![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ১০ কিংবা বিশটা নয় । দেড়শত ছুই ছুই অবস্থা । এটা আমাদের জন্য ভালো দিক বলা যায় । ছেলে মেয়েরা খুব সহযেই পছন্দে বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করবে । ঘরে ঘরে ডক্তার ইঞ্জিনিয়ার জন্ম নিবে । কিন্তু হয়ে কি করবে ? যদি সঠিক শিক্ষায় তার কাছে না থাকে । যদি সে শুধু সার্টিফিউকেটের জন্য পড়াশোনাা করে । অথবা ভার্সিটী যদি মুদি দোকানের চাল বিক্রির মত সার্টিফিউকেট বিক্রি করে । তাহলে সেটা আমাদের জন্য খুবই ভয়াবহ বিষয় । এ থেকে দেশেকে জাতিকে রক্ষা করার এখনই সময় । শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে ।
সাথে সাথে যার ঠিক মত ক খ পড়তে পারে না তাদের কেও আটকাতে হবে ।
বর্তমানে এমনও ইঞ্জিনিয়ার আছে যারা ঠিকমত বাংলা লেখতে পারে না । কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের হয়েছে অথচ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর কাজই জানে না । এদের দিয়ে দেশ কি করবে । এরা দেশের বোঝা । এরা না পারবে মাঠে কাজ করতে, না পারবে বাবা মার স্বপ্ন পূরণ করতে । অথচ কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় পড়েছে বা পড়ছে।
এ ধরনের শিক্ষার্থীদের পিছনের শিক্ষা জীবনের দিকে তাকালে দেখা যাবে, এসএসিতে ২ পয়েন্ট এচএসসিতেও ২ পয়েন্ট । অথচ এরাই আজ ইঞ্জিনিয়ার । তাদের কাছ থেকে দেশ কি আশা করতে পারে । এরা বিল্ডিং বানাবে, কয়েকদিন পর ভবন ধসে পড়বে ।
এই অযোগ্য শিক্ষার্থীরা বাপের টাকার জোরে সার্টিফিউকেট কেনে । আবার চাকরির বাজারেও বাপের টাকা দেখায় ।মেধাবী শিক্ষার্থীরা সঠিক মূল্যায়ন পায় না ।
এজন্য অযোগ্য শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ করতে হবে । বিশেষত ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট ।
এর জন্য কয়েকটি কাজ করা যেতে পারেঃ-
১। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে এমবিএস এর মত ভর্তী পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হবে । এর জন্য সরকার সারা দেশে একক পরীক্ষা
পদ্ধতি চালু করতে পারে । মানে সবাই একই সময়ে , একই প্রশ্নের মাধ্যমে একই কেন্দ্রে কিংবা জেলা পর্যায়ে কেন্দ্র করে পরীক্ষা
নেওয়া যেতে পারে ।
২। ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা এইচএসসি পাশ রাখতে হবে । যাতে একজন ভালো শিক্ষার্থী কোন কারণে যদি ১ পয়েন্টও পায়, সেও
যেন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে ।
৩। প্রথম ধাপে নৈব্যক্তিক প্রশ্ন মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে পাস মার্ক অবশ্যয় কমপক্ষে ৪৫% এর উপরে
রাখতে হবে । [ এই পরীক্ষা সরকার নিবে,এতে যারা পাস করবে তারাই ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে । এর পর বিশ্ববিদ্যালয়
নিজেদের মত করে পরীক্ষা নিবে ]
৪। প্রথম ধাপে পাস করার পর বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষা নিবে । এ ধাপে যারা সর্বোচ্চ মার্ক পাবে, তাদের মধ্যে থেকে
নির্বাচিত শিক্ষার্থীগণ ভাইভা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে । এদের মধ্য যারা ( এ লেভেল, ও লেভেল, প্রথম ধাপের পরীক্ষা, দ্বিতীয়
ধাপের পরীক্ষা এবং ভাইভা মিলে ) সর্বোচ্চ মার্ক পাবে তারা ভর্তি হবে ।
©somewhere in net ltd.