![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকদিন ধরে কোন ভারি কিছু চিন্তা না করতে করতে কেমন যেন ভোতা হয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বর্তমান আস্তিক-নাস্তিক বিতর্ক আবারো একটু অকাজের পড়া লিখার ব্যাপারে উদ্ভুদ্ধ করল। প্রথমেই বলে রাখি যে, আমি কোন পণ্ডিত ব্যাক্তিত্ত না এবং আমার জ্ঞান এর পরিধিও খুব ছোট। তাই বিষয় আনুধাবনে আমি অন্য লেখকদের লিখা এবং ধর্ম গ্রন্থ এর সাহায্য নিয়েছি। বিশ্লেষণ কেবলি আমার নিজের এবং এতে ভুল না হওয়াটাই অস্বাভাবিক।
"ব্রিটিশ আমলে একবার নিয়ম করা হয় যে, ১৫ বছর এর নিচে কারো বিয়ে দেয়া যাবে না। গুজব রটে যে, আগামী ১৫ বছর কারো বিয়ে দেয়া যাবে না! তখন বাচ্চাদের ধরে ধরে বিয়ে দেয়া হয়। আমার নানির নানির নাকি এজন্য ৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল।গত ৪০০ বছর এ পথিবীর অসংখ্য পরিবর্তন ঘটলেও সে মানুষগুলো আজো রয়ে গেছে আমাদের মাঝে! জহির রায়হান এর "হাজার বছর ধরে" উপন্যাসের মত যেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সে কুসংষ্কার বয়ে চলছি আমরা। আজকের নাস্তিকতা-আস্তিকতা বিষয়ক বিতর্ক সেই যুক্তিহীনতা ও জ্ঞানহীনতার ব্যাপারটিই সামনে নিয়ে এসেছে। সেই সাথে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আরো একটি বিষয় বার বার চলে আসছে, সেটি হচ্ছে তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা।
"চাদের দেশে সাঈদী, নীল আর্মষ্ট্ং চাদে গিয়ে দেখেন আযান হচ্ছে, আজিমপুরে ফেরেশতা সাঈদীর জন্য মিছিল করছে, মহামতি লেডি গাগার ইসলাম গ্রহন, রটি, পেয়ারা সহ বিভিন্ন খাদ্যের মধ্যে আল্লাহর নাম এধরনের কথা বার্তা ও ফটোশপ করা ছবি বিভিন্ন সামাজিক ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে এবং চিন্তার বিষয় হচ্ছে মানুষ এগুলো বিশ্বাস ও করছে। এত গেল একটি রূপ, অপরদিকে মুক্তচিন্তা ও যুক্তির ধুয়া তুলে গালিগালাজপূর্ণ ও অরুচিকর ধর্মীয় বিদ্দেষমূলক কথা বলে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের প্রচেষ্টাও আমরা দেখেছি। এই শ্রেণীর লোকেরাও এব্যাপারে যে কিছুটা হলেও সফল তা তাদেরকে নিয়ে মাতামাতি দেখলেই বুঝা যায়।
এধরনের ব্যাপার ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন ইসলাম ধর্মে আল্লাহ এবং রাসূলকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা হয়েছে। সূরা তাওবার ২৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : قُلْ إِنْ كَانَ آَبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ ‘ বল, ‘তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের সে সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ, আর সে ব্যবসা যার মন্দা হওয়ার আশঙ্কা তোমরা করছ এবং সে বাসস্থান, যা তোমরা পছন্দ করছ, যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত’।
আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। ’(সূরা আত-তাওবা:২৪)।
আমি অবস্থার প্রেক্ষিতে উপরোক্ত আয়াতটি বর্ননা করেছি । বাংলা কুরাআন সহযলভ্য হওয়াতে আজকাল খুব সহজ়েই এর অর্থ শিখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যাবহার হচ্ছে এবং আমি বলব যে, অনেক ক্ষেত্ত্রে এর অপব্যাবহার হচ্ছে। কারণ , শাব্দিক অর্থ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এর প্রকৃত অর্থ অনেক ক্ষেত্ত্রেই হারিয়ে যেতে বসেছে। এজন্য প্রকৃ্ত মর্মার্থ উপলব্ধি করতে হলে, এর অবস্থা ও প্রেক্ষিত বিবেচনায় এনে, চিন্তাশীলতার প্রকাশ ঘটিয়ে অতঃপর এর ব্যাখ্যায় যাওয়াটাই যুক্তি যুক্ত। কিন্তু এত চিন্তা করার সময় কই! আসলেই খুব কম মানুষই আছেন যারা চিন্তা করতে চান। কিন্তু তাই বলে চিন্তাবিদ উপাধীধারীদের সংখ্যা বৃ্দ্ধি থেমে নেই। জর্জ বার্নাড শ একবার তাই বলেছিলেন,"শতকরা ২ ভাগ মানুষ চিন্তা করে, ৩ ভাগ মনে করে যে তারা চিন্তা করে আর বাকিরা চিন্তার চেয়ে বরং মৃত্যু কামনা করে!" (আজকে এ পর্যন্ত ই)
©somewhere in net ltd.