নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনাম কি দিব? আমার লেখা ভাল লাগলে আপনারাই আমাকে শিরোনাম দিবেন। নয়তো শিরোনামহীনই থেকে যাই। ফেবুতে আমাকে পেতে এই লিংকটা কপি-পেস্ট করুন- www.facebook.com/shipon.mia.3785?fref=nf&refid=52&__tn__=C

সিপন মিয়া

ক্ষ

সিপন মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়, আছি পরিবর্তন-এর অপেক্ষায়

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

আকস্মিক কানে আসল সোনালি ব্যাংক নাকি মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের একটা মেধাবৃত্তি দিচ্ছে। এককালীন প্রায় ১৫,০০০ টাকা। এমনিতেই ইদানীং অভাবে দিন যাচ্ছে তারপর এতো বড় একটা সূযোগ হাতছাড়া করতে চাচ্ছিলামও না। তাই একটা সার্কুলার যোগার করে পড়তে শুরু করলাম। বেশ কিছু শর্তেই দিচ্ছে। শর্তগুলো পূরণ করতেই ৪-৫ দিন খাটতে হবে। যাই হোক, শুরু করে দিলাম যাবতীয় কাজ।

প্রথমেই কলেজে,

কলেজের দপ্তরির কাছে থেকে Testimonial/Studentship Certificate সংগ্রহ করতে হয়। তো ২বন্ধু ২টা সনদগুলো চেয়ে ২টা দরখাস্ত লিখলাম অধ্যক্ষ বরাবর। যদিও তার স্থান অধ্যক্ষের হাতে না হল দপ্তরীর হাতে। আর তা থেকে অফিসের ঝুড়িতে। যাই হোক, ৫০টাকা দিয়ে সনদগুলো নিয়ে যেতে পারব। তো হটাৎ দপ্তরি অধ্যক্ষের সাথে- "স্যার, সবাই যখন নিচ্ছে তাহলে ৫০থেকে ১০০ করলে কেমন হয়?" স্যার নিশ্চুপ। দপ্তরি আমাদের-"কাল এসে নিবেন" আমাদের প্রস্থান।

এবারে ইউপিতে,

সচিবের রুমে গেলাম। জাতিয়তার সনদ লাগবে। তো-"ভাই, আমার মেধাবৃত্তির জন্য কিছু কাজ।" 'ভাই, ১০০টাকা লাগবে।" "কি বলেন? এতা তো ফ্রি..সচিব আমাকে-"ভাই নিলে নেন, না নিলে ভাগেন।"
মনটা চাইছিল শালাটাকে লাথি মেরে এক ছায়াপথ দূরে ফেলে দেই। টাকা ১০০দিয়ে কাজ সেরে ভাগলাম।

তো এবার চেয়ারম্যানের কাছে,
রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তো, চেয়ারম্যান সাহেব নাম ধরে ডাকলেন। ভিতরে গেলাম। জিজ্ঞাস করলেন-"কি কোনা সমস্যা? " না মানে আমার কিছু কাগজপত্র...
"দাও দাও" বলে সব শেষ।
আমি বললাম-"ভাই, ফি কত?" তিনি-"ফি কিসের? যাও যাও ফি আবার কিসের?..." আমার সালাম দিয়ে প্রস্থান। বাইরে এসে বুঝে গেলাম সবাই এক না। আর "বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়" একটা কথা আছে ভুলেই গেছিলাম। পরিবর্তন তো এভাবেই শুরু। পরিবর্তন আসবেই..

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.