| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এযাবতকাল শারীরিক অবস্থাই জানান দিয়ে যাচ্ছে আমার সময় কমে আসছে দিনকে দিন। শারীরিক অবনতি ত্বড়িত গতিতে অগ্রসরমান। প্রায় ডজনখানিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছি। দূর্ভাগ্যবশত কেউই রোগের নির্ধারক হন নি। নাকি কেউ মরণব্যধির সংবাদ দিতে কুণ্ঠাবোধ করছিলেন সেটাও একটা বিষয়। অনেকে আবার আমাকে মানসিক রোগী বানিয়েও ছেড়েছেন। যদিও আমি কখনই মানসিক রোগী ছিলাম না। আমি হয়তো মৃত্যুর পয়গামেই দিক বিদিক হয়ে গিয়েছিলাম। অথবা শারীরিক সমস্যাই আমাকে মানসিক বিকৃত করেছিল। যাই হোক, একটু শিক্ষার আলো গায়ে এসে পরলে যা হয় আর কি! ইন্টারনেট-এর বিভিন্ন বিশ্বস্ত উত্স থেকে জেনে গেলাম না বাঁচার রোগে পেয়ে বসেছে আমায়। তাছাড়া, সম্প্রতি একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি যে পরিক্ষাগুলো দিলেন সেগুলোও আমার বাঁচার আশাকে স্থবির করে দিয়েছে। একটা মরণব্যধি আছে যা শনাক্তকরণের জন্যই কেবল এ পরিক্ষাগুলো দেয়া হয়। যদিও রোগটা প্রাথমিক পর্যায় ধরা গেলে ৫-৭ লক্ষ টাকা আর আল্লাহ্র ইচ্ছা থাকলেই সম্পূর্ণ আরোগ্যলাভ হাতের মোয়া। তবে এইবেলাও মাথাটা দিল একটা ঘূর্ণন। আমাদের মতো গরীবেরা করাব ৫-৭ লক্ষ টাকা দিয়ে চিকিৎসা! যারা কিনা ৫-৭ টাকার ডাল আলু কিনেই চালাতে হয় কেবল একটা অপরান্হ। পরেরটারো থাকে অনিশ্চিত। এই যাহ! ৫-৭ লক্ষ টাকা জোগাড় করার চেয়ে তো সরকারি হাসপাতালের বেডে ধোকে ধোকে মরাই সহজ! তারপরেও আমি থেমে থাকি নি। মরতে কে চায় বলুন? বাঁচার আশায়ইতো পৃথিবীসহ মানুষগুলো ঘুরছে। বাঁচার আশা ক আর থেমে থেমে থাকে?
রাত্রে সপ্নে দেখলাম কোনো এক সম্পদশালীর দানে আমার অপারেশন হয়েছে। আমি আবার কিশোরসূলভ চপলতায় পূর্ণ। কিন্তু এতো দিনের অধিক চিন্তার পতিচ্ছবিই কেবল! যেখানে এই সমাজেই ভিখারির থালা খালি করার মতো লোকেরো অভাব নেই সেখানে আমাকে দিবে নবজীবন! এসব তো সিনেমাতেও সম্ভব। মাঝে মাঝে চোখ যায় সরকারের দিকে। আচ্ছা, যে রোগের বাহক দেশের প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ সে রোগের চিকিৎসার ভার সরকার নিচ্ছে না কেন? সাম্প্রতিক ভ্যাটবিরোদী আন্দোলনের মতো এই রোগীরাও যদি আওয়াজ তোলে- "চিকিৎসা আমার অধিকার" "নিশ্চুপ কেন সরকার?"
নাহ! ওইসব করে লাভ নেই। বাঁচতে হবে নিজেকেই। যতদিন এবং যেভাবেই হোক।
বিকল্প খোঁজতল্লাশি চালিয়ে দেখলাম যে- কিছু থেরাপি, রক্ত, ওষুধসহ মানসিক চিকিৎসা নিয়ে কিছুকাল যাপন করা যাবে। এভাবেই বাকি জিবনটা কাটাতে হবে। অবশেষ, আল্লাহ্র সেই অমর বানি-
"তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবে যদিও তোমরা সুদৃঢ় দূর্গে অবস্থান কর।" (নিসা, ০৪ : ৭৮)
"বল, ‘তোমাদেরকে মৃত্যু দিবে মৃত্যুর ফেরেশতা যাকে তোমাদের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। তারপর তোমাদের রবের নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।" (সাজদাহ, ৩২ : ১১)
২|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২
সিপন মিয়া বলেছেন: ভাই, আমার ব্লাড ক্যান্সার।
৩|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬
নতুন বলেছেন: সরি ভাই।
আমার এক কলিগের Hodgkin lymphoma তে আক্রান্ত.. সে কেমো থেরাপি নিচ্ছে এবং ডাক্তার বলছে যে সে রিকোভারি করবে।
এখন অনেক উন্নত হয়েছে চিকিতসা ব্যবস্তা... চেস্টা করুন অবশ্যই কোন পথ বের হবে।
৪|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৯
সিপন মিয়া বলেছেন: হুম ভাই, আর হয়তো ব্লগে আসার শক্তি পাব না। আর কেমোথেরাপিতে পুরোপুরি আরোগ্যলাভ হয় না। রোগ নিয়ন্ত্রনে এটা দেয়া হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উল্টা প্রতিক্রিয়া হয়। কেমোথেরাপি নেবার সাধ্যি আমার নেই। প্রতিটা ২০,০০০+ টাকার মামলা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
নতুন বলেছেন: ভাই কি হয়েছে? কি রোগ বিস্তারিত লিখুন। হয়তো কেউ আপনার সাহাজ্যে আসতেও পারে।