নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবোল তাবোল....... এলোমেলো~~~~

ভাল পাঠক হলেও নিজে কিছু লিখতে পারি না,মনের ভাবটা তাই ঠিকমত প্রকাশ করতে পারিনা.......

ShusthoChinta

ব্যাক এগেইন!

ShusthoChinta › বিস্তারিত পোস্টঃ

চট্রগ্রামে মার্কিন নৌঘাটিঃ বাঁধা দেওয়া কি একবারেই অসম্ভব? বিকল্প কি একেবারেই নেই?

০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ২:০২

আমেরিকানরা সসৈন্য আসছে আমাদের দেশে ঘাটি গাঁড়ার জন্য,এটা এখন টক অব দা কান্ট্রি। এই অবস্থায় একটা জিনিস আমাকে খুব অবাক করছে,সেটা হল,আমাদের জনগণ অন্ততপক্ষে শিক্ষিত সচেতন গোষ্ঠির পক্ষ থেকে যতটুকু প্রতিবাদ বা বিরোধীতা আশা করেছিলাম তার খুব অল্পই বাস্তবায়িত হতে দেখলাম। উল্টা প্রায় অধিকাংশের ই মনোভাব এমনঃ "ধর্ষনটা নিশ্চিত হলে উপভোগ করাটাই শ্রেয়"! কিন্তু আমরা ধর্ষিত হওয়ার ফলাফল বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াটা বেমালুম ভুলে থাকছি!!! যত বিশেষজ্ঞ যত যাই বলুন না কেন আমি ভালোভাবেই অনুভব করতে পারছি যে, জাতি হিসেবে আমাদের যা অবস্থা তাতে আমেরিকানদের দেশে ঘাটি গাড়তে দিলে পাকিস্তানের ভাগ্য বরণ ছাড়া আর কিছু হবে না! যদিও জানি মার্কিনিরা আজ হোক আর দুদিন পর হোক আমাদের দেশে আসতে চাইলে আসবেই,নিজস্ব শক্তিতে বাঁধা দিয়ে পারবো না আমরা। কিন্তু বাধা দেওয়াটা কি একেবারেই অসম্ভব? বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে অন্তত এশিয়ার পারস্পেকটিভে এটা অসম্ভব নয়,বরং আমাদের পক্ষে খুব করেই সম্ভব। উদীয়মান পরাশক্তি,স্বাধীনতার পর হতেই আমাদের সহযোগী চীনের সহযোগীতায় সেটা সম্ভব,আর এটা শুধু আমাদের স্বার্থরক্ষার জন্য নয়,চীন নিজের স্বার্থেই পরিপূর্ণভাবে আমাদের সহযোগীতা করবে। কিন্তু আমরা কি এই কাজটা মানে চীনের সহযোগীতা কাজে লাগাতে পারবো? এটাই দেশপ্রেমিক সচেতন মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ভারত বা আমেরিকানদের যে পরিমাণ দালাল আমাদের দেশে আছে তাতে চীন মোটেও পাত্তা পাওয়ার কথা না আমাদের দেশে,পাত্তা পেতে দেবে না আমাদের দেশের মার্কিন মাসোহরা খাওয়া বুদ্ধীজীবিসমাজ আর নোংরা স্বার্থবাজ রাজনীতিকের দল! আমাদের এই সুশীলের দল সময়ে অসময়ে সবসময় ই আমেরকানদের কাছে ধর্ণা দিয়ে অভ্যস্ত,আমেরিকানদের উচ্ছিষ্টের স্বাদ তাদের কাছে অমৃতের সমান! তাই তারা মার্কিন নেমকের গুন গাইতে গিয়ে মার্কিন ঘাটি গাঁড়ার পক্ষে জানপ্রাণ দিয়ে খাটবে এটাই ভবিতব্য। অথচ চীনের দ্বারা আমাদের স্বার্থ সংরক্ষিত হওয়াটাই সবচেয়ে নিরাপদ,কারণ চীনের সাথে আমাদের ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিরোধ বা সংঘাতের সম্ভাবনা একেবারে শুন্যের কোঠায়,চীনের সাথে যদি আমরা সম্পর্ক জোরদার করি সেই সম্পর্ক হবে শুধুই সামরিক আর অর্থনৈতিক। আর বিপরীতে আমেরিকা বা ভারত যাদের সাথেই আমরা সম্পর্ক করতে যাই ধর্মীয় পরিচয়টা আমাদের সমস্যা করবেই,আমরা অনেকে আমাদের ধর্মীয় পরিচয়টা ভুলে যেতে পারলেও আমাদের মধ্যকারই সবাই যেমন সেটা পারবেনা,তেমনি আমেরিকানরাও আমাদের মুসলিম পরিচয় ভুলবেনা,গ্যারান্টি দিচ্ছি! ফলাফল? সহজেই অনুমেয়। আরেকটা কথা আমরা ভালোভাবেই জানি আমেরিকানরা যাদের বন্ধু তাদের শত্রুর কোন দরকার নেই,এটা মুসলমানদের জন্য আরো বেশি সত্য। অনেকেই জাপান কোরিয়ার উদাহরণ দিচ্ছেন,যদিও আমি মনে করি না তাদের উন্নতির পেছনে আমেরিকানদের সামরিক উপস্থিতির কোন প্রভাব আছে। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই আমেরিকান সৈন্যরাই তাদের উন্নতির শিখরে তুলে দিয়েছে,কিন্তু তারপরও তাদের সাথে আমাদের তুলনা চলে না,কারণ ঐযে বললাম,ভুলি বা মনে রাখি আমাদের দেশটা মুসলিম প্রধান দেশ! আমেরিকা চীনকে শায়েস্তা করার জন্য আমাদের দেশে ঢুকলেও,সেটাই তাদের একমাত্র কাজ হয়ে থাকবেনা! আমাদের দেশটা জাপান না যে অভ্যন্তরীন বিষয়ে আমেরিকানরা নাক গলানোর প্রয়োজন বোধ করবে না,মুসলিমপ্রধান হওয়ায় সবসময়ে একটা চোখ তারা অভ্যন্তরীন পরিস্থিতির উপর রাখবেই। আর আমাদের দেশের উগ্রপন্থীদের কথা ভুলে গেলেও চলবে না,এরা কোনক্রমেই মার্কিন উপস্থীতি মেনে নেবে না,বরং প্রোটেস্ট করবেই! সেই প্রোটেস্টটাই যদি মার্কিন সৈন্যদের উপর বোমা হামলার পর্যায়ে যায় তাহলে কি হতে পারে চিন্তা করে দেখেছেন? সেই পাকিস্তান!!! এরপরও মার্কিন ঘাঁটির পক্ষে সাফাই গাইবেন???



বিপরীত দিকে চীনের সাথে সম্পর্কটাকে ঐ পর্যায়ে নিয়ে গেলে এই সমস্ত অন্তর্ঘাতি সমস্যা তো হওয়ার প্রশ্ন আসেই না,বরং আমরা আমেরিকাকে এড়িয়েও যেতে পারবো প্লাস ভারতকে ভালোভাবে ট্যাকল দিতে পারবো।

এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে,আমরা আমেরিকানদের হাতে ধর্ষিত হবো না কি ধর্ষন থেকে বাঁচার জন্য চীনকে বড়ভাই হিসেবে পাশে চাইবো। যেখানে এই ধর্ষিত হওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বাদ দিলেও কিছু দেশীয় কুলাংগারের জন্য ধর্ষণটাকে উপভোগ করার ক্ষমতাটাও আমাদের নেই,সেখানে ধর্ষন থেকে বাঁচার জন্য সাহায্যকারী বড় ভাই চীনকে না ডাকাটা বিশাল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে এত কোন সন্দেহ থাকতে পারে না।

বর্তমানে নানা কারণে বেকায়দায় থাকা আওয়ামি সরকার না পারুক,পরবর্তি সরকার দেশের স্বার্থে এই এবং নিজস্ব দলীয় ও দেশীয় বলয় দাঁড় করাতে এই সাহসি পদক্ষেপটা যদি নিতে পারে তো সেট হবে একটা যুগান্তকারী দিক নির্দেশক সিদ্ধান্ত।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ২:৩০

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন: ইরান যদি হইতো দেশটা তাহলে সম্ভব ছিল !!

তাহলে বলেন ? পারমানবীক অথবা অস্থ মজুত কি করবে না মুসলামান দেশ গুলো ? নাকি পশ্চিমা দেশের হাতে বলি হওয়াটা সভ্য জাতির পরিচয় হইবে ?

০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪০

ShusthoChinta বলেছেন: কেন বাংলাদেশ ক্যান পারবেনা? আমেরিকার ভয় আর ভারতপ্রিতিকে দূরে সরি শুধু পরিকল্পনা আর সদিচ্ছা থাকলেই তো চীনকে পাশে পাওয়া সম্ভব,তারপর বাকিটা তো চীনের সহযোগীতায় করবো!

০৩ রা জুন, ২০১২ বিকাল ৩:১৫

ShusthoChinta বলেছেন: ইজ্রাইলের মত দেশের হাতে পারমানবিক অস্ত্র থাকতে পারলে অবশ্য ই মুসলিম দেশগুলোর হাতেও থাকা উচিত,তবে সেটা ভিন্ন প্রসংগ। আমি এখানে বাংলাদেশের নিজস্ব শক্তি ব্যবহার করে আমেরিকাকে বাঁধা দেওয়ার কথা বলিনি,কারণ সেটা অবাস্তব বোকামি,সো নিজস্ব সামরিক শক্তির প্রসংগ এখানে অবান্তর। বরং চীনকে পাশে পেলে এটা সম্ভব সেটাই বলতে চেয়েছি।

২| ০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ২:৩৬

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: বাংলাদেশ পাকিস্তান না হয়ে থাইল্যন্ডের মতও হতে পারে ।

০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪৪

ShusthoChinta বলেছেন: বুঝলাম না,থাইল্যান্ডেও কি মার্কিন ঘাটি আছে নাকি? আমার জানা মতে নাই। যদি থাকতোও তারপরও থাইল্যান্ডের সাথে তুলনা হতে পারে না বাংলাদেশের,কেন হতে পারে না সেটা পোষ্টেই বলেছি! একটু কল্পনা করুন,আমাদের দেশের উগ্রপন্থিরা মার্কিন ঘাটিতে আত্নঘাতী বোমা হামলা চালালো,তারপর মার্কিনীদের একশনটা.....

৩| ০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪৩

সকাল>সন্ধা বলেছেন: চিন ও বাংলাদেশকে সাহয্য কতে নয় প্রভাব খাটাতে আসবে। ফলাফল সুন্য। দুইটাই শয়তান। মুসলমানদের উচিত সমস্ত বিজাতীয়দের অনুষরন ছেড়ে দিয়ে সঠিক ইসলামের পথে আসা তাহলে আল্লাহ্ পাক উনার মদদ পাওয়া যাবে। আর আল্লাহ্ পাক যাকে সাহায্য করে তার আর কারো প্রয়োজন হবেনা।

০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ২:৫৩

ShusthoChinta বলেছেন: মার্কিনীদের মত চীনও অবশ্য ই নিজের স্বার্থেই আসবে, কিন্তু আমাদের দেখতে হবে তাদের সেই স্বার্থপূরণটা আমাদের ক্ষতি না লাভের কারণ হচ্ছে। আমি দুটোর মধ্যে পার্থক্য দেখানোর চেষ্টা করেছি,আমেরিকানরা সারা বিশ্বেই সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে শুধু মুসলমানদের ই টার্গেট করছে,এদিকে আমরাও মুসলমান। তো আমেরিকানরা চীনকে ট্যাকল দেওয়ার জন্য ঘাটি গাঁড়লেও শেষ পর্যন্ত সেটাই শুধু তাদের উদ্দেশ্য থাকবেনা,বরং আমাদের অভ্যন্তরীন ব্যাপারেও নাক গলাতে শুরু করবে।যেমন,যৌথভাবে জঙ্গীবাদ দমনের নামে মূল ভূখন্ডে সেনা পাঠাবে,ফলস্বরুপ পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে চিন্তা করে দেখুন! বিপরীত দিকে চীনের সাথে আমাদের ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সংঘাত ঘটার সম্ভাবনা একেবারেই নেই,শুধুই সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগীতার সম্পর্ক।

৪| ০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪৫

প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ সুস্থ চিন্তা চমৎকার একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য।

আমরা আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছি আমরা ধর্ষিত হচ্ছি।কারন?
কারন আমরা জানি আমাদের নেতারা এমনি স্বার্থপর ও লোভি যে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য অবশ্যই নিজেদের স্বার্থটা আগে দেখবে। সেই হিসেবে কেউই আমেরিকাকে বেজার করতে চাইবে না, আর আমেরিকাও ঠিক এই সুযোগ নিয়ে কিছু নেতার মনের বাসনা পূর্ন করে দিয়ে আমাদের দেশটাকে ধর্ষনের সুযোগ পাবে।

আবার অন্যদিক দিয়ে দেখতে গেলে যে এখনো এক লম্পটের হাতে শুধুই ধর্ষিত হচ্ছে তার কাছে অন্য আরেকজনের কাছে ধর্ষিত হওয়ার মধ্যে কোন তফাত নাই। বর্তমানে ইন্ডীয়ার সাথে আওয়ামিলীগ সরকার মিলে যা করছে তা এখন শ্লীলতাহানির পর্যায়ে আছে, অচিরেই ইন্ডীয়ার হাতে বাংলাদেশ ধর্ষিত হবে এই আশঙ্কা এখন সাধারন মানুষদের মধ্যে। আর তাই যখন তারা আমারিকার কথা শুনলো তারা খুব একটা প্রতিবাদ করার কথা চিন্তা করলো না।

এখন আপনার কথা অনুযায়ী আসি। অবশ্যই আমেরিকা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার এর মত বড় একটি প্ল্যান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে যার একটি মূল শত্রু হচ্ছে ইসলাম। আমি মনে করি আমেরিকার এই সমস্ত কর্মকান্ড অবশ্যই তাদের সুদুরপ্রসারি প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তারা বাংলাদেশে আসলে এদেশের অবশ্তা শিউর পাকিস্থানের মত হতে বাধ্য। একদিক দিয়ে উগ্রপন্থিদের উত্থান হবে, অন্যদিকে হতাশাগ্রস্ত সাধারন নাগরিক যখন দেখবে সাধারন জনগনের কোন লাভ হয় নি, কিছু নেতার মনবাসনা পূর্ন হওয়া ছাড়া তখন হতাশা ক্ষোভ বাড়বে । এভাবেই দেশটা অরাজক এক পরিস্থিতি শিকার হবে।

আবার আমারিকার কথা না শুনলে তারা অন্য প্রকৃয়ায় হয়তো সাউথ সুদানের মত আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামকে আলাদা করে স্বাধীন করে নিজেদের করেও নিতে পারে।

হ্যা অবশ্যই আমাদের প্রথম চয়েজ চীন হওয়া উচিত। চীন যার বন্ধু আজ পর্যন্ত তাকে ঠকতে দেখিনি। আমাদের নিজস্ব চাওয়া পাওয়ার সাথে চীনকে বন্ধু হিসেবে পাওয়ার অনেক লাভ।

কিন্তু এতসব হিসাব নিকাশ করে দেশের কথা চিন্তা করার মত নেতা কই? দেখেন গিয়ে হাসিনা আর খালেদা অলরেডি আমেরিকার সাথে নিলামে বসছে কে কত সুবিধা দিবে, পরিবর্তে পরের বছর আবার ক্ষমতায় আসবে।

০৩ রা জুন, ২০১২ বিকাল ৩:০৪

ShusthoChinta বলেছেন: ভাই,সেই ধর্ষিত যাতে না হই সেজন্য ই তো এলাকার ভাল (বদ বড় ভাই ইন্ডিয়া!) বড় ভাই চীনের শরনাপন্ন হওয়া উচিত! এর মাধ্যমে যেমন আমেরিকাকে এড়ানো সম্ভব হবে তেমনি ভারতকেও ট্যাকল দিতে পারবো ভাল ভাবে। জানি আমাদের দেশের বাস্তবতা সম্পূর্ণ হতাশাজনক,তবুও সম্ভাবনার কথা বলতে তো দোষ নেই। আর আজব ব্যাপার কি জানেন?আমরা বলছি আমেরিকার কাছেই ধর্ষিত হব আমরা,কিন্তু সেটা কি উপভোগ করার ক্ষমতা আছে আমাদের? আমাদের মাথাগুলা তো দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে নিজেদেরটা চিন্তা করবে,মাঝখান থেকে অপ্রস্তুত আমার দেশ শুধু ধর্ষিতই হবে আর কিছু না! আর ধর্ষিত হওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ফলাফল কি চিন্তা করে দেখেছি আমরা? সেটা তো আমাদেরকে পাকিস্তান বানিয়ে দিবে!

০৩ রা জুন, ২০১২ বিকাল ৩:২৬

ShusthoChinta বলেছেন: আমার একটা জিনিস বুঝে আসেনা,বিএনপি ডানপন্থি দল (এমনকি এখন তো ইসলামপন্থিই বলা চলে)হওয়ায় আমেরিকা বা ভারত কখনোই বিএনপির প্রতি সাপোর্ট দেওয়ার কথা চিন্তা করে না বা দেয়ওনি কখনো,তারপরও বিএনপি আমেরিকার দ্বারেই ঘুরছে! কেন চীনের দিকে ঝুকতে সমস্যা কোথায়? এই পরিস্থিতিতে সেটাই তো তাদের দাবার ঘুটি হওয়া উচিত। কিছুদিন আগে দেখলাম উচ্চ পর্যায়ের চীনা প্রতিনিধিদল খালেদার সাথে সেইরকম বৈঠক টৈঠক করলো,ভাবলাম বিএনপি সত্যিই হয়তো চীনা বলয়ে ঢুকতে চাচ্ছে,কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি! এখন বিএনপি যদি সামনের বার ক্ষমতায় আসে তো নিজেদের অস্তিত্ত্ব বাঁচাতে আমেরিকা এবং জঙ্গিবাদ দুইটার তোষণই ছেড়ে চীনের সাথে নিবিড় অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক গড়া উচিত হবে,এটা দেশের জন্যও ভাল হবে এবং বিএনপির অস্তিত্ত্বের জন্যও মঙ্গলজনক হবে।

৫| ০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪৮

অপ্রিয় বলেছেন: আওয়ামি সরকার যতদিন আছে ততদিন এটা হবে না, নিশ্চিন্তে থাকেন। মাইনাস টু হলে অনেক কিছুই হতে পারে।

০৩ রা জুন, ২০১২ বিকাল ৩:১০

ShusthoChinta বলেছেন: কিভাবে নিশ্চিত হলেন আওয়ামিলীগ থাকলে হবে না? একটা বিষয় যেটা হতে পারে সেটা হচ্ছে আওয়ামিলীগের হাতে সময় মাত্র দেড় বছর,এত অল্প সময়ে এটা ঘটার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এরপর আওয়ামিলীগ বিএনপি যেই আসুক তার সময়ে আমেরিকা চাইলে এটা ঘটবে,এখন প্রশ্ন হল তখনকার বিরোধী দল কি এর বিরুদ্ধে চুড়ান্ত আন্দোলন করবে? তখনকার সরকার কি চীনের দিকে ঝুঁকবে? উত্তর যদি পজেটিভ হয় তাহলেই দেশের মঙ্গল,নয়তো.....

৬| ০৩ রা জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৫

শায়মা বলেছেন: হায় হায় ভাইয়া এসব শুনে তো আমার এখন ভয় লাগছে!:(

০৩ রা জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৩১

ShusthoChinta বলেছেন: নাহ্ ভাবলাম তোমার সিরিয়াস রুপটা একটু দেখবো,তা আর হলো না :-/ :-/ :-/ :-/
আচ্ছা তুমি কি বাস্তবেও এইরকম নাকি? তাইলে তোমার দুনিয়া চলে ক্যামনে? :( :( :(

৭| ০৩ রা জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৪৬

অপ্রিয় বলেছেন: @ লেখক, কারন অনেক:

১. আওয়ামীলিগ দেশ স্বাধীনে নেতৃত্ব দিয়েছে, তারা তা টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর।

২. তারা অলরেডি আমেরিকাকে না বলেছে (৯৭ এ ভারতকে গ্যাস সরবরাহ, ইউনুস ইস্যু), তারা আমেরিকাকে না বলার সাহস রাখে

৩. ৭৫ এ মুজিব হত্যায় পরক্ষোভাবেও সিআইএ দায়ী, তারা তাই আমেরিকাকে বন্ধু ভাবলেও বিশ্বাস করে না

৪. আমেরিকা বাংলাদেশে ঘাটি গাড়লে রাষ্ট্রিয় সিদ্ধান্তে জনগনের চাইতে সামরীক জেনারেলদের মতামত বেশী গুরুত্ব পাবে, জনমানুষের দল হিসাবে আওয়ামিলীগ সেটা চায় না।

৫. আওয়ামিলীগের জন্ম রাস্তায়, মিছিলে, ক্যান্টর্নমেন্টে নয়, তাই সামরীক আধিপত্যের আন্তর্জাতিক খেলায় তারা জড়াবেনা এটাই স্বাভাবীক।

০৩ রা জুন, ২০১২ বিকাল ৫:২৮

ShusthoChinta বলেছেন: আমি আপনার কারণগুলোকে উল্টাভাবে বিশ্লেষণ করছি,পাঠকই বেছে নিবেন কোনটা ঠিক। এজন্য আবারআমাকে কোন ট্যাগ দিবেন না আশা করি!
১.আওয়ামীলীগ ই দেশ স্বাধীন করতে নেতৃত্ত্ব দিয়েছে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় ই নাই,কিন্তু স্বাধীনতা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর?? এতে আমার সন্দেহ আছে! স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামিলীগ দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতকে এতটাই ছাড় আর উপহার দিচ্ছে যে সন্দেহ জাগাটা অবশ্যম্ভাবী! দেশের নিরাপত্তা আর সারভৌমত্ত বিঘ্নিত করে ট্রানজিট দেওয়ার পরও বিনিময় দাবি করাটাকে অসভ্যতা বলাটাকে কি বলবেন? সীমান্তে অসংখ্য হত্যা বন্ধ না করার চেষ্টা করে সেটা সরকারের মাথাব্যাথার বিষয় নয় বলাটাকে কি বলা যায়? ফারাক্কার পর আবার টিপাইমুখের সাফাই গাওয়াটা কি দেশপ্রেমের মধ্যে পড়ে? এমন অসংখ্য আছে....
২.অলরেডী না বলেছে? আপনি মিথ্যাচার করলেন! আমেরিকা এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ই দেয়নি,তো না করার প্রশ্ন আসে কোথেকে?
৯৭ এর গ্যাসের ব্যাপারে যতটুকু জানি ঐ সিদ্ধান্ত আন্দোলনের মুখে নিতে বাধ্য হয়েছিল।
আর ইউনুস প্রসংগ? এটা পুরাই নেত্রীর পার্সোনাল আর দলীয় স্বার্থে ঘটেছে! আওয়ামিলীগ ইউনুস বিরোধীতা করে আমেরিকাকে বুঝিয়েছে যে তাদেরকে এই দেশে কারো উপর নির্ভর করতে হলে আওয়ামিলীগের উপর করতে হবে,ইউনুস নয়! আমেরিকাও জিনিসটা বুঝতে পেরে ক্ষ্যান্ত দিয়েছে। আর তাছাড়া নেত্রীর নিজের নোবেল পাওয়ার খায়েশ তো ছিলই,এটা মন্ত্রীদের কথায় ই বুঝা যায়। এখন বলুন তো ইউনুসের সাথে যেসব নোংরামি করা হল তাতে দেশের লাভ হল না ক্ষতি?
৩.মুজিব হত্যার মত জিয়া হত্যায় ও সিআইয়ের হাত আছে বলে বিএনপির অনেকে বিশ্বাস করে,তার মানে কি বিএনপিও মার্কিনবিরোধী বলতে চান? ও আরেকটা কথা,বঙ্গবন্ধুর আদরের নাতি কেন তার নানার হত্যাকারীদের দেশে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বাস করছে বলতে পারেন?
৪.আওয়ামিলীগ যে কতটা জনমানুষের দল তাতো টের পাচ্ছিই বর্তমানে,৭১ থেকে ৭৫ এও টের পেয়েছে মানুষ তাও শুনেছি। তবে এটা ঠিক স্বাধীনতার পূর্বকালে আওয়ামিলীগ জনমানুষের দল ই ছিল,পরের ব্যাপারে একমত নই।
৫.জন্ম যেখানেই হোক কর্ম ভাল হলেই ভাল!

৮| ০৩ রা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০

প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: অপ্রিয় বলেছেন ১. আওয়ামীলিগ দেশ স্বাধীনে নেতৃত্ব দিয়েছে, তারা তা টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর।

৪. আমেরিকা বাংলাদেশে ঘাটি গাড়লে রাষ্ট্রিয় সিদ্ধান্তে জনগনের চাইতে সামরীক জেনারেলদের মতামত বেশী গুরুত্ব পাবে, জনমানুষের দল হিসাবে আওয়ামিলীগ সেটা চায় না।

৫. আওয়ামিলীগের জন্ম রাস্তায়, মিছিলে, ক্যান্টর্নমেন্টে নয়, তাই সামরীক আধিপত্যের আন্তর্জাতিক খেলায় তারা জড়াবেনা এটাই স্বাভাবীক।


যুক্তু শুনে হা হা প গে। অনেক দিন পর এভাবে হাসলাম, মানুষকে কি এখনো হাবাগোবা মনে হয়? =p~ =p~ =p~ =p~

৯| ০৩ রা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৫

অপ্রিয় বলেছেন: @লেখক:

যে জেগে ঘুমায় তাকে জাগানোর চেষ্টা বৃথা, আপনি আমাকে মিথ্যাবাদী বানাতে চাইলে বানাতে পারেন, এটা আপনার ব্লগ, আমি অযথা সময় নষ্ট করতে যাব না। তবুও মনে হয় আপনি দ্বিধায় ভুগছেন, তাই বলি:

১. আওয়মীলিগ কোন ছাড় দেয় নাই, আপনি আওয়ামী বিরোধী অপপ্রচারে বিশ্বাস করছেন। ট্রানজিট সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দেওয়া নয়, সারা ইউরোপেই ট্রানজিট চালু, আপনি কুঁয়োর ব্যাঙ, বাইরের দুনিয়ার দিকে চেয়ে দেখুন। নৌ ট্রানজিট পাকিস্থান আমল থেকে আছে, তাতে সার্বভৌমত্বের কি আসে যায়?

২. "অলরেডি আমেরিকাকে না বলেছে" মানে গ্যাস রপ্তানীতে না বলেছে, নৌ ঘাটির ব্যাপারে না। "৯৭ এর গ্যাসের ব্যাপারে যতটুকু জানি ঐ সিদ্ধান্ত আন্দোলনের মুখে নিতে বাধ্য হয়েছিল" আপনি ভূল জানেন, শুধু আমার দেশ পড়ে জ্ঞান অর্জন করেন নাকি? ভবিষ্যত অন্ধকার তাহলে। আর ইউনুস প্রসংগেও আপনি ভূল জানেন। নোবেল পাবার খায়েশ থাকলে ইউনুস ও হিলারীর সাথে বন্ধুত্ব করলেই তা পাওয়া সহজ, তাদের সাথে শক্ত থেকে নয়। হাসিনা ইউনুস বিরোধের কারন মাইনাস টু তে ইউনুসের কলকাঠী নাড়া।

৩. "জিয়া হত্যায় ও সিআইয়ের হাত আছে বলে বিএনপির অনেকে বিশ্বাস করে" আপনিও তো সেটা বিশ্বাস করেন দেখা যাচ্ছে, জিয়া তো পাকি-সিআইএর কেনা গোলাম ছিল, তাকে ওরা মারবে কেন? যতসব... (অনেক কষ্টে গালী আটকালাম), বিশ্বাস কম করেন, বোঝার চেষ্টা করেন।

৪. ৭১ থেকে ৭৫ দেখেছেন আপনি? এখন আপনার সমস্যা কি? কেউ বন্দি আছে নাকি আত্মিও স্বজন? যুদ্ধঅপরাধী কারাগারে? না কি হাওয়া ভবন কে মিস করছেন?

৫. হ্যা কর্ম ভাল হলেই ভাল, তবে কর্ম ভাল কি না সেটা বোঝার ক্ষমতাও অনেকে রাখেনা, সেটাই আফসোস।

০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ৮:৩১

ShusthoChinta বলেছেন: এতদিন শুনে এসেছি মানুষকে অন্ধ করে,কিন্তু আপনাকে দেখে বুঝতে পারছি দলও মানুষকে অন্ধ করে দেয়,দলান্ধ মানুষ! ধর্মীয় অনুভূতির পাশাপাশী দলীয় নুনুভূতিও দেখি কম শক্তিশালী নয়! শুরুতেই আশা করেছিলাম ট্যাগ দিবেন না আপনি,তারপরও বাজে ভাষায় ট্যাগ করলেন! যাক আমি যুক্তির বাইরে যাবো না,তাই যুক্তি দিয়েই উত্তর দিচ্ছিঃ
১.অপপ্রচারে বিশ্বাস করেছি? কি সে অপপ্রচার? ইন্দিরা মুজিব চুক্তির ফসল ফারাক্কার প্রতিক্রিয়ায় পদ্মার ধু ধু চর কি অপপ্রচারের ফসল? টিপাইমুখ নিয়ে অসংখ্য মিডিয়ায় আপনাদের নেতাদের বক্তব্য কি অপপ্রচার হওয়া সম্ভব? আওয়ামি প্রতিনিধিদল যে টিপাইমুখ পরিদর্শনে গিয়ে দিল্লী থেকে ফিরে এসেছিল সেটা কোন মিডিয়ায় আসেনি বলতে পারেন? সীমান্ত হত্যা নিয়ে সৈয়দ আশরাফের সেই মহান বাণী কোন পত্রিকা বা কোন মিডিয়ায় আসেনি বলতে পারেন? দিপুমনি তো রেগুলার ই বাণী দিচ্ছেন এনিয়ে সেটাও কি উনি মাতাল হয়ে দিচ্ছেন বলতে চান? সেই যে শেখ মুজিব বেরুবাড়ী দিয়ে দিল তার বিনিময়ে তিন বিঘা করিডর কি এখনো পেয়েছি? তিস্তা চুক্তি কোথায়??? বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মিডিয়ায় আসার পর এবং প্রত্যেকটা মানুষ সুস্পষ্টভাবে এগুলো জানার পরও উপরের বিষয়গুলোকে যারা অপপ্রচার বলবে তাদেরকে মানসিক অসুস্থ বলা ছাড়া আর কিছু বলার নেই!
আর ট্রানজিট? আপনারাই না গত টার্মে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ট্রানজিটের বিনিময়ে দেশকে সিংগাপুর বানাবেন,তো এখন ফি তো দূরে থাক মাশুল পর্যন্ত নেওয়াকে আপনাদের রিজভি মশিউর গ্যাং অসভ্যতা বলছে! তাহলে ভারতের দেওয়া পিঠ চাপড়ানি খাইয়ে দেশকে সিংগাপুর বানাবেন? কুয়ার ব্যাঙ কারে কন মিঃ দলান্ধ? ইউরোপের ট্রানজিট এক দেশের মধ্য দিয়ে আরেক দেশে যায়,ভারতের মত একি দেশে যায়না,আর সেই ট্রানজিট ফ্রি দেওয়া হয়না,যথারীতি ফি,মাশুল,সারচার্জ ঠিকমত আদায় করা হয়!
২.নৌঘাটির ব্যাপারে যে বলেননি সেটা বুঝা যায়নি আপনার কমেন্টে। আর ৯৭ এ গ্যাস না দেওয়ার পেছনে অবশ্য ই আন্দোলনের ভূমিকা ছিল,আমার নিজের ই মোটামুটি মনে আছে,মিডিয়া রেফারেন্সের দরকার নাই। আর কারে কি কন? আমার দেশ তো মাসেও একবার পড়া হয় না,পড়ি তো প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার! তবে আমার মতে বিরোধী দলের পত্রিকা হিসেবে আমার দেশ পড়া উচিত,কারণ সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে মাঝে মাঝে পিলে চমকানো খবরও থাকে এতে,এমনি এমনি তো আর আপনারা মাহমুদুর রহমানরে ডান্ডা বেড়ি পড়িয়ে আমার দেশ বন্ধ করে দেননি ক্ষমতায় আসার কয়দিন পরে!
২.হাসিনার নোবেল খায়েশ সম্পর্কে ভালোই ধারণা পাওয়া যায়,যখন আপনাদের মন্ত্রীরা বলে ইউনুস নয়,পার্বত্য শান্তিচুক্তির জন্য হাসিনার নোবেল পাওয়া উচিত। আর আপনার কথামতোই মাইনাস টুর ব্যাপারটাতে স্পষ্ট ই বুঝা যাচ্ছে এটা হাসিনার ব্যক্তিগত আক্রোশ,কারণ মাইনাসটা হতো কে,হাসিনাই তো?
৩.মুজিব জিয়া কারো হত্যাকারী নিয়েই আমার বলার কিছুনাই,আপনি বলছেন মুজিবরে সিআইএ মারছে,বিম্পি কয় জিয়ারেও মারছে,এখানে আমি খালি উদ্ধৃতি দিলাম। জাতীর নাতির আম্রিকাবাসের কথা তো কিছু কৈলেন না,নাকি সেইডাও অপপ্রচার?
৩.৭১-৭৫ দেখিনাই,বাট ইতিহাসে পড়েছি,ইতিহাস তো খালি আপনারাই লেখেন না অনেকেই লেখে,নাকি খালি আওয়ামি ইতিহাস পড়ার ফতোয়া দিবেন? রক্ষিবাহীনি,বাকশাল আর দূর্ভিক্ষের ঘটনাকে উড়িয়ে দিতে চান? পারবেন না! সেসময়কার আমাদের দেশের ইত্তেফাকস কয়েকটা পত্রিকা আর বৃটেন আর আমেরিকার পত্রিকাগুলোর এসংক্রান্ত রিপোর্টগুলো পড়েই জেনেছি। আর ওগুলো না পড়লেও শুধু মা বাবা দাদা দাদীর কাছে যা শুনেছি তাই বিশ্বাস করার জন্য যথেষ্ট ছিল! আপনার বুঝি দৃঢ় বিশ্বাস যে,যারা আওয়ামি বিরোধী তাদের সবার আত্নীয় স্বজনের মধ্যে অবশ্য ই রাজাকার আছে,তাই না? আপনাকে নিশ্চিত করছি আমার বংশে কোন রাজাকার নাই,এখন আপনার নেত্রীকে নিশ্চিত করতে বলুন তার বেয়াই রাজাকার নয়!
আওয়ামিবিরোধী সবাই হাওয়া ভবন পেইড তাই না? সেই বুশের নীতি,আমাদের সমর্থন না করলেই আপনি সন্ত্রাসবাদী!
আপনার জন্য উপদেশ,আওয়ামিলীগার না হয়ে মানুষ হওয়ার চেষ্টা করুন,তাইলে মানুষ আর গালি দিবে না "মানুষ না আমিলীগ"?
ও আরেকটা কথা,স্বাধীনতার পর থেকে আপনারা দুই দল,বিম্পি আর লীগ দেশটা শাসন করে আসছেন,তো আপনার কথামত আওয়ামিলীগ যদি জনগণের দলই হতো তাইলে স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরও আজ বাংলাদেশের এই দশা থাকতোনা! বিম্পিকে সব দোষ দিবেন তো? বিম্পি বা লীগ কেউই হাওয়া থেকে উড়ে আসেনি,সো কেউই দুধে ধোয়া হতে পারেনা,আমাদের দেশে একি পরিবারে বাবা করে লীগ তো ছেলে করে বিম্পি,খারাপ হলে শুধু ছেলে নয় বাবাও খারাপ! তাই দেশের এই অবস্থার দায় দলের উপর ই সমানভাবে বর্তাবে! দলীয় চেতনার উর্দ্ধে উঠে বাংলাদেশী চেতনায় বিশ্বাসী হলে আর কোন ল্যাঠা থাকে না! কিন্তু এগুলো কে শুনবে,এগুলো তো নীতিকথা।

১০| ০৩ রা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

অপ্রিয় বলেছেন: @ অফ ব-দ্বীপ: জামাত বিএনপির অনেকেই এসব শুনে হাসতে হাসতে পড়ে যেত এক সময়, এখন তারা হয় জেলখানায় অথবা দেশের বাইরে পড়ে গেছে। সাকা , গোআ গ্রেফতার হবে এই কথা শুনে হা হা প গে অনেকে এই ব্লগেই - সাবধান, হা হা প গের আগে আশে পাশে ম্যাহোল আছে কিনা দেখে নিয়েন।

০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ৯:০৯

ShusthoChinta বলেছেন: মিঃ,আপনার বুঝি দৃঢ় বিশ্বাস যে,যারা আওয়ামি বিরোধী তাদের সবার আত্নীয়স্বজনের মধ্যে অবশ্য ই রাজাকার আছে,তাই না? তাইলে কি বলতে চান গত নির্বাচনে যে চৌত্রিশ শতাংশ বিএনপিকে ভোট দিয়েছে তারা সবাই রাজাকার গোষ্ঠির লোক? কিংবা ২০০১ এর নির্বাচনে যে ৬০% মানুষ বিএনপিকে ভোট দিয়েছিল তারা সবাই রাজাকার? তাহলে তো সারা দেশ ই রাজাকার? তাহলে কি পনের কোটির দশ কোটিরেই জেলে ঢোকাতে চান নাকি? এদিক দিয়ে তো জামাতের সাথে আপনাদের ভালো মিল! জামাত ও জিহাদ কৈরা সব মাইরা ফালাইতে চায়,তো যখন জিগাইতে যাই সবাইরে মাইরা ফালাইলে মুসলমান হইব কারা? তখন তব্দা খায়া যায়! জামাত ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভার্সিটি গুলাতে জিহাদ করে শহীদ হয়,আপনারাও বিরোধীপক্ষের সবাইরেই রাজাকার কইয়া স্বার্থ হাসিল করতে চান! জামাত ধর্মব্যবসা করে,আপনারা মুক্তিযুদ্ধ আর বংগবন্ধু ব্যবসা করেন! আরে এত মিল??? আমি নিজেই তো তব্দা খায়া গেলাম!

১১| ০৩ রা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: @ অপ্রিয়, যেকোন কথায় জামাত বিএনপি টানা যাদের অভ্যাস তাদের কাছ থেকে যৌক্তিক কোন কিছু আশা করি না। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, আর ৭১ এর আওয়ামিলীগ আর আজকের আওয়ামিলীগ এক নয়, এক যে হবেই তার কোন কারন নাই। আলেমের ঘরে জালেম জন্মায়, বংগবন্ধুর ঘরে জন্মাইছে হাসিনা, তার ঘরে জন্মাইছে তার মেয়ে যার শশুর একজন বিশিস্ট রাজাকার। অতএব সব জায়গায় জামাত শিবির ব্যবসা ছারেন।বাংলাদেশে আওয়ামিলীগ, জামাত বিএনপির মত কুত্তা ছারাও অনেক মানুষ আছে বইলাই দেশটা এখন টিকে আছে।আপনি হয়তো মানুষের কাতারে থাকতে পছন্দ করেন না বা সেই কাতারে পরেননা, কিন্তু সবাইরে অমানুষ ভাইবেন না।

০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ৯:১৫

ShusthoChinta বলেছেন: ভাইজান,উনি মানুষ বা অমানুষ কিছুই না,উনি হলেন 'আমিলিগ'

১২| ০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ৯:১২

ShusthoChinta বলেছেন: ব্লগার 'অপ্রিয়' কে বলছি,এরপর মন্তব্য করলে পোস্ট রিলেটেড মন্তব্য করবেন। সেই বস্তাপঁচা রাজনৈতিক প্যাঁচালমূলক কমেন্ট হলে মুছে দিবো,কারণ ঐ প্যাঁচাল কোনদিন ই ফুরাবে না,চর্বিতচর্ব্বন হতেই থাকবে আর তিক্ততা বাড়তেই থাকবে! মাঝখান থেকে আমার পোস্ট দেওয়ার উদ্দেশ্যটা মাঠে মারা যাবে! সো বি কেয়ারফুল!

১৩| ০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ১০:১৬

শয়তান শাহীন বলেছেন: এই পোষ্ট টা স্টিকি করলে কি সামুর গায়ে খুজলি ধরবে নাকি....সামু ও লীগ এর থেকে কম কিসের কিসু কইলেই ব্যান মাইরা বহে....দেশ টা তো লীগ বা বিম্পির না.।এইটা তো আমগো দেশ...লক্ষ ব্লগারের কন্ঠরোধ করার ক্ষমতা লীগ-বিম্পি কারোরই নাই....আসে খালি.।ভাদা-পাদা-আদা গো... X(( X(( X(( X(( X((

০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ১০:২৬

ShusthoChinta বলেছেন: দেশের জন্য কিছু করার,অন্তত একটু ভাবারও কি কারো টাইম আছে নাকি? কথায় আছে 'নিজে বাঁচলে বাপের নাম',আমরা এই প্রবাদকেও হার মানিয়েছি,কখনোই আমরা দেশের কথা ভাবিনা! যারা ভাবে তারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো আঁতেল খেতাব পায়! আর দেশের স্বার্থসংক্রান্ত কোন লেখা বা মতামতও যদি কোন দলের বিরুদ্ধে যায় তো আর কোন কথা নেই,হৈ হৈ রৈ রৈ করে এসে ইচ্ছামত ট্যাগ দিয়ে যাবে। কি আর করা,আঙুল চুষা ছাড়া আর কোন উপায় নাই!

১৪| ০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ১০:৩৪

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: চীনের সাথে বন্ধুত্ব হলে রেল লাইন হবে। ট্রেনে মালামাল আমদানি খরচ অনেক কমে যাবে। তাই খুচরা মূল্য অনেক কমে যাবে। আমি চীনের সাথে বন্ধুত্বের পক্ষে।

০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ১১:০৩

ShusthoChinta বলেছেন: ছোট্র কিন্তু দারুন একটা সম্বাবনাময় পয়েন্ট তুলে ধরেছেন! এভাবে যদি আমাদের রাজনীতিকেরা চিন্তা করতে পারতো.......

১৫| ০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ১০:৪৩

ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন: এট্টু আগে ফেসবুকে পাইলামঃ
------------------------------------------------------------------
ম্যাডাম: রণতরীর ব্যাপার টা জানো নাকি ?
মওদুদ: জ্বী ম্যাডাম, কাছাকাছি আইসা পড়ছে ।
ম্যাডাম: শিওর, নাকি পিনিকে বল্লা ?
মওদুদ: না ম্যাডাম, আইসা পড়ছে, বুড়িগঙ্গায় আসলে হুইসেল দিতে বলছি।
ম্যাডাম: তুমি কি সবসময় টাল থাকো ইদানিং ? আগে তো এরকম ছিলা না।
মওদুদ: কচম মিস, আমি এইজন্য সব বুড়িগঙ্গা ঘাট কোকো লঞ্চ সরাইয়া ফেলতে বলছি, ধাক্কা খাইলে ভর্তা হয়ে যাবে ।
ম্যাডাম: বেক্কল কুনখানের.....

ম্যাডাম: ফালু, তুমি বল তোমার কি মনে হয়, এইটার পিছনে কে আছে ?
ফালু: হে! হে! হে!!!
ম্যাডাম: দাত কেলাও কেন....
ফালু: ম্যাডাম, এইটার পিছনে ক্ষুদ্রঋনের বিশাল হাত আছে।
ম্যাডাম: যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুদ্রঋন কইরা সপ্তম নৌবিহার আনতেছে ? তুমি তো দেখি ব্যারিষ্টারের থেকে বেশী টাল।

ফালু : না ম্যাডাম, আমি ইউনুস সাহেবের কথা বললাম.... হে হে হে..
ম্যাডাম: হাসি থামাও, ইদানিং তো কিছুই বলো না। কিছু বিবৃতি দেও পেপারে, মন্তব্য টন্তব্য করো...
ফালু: হি: হি: হি:... ম্যাডাম, সরকার দলে ওইরকম মন্ত্রী রা থাকলে, আমগো কি আর কিছু বলা লাগে ?!! মাঝে মইধ্যে মনে হয় তারা নেক্সট নির্বাচন আমগো ব্যানারেই না করে....

ম্যাডাম: বুঝছি, শোনো, মওদুদ রে ধইরা বাসায় নিয়া যাও । আর যাওয়া পথে ওর গলায় আঙ্গুল দিয়া বমি করাবা... পিনিক ছুটবো।

স্যাটায়ার কৃতজ্ঞতাঃ Omi Rahman Pial ভাই :)

০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ১১:০০

ShusthoChinta বলেছেন: তো এইডা কি হৈল? আগা মাথা কিছুই বুঝলাম না এই স্যাটায়ারের? আমি পিয়াল বানাইছে এই ছ্যাটায়ার??? বড্ড হতাশ হৈলাম! এইডা দিয়া সে কি বুঝাইতে চাইছে উনার কাছে শুইনা আমারে একটু জানায়া যাইয়েন তো ভাই। নইলে আপনি কি বুচ্ছেন সেইডাই কইয়া যান....

১৬| ০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ১১:১০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: চীন'কে মার্কিন বিকল্প ভাবাটা আসলে মূলত বন্ধু'র শত্রু আমার শত্রু, তাই শত্রু'র শত্রু হোক আমার বন্ধু টাইপের হয়ে যায়। অবশ্য চীন বা যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে বেছে নেবার সুযোগ থাকলে চীনকেই বেছে নিতাম।

কিন্তু দেশের বিষয়ে তো আর শুধু আবেগ দিয়ে ভাবা যায় না। আরো কিছু বিষয় ভাবতে হয়। প্রথমত, চীনের সাথেই আমাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য এতটাই ব্যাপক যে, ঘরের পাশে থাকা স্বত্ত্বেও এত হাজার বছরেও শক্ত কোন সম্পর্ক গড়ে উঠে নাই। মূল কারনটা সাংস্কৃতিক ভিন্নতা! এছাড়াও চীনের সম্পর্কে মানুষ জানে না বলেই বিশ্বের অন্যতম মুসলমান নির্যাতক চীনের উইঘুর মুসলিমদের আক্রান্ত হবার খবর আমরা পাই না। কিন্তু ঘটনা সেখানে ঘটছে।

এর বাইরে ব্যাপার হলো, চীন ও ভারতের যুদ্ধ হয়েছিল। এমন অবস্থায় ভারতের প্রতিবেশি দেশ হয়ে চীনের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক ভারতের কাছে কোনদিনই গ্রহনযোগ্য হবে না। ঐদিকে চীনের মিত্র পাপিস্তান আর এদিকে যদি হই আমরা, তাহলে ভারতের নিরাপত্তা পুরা ধরা, এবং ওরা সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং ভারতকে আমরা এড়াতে পারবো না।

এরপরের কথা হলো বাণিজ্য! চীন একটা রপ্তানীকারক দেশ, আমরা ওদের সাথে গাঁটছাড়া বাঁধলে গার্মেন্টেসের ডেস্টিনেশন পশ্চিমা বিশ্ব তো দুরে পূর্ব এশিয়াতেও পণ্য ঢুকাতে পারবো না! চীনে মানুষও রপ্তানী করতে পারবো না।

চীন হলো পাপিস্তানের বিগ বস! আমরাও যদি চীনের ব্যাকআপ খুজি তাহলে প্রথম সুযোগেই চীন আমাদের সাথে পাপিস্তানের সম্পর্ক জোড় করে ভাল করার চেষ্টা চালাবেই! যেটা আমাদের একান্তই জাতিগত বিষয় এবং এখানে বাইরের ইন্ধন কাম্য নয়।

চীনের সাথে আমাদের শুধু ধর্ম ও সাংস্কৃতিক পার্থক্যই শেষ না, বরং রাজনৈতিক দর্শনটাও মিলবে না। ওরা সমাজতন্ত্রী, আমরা গণতান্ত্রিক! এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি একটা বড় ব্যাপার।

আমাদের অন্যতম বড় ডোনার জাপান স্বাভাবিকভাবেই চীনের সাথে আমাদের সম্পর্কোন্নায়ন ভাল ভাবে নিবে না। দঃকোরিয়া না! কিন্তু ওসব জায়াগায় আমাদের পণ্য বেঁচতে হবেই।

এগুলো প্রাথমিক বিশ্লেষন। উপরে যেই ঝামেলাগুলো দেখালাম যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এসবের কোনটাই হবে না।

আরেকটু বলি, ভারত-পাপীস্তান-চীন, সবগুলো পারমানবিক শক্তি'র দেশ। এদের মাঝে মাথা উঁচু করে থাকতে হলে আমাদের ১৬ কোটি মানুষের দেশটাকে যা করতে হবে তা হলো, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে নেপাল-ভুটান-পূর্ব ভারতের আমদানী-রপ্তানী'র ব্যাবস্থা করে শুল্ক এবং ট্রান্সপোর্টেশনসহ নানা রকমের ব্যাবসা নিয়ন্ত্রন করতে হবে। বাণিজ্যিক গুরুত্ব বাড়াতে হবে। আর এটা করতে নিজেদের আভ্যন্তরীন ও বন্দরের নিরাপত্তাসহ রাজনৈতিক সংস্কৃতি উন্নয়ন করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক ময়দানে পেশী শক্তি'র নিরাপত্তাও খুব দরকার যা নিজেরা তো করতে পারবো না তাই হিসাব নিকাশ করে সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটা পার্টনারশিপ তৈরী করাই বেস্ট চয়েজ!

তবে, এসবের জন্য দরকার নতুন নেতৃত্ব। বর্তমান দলগুলো জনগণের স্বার্থ সংরক্ষন করার মত দেশপ্রেম বা মেধা কোনটারই প্রমান দেখাতে পারে নাই এত বছর ধরে।

তাই, নতুন বাংলাদেশের লক্ষ্যে নতুন নেতৃত্বের বিকল্প নাই।

০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ১২:২৭

ShusthoChinta বলেছেন: আপনার কয়েকটা পয়েন্ট যথেষ্ট ভ্যালিড,তারপরও দ্বিমতের অনেক অবকাশ আছে। আমি আগেই বলেছি,চীন আমাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ব্যাপারে নাক গলাবে না,যেটা মার্কিনীদের কাছে অনেক বড় ফ্যাক্টর! এক্ষেত্রে আমি মনে করি সাংস্কৃতিক দূরত্ত্বটা আমাদের পক্ষে তেমন একটা সমস্যা হবে না! সত্যিকার অর্থেই চীন অন্যদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে অতটা নাক গলায় না,যেটা ভারত বা মার্কিনীরা প্রায় প্রত্যেকটা দেশে করে থাকে। এই দিক দিয়ে চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক হবে সামরিক এবং অর্থনৈতিক। সামরিক সম্পর্কটা আগে থেকেই আছে,এটাকে পারস্পারিক পার্টনারশীপমুলক সম্পর্কের দিকে নিয়ে যেতে হবে।
আর ভারতের সাথে আমাদের এখনকার সম্পর্কটাই বা কতটুকু ভাল? কতটুকু ফলপ্রসু? কতটুকু হেল্পফুল? শুধু মুখের চাটুকারীতা ছাড়া আর কি দিচ্ছে ওরা আমাদের? সীমান্তে প্রতিদিন লাশ ফেলছে,বিডিআর বিদ্রোহ,গামেন্টস শিল্পে অস্থিরতাসহ প্রতিনিয়ত আমাদের দেশের ভিতরে অসংখ্য স্যাবোটাজ চালাচ্ছে ভারত! চীনের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নিলে এরচেয়ে বেশি আর কি করবে ওরা? অনেকে এখনো যেমন বলে ভারতের উপর আমরা অনেকটাই নির্ভরশীল,আসলে বিষয়টা মোটেও আর সেই অবস্থায় নেই। ভারতের সাথে আমাদের যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সেটা এমনি যে ভারতের ই প্রয়োজন আর সুবিধামাফিক,সো এইটাইপের বাণিজ্য চীনা বলয়ে গেলেও চলবে। আর আপনার 'ভারতের সরাসরি প্রতিক্রিয়ার' ব্যাপারেও আমার দ্বিমত আছে,মিয়ানমারের দিকে তাকান! চীনা প্রভাব বলয়ে থাকাকালীন ভারত নিকট প্রতিবেশী হওয়ার পরও ওদের নিয়ে টু শব্দটি পর্যন্ত করেনি! উল্টা বলয়ের বাইরে থাকা শ্রীলংকার উপরে ভারতের সে কি হম্বিতম্বি! ভারতকে আমরা যতটা ভাবি অতটা শক্তিশালী বা প্রভাব বিস্তারকারী মোটেই নয়! হ্যা এটা ঠিক যে,ভারতীয় প্রভাব থেকে বের হয়ে চীনা বলয়ে ঢুকে পড়াটা অনেক কঠিন,কিন্তু ঢুকে পড়তে পারলে চীনের সাহায্যে ভারতকে ট্যাকল দেওয়াটা কঠিন ব্যাপার নয়।
হ্যাঁ,বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে। তবে সেটা যে এখনো হচ্ছে না তাও কিন্তু নয়! তৈরি পোশাক,পাটজাত দ্রব্য রপ্তানীতে ভারতের সাথেই কিন্তু আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর পাল্লা দিতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজস্ব অবস্থান পোক্ত করতে হলে এইসমস্ত বাধাকে টপকাতে হবেই একদিন না একদিন!
চীনের সাথে সম্পর্ক করতে গেলে জাপানের সাথে সাহায্যমূলক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ হবে,এটা এড়ানোর উপায় চোখ পড়ছে না। তবে আগে হোক পড়ে হোক আমাদেরকে এই সাহায্যনির্ভরতা থেকে বেরুতে হবেই,সেটা যত তাড়াতাড়ি হয় ততই মঙ্গল। আর বিকল্প অর্থসংস্থানের জন্য অনেক দেশকেই আমরা রাডারে আনতে পারি,যেমন পদ্মাসেতুর ক্ষেত্রে জাপানী জাইকাসহ বিশ্বব্যাংক পিছু হটায় মালয়েশীয়া এগিয়ে এসেছে,মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে শ্রমবাণিজ্য না করে সম্পর্ককে আরো বহুমুখী করা সম্ভব।
আর পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে পুরোই ভিন্নমত পোষন করছি! আমরা না চাইলে পাকিদের সাথে সম্পর্ক গড়ে দিতে উঠে পড়ে লাগবে না চীন,এটা নিশ্চিত। আর পাকিস্তান এমন কোন রাষ্ট্র নয় যাদের সাথে সম্পর্ক গড়তে আমরা বাধ্য হবো,এটা একটা ব্যর্থ মূমুর্ষু রাষ্ট্র,ওদের নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে।
আর চট্রগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে নেপাল ভুটানের সাথে ব্যবসা বাড়ানোসহ অন্য সবকিছুই আমরা চীনের সাথে থেকেও ভালোভাবেই করতে পারবো।
আর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কিসের পার্টনারশীপ? ওরা তো আসছে শুধু আমাদের দেশকে ব্যবহার করে ওদের সামরিক উদ্দেশ্যকে পূরণ করতে,পার্টনারশীপ করতে নয়!
আমার সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যেটা ছিল,আমেরিকানরা ঘাঁটি গাড়লে আমাদের দেশের পরিস্থিতিটা কি দাঁড়াবে? উগ্রপন্থিদের কর্মকান্ড আমাদের দেশটাকে আরেক পাকিস্তানে পরিণত করলে দায়টা কে নেবে???

১৭| ০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ১১:৩৪

অনিক আহসান বলেছেন: আমেরিকারে বাদ দিয়া চীনের দিকে পুরোপুরি ঝুকে যাওয়ার মত সঙ্গতি বাংলাদেশের নাই।

০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ১২:৩৫

ShusthoChinta বলেছেন: আমেরিকা কে পুরোপুরি বাদ দিয়ে একেবারে লাফ দিয়ে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়াটা অবশ্যই বোকামি হবে,আমি সেরকম কিছু বলতে চাইনি। দেশে মার্কিন ঘাটি স্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় চীনের সাহায্যে সেটা এড়ানোটাই প্রধান আলোচ্য ছিল। পরবর্তীতে চীনা পরাশক্তির পরিণত হওয়ার সাথে ধীরে ধীরে আমাদের অবস্থানের পরিবর্তনও ঘটাতে হবে। মার্কিন ঘাটি হলে যে ভয়ংকর সমস্যাগুলো সামনে আসবে সেগুলো নিয়ে ভেবে দেখেছেন কি? যেকোন ভাবে হোক এটাকে এড়াতে হবে,এক্ষেত্রে বিকল্প অবশ্যই চীন,এটাই বলতে চেয়েছি।

১৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রায় দশ বছর আগে এই পোস্টটা লিখেছিলেন। ইতোমধ্যে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় অনেক জল গড়িয়ে গেছে। এখন সমীকরণটাকে কিভাবে দেখছেন?
রাজনৈতিক সততা ও প্রজ্ঞা এবং কূটনৈতিক দক্ষতা দ্বারা কোন ব্লকে প্রবেশ না করে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেই আপাততঃ সমস্যাটিকে সামলানো যাবে। দেশের অভ্যন্তরে অন্য কোন দেশেরই কোন ঘাঁটি স্থাপন করতে দেয়া যাবে না। এটাই হোক আপাততঃ মূল লক্ষ্য।
রাজনীতি ঠিক হলে কূটনীতিও ঠিক পথে চলবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.