| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"..নে বাবা, খা"
"নাহ! তোমার মুখেরটা খাব না"
"আচ্ছা, এই নে, নিজের হাতে খা'
যদিও আমি নিজের হাতে খেতে পারতাম না। তারপরও নিজের হাতেই খেতে বললেন।
"আচ্ছা, তাহলে তোমার হাত ধুয়ে এসে খাইয়ে দাও"..
"আচ্ছা বাবা, নে এবার"
আজ আবার বিয়েতে দাওয়াত আছে.. আমি ওসবে যাই না। বাবার জোরাজুরিতে যেতে হল। তো মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিলাম।
বিয়েতে বাবার কোলে বসেই খাচ্ছি। নিজে নিজে খেতে শিখব বলে পণ করেছি।
"এই নে, এইটা খা" বলে আস্ত মুরগিটা আমার প্লেটে"
আমার দিকে কত লোক তাকিয়ে আছে। আমার বুঝি আত্মসম্মানবোধ নেই?
বিয়ে বাড়িতে একের পর এক সবকিছু আমার প্লেটে জামিন দিচ্ছেন।
"উফ! বাবা, আমি এসব খাব না" আর জিবনে তোমার সাথে বিয়েতে আসব না"
দিলাম কান্না জুরে, কত ছেলেমেয়ে দেখেছে আমার বাবা আমার প্লেটে কি সব জামিন দিচ্ছে! খেলতে গেলেই আমায় লজ্জা দেবে।
"বাবা কাদিস না, এই নে ১০টাকা, আয় বাড়ি চলে যাই"
বলেই কোলে তুলে নিলেন। বাড়ি এসেই মায়ের কাছে সব নালিশ একত্র করলাম যে- বাবা কিভাবে আমাকে ছোট করেছে।
চলে গেলাম খেলতে।
রাতে শোতে গেলাম মায়ের সাথে।
"আয় বাবা এদিকে" বলেই কাথার নিচে মুড়িয়ে নিলেন। "নাহ বাবা, আমার গরম লাগছে" "আমি তোমার সাথে শোব না"
কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম সবাই! তার ইয়ত্তা নেই।
রাত ২:০০টা। "আল্লাহ.. আল্লাহ" বাবার চিৎকার। ঘুম ভেঙে গেল। সেকি! বাবাকে এমন বাচ্চাদের চেহারায় কখনো দেখিনি তো! মুখ ঘামছে। বুকে হাত দিয়ে বসে চিৎকার- "আব্বা, আব্বা" আমাকে জড়িয়ে ধরা। আমার আর বাবার স্পর্শে বিরক্তি আসছে না। কিছুক্ষনের মধ্যে সবকিছু আবার নির্বাক। সবকিছু যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। বুঝলাম বাবা নেই।
... এর পর কেটে গেছে ৮টি বছর। কেউ আর অপ্রিয় আদরগুলো করতে আসে নি। কানের কাছে আর বাজে নি"আব্বা ধ্বনি। সেই বিরক্তের স্পর্শই এখন প্রাণের আকুতি। কিন্তু... 
©somewhere in net ltd.