নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি \'স্মৃতিকাতরতা \' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার চিকিৎসার প্রয়োজন।

স্বপ্নবাজ সৌরভ

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......

স্বপ্নবাজ সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ধ্যা নামুক ভীষণ বিষন্নতায়....

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩৪





শেষ পোষ্ট এসেছে ৯ টা ৩৫ মনিটে। দীর্ঘ সময়। এরপর আর পোষ্ট আসেনি। বেশ কয়েকজনকে অনলাইনে দেখলাম। সবাই কি ব্যস্ত? নাকি ছুটি শেষে ঢাকাতে ফেরেনি। দীর্ঘ সময় কোন পোষ্ট বিহীন সামু। দেখতে এবং ভাবতে খারাপ লাগে।

আমি নিজেও লেখার মত কিছু পাচ্ছি না। ভাবনার পরিসর যাদের ছোট তাদের এই সমস্যা হয়। চারিপাশে হাজার টপিক, হাজার সমস্যা । এইসব নিয়েই লিখে ফেলা যায়। কিন্তু আমার কোন ভাবেই হয়ে উঠে না। শরীরের মধ্যে কেমন কিরকির করে। দম বন্ধ হয়ে আসে। একটা সময় ছিলো, এমন পরিস্থিতিতে ফসফস সিগারেট টানতাম। দেখতে দেখতে দিনে আড়াই প্যাকেট ধোঁয়ার মত উড়িয়ে দিতাম। সিগারেট ছেড়েছি ৮ বছর হয়ে গেল। কিন্তু ইদানীং খুব খেতে ইচ্ছা হয়।

ঈদের পরে আজ বাইরে বের হয়েছিলাম। রাস্তা ঘাট ফাঁকা। 'স্বপ্ন'রা বাড়ি গেছে এখনো ফেরেনি। ফিরলে ঢাকা শহর 'দুঃস্বপ্ন' হবে। বাসায় ফিরবো। পাঁচ সাতটা সিএনজি দাঁড়ানো আছে। চালকদের আড্ডা চলছে। মোবাইলে লুডু খেলা চলছে । নিউমার্কেট এরিয়ায় কেউ যাবে না।
বললাম, রাস্তা তো ফাঁকা! একটানে চলে যাবেন।
কিন্তু কারোর মধ্যেই তেমন আগ্রহ পেলাম না। অন্য সময় এরা নাকি 'জমা'র টাকা তুলতে পারে না। জমার টাকা তোলার জন্য এরা ভাড়ার চেয়ে ১০০ বেশি দাবি করে। আমার মত এদের কষ্টে যাদের বুক ফেটে যায় তারা রাজি হয়ে যায়, অন্যেরা উপায় না দেখেই দিয়ে দেয়। এরা আবার দুপুরে গরুর গোশতো দিয়ে ভাত খায়। সে যাইহোক, এইবার কোরবানী ঈদে আমিও দুই পুটলি গরুর মাংস পেয়েছি। গত কোরবানীর পরে আর গরুর মাংস কেনা হয়নি।

গরুর মাংস আমার খুব পছন্দের। ইদানীং খাওয়া হয় না। খেলেই গা চুলকানো শুরু করে। চুলকালে আবার লাল হয়ে ফুলে যায়। তাই গরুর মাংস তেমন খাওয়া হয় না। খাসির মাংস দামে পোষায় না। মাংস বলতে দেড়শো টাকা দরের পোল্ট্রি।
আমি সর্বনিম্ন ৩৫ টাকা কেজি গরুর মাংস কিনেছি। মেজচাচার সাথে পিকনিকের বাজার করতে গিয়েছিল ১৯৯৪ সালে। পারিবারিক পিকনিক। আয়োজন সামান্য। রুটি আর গরুর মাংস। রাতে খাওয়া। আমি বেশি খেতে পারিনি। ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনাল উপলক্ষ্যে পিকনিক ছিল। আমি খেলার টেনশনে খেতে পারিনি ঠিক মত।

সবচেয়ে মজা করে গরুর মাংস খেতাম কোরবানী ঈদে। মনে আছে, আগে আমরা গোশত/গোশ বলতাম। সেটা কিভাবে যেন মাংস হয়ে গেল। অনেক কোরবানীর মাংস জমা হতো। তখন ফ্রিজ ছিলো না তাই মাংস জাল দিয়ে সংরক্ষণ করতো। সেই জাল দেয়া মাংস মজা করে খেতাম। তাছাড়া অনেক মাংস রান্না হতো। সেই মাংস প্রতিদিন গরম করে খেতে খেতে পোড়া পোড়া আর কালো কালো হয়ে যেত। অদ্ভুত সুন্দর গন্ধ বের হতো। মাংস শেষ হয়ে গেলে আমরা তেল তেল মসলা রুটির সাথে খেতাম।সেই স্বাদ ভোলার নয়! এখনকার জেনারেশন অবশ্য 'কালাভুনা' খায়।
আরেকটা জিনিস জাল দেয়া হতো। সেটা হচ্ছে চর্বি। জাল দিতে দিতে সেই চর্বি তেল হয়ে যেত। সেই তেল দিয়ে পরোটা বানাতো।
এখন আর কিছুই হয়না ।
ঈদের সকালে কালাইয়ের ডালের খিচুড়ি আর কলিজা-মাটিয়া-ফ্যাপসা ভুনা। কি আনন্দ নিয়েই না খেয়েছি। ঈদের নামাজ পড়ে এসে বড়দের সালাম। সালামী পাওয়ার সাথে সাথে বাজারে গিয়ে সবার আগে সাত টাকা দামের কাঁচের বোতলের মিরিন্ডা! আহ কি সেই ঈদ! কি সেই নির্দোষ আনন্দময় প্রতিযোগিতা।

অবশেষে ৩০০ টাকা দিয়ে একটা সিএনজি পেলাম। ফিরতি ভাড়া পাওয়া যাবে না বলে এই ভাড়া। ব্যাপারটা এমন যে ফিরতি ভাড়া ম্যানেজ করে দেয়ার দ্বায়িত্ব আমার । আমি ম্যানেজ করে দিলে ভাড়া ২০ টাকা হয়তো কম রাখতো।


ফাঁকা রাস্তায় সিএনজি ছুটে চলেছে গন্তব্যে। আমার ভাবনাও আজ সবুজ সংকেত জ্বেলে আটকাবে না। সন্ধ্যা নামছে। আরো একটা দিনের অবসান। অদ্ভুত বিষন্নতা। এই বিষন্নতা ছোটবেলাতেও গ্রাস করতো।

ছোটবেলায় মনে হতো পাঞ্জাবী খুললেই ঈদ শেষ হয়ে যাবে। পাঞ্জাবী পরে থেকেও দিনটাকে কোন ভাবেই আটকাতে পারতাম না। বিকালবেলা থেকে মনটা খারাপ হয়ে যেতো। সন্ধ্যা নামতো ভীষণ বিষন্নতায়।

আচ্ছা মরতে ইচ্ছা হয়না কেন? মৃত্যুকে ভয় পাই কেন?
এই যে যাদের সাথে এতো যোগাযোগ, যাদের সাথে কথা হচ্ছে, যাদের সাথে চলছি, যাদের কথা ভাবছি তাদের সাথে একদিন আর কোন ভাবেই দেখা হবে না। কোন কিছুই ভাবা হবে না।

বেহেশতে আল্লাহ সব দেবেন। আমি চাই আমার বেহেশতটা ইহকালের মতোই হোক। তবে শান্তিময় হোক। সন্ধ্যা নামুক ভীষণ বিষন্নতায়, সমস্যা নেই।












মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


জাল দেয়া চর্বি যে কি পরিমাণ শরীরে ডুকেছে, বলা কঠিন।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:০২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ওই ঈদে চাঁন্দে, ব্যাপার না।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:১৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: গরুর মাংস খুব চুলকায়।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:০০

সোনাগাজী বলেছেন:


সামুর শেষ পোষ্ট প্রকাশিশত হওয়ার ৪ ঘন্টা পরে, আপনার পোষ্ট এসেছে, অনেক সময় লাগলো; আমি ঐ সময়ে ১০/২০ টা পোষ্ট লিখতে পারতাম; কিন্তু সামু আমার পোষ্ট পছন্দ করে না, আমাকে জেনারেল করে রেখেছে; দেখছেন, আপনি আইডিয়া খুঁজে হয়রাণ, আমি জেনারেল হয়ে হয়রাণ।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:০৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমার পোষ্টে তেমন কিছুই থাকে না। তারপরেও আপনি এসে মন্তব্য করেন।
আমি আসলে কোন লেখাই আগে থেকে রেডি করি না। লিখতে শুরু করি এবং সেটা কোন একজায়গাতে শেষ হয় ।
আপনি অনেক ভাবেন। ভেবে ভেবে লেখেন। সেইখানে অনেক কিছু পাওয়া যায়।



৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আামাদের দেশের মানুষের মরাল নেই, সততা নেই, ব্যক্তিত্ব নেই; সিএনজি আপনাকে পৌঁচায়ে দিয়ে সেটুকু ভাড়া নিলে, লোকটার প্রতি আপনার মনে সন্মানের উদয় হতো; কিন্তু সে ফিরতি পথে যাত্রী না'পাবার লজিকে আপনার থেকে টাকা নেয়ার পর, সেই লোক সম্পর্কে আপনার ধারণা খারাপ হয়ে গেলো, লোকটার আত্মসন্মান নেই।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:১৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: খুব কম মানুষই আছে সদয় আচরণ করে।
বাচ্চার জ্বর। ডাব কিনতে গেছিলাম। দাঁড়িয়ালা চাচা ডাব বিক্রি করছে। ডাব দেখে বোঝা যায় না কচি না শাঁস। বললাম কচি ডাব দিতে। বলল, কচি হবে না। হালকা শাঁস হবে।
আমি বললাম, বেশি শাঁস হলে দিয়েন না। আমি না হয় অন্যখানে খুঁজি।
ঐ লোকের উপর বিশ্বাস করে ডাব নিয়ে আসলাম ১০০ টাকা দিয়ে।(আমাদের বাড়ির গাছের ডাব বিক্রি করি ১৫ টাকা করে)
কেটে দেখি পুরু শাঁস।


অনেক রিক্সাওয়ারকে এমনিথেই ১০ টাকা বাড়িয়ে দেই কিন্তু অনেকেই বিপদের সময় সদয় হয় না।
আমরা ছাড় চাইনা ন্যায্যটা দিলেই হয়।

ছোট জায়গা থেকে মার খেতে খেতে একসময় বড় জায়গাতে আঘাত হানবে।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনার পোষ্ট দেখলেই একটা কথা মনে পড়ে, "সোভিয়েত কৈশোর": আপনি শৈশবে এত বেশী সোভিয়েত শিশু-কিশোর সাহিত্য পড়েছেন যে, নিজের শৈশবটাকে ওদের শিশু-কিশোরদের জীবের সাথে মিলিয়ে নিয়েছেন।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:২৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: না। বাস্তবে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি । শুধু শৈশবের কথা মনে হলে ওদের কথা মনে পড়ে। সোভিয়েত বই ছাড়াও আমার শৈশবে অনেক কিছু ছিল। আমার লেখার ধারাও তাদের সাথে মেলে না। শুধু অদ্ভুত এক মায়া অনুভব করি। একটা একটা বই জমানোর স্মৃতি। আব্বা বাদে অন্য কোনভাবে বই গুলো পেলে হয়তো এতোটা মায়া জন্মাতো না।
যেমন ধরুন আব্বা ঢাকা গেছেন আর আমি বইয়ের জন্য অপেক্ষা করছি। গভীর রাতে অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে গেছি। সকালে মাথার কাছে দেখতাম সোভিয়েত বই ।
অনুভুতি প্রকাশ করার নয়

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:২০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আজ আসা পোস্ট গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ভিউ ২০০ + সর্বোচ্চ মন্তব্য ৯। অন্য পোস্ট গুলোর ভিউ খুব কম। এই দৃশ্য সামুতে গত ৫ মাসে কখনো দেখিনি। আপনার এই পোস্টে ভিউ আর মন্তব্য দেইখেন কেমন হয়।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:২৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ভালো এক জিনিস নোটিশ করেছেন।
আমার ভিউ কমেন্ট এমতিতেই কম। সর্বোচ্চ ভিউ পেয়েছিলাম এলাকার পরিচ্ছতা অভিযানের ইভেন্ট নিয়ে লেখা পোষ্টে। এরপর আর কোন পোষ্টের ভিউ ১০০০ পাড় হয়নি।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৩৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ১৫ তারিখে ব্লগার আজিজ এবং ইমরোজের পোষ্টে ভিউ আর মন্তব্য খারাপ না।
ব্লগার নভো নীল দীপ্তির পোষ্টটা ভালো লেখেছিল। সে কোন রেসপন্স পায়নি।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৪৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হ্যা ওটা খেয়াল করিনি। ওটা ভিউ পাইছে। আমি কমেন্ট করেছিলাম জুমাআর পর। পোস্ট + ভিজিটর না থাকলে পেইন লাগে ব্লগ।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:১৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এতো ভিজিটর পাবেন কোই?

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর, সংবেদনশীল অনুভূতির কোমল প্রকাশ, পোস্টে এবং প্রতিমন্তব্যে। সেই সাথে সুন্দর স্মৃতির পুনঃস্মরণ।
সাঁঝের একটা আলাদা 'মায়া' আছে। এ মায়াটা সবাই অনুভব করতে পারে না।
ভুলেও আর কোনদিন সিগারেটে ফিরে যাবেন না। অর্থনৈতিক ক্ষতি তো বটেই, সেই সাথে স্বাস্থ্যেরও মহা ক্ষতি!
পোস্ট ভালো লেগেছে। পোস্টে প্রথম প্লাসটা রেখে গেলাম।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আসলে যখন টাইপ করতে শুরু করলাম এবং কয়েক লাইন লিখলাম তখনো ভাবিনি পোষ্টটা এমন হবে। কোথা থেকে যে সিএনজিয়ালা, গরুর মাংস, ঈদ ঢুকে গেল এবং শেষ হলো বিষন্ন সন্ধ্যায় বুঝলাম না। যাইহোক কিছু একটা তো লিখলাম। যেটা আপনি যত্ন নিয়ে পড়লেন এবং প্লাস রেখে গেলেন ।
সিগারেট হুট করে ছেড়ে দিয়েছিলাম। ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা নাই আসলে।
উপদেশ ভালোবাসা গুলো পেয়ে থাকি বলে এই ব্লগ ছাড়তে চাইনা।ফিরে ফিরে আসি।


ভালো থাকবেন। আপনার সুস্থতা কামনা করি।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার স্মৃতিরোমন্থন ভালো লেগেছে। তবে ভোর হোক ভীষণ আনন্দ নিয়ে এই কামনা করছি।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: স্মৃতিচারণ করতে করতে শেষ হয় বিষন্ন ভাবে। আনন্দময় ঘটনাগুলোতেও বিষন্নতা লেখা থাকে কারণ দিনশেষে ঐ গুলো আমাকে কাঁদায়।

আপনি ভালো থাকবেন।

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৯

নিমো বলেছেন: আপনি কি লেড পেইন্ট বা এ রকম কোন কিছু নিয়ে কাজ করেন ?

১৬ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: টিশার্ট, শাড়ি, পাঞ্জাবীতে হ্যান্ডপেইন্ট করতাম। নিজের ডিজাইনে। ছোটবেলা থেকে আঁকাআঁকির শখ এবং অভ্যাস ছিল।
আমার এডূকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল ডিজাইনের উপর কিন্তু প্রফেশনাল লাইফে আমি রপ্তানি পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত।

আপনার কেন মনে হলো বলুন তো?

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এই যে আমি পড়ছেন , মন্তব্য করছেন। এই যে আমি লিখছি কিন্ত একদিন আর কোনভাবেই লেখা হবে না।
আচ্ছা আপনি যে মৃত্যু ভয়হীন হয়ে যুদ্ধে নেমেছিলেন তখন কি একবারো এগুলো মাথায় এসেছিল?

১১| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্মৃতিচারণ খুবই চমৎকার হয়েছে। পড়ে আবেগতাড়িত হয়ে গেলাম। আসলে যতো বড় হচ্ছি, ছোটবেলার স্মৃতি তত বেশী মনে পড়ছে আজকাল। ছোটবেলার ঈদ-ই হলো আসল ঈদ। এখন তো ঈদ কিভাবে শুরু হয়, আর কিভাবে শেষ হয় বুঝতেই পারি না। বিদেশে আরো বেশী বোঝা যায় না।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ঈদ কিন্তু আসলেই পাল্টে গেছে। ঈদের সালামী পেতাম বড়জোর তিনশো টাকা। তাতেই খুশি। দুই তিনটা মিরিন্ডা খেয়ে খরচ হত বড়জোড় একুশ টাকা। এক প্যাকেট 'আনন্দ চকলেট বোমা'। বাঁকি টাকা পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। আমি ক্লাস ফাইভ সিক্সের কথা বলছি। কিন্তু এখন সেই বয়সী ছেলের কথা চিন্তা করেন তো।

এখন আমাদের ঈদ ঈদের নামাজের মোনাজাতের সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায়।


পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে বিষন্নতা পেয়ে বসেছে। কেন?

১৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বিষন্নতা আমার ছোটকাল থেকেই ছিল। বড় হয়ে ধরতে পেরেছি। একেকটা দিন চলে গেলে মন খারাপ হয়ে যেত।
আনন্দময় সময়ের প্রস্থান মেনে নিতে পারি না । এমনিতে আমি খুব আমুদে ছেলে।

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শিশিরের শব্দের মত সন্ধ্যা নেমে আসে .........

১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হমম সাঁজের মায়া।

১৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:




সিগারেট ছেড়েছি ৮ বছর হয়ে গেল

Congratulations!

স্বপ্ন'রা বাড়ি গেছে এখনো ফেরেনি। ফিরলে ঢাকা শহর 'দুঃস্বপ্ন' হবে।

বাহ ! কথাটা দারুণতো ।

আচ্ছা মরতে ইচ্ছা হয়না কেন? মৃত্যুকে ভয় পাই কেন?

এতো সুন্দর স্মৃতিচারণ হচ্ছে, তারমাঝে আবার মৃত্যু কেনো !

সন্ধ্যার আকাশটা আমার সবচেয়ে প্রিয় । বিষণ্ণতাও এতো সুন্দর হতে পারে!

১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মৃত্যুর জন্যেই তো এতো স্মৃতিচারণ।
বিষন্নতা আমার কাছে সুন্দর। চোখ ভিজিয়ে দেয়ার মত অনুভূতি।
আর সাঁজের মায়াটা সবচেয়ে বেশি।

১৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: আগের ঈদ গুলো ছিলো নির্ভেজাল আনন্দময়। এখন বাচ্চারা আনন্দ করতে পারে না বা ভুলে গেছে। এদের জীবন মোবাইলের গেইমের মধ্যে ঢুকে গেছে নতুবা নতুন কোন গ্যাজেট নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে। ছোটবেলায় বাবা ৫০ টাকা দিতো খরচ করার জন্য সারাদিন ঘুরে সেই পঞ্চাশ টাকা নিয়েই বাসায় ফিরতাম।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ঈদের কথা বাদ দিন ।
একবার বনানীতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বাৎসরিক পিকনিকের মৌসুম। তিন চারটা স্কুল বাস চলে গেলো। পিকনিকের বাস। মাইকে গান বাজছে। কিন্তু অধিকাংশ ছেলেমেয়েদের দেখলাম কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে সিটে বসে নিজেদের মত গান শুনছে।

আপনি ঠিক বলেছেন, এখনকার বাচ্চারা আনন্দ করতে পারেনা কিংবা ভুলে গিয়েছে।

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার ঈদের স্মৃতির সাথে আমার ঈদের স্মৃতির অনেক মিল আছে । আমিও মোটামুটি ছোটবেলা থেকে এমনটাই ভেবে আসছি যে ঈদের পাঞ্জাবী খুললেই ঈদ শেষ । অবশ্য বড় হয়ে ঈদ বলে আর কিছু নেইও তেমন । নামাজ পড়ে এসে সারা দিন বাসায় শুয়ে থাকা । বিকেল বেলা একটু বের হওয়া । বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া । আসলে এই আড্ডাটাই ঈদকে এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে ।

আমি সর্ব নিন্ম ২০ টাকা কেজি গরুর মাংশ দেখেছি । অবশ্য এই ২০ টাকা কেজির অবশ্য অন্য কারণ ছিল । আমার বাবা তৎকালীন বিডিআরের ফুড কন্ট্রাক্টর ছিলেন । তখন বর্ডারে খুব গরু পাচার হত । বিডিআররা সেই গরু ধরতো আর ক্যাম্পে এনে জবাই করে নিজেদের ভেতরে ২০ টাকা কেজি বিক্রি করতো । আব্বা ফুড কন্ট্রাক্টর হওয়ার দরুন সেও ২০টাকা কেজি কিনতে পারতো । তবে বাজারে আমি ৪০ টাকা কেজি দেখেছি । আমিও এখনও গরুর মাংস একদম খাই না । গত দুই বছরে সম্ভবত দুই তিন পিচ খেয়েছি কেবল ।

সিএনজিওয়ালাদের প্রতি আমার বিন্দু মাত্র সহানুভূতি কাজ করে না কখনও । ঢাকা শহরে এদের মত ডাকাত আর কেউ নেই ।

আমারও কেন জানি এতো জলদি মরে যেতে ইচ্ছে করে না । এখনও কত বই পড়া বাকি রয়েছে । হুট করে মরে গেলে একটা বিরাট আফসোস থেকে যাবে ।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:৪৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ঈদের স্মৃতি নিয়ে আলাদা একটা পোষ্ট দিবো। দেখবেন আরো মিলে যাবে। ঈদের সকালে ঘুম ভাঙতো। বোমার আওয়াজে। বহুদুর থেকে যেন শব্দ ভেসে আসতো। শুনতে ভালো লাগতো।
চাচাতো ভাইয়েরা লাইন ধরে একজনের পর একজন গোসল। সাবান শ্যাম্পু নিয়ে কাড়াকাড়ি। আব্বা নিজের জন্য ইম্পেরিয়াল লেদার আর মেয়েদের জন্য ক্যামি সাবান কিনে আনতেন । আমার জন্য একটা সাবান কিনে আনতেন যার নাম গত চার বছর ধরে মনে করতে পারছিনা। ফা ক্যামির সাথে ঐ সাবানের নামটা উচ্চারিত হতো সেই সময়। ঐ নামটা মনে করতে পারা আমার জন্য জরুরী।

১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩৯

কামাল৮০ বলেছেন: বেহেশতটা ইহকালের মতো হবেনা বলেই কেউ কেউ বেহেশতে যেতে চায় না।কি এক বিরক্তিকর কাজে লাগিয়ে দিবেন বেহেশতে।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হতে পারে। আমি শিওর না।

১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ,



সন্ধ্যা নামুক ভীষণ বিষন্নতায়.... হৃদয়ের কড়া নেড়ে যাওয়া এমন শিরোনামটিই এখানে টেনে নিয়ে আসার কারন।

এ পৃথিবীটা পৃথিবীর মতোই। আর প্রানের 'ঢাকা" শহরটি যেন এর ভেতরেই সম্পূর্ণ আলাদা একটা পৃথিবী! গাঁথুনিহীন, পথহীন, আলোহীন, নিয়মহীন, বন্য, বিপদজনক এক পৃথিবী, যেখানে বাস, ট্রাক, রিকসা, সাইকেল , ভ্যান , ঠেলাগাড়ী আর পথচারীরা টিকে থাকার জন্যে গুতোগুতি করছে দিনরাত । নিত্যদিনের এই ঠাস বুনটের ছবিটি আমাদের সকল সত্ত্বায় বিরাজিত। কোনও "থিনার" দিয়েই তেল রংয়ের এ ছবি তুলে ফেলার নয়।
নিস্তার মেলে শুধু দুই ঈদে ! তখন মনে হয় "সুনসান" এর পলিথিন দিয়ে এই ছবিটাকে কে যেন ঢেকে রেখেছে যাতে ধূলো না পড়ে, ঝড়-ঝাপটায় উড়ে না যায়। আঙুলের কড়ে গোনা যায় এমন সুনসান দিন। তারপর স্বপ্নেরা আবার ফিরে আসে দুস্বপ্নের তরে।

কেউ-ই মরেনা। শুধু দীর্ঘ এক ঘুমের পথে তারা হাটে। সেই হাটা পথে ভীষণ বিষন্নতায় সন্ধ্যা নামলেও ক্ষতি কি !!! সেখানে তো স্বপ্ন সাজানো যায়না! একমুঠো জিরোনোর ঠাঁইও মেলেনা।

লেখার মতো কিছু না পেলেও এইতো বেশ চমক দিয়ে লিখে গেলেন ছেলেবেলা থেকে এই সময় অবধির গল্প।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনার পোস্টগুলোতে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে নান্দনিক মন্তব্য করে পোস্টটাকে শক্তিশালী করার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শ্রদ্ধেয় !

এই পোস্টেও ব্যতিক্রম হলো না।
সন্ধ্যা নামুক ভীষণ বিষন্নতায়.... আপনাকে টেনেছে এক অদ্ভুত মায়ায়। ভালো থাকবেন। কোন এক মায়াময় সন্ধ্যায় আপনার সাথে দেখা হবে হয়তো।

১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিষন্নতা আমার ছোটকাল থেকেই ছিল। বড় হয়ে ধরতে পেরেছি। একেকটা দিন চলে গেলে মন খারাপ হয়ে যেত।
আনন্দময় সময়ের প্রস্থান মেনে নিতে পারি না । এমনিতে আমি খুব আমুদে ছেলে।

বিষণ্ণতার ওষুধের নাম লুডিওমিল।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: Equilibrium মুভিটা দেখেছেন? বিষন্নতা আমরা লেখার রসদ। কি আর করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.