নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং ইসলাম

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করছি। যেকোনো জাতীর জন্য তাদের অনুসারিত সাল এর প্রথমদিন তাদের জন্য আনন্দদায়ক। এই দিনটিকে উদযাপন করতে গিয়ে আমরা এমন কিছু করে ফেলছিনা তো যা আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থি? দেখি আমরা কি করছি এবং আসলে এমন কোন উৎসব হাজার বছরের (যা অহরহ আমাদের নব্য বিজ্ঞানমনস্ক গন দাবী করেন)উৎসব কিনা।



এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। এই কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুঘল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন-আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। নতুন সনটি প্রথমে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিল, পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়।



বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত আকবরের সময় থেকেই। সে সময় বাংলার কৃষকরা চৈত্রমাসের শেষদিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার এবং অন্যান্য ভূ-স্বামীর খাজনা পরিশোধ করত। পরদিন নববর্ষে ভূস্বামীরা তাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। এ উপলক্ষে তখন মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। ক্রমান্বয়ে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে পহেলা বৈশাখ আনন্দময় ও উৎসবমুখী হয়ে ওঠে এবং বাংলা নববর্ষ শুভদিন হিসেবে পালিত হতে থাকে।

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাঁদের পুরানো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তাঁরা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়। (সুত্রঃ Click This Link;)



বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা নাকি হাজার বছরের ঐতিহ্য এবার আসি সেই প্রসঙ্গে। আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।[ সুত্রঃ Click This Link

অর্থাৎ ইংরেজ প্রভুদের মনোরঞ্জনে আয়োজিত পূজাকেই আজ বিবর্তিত রূপ মঙ্গল শোভাযাত্রাতে পরিণত করা হয়েছে। বর্তমানের মঙ্গলশোভা যাত্রা তো আরও অনেক পরে শুরু হয়েছে। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় মঙ্গলশোভা যাত্রা এভাবে শুরু-

১৯৮৯ সালে প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ এর আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীগণ-সহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় স্থান পায় বিশালকায় হাতি, বাঘের প্রতিকৃতির কারুকর্ম। কৃত্রিম ঢাক আর অসংখ্য মুখোশখচিত প্ল্যাকার্ডসহ মিছিলটি নাচে গানে উৎফুল্ল পরিবেশ সৃষ্টি করে। ১৯৯২ সালের আনন্দ শোভাযাত্রার সম্মুখে রং বেরংয়ের পোশাক পরিহিত ছাত্র-ছাত্রীদের কাঁধে ছিল বিরাট আকারের কুমির। বাঁশ এবং বহু বর্ণের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল কুমিরটি। ১৯৯৩ সালে ‘১৪০০ সাল উদযাপন কমিটি’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর চারুকলা ইন্সটিটিউটের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রার আকর্ষণ ছিল বাঘ, হাতি, ময়ূর, ঘোড়া, বিভিন্ন ধরনের মুখোশ। চারুকলার সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় দিয়ে শিশু একাডেমি হয়ে পুনরায় চারুকলায় এসে শেষ হয়। [সুত্রঃ Click This Link



অর্থাৎ ১৯৮৬ সালে যশোরে শুরু হওয়া ব্যাপারটিকে আজ হাজার বছরের বাঙ্গালীর ঐতিহ্য হিসেবে দ্বার করানো হচ্ছে।

এমন এক ধারণা আমাদের মধ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে যেন এই যাত্রার বিরুদ্ধে যিনিই কথা বলুন না কেন তিনি মৌলবাদী এবং গোঁরা। অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের পূর্বে যাহাদের মৃত্যু হয়েছে সেই সকল হিন্দু বা মুসলিম সবাই মৌলবাদী ছিলেন। একই যুক্তিতে কাজী নজরুল এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিবরগ গন ও এই ধারণা মতে মৌলবাদি।



মঙ্গল শোভাযাত্রা কেন করা হয়?

হাঁস থাকবে। বাঘ, হরিণ এবং মাছও থাকবে। বাদ যাবে না পুতুল, ময়ূর কিংবা বিড়ালও। থাকছে মুখোশ, হাত পাখা থেকে শুরু করে শখের হাঁড়িও। এবার পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় থাকছে এসব শিল্পকর্ম। আরও থাকছে জলরঙসহ নানা মাধ্যমের চিত্রকর্ম। আর এই আয়োজনের সঙ্গে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে একঝাঁক তরুণ প্রাণ। তাদের এখন দম ফেলারও ফুসরত নেই। চারুকলার ডিন অধ্যাপক আবুল বারাক আলবি বলেন, প্রতি বছরই আমরা সমাজের অপশক্তিকে প্রতিহত করতে একটি প্রতিপাদ্য নিয়ে শোভাযাত্রা করি। এ বছর সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে জাগ্রত হয়ে মাথা, হাত উঁচু করে নির্ভয় হওয়ার আহ্বান জানানো হবে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে। [http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDRfMTRfMTRfM181NF8xXzEyMzIyNg==#sthash.1HE8PurK.dpuf]



অর্থাৎ এই শোভাযাত্রা সমাজের অপশক্তিকে প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে (নাউজুবিল্লাহ)। অথচ আমরা মুসলমানগণ একমাত্র আল্লাহ্‌কেই সকল ক্ষমতার অধিকারী বলেই বিশ্বাস করি এবং সকল অপশক্তি হইতে তাঁর নিকট আশ্রয় চাই। আমি এই শোভাযাত্রা বন্ধ করার কথা বলছি না আমি বলছি এখানে যে সকল স্কাল্পচার নিয়ে এই শোভা যাত্রা হয় এবং এদের কাছে আশা করা সরাসরি শিরক। সে শিরক কে মুসলমানদের কাছে এতটা জনপ্রিয় করার জন্য কি আমরাই দায়ী নই। অথচ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্‌ বলেছেন -

وَلَتَجِدَنَّهُمْ أَحْرَصَ النَّاسِ عَلَىٰ حَيَاةٍ وَمِنَ الَّذِينَ أَشْرَكُوا يَوَدُّ أَحَدُهُمْ لَوْ يُعَمَّرُ أَلْفَ سَنَةٍ وَمَا هُوَ بِمُزَحْزِحِهِ مِنَ الْعَذَابِ أَن يُعَمَّرَ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِمَا يَعْمَلُونَ Thou wilt indeed find them, of all people, most greedy of life,-even more than the idolaters: Each one of them wishes He could be given a life of a thousand years: But the grant of such life will not save him from (due) punishment. For Allah sees well all that they do। [২ঃ৯৬]



তিনি আরও বলেছেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ



O ye who believe! Intoxicants and gambling, (dedication of) stones, and (divination by) arrows, are an abomination,- of Satan's handwork: eschew such (abomination), that ye may prosper [৫ঃ৯০]



শুধু পবিত্র কোরআন ই নয় দু বা এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর এই একমাত্র মূর্তিপূজা বন্ধ করার জন্য ই এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। অথচ আজ আমরা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত হইয়া বিভিন্ন ভাবে এই কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। শয়তানের ধোঁকা আমাদের এমন ভাবে অন্ধ করে রেখেছে যে আমরা এই সকল দৃশ্যমান শিরক কে অবলীলাতে আপন করে নিচ্ছি।

এই প্রসঙ্গে বুখারি শরীফের একটি হাদিস নিচে দেয়া হইল-

Narrated Mu'adh bin Jabal: The Prophet said, "O Mu'adh! Do you know what Allah's Right upon His slaves is?" I said, "Allah and His Apostle know best." The Prophet said, "To worship Him (Allah) Alone and to join none in worship with Him (Allah). Do you know what their right upon Him is?" I replied, "Allah and His Apostle know best." The Prophet said, "Not to punish them (if they do so)." [হাদিস ৪৭০]



এটিও প্রমাণ করে মুসলমানগণ কেবলমাত্র আল্লাহেরই ইবাদত করবে এবং শয়তান সহ সকলের অনিষ্টের হাত হইতে রক্ষা পাবার জন্য তাহার নিকটই আশ্রয় প্রাথনা করবে। একই কথা সুরা আন-নাসেও বলা আছে।



আল্লাহ্‌ আমাদের শয়তানের ধোঁকা হইতে রক্ষা করুন।



আরেকটা ব্যাপার যেটা না করলে ইদানিং অনেকে আপনাকে বাঙ্গালী পরিচয় দিতেই লজ্জা পায় তা হল পান্তা ইলিশ।



পান্তা-ইলিশের ইতিহাস নিয়ে মতভেদ আছে। কথিত আছে, পান্তা-ইলিশের সূচনা হয় ১৯৮৩ সালে রমনার বটমূলে। দৈনিক জনকন্ঠের সাংবাদিক বোরহান আহমেদ ছিলেন এর উদ্যোক্তা। অন্যদিকে সাংবাদিক শহিদুল হক খান নিজেকেই এর উদ্যোক্তা বলে দাবী করেন। তবে বলা হয়ে থাকে, শহিদুল হক সাংবাদিক বোরহানের দুই বছর পর থেকে নিয়মিত পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশের আয়োজন করে থাকেন। সেই হিসেবে পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার এই রীতির প্রবর্তক বলা যায় সাংবাদিক বোরহান আহমেদকেই।[https://justsadab.wordpress.com/tag/পান্তা-ইলিশ/]



যেই কুসংস্কার টি ১৯৮৩ সালে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে যুক্ত হইল সেই কুসংস্কারটিকে আজ কাল তথাকথিত শিক্ষিত জনগোষ্ঠী কারো বাঙ্গালিয়ানা পরিমাপের মাপকাঠি করে নিলেন। অর্থাৎ ১৯৭১ সালে যে ৩০ লক্ষ শহীদ বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে মারাগেলেন তাঁরা কিন্তু এই মাপকাঠিতে বাংলাদেশী ছিলেন না।





আমি যদি আমার হিন্দু ধর্মাবলম্বী বন্ধুদের কোন পূজার উদযাপন আমাদের ঈদের মত করে করতে বলি তা যেমন মূর্খতা হবে তেমনি এই সকল মূর্তির নিকট মুসলমানদের সন্তানদের মঙ্গল কামনাও ততোধিক মূর্খতা।

অবাক হবার বিষয় হইল এই সকল জ্ঞানী (জ্ঞানপাপী) মুক্তবুদ্ধির ধারক বাহকগণ পান্তা-ইলিসের মত কুসংস্কারকে নিজেদের কাধে করে এক অনবদ্য উচ্চতাতে পৌঁছে দিচ্ছেন যেখানে লাখলাখ বাংলাদেশী পান্তা আর মরিচ ডলা দিয়ে বছরে ৩৬৫ দিন সকালের নাস্তা সারতে পারলে নিজেদের ভাগ্যবান ভাবে এবং তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে।



সার্বজনীন উৎসব বলতে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা বুঝি তা হইল এটি এমন একটি উৎসব যা কোন ধর্মের লোকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ বা বিশ্বাসের বিরোধিতা করবে না। অথচ বাংলাদেশের মোটামুটি বেশীর ভাগ সার্বজনীন উৎসবেই এমন কিছু থাকবে যা সরাসরি আল-কোরআন কিংবা হাদিস এর পরিপন্থী। আর এই সকল করতে অস্বীকৃতি জানালেই আপনি হয়ে গেলেন অসামাজিক বা গোঁরা। যেহেতু মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলেই বাংলাদেশী তাহলে এমন কি কোন উদযাপনের ব্যাবস্থা করা যায় না যা এদের কারো ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী হবে না?



আল্লাহ্‌ আমাদের এই সকল শিক্ষিতদের সৎ সাহস দাণ করুন যেন তাঁরা এই শিরক হইতে আমাদের ছেলেমেয়েদের বাধা দাণ করেন এবং আমাদের সকলকে এমন শিরক এর অপরাধ হইতে বাঁচিয়ে রাখুন।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪

নেবুলাস বলেছেন: বাস্তব কথা বলেছেন।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২১

রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ শেখ এম উদ্দীন ভাই, আপনার এতো সুন্দর একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য। পুরো লিখাটি পড়ে কেমন যেনো বেকুব বনে গেলাম কিছুক্ষণের জন্য। কি করতেছি আর পূর্বেকার লোকেরা (পথ প্রদর্শকরা) কি করেছিলো, তাই ভেবে। অনেক সুন্দর ভাবে ভুল এবং শুদ্ধ’র তফাৎ বিশ্লেষন করেছেন।

আমাদের (মুসলিম সমাজের) যথেষ্ট গোড়ামী আছে সবকিছুতেই। তা না হলে এতোসব নোংরামি এতো সহজেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারতোনা, মুসলিম সমাজে। এসব সত্যগুলোকেও (অন্যায় প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে) একধরণের ইমাম (মুসলিম/মোমেন নামদ্বারী) দ্বারাই স্বীকৃত করে নেয়া হয়েছে। যা রাসূল (সা.) এর জমানায়ও ছিলো। যদেরকে এক কথায় বলা হয় মুনাফেক।

এজন্যই তো রাসূল (সা.) বলেছিলেন (এমনটি)-এমন একদিন আসবে, যেদিন আগুনের খন্ড হাতে রাখা সম্ভব হবে কিন্তু সামান্য বিশ্বাসের সহিত ইমান রাখা সম্ভব হবে না।

মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে সঠিক পথ দেখা ও বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ রুপম হাছান ভাই
আল্লাহ্‌ আমাকেও তৌফিক দাণ করুন।
আমিন।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

ভানু ভাস্কর বলেছেন: 'লাখলাখ বাংলাদেশী পান্তা আর মরিচ ডলা দিয়ে বছরে ৩৬৫ দিন সকালের নাস্তা সারতে পারলে নিজেদের ভাগ্যবান ভাবে এবং তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে।'

চমৎকার বলেছেন। কিন্তু অতিউৎসাহীর দলেরা এ কথা কিছুতেই মানতে চাইছেনা, তারা বলছে সবার পেটে নাকি দুবেলা আহার জুটছে!
আরও মেলা মেলা যুক্তি দিয়ে এটাকে সার্বজনীন করার অপচেষ্টায় মেতে আছে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: যদিও ৯৫% বাঙ্গালী বাংলা তারিখ জানে না কিন্তু পান্তা ইলিশ তাদের চাই ই চাই। এই হইল আমাদের তথা কথিত বাঙ্গালী সংস্কৃতির নমুনা।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১১

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ৫৩৪১ মূসা’দ্দাদ (রহঃ) ইবনুূু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক দিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট আগমন করেন এবং বলেনঃ আমার সামনে (পূর্ববর্তী নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণের) উম্মাতদের পেশ করা হল। (আমি দেখলাম) একজন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাচ্ছেন তার সাথে রয়েছে মাত্র একজন লোক এবং আর একদল নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার সঙ্গে রয়েছে দু-জন লোক। অন্য এক নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখলাম, তার সঙ্গে আছে একটি দল, আর একজন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে কেউ নেই। আবার দেখলাম, একটি বিরাট দল যা দিগন্ত জুড়ে আছে। আমি আকাঙ্খা করলাম যে এ বিরাট দলটি যদি আমার উম্মাত হতো। বলা হল এটা মূসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার কাওম। এরপর আমাকে বলা হল এইদিকে দেখুন। দেখলাম, একটি বিরাট দল দিগন্ত জুড়ে ছেয়ে আছে। আবার বলা হলো এ দিকে দেখুন। ওদিকে দেখুন। দেখলাম বিরাট বিরাট দল দিগন্ত জুড়ে ছেয়ে আছে। বলা হল :ঐ সবই আপনার উম্মত এবং ওদের সাথে সত্তর হাজার লোক এমন আছে যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। এরপর লোকজন এদিক ওদিক চলে গেল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর তাদের (সত্তর হাজারের) ব্যাখ্যা করেন নি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাহাবীগগ এ নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু করে দিলেন। তারা বলাবলি করলেন আমরা তো শিরকের মধ্যে জন্মলাভ করেছি, পরে আল্লাহ ও তার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর ঈমান এনেছি। বরঙ এরা আমাদের সন্তানরাই হবে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এ কথা পৌছলে তিনি বলেনঃ তারা (হবে) ঐ সব লোক যারা অবৈধভাবে মঙ্গল অমঙ্গল নির্ণয় করে না, ঝাড় ফুক করে না এবং আগুনে পোড়ানো লোহার দাগ লাগায় না, আর তারা তাদের রবের উপর একমাত্র ভরসা রাখে। তখন উক্কাশা ইবনুূু মিহসান (রাঃ) দাড়িয়ে বললো ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি কি তাদের মধ্যে আছি? তিনি বললেনঃ হ্যা। তখন আর একজন দাড়িয়ে বললো ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি কি তাদের মধো আছি? তিনি বললেনঃ এ ব্যাপারে উক্কাশা তোমাকে অতিক্রম করে গেছে।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৩১

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: অনেকেই এটিকে বাঙ্গালী দের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি বলেন এবং এর সাথে ধর্ম মিশাতে না বলেন তাদের জন্য-
ট্র্যাডিশন এবং সংস্কৃতি-
প্রথমত পান্তা ইলিশ ১৯৮৩ সালে উদ্ভুত একটি অপসংস্কৃতি এবং অবশ্যই জানা আছে এই সময় টা ইলিশের প্রজনন এর সময় এই সময়ে যদি এই সংস্কৃতির জন্য ১ কোটি ইলিশ বেশী লাগে তাহলে পরিসঙ্খ্যান করে দেখা উচিৎ এটা ইলিশের বংশ বিস্তারের উপর কি ধরণের প্রভাব ফেলবে?

এবার ধর্মীয় সংকীর্ণতার আলোকে কিছু উদাহরণ দেই এমন অনেক ট্র্যাডিশন যা বন্ধে আল্লাহ্‌ রাসুল পাঠাতে বাধ্য হয়েছিলেন-
সুরা আল আরাফের কিছু ঘটনা লিখি-
হযরত নূহ (আঃ) যখন একই ভাবে তাঁর কওমের লোক দিগকে তাদের ট্র্যাডিশন ছাড়তে বলেছিলেন কিন্তু তাঁর নিজের পুত্র সহ অন্য অনেকেই তাঁর কথাকে মানে নাই যার ফলে আল্লাহের গজব (বন্যা) তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল।

হজরত হুদ যখন আদ জাতিকে একই ভাবে বহু ঈশ্বর বাদ হইতে ফিরাতে চাইল তারা তাঁকে একই ভাবে তাদের বাপ দাদার ট্র্যাডিশন এর দোহাই দিয়েছিল। এমন কি তাঁকে এই জন্য নিরবুদ্ধিমান এবং মিথ্যাবাদি আখ্যা দিওয়াছিল। আর তাদের পরিনতি আমরা সকলেই জানি।
হজরত লুত (আঃ) এর কওমের ট্র্যাডিশন ছিল ওরা পরুষ গন পুরুষ গণকে দিয়ে যৌন ক্ষুধা মিটাত এবং এই ব্যাপারে উনি তাদের বাধা দিলে ঐ লোকগুলো তাঁকে বলল তুমি আমাদের বাবা দাদার ঐতিহ্য হইতে আমাদের সড়ে আসতে বলছ? এই ট্র্যাডিশন ধরে রেখে তাঁরা আল্লাহের আজাবে ধ্বংস হইয়া গেল (উনার স্ত্রী ও এই ধ্বংস প্রাপ্ত লোক দিকের সাথে)।

একই ভাবে সামুদ, হজরত শোয়াইব আঃ এর কওমের কথাও ওখানে আছে একটু পরিস।
আর হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সময়কার এমন ট্র্যাডিশন রক্ষ্যার চেষ্টা কতজন করেছে এবং তাঁকে কত কষ্ট দিয়েছেন টা তোর অজানা থাকার কথা না।

তাই এই সকল ঘটনা প্রমাণ করে অনেক ট্র্যাডিশন ই ধর্মের বিরোধী তাই ট্র্যাডিশন যদি ধর্মের বিধিনিষেধ বিবেচনা করা হয় তাহলে এমন ফালতু কিছু কুসংস্কার এতে যুক্ত হতে পারে না। আমি এই কথা টুকুন ই বলতে চেয়েছী। আমি বাংলা সাল বাদ দিয়া আরবি সাল অনুসরণ করতে বলি নাই। যদিও ৯৫% বাঙ্গালী বাংলা তারিখ জানে না কিন্তু পান্তা ইলিশ তাদের চাই ই চাই।

৬| ১৬ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: খুবই সুন্তর পোষ্ট।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ
যাযাকুমুল্লাহ খাইরান

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরী? বলেছেন: onek sundor

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ
যাযাকুমুল্লাহ খাইরান

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০০

আহলান বলেছেন: ঐতিহ্যের ধারক বাহকেরা না শুনে ধর্মের কাহিনী .... মঙ্গল শোভাযাত্রা করলে অশুভ কিছু দূর হবে, এই কথা পাগলেও বিশ্বাস করে না, আয়োজকরাও না। তাহলে কেনো করে? এর কোন উত্তর কারোর কাছেই নেই ... হুদাই করে ...

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪৪

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ইদানিং একটি শ্লোগান এসেছে
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।। হুদাই
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।। ভোদাই :(

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:০৯

এ আর ১৫ বলেছেন: মুসলমানের ধর্মিয় উৎসব ২ বার আমি মুসলমান হিসাবে তা মানবো । আমি কি বাঙ্গালী নই আমার কি বাঙ্গালী পরিচয় নেই ? নাকি আপনি বোলতে চান আমি মুসলমান হলে আমি বাঙ্গালী হতে পারবো না ?? কোরান কি বলেছে আমি বাঙ্গালী হতে পারবো না ? মুসলমান ধর্মের যদি ২টা উৎসব থাকতে পারে তাহোলে বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদের কেন কোন উৎসব থাকতে পারবে না যদি ধর্মের সাথে কনফ্লিট না হয়। আমরা কি বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ভাষা দিবস, শ্রমিক দিবস পালন করতে পারবো না ??
মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় ভাবে দুটি ঈদ উৎসব হিসাবে দেওয়া হয়েছে। মুসলমান হলে কি বাঙ্গালী বা অন্য জাতিয়তার লোক হওয়া যাবে না। কেউ কি বলেছে ১লা বৈশাখ বা স্বাধীনতা দিবস বিজয় দিবস মে দিবস, ভাষা দিবস ধর্মীয় কালচার ??? যেহেতু এখানে ইবাদত বা আরাধনা বা প্রার্থণা ইনভল্ব নয় তাহোলে ধর্মের সাথে কনফ্লিট কোথায় এই সবের?? কালচারাল ড্রেসিং বা সাজার ভিতর ইবাদত বা অন্য ধর্মকে পালন করার কোন সম্পর্ক কি আছে ? কেউ যদি বজ্রাসনে বা মাথা মাটি ঠেকিয়ে উপুর বসে থাকে তাহোলে কি তাকে নামাজ পড়া বলা যাবে অথবা কেউ যদি পদ্মাসনে বসে থাকে তাহোলে কি ওটাকে পুজা করা বলা যাবে । আপনার কথা শুনে তো তাই মনে হয় । এখানে কি সুরা বা মন্ত্র পড়া হয় ?? তাহোলে অন্য ধর্মকে অনুসরন করা কোথায় হচ্ছে ?? কোন হিন্দু যদি মাথায় হিজাব পরে আসে তাহোলে কি সে মুসলমান হয়ে যাবে ?
আপনার কথা শুনলে তো মনে হয় আরবের লোকেরা আর মুসলমান নাই সব হিন্দু হয়ে গেছে !!! আজান নামাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ সেই ভাবে উলু ধ্বনি পুজার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকে আনন্দের উদ্দেশ্যে উলু ধ্বনি করে । তাহোলে উলু ধ্বনি করাটা অবশ্যই হারাম কারন এটা পুজার অংশ বা হিন্দুদের ইবাদতের অংশ। তাহোলে আরবের লোকেরা বিভিন্ন কারনে হিন্দুদের উলু ধ্বনি দেয় কালচারাল ঐতিয্য হিসাবে এর মধ্যে কোন আরাধনা নাই বা ইবাদতের কোন উদ্দেশ্য নাই তাহোলে আপনার বক্তব্য অনুযায়ি তারা অন্য ধর্মের রিচুয়াল অনুসরন করছে সেটা কি ঠিক ?? যদি ও এর মধ্যে কোন ইবাদতের অভিপ্রায় নাই । বজ্রাসনে বসে থাকলে সেটা কে যেমন নামাজ বলে না তেমনি পদ্মাসনে বসে থাকলে সেটাকে পুজা বলে না কিন্তু আপনি তাই বুঝাতে চান । আমাদের কাছে আরবের লোকদের উলুধ্বনি দেওয়া কোন ইবাদত উদ্দেশ্যে নয় শুধু কালচারাল উদ্দেশ্যে সুতরাং সেটা পুজা নয়।
ইসলাম ধর্মে ঐ সব কাট মোল্লা তত্ব অলরেডি পচিয়ে ফেলেছে। এই সমস্থ তত্ব মানুষকে অন্য মানুষকে ঘৃনা করতে শিক্ষায় এবং এই ধরনের লোকদের জংগি তালেবান হওয়ার সম্ভবনা থাকে সবচেয়ে বেশি

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: মঙ্গল শোভা যাত্রা কি কেন এবং কোন রীতি থেকে আসল এটা একটু দয়া করে দেখে নিবেন।

আর আমার লেখার শেষ প্যারাটা আবার পড়ে নিবেন দয়া করে।

ইসলাম কাউকে জঙ্গি হতে বলেনি আর বলবেও না।
গুজরাটে যে মুসলমানদের মারা হল এটা কি হিন্দু ধর্ম বলে দিয়েছিল? ইতিহাসের যত জেনসাইড এগুলো কি মুসলমান রা করে ছিল?
ইসলাম সর্বদাই অন্যের ধর্মকে সম্মান করে। ইসলাম একমাত্র ধর্ম যা অন্যের ধর্ম কে সম্মান করতে শিক্ষা দেয়। কিন্তু কে সম্মান করল বা কে অসম্মান করল এগুলোর জন্য ধর্ম দায়ী নয়।

মহাগ্রন্থ আল কুরআন সর্বদাই অন্যের ধর্ম সম্পর্কে সম্মান দেখাতে বলেছে।
দুঃখিত বড় হয়ে গেল।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:১৪

এ আর ১৫ বলেছেন: [link|https://www.facebook.com/video.php?v=1043042325723909&pnref=story|বৈশাখি শোভা

আমি একটা ভিডিও পোষ্ট করছি -- দেখান কোন ইবাদত হচ্ছে কিনা, মেয়েরা অশ্লিল পোষাক পরেছে কিনা কোন ধরনের বেল্লালা পনা হচ্ছে কিনা। এই শোভা যাত্রার নাম বৈশাখি শোভা যাত্রা কোন দেবদেবির উদ্দেশ্যে নয়।

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:১৬

এ আর ১৫ বলেছেন: বৈশাখি শোভা যাত্রা

আমি একটা ভিডিও পোষ্ট করছি -- দেখান কোন ইবাদত হচ্ছে কিনা, মেয়েরা অশ্লিল পোষাক পরেছে কিনা কোন ধরনের বেল্লালা পনা হচ্ছে কিনা। এই শোভা যাত্রার নাম বৈশাখি শোভা যাত্রা কোন দেবদেবির উদ্দেশ্যে নয়।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: Surah Al Anmbia 65
ثُمَّ نُكِسُوا عَلَىٰ رُءُوسِهِمْ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هَٰؤُلَاءِ يَنطِقُونَ

Then were they confounded with shame: (they said), "Thou knowest full well that these (idols) do not speak!"

Ayat 66

قَالَ أَفَتَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكُمْ شَيْئًا وَلَا يَضُرُّكُمْ

(Abraham) said, "Do ye then worship, besides Allah, things that can neither be of any good to you nor do you harm?

Ayat 67

أُفٍّ لَّكُمْ وَلِمَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ

"Fie upon you, and upon the things that ye worship besides Allah! Have ye no sense?"..

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার লেখার শেষ প্যারা ---- সার্বজনীন উৎসব বলতে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা বুঝি তা হইল এটি এমন একটি উৎসব যা কোন ধর্মের লোকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ বা বিশ্বাসের বিরোধিতা করবে না। অথচ বাংলাদেশের মোটামুটি বেশীর ভাগ সার্বজনীন উৎসবেই এমন কিছু থাকবে যা সরাসরি আল-কোরআন কিংবা হাদিস এর পরিপন্থী। আর এই সকল করতে অস্বীকৃতি জানালেই আপনি হয়ে গেলেন অসামাজিক বা গোঁরা। যেহেতু মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলেই বাংলাদেশী তাহলে এমন কি কোন উদযাপনের ব্যাবস্থা করা যায় না যা এদের কারো ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী হবে না?
সেটার উত্তর আমার মন্তব্য থেকে আপনি বোধ হ্য় খুজে পান নি তাই আবার কপি পেষ্ট করছি -----
আপনার কথা শুনলে তো মনে হয় আরবের লোকেরা আর মুসলমান নাই সব হিন্দু হয়ে গেছে !!! আজান নামাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ সেই ভাবে উলু ধ্বনি পুজার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকে আনন্দের উদ্দেশ্যে উলু ধ্বনি করে । তাহোলে উলু ধ্বনি করাটা অবশ্যই হারাম কারন এটা পুজার অংশ বা হিন্দুদের ইবাদতের অংশ। তাহোলে আরবের লোকেরা বিভিন্ন কারনে হিন্দুদের উলু ধ্বনি দেয় কালচারাল ঐতিয্য হিসাবে এর মধ্যে কোন আরাধনা নাই বা ইবাদতের কোন উদ্দেশ্য নাই তাহোলে আপনার বক্তব্য অনুযায়ি তারা অন্য ধর্মের রিচুয়াল অনুসরন করছে সেটা কি ঠিক ?? যদি ও এর মধ্যে কোন ইবাদতের অভিপ্রায় নাই । বজ্রাসনে বসে থাকলে সেটা কে যেমন নামাজ বলে না তেমনি পদ্মাসনে বসে থাকলে সেটাকে পুজা বলে না কিন্তু আপনি তাই বুঝাতে চান । আমাদের কাছে আরবের লোকদের উলুধ্বনি দেওয়া কোন ইবাদত উদ্দেশ্যে নয় শুধু কালচারাল উদ্দেশ্যে সুতরাং সেটা পুজা নয়। ----


১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

হাফিজ রাহমান বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার পোষ্ট। এক পৃথিবী ধন্যবাদ শেখ এম উদ্দীন ভাইকে। আর এ আর ১৫ ভাই যা বলতে চাচ্ছেন তা বোধ হয় তাঁর ধর্মীয় বিষয়ে সীমিত অধ্যয়নের সূত্র থেকে উৎসারিত। ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে তাঁর সাম্যক ধারণা থাকলে তিনি এমন অসাড় ও জড়তাপূর্ণ মন্তব্য করতেন না। এ জন্য তাঁকে বিনীত অনুরোধ করবো, সময় নিয়ে ইসলাম ধর্ম বিষয়ে অধ্যায়ন করুন। তবে তা অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সাজেশন মতে করুন। নতুবা হিতে বিপরীত হবে। আল্লাহ সবাইকে সুমতি দান করুন। অবসরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ আর ১৫ ভাইয়ের সাথে সংলাপের সদিচ্ছা থাকল। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও

১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

সালমান০৫২ বলেছেন: নিঃসন্দেহে দারূন লিখেছেন। আজকাল না বললেই, মৌলবাদী। তবে আমাদের ও না বলাটা আরো সুন্দর হওয়া উচিত।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.