নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি \'স্মৃতিকাতরতা \' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার চিকিৎসার প্রয়োজন।

স্বপ্নবাজ সৌরভ

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......

স্বপ্নবাজ সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানের প্রস্তুতি .....

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪



১.

" কি শরীফ সাহেব? রমজানের প্রস্তুতি কেমন নিলেন?"
রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে শরীফ সাহেব গত শুক্রবার দুহাত ভর্তি বাজার করেছেন। টোকাইয়ের মাথায় এক ডালা বাজার মাথায় তুলে দিয়েছেন। তাঁর হাতেও এক ব্যাগ বাজার। চাইলে টোকাইয়ের মাথায় তুলে দিনে পারতেন। কিন্তু বেশি কষ্ট হবে বলে দিচ্ছেন না। চার পদের মাছ কিনেছেন। কালিবাউশ , বোয়াল , রূপচাঁদা , দেশি কৈ । ভালো পাবদা না থাকায় আজ নেন নি। আগামী বাজারে দেখবেন বলে মনস্থির করেছেন।
জিনিসের দাম বাড়ছে । তিনি গরু , দেশি মুরগি , খাসির মাংশ কিনেছেন। সেহেরীতে তিনি দেশি মুরগি খেতে ভালোবাসেন।
পাকিস্তানি মুরগি হিসেবে পরিচিত সোনালি মুরগি কে অনেক বিক্রেতা দেশি মুরগি হিসেবে চালিয়ে দেয়। ঠিকমত না চিনলে বিপদ। সোনালী মুরগির পা মসৃণ, আর দেশি মুরগির পা খসখসে ও অমসৃণ। দেশি মুরগীর ঝুঁটি গাঢ় লাল রঙের, সোনালিরটা ফ্যাকাশে। সোনালী মুরগির চোখ গাঢ় , দেশিরটা লাল। দেশি মুরগীর ধারাল , পাকিস্তানির ঠোঁট ভোতা।
কেনার সময় এসব খেয়াল রাখতে হয়। শরীফ সাহেব দেখে বুঝে বাজার করেন।

আপাতত তিনি যা মাছ মাংস কিনেছেন তাতে তার ডীপ ফ্রিজ ভর্তি হয়ে যাবে। তাছাড়া পরেরটা পরে দেখা যাবে।

শরীফ সাহেব ভালো বেসন আনিয়েছেন গ্রাম থেকে। ছোলা, পেঁয়াজ, তিন পদের খেজুর কিছুই বাদ রাখেননি। রমজানে সব কিছুর দাম বাড়বে। এই দেশের কোন সিস্টেম আছে নাকি! এই দেশে মানুষ বাস করে? সে যায় হোক, রমজানের প্রস্তুতির কোন কমতি তিনি রাখেননি।

২.
আব্দুল করিমের মনটা বিশেষ ভালো নেই। বারবার মনে হয় রমজান আসতে আসতে নামাজটা ধরে ফেলবেন। বয়স হয়ে যাচ্ছে। জরুরী দোয়া গুলো মুখস্ত করে ফেলবেন।সবই ঠিক আছে শুধু বিতরের নামাজের দোয়া কুনূত এ এসে আটকে যাচ্ছেন । তার একটা নামাজ শিক্ষা বই কিনতে হবে। তিনি ঠিক করেছেন রমজানের আগেই সব গুছিয়ে ফেলবেন। এমন ভাবে ধরবেন আর ছাড়বেন না। আব্দুল করিম তেমন কোন খারাপ কাজ করেননি। সৎ ভাবে চলার চেষ্টা করেন। এইবার তিনি সব নামাজ পড়বেন। তারাবীহ পড়বেন। নিয়ত ঠিক থাকলে আল্লাহ নিশ্চয়ই সাহায্য করবেন।


আব্দুল করিমের মেয়ে এবার প্রথম রোজা রাখবে। তিনি একদিন মেয়েকে বললেন, "মা জননী । তুমি ভোর রাতে কি খাইতে চাও?" মেয়ে বললো,"আমার বাপজান যা খাইবো তাই।" আব্দুল করিমের চোখটা ছল ছল করে। মেয়েটা তার কাছে কিছু চাই না। তবু তিনি ঠিক করেছেন এবার রমজানে তিনি মেয়ের জন্য একটা জায়নামাজ কিনে দেবেন আর সাথে একটা তজবীহ। বাইতুল মোকাররমের সামনে সুন্দর সুন্দর জায়নামাজ পাওয়া যায়। আর কিছু টাকা জমলেই তিনি সোজা চলে যাবেন কিনতে।
আব্দুল করিমের রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে নামাজ শেখার বই, মেয়ের জন্য জায়নামাজ আর তজবীহ। এটুকুই !



৩.
একটি পুরাতন ঘটনা।
নিহালরা চাচা ফুফু দাদারা একসাথে থাকে। নিহালের এবার প্রথম রোজা থাকবে । ওর বাবা সেই উপলক্ষে খাসির গোশত কিনেছে। নিজের ঘরে কেরোসিনের স্টোবে তার বাবা রান্না করেছে। নিহাল বাবার পাশে বসে রান্না দেখেছে। বাবার পাশে বসে রান্না দেখতে ভালো লাগে। বাবা একটা একটা মসলা দেন। পানি দেন। সুন্দর গন্ধ বের হয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার বাবা লবন চেখে দেখার জন্য পিরিচে গোশত তুলে দেন। আজকের গোশত অনেক মজা হয়েছে। মনে হয়েছিল রাতেই খেয়ে নিতে। কিন্তু মাংস তো ভোর রাতে সেহরি করার জন্য ! তাই কিছু বলেনি। বাবা বাটিতে বাটিতে অল্প অল্প গোশত তুলে দিয়েছিলেন , সেটা চাচাতো ভাইদের ঘরে ঘরে দিয়ে এসেছে।

নিহালের প্রথম সেহেরি। উঠেছে অনেক আগে। দাদার ঘরে লাইট জ্বলে। দাদাও উঠেছেন। দাদা এবার রোজা থাকতে পারবেন না। বয়স হয়ে গেছে তো। উঠানের লাইট জ্বলছে। সবার ঘর পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।

ভাত বাড়া হচ্ছে। খাসির গোশত স্টোবে গরম করা হচ্ছে। এই গন্ধ ছড়িয়ে যাচ্ছে বহুদূর। পাশের বাড়ির ফারুকরা নিশ্চয় গন্ধ পায়। ওরাও তো রোজা থাকবে।

'দাদু ভাআআই ?'
'জ্বি দাদা !' নিহাল ভেবে পাইনা। এই আলোই দাদা তাকে চিনলো কিভাবে !
সেহেরি খাইছো ?
না দাদা। খাবো। গোশত দিয়ে খাবো।
রোজা থাকতে পারবা তো ?
পারবো দাদা।
এখন কোথায় যাও।
ফারুকের বাড়িতে। খাসির গোশত দিতে। সেহেরি করবে ....
দাদু ভাই ?
জ্বি দাদা!
গোশত দিয়ে এসে একটু আমার কাছে আসবা ।
আচ্ছা। কেন দাদা ?
মাথায় হাত বুলায়ে দিবো।

দাদা নিহালের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। কাল থেকে রোজা। কিছুক্ষন পর আজান হবে। ভোর হবে। আলোকিত হবে চারিদিক।



ছবিঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ধন্যবাদ সোহেল ভাই।
আমার এখনো রমজানের প্রস্তুতি নেয়া হয়নি। কোথায় জানি ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রি হচ্ছে।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

বড় দাদা বলেছেন: জীবনমুখী গল্প।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ধন্যবাদ বড় দাদা।
এই রমজানে সবার প্রস্তুতি চলছে।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

আমার মনে আছে আব্বা সেদিন ১ কেজি খাসির গোশত কিনেছিলেন। আমি রোজা ছিলাম। ইফতারে রুটি আর শাক ঘন্ট খেতে চেয়েছিলাম।


ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ছোটবেলায় আমার একটা ভূল ধারণা ছিলো তা হলো, সেহেরী মানে পোলাও, পরে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

এখন অনেকেই সেহেরী পার্টি করে। সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে। সেহেরি নাইট !

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- রমজানের প্রস্তুতিতে আল্লাহর কাছে রমজান পর্যন্ত হায়াত চাইতে হবে, আর প্রস্তুতিমূলক রোজা রাখতে হবে। বাকি প্রস্তুতিগুলি মেকি, বাস্তবে তেমনটা হয় না।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি আমাদের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছি মাত্র।

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

দারাশিকো বলেছেন: প্রায় একই শিরোনামে একটা পোস্ট লিখছিলাম, আপনার পোস্টের শিরোনাম দেখে ভয় পেয়ে গেছিলাম ;)

অসাধারণ পোস্ট হয়েছে। আমি এইরকম লিখতে পারি না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রমজান পর্যন্ত হায়াত দিক আর ভালোভাবে রমজান পালন করতে সাহায্য করুক। আমিন।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৫১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমরা যেন রমজানের সঠিক প্রস্তুতি নিতে পারি।
আব্দুল করিম দোয়া কুনুত মুখস্থ করে ফেলবে ঠিক করেছে।


মন্তব্যে ধন্যবাদ ক্যাপ্টেন হ্যাডক।

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বাস্তববাদী মানুষ। আপনি আপনার আবেগ কন্টোল করতে পারেন।
আপনার লেখা সুন্দর। একদম ঝরঝরে। যা আমার ভালো লাগে।

রমজান মাস মানে আমার কাছে খাওয়ার মাস। ইফতারীর সময় নানান রকম খাবার সামনে নিয়ে খেতে বসা।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৫৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি বাস্তববাদী নই। সেটা আপনিও জানেন রাজীব ভাই।
আমার লেখা পছন্দ করেন জানি , খুশি হই। আলাদাভাবে ধন্যবাদ দিবো না।


আমি জানি রমজানে প্রচুর খান। নানা পদের ইফতার থাকে।
আপনি ইফতার তৈরিতে ভাবীকে সাহায্য করেন। অনাহারী মানুষের খোঁজ নেন। ইফতার তুলে দেন। এইগুলো ভালো কাজ। প্রতিদান না চাইলেও পাবেন।

ছোট্ট মেয়েটাকে সুন্দর দেখে একটা ছোট জায়নামাজ কিনে দিবেন।


ভালো থাকবেন। রমজানের শুভেচ্ছা।

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: রমজান মানে খাওয়া দাওয়ার উৎসব।সব জিনিসের দাম বেড়ে যায়।আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য একটু বেশী বেশী খায়।শরীফ সাহেবের বাজার করা দেখে বুঝলাম।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

কামাল স্যার ,
সমাজে শরীফ সাহেবের অভাব নেই। অভাব হয়ে যাচ্ছে নিহালদের।
আমি রমজানে আলাদা কিছু করি না। ইফতারে বেশি পদ থাকে না।
যদিও আমি খেতে ভালোবাসি।

ভালো থাকবেন। শ্রদ্ধা রইলো।

৯| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

বিটপি বলেছেন: আপনি শুনলে অবাক হবেন, রমজানে আমার বাজার খরচ কমে যায়। এমনি সময়ে মাসে ৩৫ হাজার টাকার বাজার লাগলেও রমজানে তা ২৫ হাজারে এসে ঠেকে। তবে আমার ঈদের খরচ চোখ কপালে উঠানোর মতঃ
- বউ ও বাচ্চাদের শপিং ১৫ হাজার টাকা
- আমার নিজের শপিং ৫ হাজার টাকা (এর মধ্যে ড্রাইভার, দারোয়ান আর কমোডিটি প্রভাইডারদের টিপসও আছে)
- যাকাত (নিজের ও বউয়ের মিলে প্রায় দেড় লাখ টাকা)
- ফিতরা (আমাদের চার জনের সংসারে প্রায় আড়াই হাজার টাকা।
- ঈদের খাবার দাবার, ঘোরাঘুরি ও দাওয়াত ১০ হাজার টাকা।

গোটা রমজানে আমার খরচ ২৫ হাজার টাকা, আর এক ঈদে খরচ প্রায় পৌনে দুই লাখ টাকা।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
রমজানে আলাদা ভাবে তেমন খরচ হয় না আমার ।
আপনার জাকাত যথাযথ ভাবে বন্টন হয় নিশ্চয়ই ।

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৯

বিটপি বলেছেন: আমার জাকাত নিম্নোক্তভাবে বন্টন হয়ঃ
- গরীব আত্মীয় স্বজনকে ঈদ উপহার (ক্যাশ টাকা)
- যাদের ব্যবসা বাণিজ্য খুব খারাপ চলছে, তাদেরকে নগদ কিছু সহায়তা
- গ্রামের এতিমখানায় দান (আমার মত আরো অনেকে দেয়, এতে মাস তিনেকের খাবার খরচ চলে)
- যারা ধার কর্জে জর্জরিত হয়ে আছে, তাদেরকে দান (যারা ব্যাংক অথবা ক্ষুদ্র ঋণ নেয়, তাদেরকে না)
- যেসব মেয়েদের অর্থাভাবে বিয়ে হচ্ছেনা, তাদের পরিবারে বিয়ের খরচ হিসেবে কিছু টাকা দান (যৌতুকের বিয়ে হলে আমি লোক লাগিয়ে সেই টাকা ফেরত নিয়ে আসি)

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
হ্যাঁ ভালো লাগলো। সবাই যদি যথাযথভাবে যাকাত আদায় করতো তবে অনেক কিছুই পাল্টে যেত। জাকাতের শাড়ি আর লুঙ্গি আমার কাছে বাজে অনুশীলন।

যারা যাকাত দিতে পারেন না তারা যাকাত নেয়ার অধিকার রাখে। তাদের খবর কে রাখে ? তারাও বলে না। কিন্তু ইসলামে পাশে পাশের সবার খবর রাখার কথা বলা কাছে।

অনেক ধন্যবাদ আপনার বন্টন দেখে ভালো লাগলো। আল্লাহ যেন কবুল করেন।

১১| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩১

চারাগাছ বলেছেন:

পোস্ট আর মন্তব্য পড়ে বুঝলাম শেষের অংশে আপনার কথা বলেছেন।

আপনার পোস্ট ভালো লেগেছে।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

হ্যাঁ ফিরে ফিরে আসে।
ধন্যবাদ।

১২| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
১ম দুটি মনে আগেও কোথাও পড়েছি। শেষেরটা ভালো লাগলো।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
হ্যাঁ প্রথম যত ফেসবুকে পড়েছেন।
শেষেরটা আজ নতুন সংযোজন।
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.