নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
১.
ওটির সামনে সবাই ভিড় করে আছে। শুধু জয়নাল সেখানে নেই। সে বেবিটেক্সি নিয়ে তার বাসায় চলে গেছে। বাসা থেকে সে পাসপোর্টটা নেবে। সেখান থেকে যাবে বাদামতলী। বাদামতলী থেকে একটা নৌকা ভাড়া করে সে যাবে বুড়িগঙ্গার মাঝখানে। মাঝ বুড়িগঙ্গায় সে আল্লাহকে বলবে–আল্লাহপাক, আমি আমার জীবনের সবচে প্রিয় জিনিসের বিনিময়ে চাচাজির জীবন ভিক্ষা চাইছি। আমার সারা জীবনের শখ আমেরিকা যাওয়া। আমি আমেরিকা যাব না। আল্লাহপাক, আমি পাসপোর্টটা বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিচ্ছি।
সকাল দশটার সময় সত্যি সত্যি মাঝ বুড়িগঙ্গায় জয়নাল তার পাসপোর্ট ফেলে দিল। শামসুদ্দিন সাহেব মারা গেলেন সকাল এগারোটায়। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তার জ্ঞান ছিল। তিনি চারদিকে তাকিয়ে জয়নালকে খুঁজলেন। বিড়বিড় করে বললেন, পাগলাটা গেল কোথায়?
---- আজ আমি কোথাও যাবো না।
২.
অর্ণব বিস্মিত হয়ে দেখছে তার বাবার চোখে পানি। সে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, বাবা কাঁদছ কেন?
নান্টু বলল, রান্নার সময় চোখে ধোঁয়া লেগেছে। এই জন্যে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। কাঁদছি নাতো। আমি কাঁদব কেন? নান্টু অবাক হয়ে দেখল তার ছেলের ঠোট বেঁকে যাচ্ছে। বাবার কান্না দেখে ছেলের কান্না পেয়ে যাচ্ছে। অর্ণব প্রাণপণ চেষ্টা করছে কান্না সামলাবার। পারছে না। এইতো ছেলের চোখে পানি।
নান্টু ছেলেকে কাছে টেনে নিল। তার মনে হল এই পৃথিবীতে তারচে সুখী মানুষ আর কেউ নেই।
---- চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস।
৩.
ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্যে দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলেছ–তার প্রতিদানে আমি ‘জনম জনম কাঁদিব।’
--------------------------
চিঠি শেষ করে আনিস স্তব্ধ হয়ে বসে রইল। এক সময় সন্ধ্যা মিলাল, রাত হলো। অন্ধকার রাত–তারপরেও আনিসের মনে হলো–অপূর্ব জোছনা হয়েছে। জোছনার তীব্ৰ আলো শ্বেতপাথরে চকমক করছে। জোছনা গায়ে মাখার জন্যে কি-না কে জানে ডাক্তারি ব্যাগ মাথার নিচে দিয়ে আনিস লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ল।
অন্ধকার ঝোপের আড়াল থেকে মতি অবাক হয়ে দৃশ্যটা দেখছে। শ্মশানঘাট সেই ধুয়ে পরিষ্কার করে। শ্মশানঘাটায় এসে এই পাগল ডাক্তার যা করে তাই তার দেখতে ভালো লাগে। তার কাছে মনে হয় রহস্যে ভরা এই মানব জীবনটাকে লোকে যত খারাপ বলে–আসলে তত খারাপ না।
মতির কাছে মনে হলো ডাক্তার শুধু যে লম্বা হয়ে শুয়ে আছে তা না, মাঝে মাঝে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। মতি মনে মনে বলল, আহারে আহারে!
---- তেতুল বনে জোছনা ।
৪.
আমরা একটা সাইকেল কিনেছি। গভীর রাতে সাইকেলে করে দুজন ঘুরে বেড়াই। সফিক প্যাডেল করে, আমি বসে থাকি পেছনের ক্যারিয়ারে। মাঝে মাঝে রূপাদের বাড়ির সামনে থামি। বাড়ি তালাবন্ধ। অনেকদিন ধরেই নোটিশ ঝুলছে, বাড়ি বিক্রয় হইবে। নোটিশটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আবার সাইকেলে চড়ে বসি। আমাদের মধ্যে কথাবার্তা তেমন হয় না। নীরবতা অসহ্য বোধ হলে সফিক টুনটুন করে ঘণ্টা বাজায়। আমি বিরক্ত হয়ে বলি, আহ থামা তো। সফিক ঘণ্টা বাজানো বন্ধ করে। মাঝে মাঝে চাঁদনী রাতে আমরা শহর ছেড়ে দূরে চলে যাই। রাস্তা ফাঁকা থাকলে সফিক সাইকেল চালায় ঝড়ের বেগে। জোছনা দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে যাই … আমি চাপা গলায় বলি–আরো তাড়াতাড়ি প্যাডেল কর, আরো দ্রুত। সুফিক হাঁপাতে হাঁপাতে প্যাডেল করে, পেছনে পড়ে থাকে চাঁদের আলোয় ঢাকা আশ্চর্য শহর।
----- পাখি আমার একলা পাখি।
৫.
আসমানী একবার বলেছিল, এই যে বাবু সাহেব শুনুন। একবার আমরা ঝুমঝুমা বৃষ্টিতে হাত ধরাধরি করে রাস্তায় হাঁটব। বৃষ্টি বিলাস করব। কেমন?
ফরহাদ বলল, আচ্ছা।
মনে থাকে যেন?
আমার মনে থাকবে।
ফরহাদের মনে আছে।
তার মনে থাকলেতো কিছু যায় আসে না। বিশ্বব্রহ্মান্ডের যিনি নিয়ন্ত্রক–তাঁর কি মনে আছে? তাঁর হয়তো মনে নেই। মানুষের মনে স্বপ্ন ঢুকিয়ে দিয়ে তিনি হয়ত দূরে সরে যান। কিংবা কে বলবে তিনি হয়ত দূরে যান না। খুব কাছেই থাকেন। স্বপ্ন ভঙ্গের যন্ত্রণায় মানুষ যখন ছটফট করে, তিনিও করেন। কারণ এইসব স্বপ্নতো তিনিই তৈরি করেছেন। স্বপ্ন ভঙ্গের কষ্ট অবশ্যই তাঁকেও সইতে হবে।
ফরহাদ পেছনে তাকালো মেয়েটা ঠিক আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে ভিজছে। একটুও নড়ে নি। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। সেই দৃষ্টিতে গভীর মমতা। বৃষ্টি হচ্ছে। আসমানী একবার বলেছিল—বৃষ্টি হল মেঘের অশ্রু। মেঘ কাঁদছে, কারণ মেঘমালার জন্মই হয়েছে কাঁদার জন্যে।
---- চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস।
৬.
তাহের জানে এইসব কিছুই না, চোখের ভুল। চোখের ভুলকে গুরুত্ব দেয়া ঠিক না। কোন কিছুকেই আসলে গুরুত্ব দেয়া ঠিক না। এই পৃথিবীতে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বেঁচে থাকা। আর সবই গুরুত্বহীন।
তারা দুজন বেঁচে থাকতে চায়। শুধুই বেঁচে থাকতে চায়। প্রকৃতির অমোঘ নির্দেশ পালন করতে চায়–হে মানব, তোমরা বেঁচে থাক। মানব প্রজাতি রক্ষার জন্যে সন্তান উৎপাদন কর। কিছুতেই যেন এই প্রজাতির বিস্তার বন্ধ না হয়। কারণ, তোমাদের নিয়ে আমার অনেক বড় পরিকল্পনা আছে। তোমরা যথাসময়ে তা জানবে।
পারুল তার সন্তানের জন্যে যে আগ্রহ, যে আনন্দ নিয়ে অপেক্ষা করে ঠিক সেই পরিমাণ আগ্রহ ও আনন্দ নিয়ে অপেক্ষা করে নিকি। সেও সন্তান-সম্ভবা হয়েছে। প্রকৃতি সব ধরনের প্রজাতিই রক্ষা করতে চায়। সবাইকে নিয়েই তার হয়ত পরিকল্পনা আছে।
আমরা তুচ্ছ মানুষ। আমরা সেই মহাশক্তির বিপুল রহস্য বুঝতে পারি না বলেই বিচলিত হই। বিচলিত হবার কিছু নেই।
----পারুল ও তিনটি কুকুর।
------------------------------------------
এমন হাজারও মন্ত্র দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন এক জাদুকর ! হুট্ করে মাথায় এলো। মাত্র কয়েকটি পোস্ট করলাম। ভাবছি এটা চালিয়ে যাবো।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আসলেই দারুন।
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হুমায়ুন কথামালা শেষ যাবে না।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫
সাইন বোর্ড বলেছেন: হূমায়ুনকে পড়তে গেলে শেষ করতে ইচ্ছে করেনা, হাতের কাছে যত পাই পড়তেই থাকি...
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ওই যে বললাম -- এমন হাজারও মন্ত্র দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন এক জাদুকর !
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অদ্বিতীয় হুমায়ূন। চালিয়ে যান। ভালো খাবার বার বার খেলেও অরুচি হয় না।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এমন হাজারও মন্ত্র দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন এক জাদুকর ! অল্প অল্প করে চলুক !
৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ সবার বস। এমন কি নাটক নির্মানেও তার সমতুল্য আমাদের দেশে আর কেউ নেই। তার সব বই আমার অসংখ্যবার করে পড়া। আজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তার বই পড়ে ঘুমাতে যাই। দীর্ঘ দিনের অভ্যাস।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের সমতুল্য কেউ নাই । উনি নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন ।
৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: উনি এই দেশে লেখালিখির জগতে একজন গুরু। কোন কেউ উনার সাথে তুলনা করা চলে না।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: একেবারে ঠিক ।
৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা সেই মন্ত্রমুগ্ধ হওয়ার মত লেখা। আমাদের হুমায়ুন আহমেদ
তিনি বেঁচে আছেন তার লেখায়
ভালো থাকুন আপনি
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ ফিরে ফিরে আসবেন। ধন্যবাদ জানবেন। শুভ কামনা।
৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের সমতুল্য কেউ নাই । উনি নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন ।
আমার বিশ্বাস উনি আর ১/২ বছর বেঁচে থাকলেই নোবেল পেয়ে জেতেন।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমি এই ধারণায় বিশ্বাসী।
৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
চমৎকার। বাকী মন্ত্রগুলিও কিছু কিছু করে লিখে পোষ্ট
করলে আমরা সেগুলি পাঠ করে দেখব ।
শুভেচ্ছা রইল
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। জাদুকরের মন্ত্রের শেষ নাই।আমি ধীরে ধীরে পোস্ট করবো। ভালো থাকবেন।
১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: উপস্থাপনায় নতুনত্ব ও ভিন্নতা চমৎকৃত করেছে!
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সমগ্র ভালোবাসা একজন জাদুকরের জন্য। মন্তব্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপনি।
১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৮
নুরহোসেন নুর বলেছেন: আমি অপেক্ষা করি আপনার চমৎকার একটি পোস্টের আশায়।
ধন্যবাদ অসাধারণ লেখার জন্য।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সব তো ওই জাদুকর লোকটা লিখে রেখেছে আমি তো শুধু টুকে এনেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যে। ভালো থাকবেন।
১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: লেখাগুলো আগে পড়া থাকলে আজ কেন জানি নতুন মনে হল।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ যে সবসময়ই নতুন। সেইজন্যই মনে হয়।
মন্তব্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
স্বপ্নবাজ সৌরভ ভাই,
আপনার এই পোষ্টের জন্য রইলেঅ অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। পোস্টে লাইক ও সরাসরি প্রিয়তে।
জয়নালের জীবন কিন্তু থেমে থাকেনি - হুমায়ূন আহমেদ তার হাতে দিয়েছিলেন আলোর মশাল - জয়নাল যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে যান সেখানে তার নিজস্ব অফিস আছে ব্যাবসা আছে।
বাংলাদেশের গর্ব হুমায়ূন আহমেদ। মহামান্য মহান ফিহা, মিসির আলী, হিমু, শুভ্র আরো অনেক অনেক যা হুমায়ূন আহমেদের কালজয়ী সৃষ্টি। মহান ফিহার জন্য রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা। - তোমাদের জন্য ভালোবাসা।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
নিউইয়র্কে জয়নালের একটি ব্রাঞ্চ অফিস আছে। বড় সাহেব প্রথমবারের মতো আমেরিকা আসবেন এই খবর তারা পেয়েছে। তারা লিমোজিন নিয়ে এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করছে।--- এই মন্ত্রটা পরের পর্বে প্রকাশ হবে।
আর মহামতি ফিহা তো আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনিও থাকবেন।
রাস্তার মানুষ অবাক হয়ে দেখছে ফুল বিছিয়ে বিছিয়ে একজন মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। সে পা ফেলছে এলোমেলো ভঙ্গিতে। অন্ধকারে মানুষটিকে চেনা যাচ্ছে না। যারা ফুল ছড়িয়ে এগিয়ে যায় তাদের চেনারও তেমন প্রয়োজন নেই।
আপনাকে পেয়ে ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন।
১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
স্বপ্নবাজ সৌরভ ভাই,
হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় মানুষ। তিনি আমার ভাতৃপ্রতিম ছিলেন না, তিনি আমার সত্যি সত্যি একজন ভাই ছিলেন। তাঁর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা। ভাই হারিয়ে দুঃখ পেয়েছি আরো দুঃখ পাই যখন তাঁকে নিয়ে মানুষ রঙ বেরঙের কথা বলেন। হুমায়ূন আহমেদ বিশ্বে একজনই ছিলেন তিনি বাংলাদেশের সন্তান এটিই আমাদের সর্বশ্রেষ্ট পাওয়া।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমার বোনের ছোট্ট ছেলেটা স্যার মারা যাওয়ার খবর শুনে অঝোরে কান্না শুরু করলো । একেবারেই ছোট ক্লাস ফোর/ ফাইভে পড়ে। আমি তাকে থামানোর চেষ্টা করি। ও সূর্যের দিন বইটা বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে। আমি বলি , তোর হুমায়ুন আহমেদের বই গুলো তো আছে। ওখানেই হুমাযুন আহমেদ থাকবেন। ও বোঝে না , কাঁদতে কাঁদতে বলে -- আর তো লিখবেন না ! আমি বললাম , উনার আর লেখার দরকার নাই।
ও কাঁদতেই থাকে , কাঁদতেই থাকে। বুকে জড়িয়ে ধরা সূর্যের দিন। ওই বইটা ওর খুব প্রিয়।
সাজ্জাদ নামে ছেলেটি ভয়াল-ছয় নামের একটি ছেলেমানুষী দল গঠন করেছিল। এবং ঠিক করেছিল ভয়াল-ছয়ের সদস্যরা পায়ে হেঁটে আফ্রিকার গহীন অরণ্য দেখতে যাবে। ছেলেমানুষদের কতরকম স্বপ্ন থাকে।
১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: অসাধরন লাগলো।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ নিন। ভালো থাকবেন জাদুকরের মন্ত্রে।
১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সত্যিই দারুণ কালেকশন।এমনি জাদুকর সাহেবকে জানাই সশ্রদ্ধ সালাম। ধন্যবাদ সৌরভ ভাই আপনাকে।
দেবী পড়তে গিয়ে এরকম একটি চমৎকার জায়গা শেয়ার করছি। পৃথক মন্তব্যে।
পোস্টে ভালোলাগা।
শুভকামনা জানবেন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এই জাদুকরের মন্ত্র গুলো কিন্তু খুব সহজ । আমরা সবাই জানি । খুব পরিচিত । ধন্যবাদ প্রিয় ভাই ।
১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
'চাচা আমি আই এ পড়ার সময় আমার বিয়ে হয়।
তারপর আর পড়াশোনা হয়নি। গ্রামে বিয়ে হয়েছে তো!
পড়াশোনা করার আমার খুব শখ ছিল।'
'মানুষের সব সখ মেটা উচিত নয়। একটা কোনো ডিসস্যাটিসফেকশন থাকা দরকার।'
'কেন?'
'তাহলে বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে। সব সখ মিটে গেলে বেঁচে থাকার প্রেরণা নষ্ট হয়ে যায়। যেসব মানুষের শখ মিটে গেছে তারা খুব অসুখী মানুষ।'
দেবী উপন্যাসে'র একটি চরিত্র অনুফার ও মিসির আলির কথোপকথন।
'প্রথম সংকলন 'পৃষ্ঠা:-১৮৪,১৮৫
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: চমৎকার । দেবীর কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত হবে পরের পর্বে । আচ্ছা আপনি কি নিশীথিনী পরেছেন?
১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। না সৌরভ ভাই নিশীথিনী এখনো পড়া হয়নি। তবে ইচ্ছা আছে সময় পেলেই হাত দেব।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সময় করে পড়ে ফেলুন।আমার কিন্তু নিশীথিনী বেশি ভালো লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৬
হাবিব বলেছেন: দারুণ........