নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি \'স্মৃতিকাতরতা \' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার চিকিৎসার প্রয়োজন।

স্বপ্নবাজ সৌরভ

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......

স্বপ্নবাজ সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার সত্যপথিক শাইয়্যান এবং আমাদের হেরে যাওয়ার গল্প ...

০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১




হ্যাঁ গল্পটা হেরে যাওয়ার। অনেক বছর আগে ফেসবুকে খুব একটিভ ছিলাম। ফেসবুককে আমরা অন্যভাবে দেখতাম তখন। সেইসময় আমরা ভেড়ামারা পরিবার নাম একটা উপজেলা কমিউনিটি গ্রূপে যোগদানের প্রধান শর্ত ছিল সদস্য অবশ্যই ভেড়ামারার বাসিন্দা হতে হবে। পরে একটু শিথিল করা হয়।
পরবর্তীতে বিশেষ অনুরোধ আর আলোচনার পর ঠিক করা হয়েছিল ভেড়ামারার বাসিন্দা না হলেও বৌ ছেলেমেয়ে , স্বামী ছেলেমেয়ে এই গ্রূপের সদস্য হতে পারবে। এর বাইরে আমরা আর কোন সদস্য নিতাম না। তবে বিশেষ বিবেচনায় কিছু সদস্য নেয়া হয়েছে তাদের ভেড়ামারার সাথে সম্পৃক্ততা ছিল। একসময় দেখা গেলো 'ভেড়ামারা পরিবার' সবচেয়ে বড় উপজেলা ভিত্তিক গ্রূপ। সেই গ্রূপ থেকে বিভিন্ন রকম কার্যক্রম চালানো হতো।

সেই গ্রূপে সদস্যরা নিয়মিত পোস্ট দিতো। নিয়মিত ভেড়ামারা বিষয়ক পোস্ট আর ছবিতে সরগরম থাকতো আমাদের গ্রূপটা।
একদিন একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম ব্রিজ থেকে তোলা স্টেশনের একাংশের ছবি। আমাদের একজন এডমিন রাকিব হাসান বলল ছবিটা রি এডিট করতে। কারণ রেললাইনে অনেক নোংরা দেখে যাচ্ছিলো। বাস্তবে প্রয়োজনে আমরা হাত লাগাবো।

আমি ছবিটা ফটো শপে পরিষ্কার করে দিলাম। এবং পোস্ট করে বললাম ,
পরিস্কার করে দিলাম!! খরচ কে দিবে?? :D এইবার ফটোশপ নয়, ঝাড়ু ধরার সময়!! কে কে আছেন??

সেই থেকেই শুরু। গ্রূপের সাধারণ আলোচনা চলতে চলতে একসময় খেয়াল করলাম আমার একটা উদ্যোগের সামনে দাঁড়িয়ে গেছি।

ঠিক করলাম , কিবোর্ড ছেড়ে ঝাটা ধরবো, মাউসের বদলে ময়লা ফেলার ঝুড়ি!! গ্রূপ থেকে একটা ইভেন্ট খোলা হলো - প্রানের শহরের পরিচ্ছন্নতা.....
নামটা আমারই দেয়া। এইসব নামটাম , স্মৃতিচারণ আর আবেগময় উদ্যমী লেখার জন্য আমাকে এডমিন বানানো হয়েছিল।

আসতে থাকে একের পর এক পোস্ট, অনেকেই ভাবলো এটা সামান্য ফেসবুকীয় আস্ফালন!! কিন্তু আমরা চাই এই সামান্য ফেসবুকীয় আস্ফালন টা বাস্তবে প্রতিফলিত হোক।

ইভেন্টের দিন ঠিক করা হলো ঈদুল আযাহা'র পরের দিন ,
২৮ই অক্টোবর ২০১২।


আমাদের মূল উদ্দেশ্য সমূহকে বুকে আঁকড়ে ধরে এগিয়ে গেলাম------
১. সবাইকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন করা ।
২. সবাইকে অপরিচ্ছন্নতার ক্ষতিকর দিক গুলোর বিষয়ে অবগত করা ।
৩. সবার মধ্যে এমন ভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা যেন সবাই নিজেকে অপরিস্কার করা থেকে বিরত রাখে।
৪. নিরধারিত স্থান গুলোতে ডাস্টবীন বসানোর ব্যবস্থা করা ।
৫. এই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান দীর্ঘ্ মেয়াদী করা, যাতে করে বিষয়টি সবার কাছে কিছু ছেলে- পেলের হঠাৎ খেয়ালে করা একটা বিষয় হয়ে না দাঁড়ায় ।
৬. কোরবানীর ঈদ-কে সামনে রেখে এই সময়ে কোরবানীর বর্জ্য তৈরী হয় তা নিয়ন্ত্রণের ব্যপারে গণ সচেতনতা বৃদ্ধি করা ।
৭. স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রীয় ভাবে জড়িত করা ।
৮. স্থানীয় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের সক্রীয় ভাবে জড়িত করা ।
৯. বিভিন্ন মাধ্যমে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক প্রচারনা অব্যহত রাখা ।
১০. মূল কথাঃ সমগ্র ভেড়ামারায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক একটা অলোড়ন আমি আবার লিখছি একটা আলোড়ন সৃষ্টি করা ।


একটি ইভেন্টের জন্য চাই পর্যাপ্ত বাজেট, আমরা বিশ্বাস করি ভালো কাজে কোন বাঁধায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, আমাদের ১৫০০ সদস্যের পরিবার সকল প্রতিকুলতা পেরতে সক্ষম! নাহ যতটা সহজ ভেবেছিলাম, ততোটা নয়--- কেউ কেউ বিদ্রপের হাসি হাসল কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলো। সব কিছু ছাপিয়ে আমরা মুখ থুবড়ে পরলাম বিশাল বাজেটের কাছে !!

প্রবাসী কিছু সদস্য এগিয়ে এলো। শুরু হলো আমাদের ফান্ড কালেকশন। আমাদের পকেটের টাকা নিয়ে এগিয়ে এলাম।
লিফলেট ছাপানো হলো প্রচুর যার শেষের লাইনটা ছিল -
"দয়া করে এই লিফলেট টি যত্রত্ত্র ফেলে নোংরা করবেন না। একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। এখান থেকেই শুরু হোক আপনার পরিচ্ছন্নতা অভিযান"
ভেড়ামারা এবং এর আশেপাশের প্রতিটা ঈদগাহতে ইমাম সাহেব বয়ানে আমাদের উদ্যোগের কথা বললেন এবং সামিল হতে অনুরোধ করলেন।
প্রতিটি ঈদগাহতে নামাজ শেষে লিফলেট বিতরণ করা হলো।
হ্যাঁ অবাক হলেও সত্যি, ঈদগাহের মানুষ লিফলেট টা রাস্তা ফেলেনি ! নিয়ে গেছে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য ! আমাদের পরবর্তী কর্ম প্রেরণা ওখান থেকেই ....


প্রানের শহরের পরিচ্ছন্নতা....
২৮ই অক্টোবর ২০১২, ঈদের পরের দিন।

চরম অপেক্ষা, উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠার একটা দিন। আমাদের প্রধান ইভেন্ট। ঈদের পরের দিন , ভেবেছিলাম আশানুরুপ সদস্য পাবোনা। সবাই হয়তো সবাই ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত থাকবে। না, প্রাণের শহরের তাগিদে ঘুরাঘুরি তুচ্ছ হলো আমরা করবো জয়ের মিছিলে, ৯০ জন সদস্য সকাল ৯টার মধ্যেই হাজির, ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের সামনে! আমাদের ইভেন্ট শুরু সকাল ৯টা থেকেই...
সদস্য ছাড়িয়ে গেল ৪০০ এর উপরে আমাদের টিশার্ট ছিল২০০ টা। মানুষজন এভাবে অংশ নেবে ভাবি নি।


যে পিঠে স্কুল ব্যাগ ঝুলিয়ে হেটে গিয়েছি স্মৃতির শহরের পথ ধরে, আজ সে পিঠেই তুলে নিয়েছিলাম ময়লার ঝোলা...... প্রানের শহরের পরিচ্ছন্নতার মিছিলে। আমরা ছুটেছিলাম সেই স্বপ্নের খোঁজে, যা ভাবতে শেখাবে আমাদের শহর কে নিয়ে। আমাদের দ্বায়িত্ববোধ আর সচেতনতা পৌঁছে দেবে রুপকথার শহরের খুব কাছাকাছি, যেই শহরের নাম দিয়েছি আমরা 'স্বপ্নের ভেড়ামারা'।

গল্পটা তেমনি হবার কথা ছিল। দুটা ইভেন্ট করেছিলাম। এলাকার মানুষের সমর্থন পেয়েছিলাম।
দুটো সফল ইভেণ্ট করেছিলাম, প্রতিক্রিয়াশীল ইভেণ্ট। বাজারে দোকানদাররা নিজ উদ্যোগে তাদের আশে পাশের রাস্তা পরিস্কার রাখতে শুরু করেছিল । এখানে ওখানে ময়লা না ফেলতে সবাইকে অনুপ্রানিত করলো আমাদের সাথে।
এর পরেও আমাদের থেমে যেতে হলো। যাদের থাকার কথা তাদের পাশে না পেয়ে। স্থানীয় এডমিনেস্টেশন শেষ এগিয়ে আসেনি। সুবিধা পায়নি কোন। বাজেটের ঘাটতি ছিল। আমার ছিলাম বেকার। নিজ খরচে এতো কিছু সম্ভব হলোনা। প্রাণ আরএফএল ছোট ছোট অনেক গুলো ডাস্টবিন দিয়েছিলো। ঐগুলো আমরা প্রতিটি স্কুল মাদ্রাসায় বিতরণ করলাম। বিতরণ করলো তথ্য মন্ত্রী হাসনানুল হোক ইনু। মন্ত্রী ইনু সাহেব আমাদের একটা ইভেন্ট উদ্ভোধন করেছিলেন।

বাজারের মানুষের দাবি ছিল অনেক গুলো ডাস্টবিন স্থাপনের। আমরা প্ৰশাসনকে বলেছিলাম। আমার কোন সাহায্য পেলাম না। তারা চাইলেই একটা ব্যবস্থা করতে পারতেন। মানুষ সচেতন হয়েছিল কিন্তু শেষ মেশ কোন কিছুই হলোনা।

মূলত আমরা থেমে গিয়েছিলাম। থেমে গিয়েছিলাম বলেই হেরে গিয়েছি!




ব্লগার সত্যপথিক শাইয়্যান এবং আমাদের হেরে যাওয়ার গল্প। শিরোনাম ছিল এটাই। শাইয়্যান ভাই দারুন একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার পোস্ট দেখে আমাদের ইভেন্ট আর উদ্যোগের কথা মনে হলো। একটা বুকে চাপা আক্ষেপের কথা মনে হলো। ব্লগে এবং পরিবচিতদের মধ্যে আমি স্বপ্নবাজ নাম পরিচিত। আজ একটা স্বপ্নভঙ্গের কথা বললাম। যেটা নিয়মিত পীড়া দেয়। স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট ভয়ঙ্কর কষ্ট।



গলি চেনাবে রাজপথ....
আমাদের ভেড়ামারা পরিবার : একটি স্বপ্ন পূরনের গল্প...

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

চারাগাছ বলেছেন:
স্বপ্ন সফল হবে ধরে নিলে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রনা বেশি অনুভূত হয়। আপনাদের উদ্যোগটা ভালো ছিল। আপনার মত কি অন্যদেরো কষ্ট অনুভূত হয় ?

১০ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হ্যাঁ অন্যদের কমবেশী কষ্ট অনুভূত হয়।
এখন অনেকেই বড় বড় স্বপ্ন দেখছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ছিল ছেলেমানুষী স্বপ্ন।

আপনার মন্তব্যটা মনে ধরেছে।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভালো উদ্যোগ ছিলো,এটা ভবিষ্যৎ'এ অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে।

ঈদের পর বিধায় কোরবানীর বর্জ্যে হাত লাগালে, ব্যাপারটা সহজ দাড়াতো বোধহয়।

১০ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমাদের পরে জুনিয়ররা কয়েকবার অভিযান চালিয়েছিল।
এই বিষয়ে যথাযত সহযোগিতা প্রয়োজন। সেটা পাওয়া যায়নি।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: একদিন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ হবে ।

১০ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
তেমন উদ্যোগ নিলে আমাকে ডাকবেন।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইশ এমন যদি হত বাংলাদেশ পরিচ্ছন্ন হয়ে যেত সবার আন্তরিকতায়

১০ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
হবে। আমি আশাবাদী।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ঐসব কর্মকান্ড মাত্র দুটি ইভেন্ট পরেই বন্ধ হয়ে গেলো কেনো?

১০ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
পরবর্তীতে একটা পোষ্ট দিবো ভাবছি।

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



খারাপ নয়, উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো।

১০ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: কয়েক বছর কার্যকরী ছিল।
আসলের প্রশাজনের ব্যবস্থাপনা ভালো ছিল না। পৌরসভার ময়লা ফেলার স্থান নির্ধারিত ছিল না। হিসনা নদীর পাশে ময়লা ফেলতো। এমনিতে নদী দখল মুক্ত করতে আমরা সচেতনতা চালিয়েছিলাম।

পরিচ্ছন্নতা বিষয় উদ্যাগটা দারুণ আলোড়ন তুলেছিলো।
দোকানীরা দোকানের সামনে ময়লার ঝুড়ি রাখতো। ঝুড়ি ছিল দুই ধরনের।
রেলস্টেশনের এক পাশে মানুষজন প্রস্রাব করতো। হাটার উপায় ছিলনা। আমাদের উদ্যোগে আর মানূষের সহযোগিতায় ওখানে ফুলের বাগান করা হয়েছিল।
যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে ছবি তুলতো।

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা অনেক কিছুই শুরু করি কিন্তু চলমান রাখি না।কেবল আওয়ামী লীগ আর বিএনপি চলমান আছে।

১০ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমাদের উদ্যোগটা চলমান রাখা উচিত ছিল।
হয়তো আবার শুরু হবে।

৮| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৫৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনার উদ্যোগটা মহৎ ছিলো। কিছু দিনের জন্যে হলেও আপনি সবাইকে সচেতন করতে পেরেছিলেন।


আমার উদ্দেশ্যটা আসলে ভিন্ন। আমি মনে করি, মানুষকে বলার আগে নিজে আগে কোন কাজ করে নেওয়া ভালো। তারপরে, মানুষ যদি দেখে দেখে শিখে তাহলে ভালো। নাহলে, সমস্যা নাই। আমি আমার কাজ করে যাবো, মানুষ মানুষের কাজ।

একদিন কেউ না কেউ আমাকে অনুসরণ করবেই, যদি আমি সত্যি ভালো কোন কাজ করে থাকি।

আপনার উদ্যোগের জন্যে শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১১ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমরা বলে বেড়াইনি আমরা নিজেরাই পরিষ্কার করে তারপর পরিস্কার রাখতে সচেতন করেছি।
সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে আজ আমাদের স্বপ্ন সফল হতো।


আপনার জন্য শুভকামনা।

৯| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

দারাশিকো বলেছেন: আপনার এই মহৎ উদ্যোগের গল্পটা নাহয় বারবার বলবেন। দেখবেন কেউ না কেউ ঠিক নতুন করে উৎসাহী হবে।

ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট।

১০ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ইভেন্টের পরবর্তী সময় নিয়ে পোষ্ট দিবো। আমাদের নিয়ে বিটিভিতে একটা সংবাদ হয়েছিল।

১০| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩

বিটপি বলেছেন: ভেড়ামারা স্টেশনটাকে কি বাস্তবে পরিষ্কার করেছিলেন?

১১ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
শুধু রেলস্টেশন নয় বাস স্টেশন সহ পুরো ভেড়ামারায় পরিষ্কার করেছিলাম।
স্টেশন পরিস্কারের কিছু অংশের ছবি। আমাদের স্টেশন মাস্টার সহ অপেক্ষামান যাত্রীটা নেমে পড়েছিল সেদিন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:১৮

বিটপি বলেছেন: আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছে ভেড়ামারা যাই। ওখানে কি কোন পর্যটন আকর্ষণ আছে?

১২ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ছবিগুলো অনেক আগের। সেই পরিচ্ছন্নতা আর নেই।
ভেড়ামারাতে দেখার মত তেমন কিছু নেই। তবে পদ্মার আশেপাশের পরিবেশ বেশ সুন্দর। নদীর ধার ঘেঁষে পার্ক । একটা বেশ ভালো পিকনিক স্পর্ট আছে। তাছাড়া রিসোর্ট করার প্ল্যান হচ্ছে। পাশেই রুপপুর। ওখানে পারমানিবিক প্রকল্পের কাজ চলছে। রাশানরা নিয়মিত ভেড়ামারতে আছে। পার্কে সময় দেয়। স্প্রিডবোর্ডে ঘরে। পরিবশেষটা ভালো।

এমনিতে ভেড়ামারা বেশ সবুজ। জিকে ক্যানেলের আশেপাশের পরিবেশ বেশ মনোরম।



ভেড়ামারা থেকে লালন শাহের মাজার , রবীন্দ্রনাথের কুঠি বাড়ি যেতে পারেন।

১২| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮

শায়মা বলেছেন: আমাকে রিকোয়েস্ট করেছিলে এই পোস্ট দেখার জন্য কিন্তু আমি এত সিক হয়ে পড়েছিলাম যে কিছু লিখতে পারিনি। হ্যাঁ ভাইয়া আমি জানি অনেক কিছুই করতে পারে অনেকেই কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেটা কঠিনও।

তাই তুমি হেরে গেলে।

কিন্তু আমি হার না মানা মানুষ। যা করতে চাই তার শেষ না দেখে আমি থামি না।
আমি জানি এমন কাজে হুজুগে মানুষ তোমাকে কিছুদিন সহায়তা করবে কিন্তু টাকা পয়সা বা খরচের সময় পিঠ টান দেবে। কারণ এই সকল প্রসেস একটি সুদূর প্রসারী স্বপ্নের বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা।

থেমে যাওয়া ঠিক হয়নি।

লেগেই থাকতে। কাউকে কাউকে তো বেশি পরিশ্রমী হতেই হয়। আর লেগে থাকাই যে কোনো কাজের সফল সার্থকতার মূল উপায়।

১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমাদের লেগে থাকা উচিত ছিল।
ধন্যবাদ সায়মা আপু।

১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আমার দেখাদেখি এখন আমার বাড়ির পাশের দোকানটি রোজ দিন শেষে ময়লা পরিস্কার করছে!!!

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
হ্যাঁ , এমনটাই হবে।
আমার ছেলে রেস্টুরেন্টে গেলে টিস্যু কখনো নিচে ফেলে না। সোজা গিয়ে বিনে রেখে আসে।

আমাদের এলাকায় ময়লা ফেলে জায়গার অভাব ছিল। দোকানিরা নিজেরা ছোট ছোট ঝুড়িতে ময়লা ফেলতো। আমরা চেয়েছিলাম কিছু দোকান পর পর বড় সাইজের ডাস্টবিন দিতে। সেটা আমরা পারিনি।
তবে নিজ উদ্যোগে কিছু মানুষ রেলওয়ে স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম চকচকে রেখেছিলো। দুইপাশে বাগান করেছিল।

ভালো কাজ করতে গেলে অনেক রকম বাধার প্রতিবন্ধকতা আসে। সেটা আরেক গল্প। আপনার জন্য শুভকামনা।

১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট ভয়ঙ্কর কষ্ট" - ঠিক!
"থেমে যাওয়া ঠিক হয়নি" - শায়মা'র এ মন্তব্যটিও ঠিক।
আপনি কি ভেড়ামারাতেই এখনো থাকেন?
এমন চমৎকার একটা উদ্যোগ মাঝপথে থেমে গেল বলে খারাপ লাগছে, কিন্তু আপনি অনেক কম বয়সে বেশ বড় একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং সেটাকে অনেকদূর এগিয়েও নিয়েছিলেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন না জানিয়ে পারছি না। ধন্যবাদ, অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা!
"খারাপ নয়, উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো" - সোনাগাজী এর এ কথাটার সাথে একমত।
পোস্টে নবম প্লাস। + +

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:১০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
কিছু লোক আমাদের 'ময়লা কমিটি' নাম দিয়েছিলো।
তাতে কি। চুপচাপ বসে থাকার চেয়ে আমরা একটু নড়াচড়া করেছি। এই নড়াচড়া অব্যাহত থাকলে গল্পটা অন্যরকম হতো।
এখন পৌরসভা নিজ দায়িত্বে কিছুটা কাজ করছে। তাদের সেই কাজটা আমাদের সময় হলে অংকে দূর এগুনো যেত।
তবে হ্যা ভেড়ারামার মানুষ আমাদের ভুলিনি।
অনেকদিন পর পর ভেড়ামারা যায়। দেখা হলে অনেকেই বলে তোমাদের আবার প্রোগাম কবে ?
শুনে বুকে আনচান করে। ১০ বছর আগে হয়তো অন্যরকম ছিলাম।
মাঝে মাঝে বাড়ি গেলে স্টেশনে বসে থাকি। পোস্টারে পোস্টারে জর্জরিত এলাকা। কিন্তু আমাদের প্রকল্পের দুই বছরে স্টেশনে কোন পোস্টের লাগে নি।
বলা যেতে পারে মানুষের সচেনতা পোস্টের লাগাতে দেয়নি।

ভেড়ামারায় তখন বেশিরভাগ দোকানের সাথে ছোট ঝুড়ি রাখতো। কলা বিক্রেতার পাশে কলার খোসা ফেলার ঝুড়ি থাকতো। মুড়ি ওয়ালার সাথে কাগজ ফেলার ঝুড়ি। ষ্টেশন আর রেললাইন একসময় কাগজে নোংরা থাকতো কিন্তু আমাদের ইভেন্টের পর থেকে থাকতো পরিষ্কার।


ভালো থাকবেন আপনি। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.