নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজকের ক্রিকেট ম্যাচ !!

বাজে ছেলে !

শিহাবুজ্জামান

আমি নিজের দেশ কে নিজের থেকে বেশি ভালবাশি । আমি দেশের জন্য কিছু একটা করবই !

শিহাবুজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিশোর ক্রাশ ! [ ছোট গল্প । পরে দেখুন । ভাল লাগবে ]

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৩

কিশোর ক্রাশ !



কিশোর ক্রাশ !



সপ্তম , বন্ধুদের মাঝে খুবই জনপ্রিয় একটা মুখ । সপ্তমের সেন্স অফ হিউমার অনেক বেশি ... তাই সবাই তাকে একটু বেশি ভালোবাসে । শুধু তাই নয় সে মেয়েদের মাঝেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু । ছেলেটা খুবই ফ্রেন্ডলি , সবার সাথে মিশে যেতে পারে কয় এক মিনিটেই । শুধু বন্ধুরা না তার টিচারদের সাথে সম্পর্ক বলার মত । সুতরাং বলা যায় তাকে যেই দেখবে , কথা বলবে তার সপ্তম কে ভাল লাগবে , লাগতে বাধ্য ।



ক্লাস ১০ এ উঠেছে সবার প্রিয় সপ্তম । পড়াশুনায় ভাল বটে কিন্তু সে খুবই কম পড়ে ... এই বয়সে মনটা যে উড়ু উড়ু করে । তার এই কম পড়াশুনার জন্য সারাদিন মা ঘ্যান ঘ্যান করে । মা আসলে ঘ্যান ঘ্যান করে না তবুও তার কাছে মার কথা ঘ্যান ঘ্যান লাগে ।



সপ্তম এর বায়োলজি টিচার এর সাথে তার সম্পর্ক শুধু টিচার-স্টুডেন্ট এর মত না , অন্য লেভেল এ । খুবই ফ্রেন্ডলি তার সাইফুল স্যার ( বায়োলজি টিচার ) । বুঝতেই পারছেন বায়োলজি টিচার বলে কথা ।

স্যার এর কাছে সে বায়োলজি বাসায় গিয়ে পড়ে ।



এইরকমি সে স্যার এর বাসায় যায় । কিন্তু একদিন স্যার এর দরজায় নক করতেই গেট খুলল একটা মেয়ে । অন্ধকার এ মেয়েটা পড়ার রুমের লাইট ছেড়ে দিয়ে গেল আর মিষ্টি কণ্ঠে সপ্তম কে বলল , “ ভিতরে এসে বস ভাইয়া ” ! একটা মেয়ের কণ্ঠ এত্ত সুন্দর আর মধুর হতে পারে তার তা জানাই ছিলনা । সে ধুপ করে পড়ার রুমে বসে শুধু সেই মেয়েটার কথাই ভাবল আন্মনে ।



সপ্তম এর দিন এই ভাবে পড়াশুনা , বন্ধু আর আড্ডার মাঝেই ভাল যাচ্ছিলো । কিন্তু তার হটাত তার স্কুল এ শেষে এ ক্যান্টিন এর সামনে দেখল একটা মেয়েকে ... সে দেখেই পুরাই ক্রাশড । সাধারণ সে মেয়েদের খুব একটা বেল দেয়না । তারপরও সে ওই মেয়ের কথা গোসল এর সময় খাওয়ার সময় , পড়াশুনার সময় ভাবতে লাগল । সে তাকে মাথা থেকে বাদ দিয়ে চাচ্ছে কিন্তু পারছে না । অনেকবার , অনেকবার কিন্তু না । সে বুঝল , He is totally Crushed on Her ...



কথাটা চেপে রাখতে না পেরে সে তার ক্লোজ ফ্রেন্ড তাশফিক কে জানাল তার কথা । তাশফিক তাকে শান্তনা দিল আর বলল কোন চিন্তা না করতে । পরেরদিন তাশফিক অন্য বন্ধুদের থেকে সেই মেয়ের নাম , ক্লাস খোঁজ নিলো । মেয়েটার নাম মুন্তাহার , ক্লাস-৯ এ পড়ে । নতুন আসছে । ব্যাস এর বেশি কিছু জানা আর তাশফিক এর পক্ষে সম্ভভ হয়নি । আর সপ্তম এতেই খুশি ...



প্রতিদিন সে স্কুল এ ছুটির পরে মুন্তাহার এর দিকে অপুলুপ দৃষ্টিতে তাকিতে থাকে ... কিন্তু সপ্তম তার মনের কথা মুন্তাহার কে কিছুতেই বলতে পারছে না । তার বন্ধুরা তাকে অনেক জড়াজড়ি করল , “ প্লিস সপ্তম ,দোস্ত তুই কিছু গিয়ে ওই মেয়ে বল । ” সপ্তম এর জবাব , “ আমি ওকে কিবা বলব ?? ওত আমাকে চিনে না । আর অপরিচিত একটা ছেলের সাথে ওকি কথা বলবে ?? ” ।



বায়োলজি স্যার এর বাসায় স্যার মজার ছলে সপ্তম এর হাত দেখতে চাইল । স্যার সপ্তম এর হাত দেখে বলল , “ তোমার বড় গুন হল তুমি সবার সাথে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যেতে পার , তুমি খুবি ফ্রেন্ডলি ছেলে । যেই তোমাকে দেখতে তোমাকে তার ভাল লাগবেই । আর একটা কথা যেইটা কানে কানে বলব । শাইফুল স্যার সপ্তম কে কানে কানে বলল , “তুমি একটা মেয়েকে খুবি লাইক করো ,কিন্তু তুমি তাকে মনের কথা মোটএও বলতে পারছনা ।” সপ্তম তো থ ! পুরাই থ !! সে বুঝল সে স্যার তার মনের কথাই বলেছে আর সপ্তম তাতে সাই দিল ।



আগেই বলছি সপ্তমের সাথে স্যারদের রিলেশন অনেক বেশি ভাল । তাশফিক আর সপ্তম স্যার এর সাথে কথা বলতিছে ।তাশফিক মজার ছলে স্যার কে বলল স্যার , “স্যার আপনার কথাই সত্যি । আপনি কি করে বুঝলেন সপ্তম একটা মেয়েকে লাইক করে আর ও সেই মেয়েটাকে ওর মনের কথা বলতে পারছেনা ?” । স্যার বলল , “ আরে ছাগল এমনি এমনি কি আর বড় হইছি । আমারও তো প্রেম করছি নাকি ? তবে সপ্তম তুমি খালি দেখায় দয়াও কোন মেয়েটা তোমার পছন্দ আমি সেই মেয়ে তোমার জন্য এনে দিব । সপ্তম মনে কনফিডেন্স পেল ... মনে করতে লাগল এইবার ও কিছু করেই ছাড়বে ।



পরের দিন সপ্তম গেল শাইফুল স্যার এর বাসায় বায়োলজি পড়তে । দরজায় নক করল কিন্তু আজ আর লাইট জালানো লাগে নাই , আগে থেকেই জালানো ছিল , গেট খুল পর আলোর মাঝে স্পষ্ট দেখতে পেল সেই ক্যান্টিন এর সামনে থাকা সেই মেয়ে ক্লাস ৯ এর... সপ্তম খেয়াল করল এই তো সেই মেয়েটা , নাম মুন্তাহার !! সপ্তম অজান্তেই মেয়েটার দিক থেকে আর চোখ ফিরাতে পারল না ! হাজার চেষ্টা করেও না ... তারপর মেয়েটা সপ্তমকে বলল , “ ভাইয়া ভিতরে এসে বস ।” সপ্তম ধুপ করে পাশে থাকা চেয়ার এ বসে পড়ল । সপ্তম সেইদিন কার গলার সাথে এই গলা মিলানোর চেষ্টা করল , সে বুঝতে পারল সেই মধুর কোকিলকণ্ঠি মেয়েটাই ।সপ্তম পুরাই হকচকিয়ে গেছে !! তার মাথা কাজ করছে না । পরে পাশেই বসে থাকা তাশফিক কে সে এই কথা বলল। স্যার এলো... তখন সপ্তম স্যার যে জিজ্ঞেসা করল , “ স্যার আমি আসার পর কে গেট খুল ? ” স্যার বলল , “ আমার মেয়ে মুন্তাহার । কেন কোন সমস্যা ?” সপ্তম নির্বিকার ভাবে সেই দিন বায়োলজি পড়া শেষ করল । সে বুঝল এই মেয়েকে সে কখন পাবে না । সপ্তম তখন মনে করল সাইফুল স্যার এর সেই কথা ... সে কিভাবে বলবে স্যার মেয়ে পটান লাগবে না আমার তো আপনার মেয়েই পছন্দ !!! তাশফিক তখন সপ্তমকে সান্তনা দিল এই বলে , “ দোস্ত বাংলাদেশে তো মেয়ের আর অভাব নাই । চিন্তা করস কেন  ?? ”



সপ্তম বুঝল এই ক্রাশটা খুবি গভীর ... ভুলার মত না । তাই প্রতিদিন স্কুল শেষে সে ক্যান্টিনের সামনে দারিয়ে নির্বিকার চঞ্চল চোখে মুন্তাহার দিকে তাকিয়ে রয় ...    



ফেসবুক এ আমি - http://www.facebook.com/shihabuzzaman.mollick

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩২

মনিরুল হাসান বলেছেন: পরে দেখুন নাকি পড়ে দেখুন? :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০২

শিহাবুজ্জামান বলেছেন: ভুল হইছে :৩

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০০

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: :( so sad

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.