নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব কিছুর উর্ব্ধে উঠা যায় না, তবু মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়...
দীর্ঘ দিন ধরে সরকারের পক্ষ থেকে বানিজ্যিক ব্যাংক গুলোকে সুদের হার ওয়ান ডিজিটে নামিয়ে আনার কথা বললেও তা কেউই মানছে না এবং এটা নিশ্চিৎ যে, ভাবিষ্যতেও মানতে পারবে না । কারণ ইতোমধ্যে বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু বানিজ্যিক ব্যাংক আর্থিক সংকটের কারণে দেওলিয়া ঘোষিত হয়েছে এবং বাকী ব্যাংকগুলোর অবস্থাও তত ভাল নেই । কিছু ব্যাংকে তো ৫/১০ লাখ টাকা উঠাতে গেলেই অগ্রিম নোটিশ দিয়ে যেতে হয় তারল্য সংকটের কারণে । এ অবস্থায় কোন ব্যাংকই ওয়ান ডিজিট সুদের হারে গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার কথা ভাবতে পারেনা । তবে বড় কিছু উদ্যোক্তরা হয়ত বড় লেনদেন এবং ব্যাংকের সাথে সুসম্পর্কের কারণে সুদের হার কিছুটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়, কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তরা অনেক কষ্টে-সৃষ্টে ব্যাংক থেকে কিছু লোন নেওয়ার সুযোগ পেলেও একটা সময় তা মরার উপর খাড়া ঘায়ের মতই অবস্থা হয় । সব মিলিয়ে তাদের লোনের উপর সুদের হার চলে আসে প্রায় ১৪/১৫ পারসেন্ট । এতে করে ঐ ব্যবসায়ীর সুদসহ ঊণের টাকা পরিশোধ করতে তার ব্যবসার বারো বেজে যায় । শেষ পর্যন্ত অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় যে, ভিক্ষা নেব না মা তোর কুকুর ঠেকা !
যাইহোক, এতো গেল গ্রাহক ব্যাংক থেকে লোন নিলে তার উপর সুদের হারের কথা; কিন্তু আমাদের দেশে এমন কিছু পরিবার, মানুষ আছে যাদের হাতে হয়ত অলস কিছু টাকা জমে আছে কিন্তু তারা ঝুকিপূর্ণ কোন ব্যাবসা বা এরকম কোন খাতে বিনিয়োগ না করে তা ব্যাংকে রেখে নিশ্চিন্তে বাড়িতে বসে লাভ গুণতে চায় । বলা যায় সে পথটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ব্যাংকে আমানতকারীর টাকার উপর সুদের হার কমিয়ে দিয়ে; তাই এতদিন এসব মানুষ কিছুটা বেশি লাভের আশায় পোষ্ট অফিসে বিভিন্ন মেয়াদে টাকা রাখছিল; কারণ এখানে টাকা রাখলে প্রায় নয় পারসেন্ট হারে সুদ পাওয়া যেত, ব্যাংকে যেখানে ছয় পারসেন্ট এর বেশি পাওয়া যায় না । যারফলে বিগত বছরগুলোতে মানুষ ব্যাংকের বদলে পোষ্ট অফিসে টাকা রাখা শুরু করেছিল । আর এই সুযোগটাই এবার সরকার নিল, ব্যাংকের সাথে সুদের হারের সমন্বয় করে । এখন থেকে মানুষ পোষ্ট অফিসে টাকা রাখলেও ছয় পারসেন্ট এর বেশি লাভ পাবেনা । এতেও যদি দেশের অর্থনীতি রক্ষা পায়, তাতে মন্দ কি ?
মানুষ না হয় আবার তাদের জমানো টাকা মাটির নিচে পুঁতে রাখা শুরু করবে মাটির হাড়িতে করে, কারণ পিতলের কলসের দাম তো অনেক বেশি । আর যাদের মাটিও নেই তারা তাদের ঘরের দেয়াল ফুঁটা করে তার ভেতর রাখবে, তবে অবশ্যই সাবধানে; কুকুর, শেয়ালও যেন না জানে ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
সাইন বোর্ড বলেছেন: ব্যাংকের বর্তমান যে অবস্থা তাতে তারা এক ডিজিটে সুদ হার নামিয়ে আনতে পারবে না, আর সাধারন জণগনের হাতে সেরকম টাকাও নেই যে, তারা ব্যাংকে রাখবে । যে শেণীর হাতে টাকা চলে গেছে বা যাচ্ছে, অনেকের ধারণা এসব টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে, যারফলে দেশ ক্রমেই অর্থশূন্য হয়ে পড়ছে । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন ।
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪২
ফয়সাল রকি বলেছেন: সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও কমাতে পারে... গরীবদের জন্য ব্যাপারটা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
সাইন বোর্ড বলেছেন: হারিকেন ধরিয়ে এরকম আরো কিছু খাত খোঁজা হচ্ছে, যেগুলো বাড়িয়ে রাজস্য বাড়ানো যায় । অথচ এসব ব্যাপারে কোন কথাও বলা যাবেনা । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন ।
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো লিখেছেন
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
সাইন বোর্ড বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন ।
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের বেশির ভাগ মানুষের হাতে টাকা নেই।
টাকা আছে অল্প কিছু মানুষের হাতে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
সাইন বোর্ড বলেছেন: তা ঠিক, কিন্তু কিছু মানুষের হাতে নগদ টাকাও আছে, তারা হয়ত ক্যাশ টাকা ভেংগে না খেয়ে তা থেকে লাভ নিয়ে চলতে চায়, কিন্তু এখন থেকে সেটা আর আশানুরূপ পাবেনা । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন ।
৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
শের শায়রী বলেছেন: নয় ছয় করা চলছে, চলবে কিছু করার নেই
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
সাইন বোর্ড বলেছেন: সত্য কথা বললে বা লিখলেই সমস্যা, তাই এখন সবার সব কিছুই গা সওয়া হয়ে গেছে । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন ।
৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৬
কনফুসিয়াস বলেছেন: বাংলাদেশ হয়ত শ্রীঘই একটি অর্থনৈতিক মন্দায় পড়তে যাচ্ছে। অর্থনৈতির এমন সোচনীয় অবস্থা বর্তমান সরকারের আগে দেখা যায়নি। সরকারের এই মেয়াদে বিদেশে সবচেয়ে বেশি টাকা পাচার হয়েছে। কিন্তু সরকারের এই বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ কিংবা কার্যকারী কোন পদক্ষেপ নেই। সরকার আছে, কোথায় নামায কে কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ও বিএনপির কোন নেতা আজ মুখ না ধুয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন তা দেখার জন্য।
সরকারের কোন জবাবদিহিতা না থাকায় ও জনগনের সরকার না হওয়ায় আজ দেশের এমন পরিস্থিতি। এই সরকার শুধুমাত্র কর্মীদের সরকার, যারা রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করে ও সরকারের নাম নিয়ে দিন-রাত নিয়ম করে পূজা দেয়।
বি: দ্র: আমি বিএনপি বা জামাত শিবিরের কেউ নয়। আমি বাংলাদেশ এবং আমিই বাংলাদেশ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১১
সাইন বোর্ড বলেছেন: আসলে এখন কে কোন দলকে সাপোর্ট করছে, সেটা বড় কথা নয় । বড় কথা হলো, সত্য কথা বললে বা লিখলেই তাকে বিরোধী পক্ষ হিসেবে ধরে নেওয়া হয় । তাই মানুষ এখন সত্য কথা বলতে ভয় পায় । কিছুই করার নেই, এটাই এখন বাস্তবতা । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
জাহিদ হাসান বলেছেন: আরেকটা বিষয়। ব্যাংকে এক ডিজিটের সুদহার করতে সরকার যে পদক্ষেপ করেছে তা দেশের জন্য ভালো হবে না।
ব্যাংক খাতে এই ‘নয়-ছয়’ বাতিল করে আগের মত ইন্টারেস্ট হার বহাল করা হোক। এই নয়-ছয়ে সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
ব্যাংক হারাবে জনগনের আমানত। আর জনগন হারাবে ব্যাংকিং বিনিয়োগ করে আর্থিক লাভবান হওয়ার সুযোগ।