নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের একান্ত মুহুর্তগুলোও আজ তোমার...!!

চাই শুধু ভালবাসতে।

এস এম কায়েস

সাধারন একজন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি। হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করি। জোছনা রাতে মুগ্ধ হয়ে জোছনা দেখি। "পাগলা ছাড়া দুনিয়া জমে না..." এই নীতিতে বিশ্বাস করি। বুকে নিয়ে বেঁচে আছি এক বিশাল স্বপ্ন...

এস এম কায়েস › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্ট (২য় পর্ব)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬

আমার আগের বিশ্বের ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্ট পর আজ হাজির হয়েছি আরও কিছু রেস্টুরেন্টের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে। চলুন আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক বিখ্যাত কিছু রেস্টুরেন্টের অবস্থান।



# সোলো পার ডিউ (Solo per Due): রেস্টুরেন্ট বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সারি সারি চেয়ার টেবিল। অথচ মাত্র দুই সিটের বাহারি ডেকোরেশনের বিশ্বের অন্যতম দামি রেস্টুরেন্টের খেতাব অর্জন করেছে ইতালির সোলো পার ডিউ। একে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রেস্টুরেন্ট। যাতে একসঙ্গে মাত্র দুজন লোক বসতে পারে।



সোলো পার ডিউ





সোলো পার ডিউ

এখানে খেতে গেলে জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার খরচ হয়। এটি মূলত ১৯ শতকে তৈরি একটি বাড়ির গ্যারেজের খালি অংশে নির্মান করা হয়েছে। শুধু দুইজন লোক একসঙ্গে রেস্টুরেন্টটিতে সময় কাটাতে পারে এবং চাইলে "ক্যান্ডেল লাইট" ডিনারও করতে পারে। বেশির ভাগ ইতালিয়ান খাবার পাওয়া যায় এবং বিশ্বের কিছু বিখ্যাত "শেফ" এই ছোট্ট রেষ্টুরেন্টটির জন্য রান্না করে থাকে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে এ রেস্টুরেন্টে তিনমাস আগে থেকে বুকিং দিতে হয়। অন্যথায় এর বৈচিত্র‌্য ও স্বাদ পাওয়া অধরাই থেকে যায় ভোজন রসিকদের কাছে। বিশেষ করে 'হানিমুন কাপল'রা সোলো পার ডিউতে ভিড় জমান সবচেয়ে বেশি। সময় কাটান কিছুটা একান্তে। ঝাড়বাতির নিচে আলো-আঁধারির খেলায় সারুন আপনাদের ভোজন পর্ব।



# আরাগাওয়া (Aragawa): এশিয়ার যে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ব্যয়বহুলের দিক দিয়ে এগিয়ে তার মধ্যে টোকিওর আরাগাওয়া অন্যতম। নির্মানশৈলী এবং খাবারে জন্য একে জাপানের সবচেয়ে সেরা রেস্টুরেন্টও বলা যায়। ১৯৬৭ এ প্রতিষ্ঠিত এই রেস্টুরেন্টের স্পেশালটি হলো 'বিফ' বা 'গরুর মাংস'। তাদের মতো নাকি অন্য কোনো রেস্টুরেন্ট এত মজা করে বিফ রান্না করতে পারে না। এখানকার বিফ খেতে গেলে একজনের কমপক্ষে ৫৫০ থেকে ৬৫০ খরচ পড়বে। তবে মজার ব্যাপার হল এখানে জাপানিদের তুলনায় অন্যান্য দেশের ভোজনরসিকরা বেশি ছুটে আসেন।





আরাগাওয়া





আরাগাওয়া



তাদের কাছে এই রেস্টুরেন্টের গরুর মাংস খুবই প্রিয়। অন্যদিকে জাপানিরা গরুর মাংস খুব একটা পছন্দ করেন না। সম্প্রতি এক জরিপে এশিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় ও ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্টের খেতাব অর্জন করেছে এটি। এর স্থাপনা ও কারুকার্যে রয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের রকমারি কিছু ছাপ। যা ভোজনরসিকদের মন কেড়ে নিতে যথেষ্ট। সেই সঙ্গে রয়েছে ঝাড়বাতির আলো আঁধারির খেলা। মজার ব্যাপার হলো রাতে নয় দিনের বেলাতেও বেশ জমজমাট ও হৈহুল্লোড়ে মেতে ওঠে বিশ্বের অন্যতম টোকিওর এই ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্টটি।



# সুশি কাজি রেস্টুরেন্ট (Sushi Kushi Restaurant) কানাডার টরেন্টোর একটি নামকরা রেস্টুরেন্ট। এখানে মূলত জাপানি খাবার 'সুশি' পরিবেশন করা হয়। এই রেস্টুরেন্টের মাছ আসে টোকিও থেকে। সমুদ্র থেকে তোলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এটা আনা হয়। রাইস, সবজি এমনকি প্রয়োজনীয় সব উপকরণ আসে জাপান থেকে। জাপানের প্রকৃত খাবারে সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই এই রেস্টুরেন্টের মূল উদ্দেশ্য। খাবার এবং সেবার মান রক্ষার জন্য এখানে প্রতি সন্ধ্যায় মাত্র ৩০টি আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়। রিজার্ভেশনের জন্য অগ্রিম বুকিং দিতে হয়। প্রধান শেফ "মিটসুইরো কাজি" ২০০০ সালে রেস্টুরেন্টটি চালু করেন।





সুশি কাজি রেস্টুরেন্ট





সুশি কাজি রেস্টুরেন্ট

মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি সুশি রান্না করতে শুরু করেন। টানা ১৩ বছর তিনি জাপানের বিভিন্ন মাস্টার শেফদের সঙ্গে শিক্ষানবিস হিসেবে রান্নার কৌশল রপ্ত করেন। তিনি সকালে কেনা মাছ সন্ধ্যায় পরিবেশন করেন, কখনোই সারা রাত রেখে দেন না আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখে তিনি ভিনেগার নির্বাচন করেন। গ্রীষ্মকালে তিনি সফট, স্লাইটলি সুইটার ভিনেগার ব্যবহার করেন কেননা এ সময় গরমের কারণে মানুষের ব্লাড সুগারের লেবেল লো থাকে। শেফের এই স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য গ্রাহকরা বারবার ছুটে আসেন এই সুশি কাজি রেস্টুরেন্টে। কিন্তু চড়া মূল্যও গুনতে হয় তাদের। তবেই হয় তাদের রসনা বিলাস।



চলবে.......

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আরাগাওয়া তে ১ প্লেট বীফ খাওয়ার জন্য যে অ্যামাউন্ট ওটা টাকায় হলেও আমি খেতে রাজী না :| !

নাইস পোস্ট ||

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

এস এম কায়েস বলেছেন: কেন ভাই? বিফ কি ভাল লাগে না?????

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: পুরাই B:-) খাইলাম, আগের টা পড়েছিলাম এটাও পড়লাম । ভালই লেগেছে চালিয়ে যান সঙ্গে আছি ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০

এস এম কায়েস বলেছেন: ধন্যবাদ। সাথে থাকার জন্য। আশা করছি ভাল লাগবে।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুন লিখছেন। ওগুলোতে খেতে ইচ্ছে করছে তবে বাজেটটাই গন্ডগোল লাগাচ্ছে! হাজীর খাসীর তেহারী ১৩০ টাকা প্লেট, যাই নিয়ে আসি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

এস এম কায়েস বলেছেন: আমার জন্য আইনেন। না খাইয়ে থাকলাম!!!!

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

গেন্দু মিয়া বলেছেন: ভাই রে ভাই...

দুনিয়ার কত কিছু জানার বাকি আছে রে!

নাইস পোস্ট!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৫

এস এম কায়েস বলেছেন: ঠিক কইছেন ভাই। জানার কুনো শেষ নাই।

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৬

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: আমাগু আবুল হোটেলের নাম টা লিস্টে দেওয়া যায়না। পোস্টে+++++++++++++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৬

এস এম কায়েস বলেছেন: দিমুত ভাই। সবুর করেন একটু.... সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: আহ!!! এই পোস্ট দেখে নিজেকে খাদক ভাবতে ইচ্ছে করছে।
++++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

এস এম কায়েস বলেছেন: হা হা হা!!!! প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রেস্টোরেন্ট ভাল লেগেছে। ওটার টিকেট মিলবে কিভাবে? :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

এস এম কায়েস বলেছেন: ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ। মনপ্রান দিয়ে চেষ্টা করুন লাইনে দাড়ানোর। আশা করছি পেয়ে যাবেন।

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদিন আমিও .........।

দেখি আগের পোস্ট ঘুরে আসি :)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

এস এম কায়েস বলেছেন: আশা করছি ভাল লাগবে আপনার।

৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

মশিকুর বলেছেন:
নাইস পোস্ট+++

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

এস এম কায়েস বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: সুন্দর পোষ্টে প্লাস।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

এস এম কায়েস বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.