজন তবুও সেই শৈশব আর কৈশোরের রোজা ইফতার আর ঈদের জন্য অধীর অপেক্ষা ক'জনে অনুভব করি আমরা আজ? ছোট বাচ্চাদের কাছেও জিগাসা করে দেখেছি তাদের নানা রকম আনন্দময় উৎসবের কাছে রোজা ঈদ এসব আনন্দ আজ ম্রীয়মান।


আজ সেই পুরোনো দিনের মত পাড়া প্রতিবেশী এবং অসহায় আতুর মানুষদেরকে ইফতার বিলানোর দিন আমাদের। হঠাৎ মনে পড়ে গেলো শৈশব কৈশোরের রোজা রমজানের দিনগুলির মধুময় স্মৃতিগুলি। আইটেমগুলোতেও পরিবর্তন এসেছে। কত রকম কত স্বাদের খাদ্য আয়োজন। তবুও সেই ফেলে আসা দিনের রমজান ইফতারের আমেজ কই? কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী ইফতারের সন্ধ্যাগুলো সেই?

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:০২

জটিল ভাই বলেছেন:

অবজেকসন মিলর্ড!
আপনার ছবি আবার বর্ণনা রোজা নষ্টের উপক্রম ঘটাইতেছে :P
তবে, সন্তান যেমন মায়ের রান্না চিনেনা, তেমনি ক'জন মা এখন রাঁধে? :(
সুমধুর অতীত মনে করিয়ে দেওয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই :)

০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:০৫

শেহজাদী১৯ বলেছেন: আপনার রমজানের একটা স্মৃতি বলেন জটিলভাই।

কেমন ছিলো আপনার শৈশবের স্মৃতি? প্লিজ জানতে চাই।

২| ০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:০২

মা.হাসান বলেছেন: এখন প্রচুর ইফতার পার্টি দেখি। করোনার আগের বছর আমাকে একজন দাওয়াত দিতে এসেছিলো। বললাম- ডিজে কে থাকবে?
-মানে?
-মানে ডিজে না থাকলে কি আর পার্টি হয়?

কর্পোরেট কালচার, বিলাস , জৌলুস এসবের ভিড়ে পারিবারিক আবেগ কে আর খুঁজতে চায়।
পাশাপাশি দুই বাসার মাঝে ইফতার বিনিময়ের কালচার এখন তো গ্রামেও হারিয়ে গেছে বলেই মনে হয়। যে দিন গেছে আসবে না। এটাকে মেনে নিয়েছি।

০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:০৮

শেহজাদী১৯ বলেছেন: হ্যাঁ হাসানভাই। সেসব দিনে পাড়া প্রতিবেশিটা কার মা কেমন রাঁধে সেই স্বাদও জানা ছিলো আমাদের। নিজের মায়ের রান্নার পাাশাপাশি সেসবও চোখে ভাসে।

সব হারিয়ে গেছে আজ নতুন দিনের ভীড়ে।

৩| ০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:১৬

জটিল ভাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার রমজানের একটা স্মৃতি বলেন জটিলভাই।
কেমন ছিলো আপনার শৈশবের স্মৃতি? প্লিজ জানতে চাই।


আপনার সঙ্গে সিংহভাগই মিল রয়েছে। তবে কাঁসার থালার স্থলে আমাদের খাওয়া একসাথে বড় পাত্রে সব ভেঙ্গে মিশিয়ে এক পাত্র হতে। আর আমার জন্য উল্লেখযোগ্য রুহ্আফজা এবং ইসবগুলের ভূসি :D
আর আমাদের বন্টনটা আরেকটু বিস্তৃত ছিলো। প্রতিবেশী আত্মীয় ছাড়াও দোকান এবং নিজস্ব কিছু লোক।
তবে আমার জন্য স্পেসাল ছিলো আমাদের খেলার সাথীদের মাঝে একেক বাসায় রোজায় একদিন ইফতারের ক্ষেত্রে আমি যেনো আগে খাওয়াতে পারি :)
আলহাম্দুলিল্লাহ্....... আমরা ভার্চুয়াল নয়, ন্যাচারাল আনন্দের সাক্ষী :)

০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

শেহজাদী১৯ বলেছেন: হ্যাঁ অনেক বাড়িতে একসাথে বড় পাত্রে ভেঙ্গে খাওয়া হয় জানি কিন্তু আমার শৈশব কৈশোরে আমি কেনো যেন এটা দেখিইনি।
অনেক বড় হবার পর জেনেছি এভাবে ইফতার মাখানো হয়। আমার কিন্তু এটা একদমই পছন্দ না।

রুহ আফজা ফালুদা এসবও খাওয়া শেখানো হয়নি তাই এখনও এসব খেতেই পারিনা আমি। তবে শরবৎ আর ফলের রস এবং লাসসি খেয়েছি। নোনতা লাসসি আমার কাছে খুবই খারাপ টেস্টের একটি খাবার ছিলো।

৪| ০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

জটিল ভাই বলেছেন: আমার অবশ্য এক পাত্রে খাওয়ায় আলাদা আনন্দ লাগে। প্রথমত, ইফতারের মতো একটা বিষয়ে সবাই আলাদা না হয়ে একত্রে খাওয়ার মহিমা (ব্যক্তিগত মত)। এরচেয়ে মজার বিষয়, আব্বা অনেকটা বেখেয়ালি মানুষ হওয়ায় আমি যে বাচ্চা খাচ্ছি সেদিকে খেয়াল না করে নিজের মতো খেতো। সেই জেদে আব্বার চেয়ে বেশি খাওয়ার জন্যে আমিও গাপুস-গুপুস করতাম :P

০৩ রা মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

শেহজাদী১৯ বলেছেন: হা হা আসলেই মজার এসব স্মৃতিগুলি।

৫| ০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

রুপ।ই বলেছেন: মনে পড়ে গেল সেই শৈশব ।

০৩ রা মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

শেহজাদী১৯ বলেছেন: রমজান আসলেই আমার মনে পড়ে।

৬| ০৩ রা মে, ২০২১ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:




বলছেন, রোজা ও ইফতারের আমেজ কমে গেছে! কি কারণে তা ঘটছে?

০৩ রা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

শেহজাদী১৯ বলেছেন: নাগরিক জীবন, পাশ্চাত্য প্রভাব, ব্যাস্ততা, স্বাদ রুচীর পরিবর্তন, সুযোগ ও সুবিধা, হৃদ্যতার অবক্ষয়, আত্মকেন্দ্রিকতা অনেক কিছুই এর কারণ গাজীভাই।

৭| ০৩ রা মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

কালো যাদুকর বলেছেন: করোনাতে একটি লাভ হয়েছে। প্রতি দিনই একসাথে বসে ইফতার হচ্ছে। অনেকটা আপনার ছোটবেলার বর্ণনার মতই। আলুর চপ, পেয়াজু , ছোলা, ঘুগনী মুড়ি থাকছে। সাথে হালিম বা জিলাপী যখন যেরকম সামর্থ্য হচ্ছে ৷
রোজার আমেজও পাচ্ছি, আর মাত্র ৯ বা ৮ টি বাকী শেষের গুলো একটু কষ্টের তবে আমন্দের সাথেই করছি।

ধন্যবাদ।

০৩ রা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

শেহজাদী১৯ বলেছেন: করোনার আগে এক সাথে বসা হত না? আর কিছু না হোক ইফতারে একসাথে বসাটাই নিয়ম।

শুভকামনা যাদুকর।

৮| ০৩ রা মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমরা আমাদের মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ চিনতাম। এখন কি বাচ্চারা চেনে?"- এখনও হয়তো চেনে, তবে আগের মত নয়। এখন হয়তো ওরা মায়েদের হাতের রান্নার স্বাদের চেয়ে বড় বড় ব্র্যান্ডের শেফদের হাতের রান্নার স্বাদ বেশি করে চেনে। :)
"তবে, সন্তান যেমন মায়ের রান্না চিনেনা, তেমনি ক'জন মা এখন রাঁধে?" - জটিল ভাই এর এ প্রশ্নটাও তো হয়তো আজকের প্রেক্ষিতে একেবারেই অসঙ্গত নয়।
"পাশাপাশি দুই বাসার মাঝে ইফতার বিনিময়ের কালচার এখন তো গ্রামেও হারিয়ে গেছে বলেই মনে হয়" - আপনার এই পোস্ট পড়তে পড়তে মা.হাসান এর এই কথাটাও আমার মনে হচ্ছিল, যা আপনার পোস্টে আসেনি।

একটা জায়গায় এসে স্মৃতিটাকে অনেক ভারী মনে হলো- ইফতার বানাতে বানাতে, সাজাতে সাজাতে, সাইরেন বা আযানের ধনি শুরু হওয়ায় তাড়াতাড়ি করে মায়ের ঘর্মাক্ত মুখে অযু করা এবং "আঁচলে আধা মোছা সেই চেহারাটা"! আহা, রোযার মাসে মায়েদের এই শাশ্বত রূপটা কতই না সার্বজনীন ছিল! আমার স্ত্রীকেও মাঝে মাঝে এখনো এই রূপে দেখি!

০৩ রা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শেহজাদী১৯ বলেছেন: হ্যাঁ মায়েরা আজ অধিকাংশ কর্মজীবি। সেই রান্না নিয়ে একাগ্রতা আজ আর নেই। বড় বেশি দরকারে কিনে আনা যায় কে এফসি বা স্টার বেকারীর বিরিয়ানি কাবাব।

আমাদের শৈশবে আশপাশের সবার বাড়ির বিশেষ খাবার বা প্রিয় খাবারটির স্বাদ জানা ছিলো আমাদের। এখন আর সেসব নেই।

হ্যাঁ সেই চেহারা মনে পড়ে। আজও মায়েরা রান্নাঘরে ব্যস্ত থাকেন ঠিকই তবে সংখ্যা কমে এসেছে।

আপনি ভাগ্যবান আপনার স্ত্রীকে আজও এই রূপে দেখছেন। যারা দেখেনি তারা কখনও জানবে না সেই সুন্দর দৃশ্যটির মোহনীয়তা।

৯| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১২:১২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: করোনার কারণে সবাই একসাথে ঘরের চার বউ তাদের সন্তানেরা সব মিলে আনন্দময় ইফতার পরিবেন করেন মা

০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১২:৫৭

শেহজাদী১৯ বলেছেন: চার বউ মানে কি নেওয়াজভাই? চার ভায়ের চার বউ নাকি ?

তার মানে আজও আপনার পরিবারে সুন্দর রেওয়াজটি চালু আছে।

১০| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১:০০

কামাল১৮ বলেছেন: রোজা এবং ইফতার দুটোই অবজ্ঞানীক।

০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১:০১

শেহজাদী১৯ বলেছেন: অবজ্ঞানীক কথাটির মানে কি ?
কখনও শুনিনি তো।

১১| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১:৩৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনার বর্ণনায় শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম।
তখন আর এখন অনেক তফাৎ সবকিছুতে।
লেখায় সবকিছু আছে কিন্তু বাচ্চা বয়সে নতুন কাপড়ের অনুভূতি মিসিং।

০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ২:৫২

শেহজাদী১৯ বলেছেন: সেটা নিয়ে না হয় ঈদ স্মৃতি লেখা যাবে। আজ মনে পড়লো রমজান আর ইফতারের স্মৃতিগুলো।

১২| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ৭:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ইফতারের স্মৃতিগুলি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ।
ইচ্ছে করছে নীজের অভিজ্ঞতাও কিছু শেয়ার
করি । কিন্ত আমার অভিজ্ঞতা এতই পুরানো
ও বৈচিত্রময় যে তা অনেকের কাছেই এখন
তা অবিশ্বাস্য বলে মনে হবে ।

শুভেচ্ছা রইল

০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

শেহজাদী১৯ বলেছেন: প্লিজ আমাদের সাথে শেয়ার করেন।
আমার ধারণা ৯০ দশক পর্যন্ত আমাদের সবারই ইফতার রমজানের স্মৃতিতে উনিশ বিশ পার্থক্য।

পরিবর্তন এসেছে ২০০০ এর পর।

১৩| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: অবৈজ্ঞানীক লিখেছিলাম,এসেছে অবজ্ঞানীক

০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

শেহজাদী১৯ বলেছেন: আচ্ছা।

কিন্তু রোজা এবং ইফতার কেনো অবৈজ্ঞানীক সে বিষয়ে যদি কিছু বলতেন।

১৪| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ১০:২৮

লাতিনো বলেছেন: ওরে ছাগলের ডিম, যেটা অবজ্ঞানীক, সেটাতে তোর মুখ দেবার কি দরকার? যেটা বোজ্ঞানীক সেই কাঁঠালপাতায় মুখ দে। এইসব অবজ্ঞানীক পোস্ট থেকে ১০০ হাত দূরে থাক। নিজেও শান্তিতে থাক, আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দে।

০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

শেহজাদী১৯ বলেছেন: ছাগলে ডিম পাড়ে শুনিনি কখনও। এবং এই ছাগলের ডিম নিশ্চয়ই আমি নই সেটাও বুঝতে পারছি। আপনি মনে হয় কামাল ১৮ কে এ কথা বলেছেন।

এইভাবে মন্তব্য আমি পছন্দ করি না। তুই টুই করে আর কখনও আমার পোস্টে কমেন্ট দেবেন না প্লিজ। আপনি কামাল ১৮ এর কথায় আহত হলে অবশ্যই প্রতিবাদ করবেন তবে এই রকম করে নয়। আপনি নিজেই জানেন কি রকম করে করবেন।

আর একটা কথা কামাল ১৮ ভাবতেই পারেন রোজা অবৈজ্ঞানিক। অন্ধের মত কোনো কিছু অনেকেই বিশ্বাস করেন না। সে বিষয়ে উনার মতামত জেনে নিয়ে তারপর কথা বলা যেতে পারে।

আমি নিজে ভাবি রোজার কোনো না কোনো ভালো দিক তো আছেই নইলে রোজা রাখলে এত ক্ষুধা তৃষ্ণার পরও আমাদের মন প্রফুল্ল হয় কেনো?
শুনেছি রোজা শরীরের জন্যও নাকি ভালো।

যাইহোক এত কিছু ভাবতে যাইনা। আজন্ম যা দেখে আসছি মেনে আসছি তাই করে আনন্দও পাই।

১৫| ০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১২:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই করোনা কালে আবার ফিরে এসছে বেশ অনেকখানি সেই চর্চা। বাচ্চারা কিছুটা হলে ও পাচ্ছে ঘরে বসে সেই আয়োজন।
আপনার স্মৃতিকথায় ভালোলাগা।

০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৬

শেহজাদী১৯ বলেছেন: হ্যাঁ করোনাকালে অনেকখানি চর্চা ফিরেছে। তারপরও কোথায় যেন সেই আনন্দের ঝিলিক খুঁজে পাইনা আর শিশুদের চোখে।

১৬| ০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রতি রমজানের শেষে আমি কখনোই ঈদের চাঁদ দেখতে পেতাম না, পৃথিবীর সবাই দেখতে পেতো আমি ছাড়া, ওই যে ওই যে বলে সবাই নাচতো আমিও ভাব দেখাতাম আমি দেখেছি আমিও নাচতাম কিন্তু আব্বা বুঝে যেতো তিনি ডেকে বলতেন কোন দিকে চাদটা উঠলো রে আমি ঠিক উল্টা দিক দেখিয়ে বলতাম ওই যে দেখছেন না।

০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

শেহজাদী১৯ বলেছেন: হা হা আমিও দেখতাম না। সবাই বলতো ঐ যে সুতার মত চাঁদ। আমি সুঁতা খুঁজে বেড়াতাম। কোথাও নেই রুপালী সুতা। তবুও জানতাম ওরা তো দেখেছে।

১৭| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: করোনাকালীন সময়টাতে পুণরায় শৈশবের মত করে চেষ্টা করছি।

আম্মু এখনো কনো কনো সময় রান্নাঘরে ব্যস্ত থাকাতেই আযান পড়ে যায়।


০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

শেহজাদী১৯ বলেছেন: এখন শ্বাসত বাঙ্গালী মায়েরা নিজেদের কথা ভাবেনই না।পরিবার পরিজনের মুখে গরম খাবার তুলে দিতে তারা নিজেদের কষ্টও ভুলে যায়।

১৮| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমি অতীতে ফিরে গেলাম। ইচ্ছা হচ্ছে আমিও অতীতের কথা লিখে ফেলি।

০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৫:২০

শেহজাদী১৯ বলেছেন: লিখেন রাজীবভাই। আমরা আবার ছোটবেলা মনে করি।

১৯| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

জটিল ভাই বলেছেন:



রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমি অতীতে ফিরে গেলাম। ইচ্ছা হচ্ছে আমিও অতীতের কথা লিখে ফেলি।

পড়ার সময় আমারও এমন মনে হচ্ছিলো.......

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

শেহজাদী১৯ বলেছেন: চলেন সবাই অতীতেই ফিরে যাই। সবার স্মৃতি শেয়ার করি।

২০| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

জটিল ভাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: চলেন সবাই অতীতেই ফিরে যাই। সবার স্মৃতি শেয়ার করি।

জটিলকথন সিরিজ না শুরু করলে লিখতাম। তবুও চেষ্টা করবো। অবশ্য বুইড়া ভয়ংকর! কুঁইড়া ভয়ংকরের মাঝে কিছু খন্ডচিত্র পাবেন।

০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৮:৫৪

শেহজাদী১৯ বলেছেন: জটিল কথন জটিল হচ্ছে ভাই। স্যালুট।

২১| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৮:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "চলেন সবাই অতীতেই ফিরে যাই। সবার স্মৃতি শেয়ার করি" - আপনার এ প্রতিমন্তব্য (১৯ নং) প্রসঙ্গে জানাতে চাচ্ছি যে আমি আজ থেকে তিন বছর আগে, ২০১৮ সালে আমার স্মৃতিগুলো একটি সিরিজ আকারে এ ব্লগে শেয়ার করেছিলাম, যার প্রথমটা পড়তে পারবেন এখানেঃ রমজানের স্মৃতি – ১

পোস্টটির পরিসংখ্যান দেখে বলতেই পারি, আমি পুরনো মানুষ হলেও, আমার এ পোস্টটা মোটামুটি পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিলঃ ৯০৭ বার পঠিত, ২৯টি লাইক, ২ জনের "প্রিয়" তালিকায়।

০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৮:৫৫

শেহজাদী১৯ বলেছেন: অবশ্যই পড়বো খায়রুলভাই। রমজানের স্মৃতি আমাদের মত করে আর নেক্সট জেনারেশন মনে রাখবে কিনা জানিনা। আমরাই স্মৃতি ধরে রেখে যাই।

২২| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৯:৩১

জটিল ভাই বলেছেন:


লেখক বলেছেন: জটিল কথন জটিল হচ্ছে ভাই। স্যালুট।

অনেক ধন্যবাদ। আপনার আর ছবি আপার উৎসাহদানই জটিলকথনে প্রাণ সঞ্চার করেছে। তবে কোনো কারণে হয়তো আজ আপনাদের মন্তব্য পাইনি, কিন্তু অপেক্ষা চলমান :)

০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৯:৪১

শেহজাদী১৯ বলেছেন: আজ একটু ব্যস্ত ছিলাম। একটু পরেই পড়বো ইনশাল্লাহ।

২৩| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩৩

সিগনেচার নসিব বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণ++




দুঃখজনক হলেও সত্য শৈশব কৈশোর আর ফিরে পাবো না।

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:৪৫

শেহজাদী১৯ বলেছেন: হ্যাঁ সব হারিয়ে গেছে।

২৪| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ৯:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:



কি মজার মজার খাবারের কথা এসেছে এখানে ।
ছবির জিলাপি মোটাসোটা নাদুশ নুদুশ কিন্তু এটা খেতে মজা না ।
আগে একটা ছিলো অনেক চিকন, ছোট ছোট, ওই জিলাপি খেতে মজা ।

ভাঁজাপোড়া পিয়াজু, বেগুনী, ছোলা, চপ এগুলো খেতে অনেক মজা যদিও উপকারি না ।
এই মুখরোচক উপাদেয় খাবারগুলো কেনো শুধু এই একমাস হয়, সারাবছর কেনো হয় না ! :(



০৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

শেহজাদী১৯ বলেছেন: সারাবছরই হয় কিন্তু এই এক মাস স্পেশাল।
চিকন জিলাপী এখনও পাওয়া যায়। ঘিয়ে ভাঁজা এই জিলাপী অমৃ্তসম।

২৫| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ৯:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:



রানার কমেন্ট পড়ে আই ক্যান্ট স্টপ লাফিং =p~

পৃথিবীর সবাই দেখতে পেতো আমি ছাড়া,


হা হা হা.....................



০৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

শেহজাদী১৯ বলেছেন: আমিও।
আর মনে হয় অনেকেই.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.