![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবর-মাজারের ভক্তরা যখন সে সকল স্থানে গমন করে, তারা সাথে নিয়ে যায় গরু, ছাগল, মুরগি, ডিমসহ নানারকম খাদ্য সামগ্রী অর্থকড়ি। উদ্দেশ্য এগুলো মাজারের অধিবাসীর নৈকট্য হাছিলের জন্য পেশ করা। কখনো তারা মাজারের ওলী বা পীরের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু যবেহ করে, তাদের কবর তাওয়াফ করে, কবরের মাটি নিয়ে মুখে মাথায় মাখে, প্রয়োজন পূরন ও বিপদ উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা জানায়...
এ সমস্ত কবর পূজারীদের অনেকে এমনও আছে যারা এ সমস্ত পীর-বুযুর্গের নাম, মৃত ওলীর নামে কসম করে। কেউ যদি কোন বিষয়ে তাদের সামনে মহান আল্লাহর নামে কসম করে তবে তারা তা গ্রহন করে না এবং বিশ্বাসও করে না। যখন ওলী বা পীরের নামে শপথ করে তখন তা গ্রহন করে ও বিশ্বাস করে
এদের স্পর্ধা এমনও হয়েছে যে, তারা কবরের হজ্জ আদায়ের জন্য নতুন শরীয়ত প্রণয়ন করেছে। যেমন--কবরের তাওয়াফ, মানত করার পদ্ধতি, যিয়ারত ও দু'আ চাওয়ার নিয়ম, কো্ন কো্ন কাজ করলে মাজারস্থিত পীরের সাথে বেয়াদবী হবে। কতবার যিয়ারতে আসলে এক হজ্জের সওয়াব পাওয়া যাবে...ইত্যাদি। এমমকি তাদের কট্টরপন্থীরা কবরকে বায়তুল্লাহিল হারাম কা'বা শরিফের সাথে করে এক্ষেত্রে কিতাবও রচনা করেছে। কিতাবের নাম রেখেছে ''মাজারের হজ্জ আদায়ের পদ্ধতি'। (নাঊযুবিল্লাহ)
মাজার যিয়ারতের আদব!!!ঃ শিরক ও বিদআতের ক্ষেত্রে তাদের বাড়াবাড়ি এমন প র্যায়ে পৌছেছে যে, মাজার যিয়ারতকারীদের জন্য আদব ও পদ্ধতি নির্ধারন করা হয়েছে। যেমনঃ
১। ওলী বা পীরের সন্মানার্থে তার মাজার যিয়ারতকারী জুতা খুলে বাইরে রেখে মাজারে প্রবেশ করবে।
২। ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে পাহারাদার বা খাদেমের অনুভূতি নিতে হবে। কখনো কা'বা ঘরের তাওয়াফ করার মত করে মাজারের যিয়ারত বা তাওয়াফ করানোর জন্য সেখানে খাদেম নিযুক্ত থাকে।
৩। যিয়ারত শেষে বের হওয়ার সময় উলটো পিঠে বের হতে হবে।
যিয়ারতকারী মাজার ও গম্বুজের বরকত লাভের জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালায়, যেমন-মাজারের মাটি চোখে মুখে লাগায়, বৈয়ামে ভরে ঘরে নিয়ে যায়, মাজারের গ্রিল, দেয়াল প্রভৃতি হাত দিয়ে স্পর্শ করে সে হাত চোখে, মুখে, সমস্ত শরীরে ও কাপড়ে বুলায়। যে কোন মাজারে আপনি চলে যান দেখবেন কী ভাবে আল্লাহর অধিকার পদদলিত হচ্ছে--গাইরুল্লাহর ইবাদত হচ্ছে। সমাস্থিত ব্যক্তির কাছে দু'আ করছে, দু'আ চাচ্ছে তার সাহায্য কামনা করছে, দু"আয় অনুনয় বিনয় করছে... অনেক মহিলা নিজের বাচ্চাকে তাকের উপর উঠিয়ে মাজারের ওলীর বরকত চাইছে। অনেকে আবার কবরকে সিযদাহ করেছে। নযর-মানত পেশ করছি মুক্তি বা প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে। ভোটি জেতার জন্য অনেক নেতা-নেত্রী মাজারে গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন। এ সব উদ্দেশ্যে কোন কোন মাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট করে যিয়ারতকারীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বিশ্রামাগার
আপনি দেখতে পাবেন যিয়ারতকারীদের মধ্যে কী রকম বিনয় ও প্রশান্তি বিরাজ করছে। এমনভাবে প্রভাবিত হয়েছে যে, ভয়-ভীতি ও আশা-আকাঙ্খায় দু'চোখ অশ্রু প্লাবিত হচ্ছে।
মাজারস্থ এ সমস্ত ব্যক্তিগন যেন এ দুনিয়ার মা'বূদ। এরাই মানুষের ত্রানকর্তা...। অথচ আল্লাহর সাথে অন্য কারো ইবাদত--চাই সে নবী হোক বা ফেরেশতা...আল্লাহ না তার অনুমতি দিয়েছেন না তিনি এতে সন্তুষ্ট। কেননা তা সুস্পষ্ট শিরক।
২| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০২
আই এইচ কমল বলেছেন: সহমত,
আল্লাহ শিরক কারিকে কখনো ক্ষমা করবেন না।
৩| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ২:২৪
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: ধর্ম কে সঠিক ভাবে অনুধাবন করতে ধর্ম বিষয়ে, সাহিত্য নিয়ে এবং বিজ্ঞান নিয়ে প্রচুর পড়তে হবে। আমাদের দেশের মানুষদের দিয়ে এ মুহূর্তে সেটা প্রত্যাশা করাটাই ভুল।
৪| ২৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪
আতা2010 বলেছেন: আমার কাছে সব কয়টাই খারাপ।
১) নাস্তিক ,
২) জামাতি , শিবির ৩)
৪), ভন্ড পীর ,
৫) মাজার পূজারী,
৬) গাট্টী বোঁচকা আলা তাবলীগ জামাত ,
৭) হীজবূত ঠাহাড়ীড় ,
৮ ) কওমি মাদ্রাসার ফকিরনির বাচ্চা ছাত্রারা
৯) কাদিয়ানী
১০) শিয়া,
১১) ওহাবী, / লা মাযহাবি
১২) কাফির নায়েক
১৩) ইহুদী
১৪) হিন্দু
৫| ২৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:১৬
আবদুল্লাহ-আল-মারুফ বলেছেন: আতা2010 -
kaumi madrasha jodi kharap hoi taile apnar/bap/ma'r janaja ke poraibo?? ..apne jei Emam'r pisone namaz poren shei Emam o kaumi thake pass korse.
Ei deshe kaumi sara kono Alem/Olama nai, ei blog knowledge niye kaumi somporke comments na korai valo.
Jara Islam somporke janen,tader k giye jigas koren , kaumi kara ?
Apnar moto pondit'r kase giye jigas koiren na.
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৯
ইসলামের ইলম বলেছেন: আল্লাহ আমাদের এবং সকল মুসলমানদের এই শিরক থেকে বাচান। কারন শিরক হল সবচেয়ে বড় গুনাহ। কি করব ভাই কিছু বুঝিনা। এরা এমন ভাবে এই পীরদের মানে যে, তাদের কে কিছু বুঝাতে গেলেে এমন কান্ড করে যে মনে হয় আমি কোন বড় পাপ করে ফেলেছি। একবার আমাদের ঘরে এক ফকির বাবা আসল, ভিক্ষা করতে। লাল কাপড় পড়ে, গলায় মালা, হাতে চুড়ি। আমি ছাদে ছিলাম। এই পাগলের মাথায় ময়লা ফেলে দিলাম। ও এমন সব আজব-আজব আওয়াজ করতে করতে বাইরে গেল, সাথে সাথে প্রতিবেশীরা বের হয়ে গেল। নিজের হাতে মহিলারা বাবা(!!!) কাপড় ঝেড়ে দিচ্ছিল। আর আমাদের ঘরের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১:১৭
সেলিম মোঃ রুম্মান বলেছেন: সহমত।
আমার আরও বেশি খারাপ লাগে যখন বাংলা সিনেমায় মাজারপ্রীতি দেখি। আল্লাহ আমাদের যাবতীয় শিরক থেকে হেফাজত করুন।