নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কালপুরুষ

এপিটাফের গল্পগুচ্ছ্

https://soaib.me/

এপিটাফের গল্পগুচ্ছ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যাপি প্রোগ্রামিং . . .

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২১

প্রায় শেষ হল ২০১৪ ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা। বেশিরভাগই ভর্তি হতে পারেনি তাদের কাঙ্ক্ষিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই তারা বেশির ভাগেই চেষ্টা করছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আর তাদের পছন্দের প্রথমে রয়েছে কম্পিটার সায়েন্স। কিছুদিন ধরেই অনেক ফোন পাচ্ছি আবার ফেসবুকে ইনবক্স পাচ্ছি। প্রশ্ন একটাই। ভাই, সিএসই পড়ব; কোন ভার্সিটি ভাল হবে? তাদের জন্যই আজকের লেখাটা।
ভাই, তোমরা সিএসই পড়বা শুনে সত্যি আমার অনেক ভাল লাগে। আমাদের মাঝে সিএসইর প্রতি ভাল লাগা দেখে আমার সত্যিই গর্ব হয়। আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক মেধা আছে। তারা অনেক ভালো ভালো প্রোগ্রাম লিখছে। আর তার সুবিধাটা নিচ্ছে উন্নত দেশগুলো। আমাদের বেশির ভাগের মধ্যে আউটসোর্সিং এর প্রবনতা। এ থেকেই তারা আমাদের মেধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন সফটওয়্যার বানাচ্ছে।
এবার আসল কথায় আসি। অনেকেই ভাবে, সিএসই??? এ আর এমন কি কঠিন জিনিস? সারাদিন কম্পিউটার নিয়ে থাকতে হবে। আমার তো কম্পিউটার অনেক ভাল লাগে। এটা কোন ব্যাপারই না। হুম তোমাদের ধারনা কিছুটা ঠিক। তবে পুরোপুরি না। কম্পিউটার ভালোলাগা আর প্রোগ্রামিং ভাললাগা এক জিনিস না। প্রোগ্রামিং মানে শুধু কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকা নয়। এর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। কীভাবে? ধর তোমাকে একটা প্রোগ্রাম লিখতে দেয়া হলো। এখন তুমি কি করবে? পিসির সামনে বসবে আর লিখতে শুরু করবে? এভাবে কখনোই পারবে না। প্রোগ্রামটা লিখতে তোমার অনেক কম সময় লাগবে। কিন্তু কীভাবে লিখবে মানে লজিকটা ধরতে ত্তোমার অনেক সময় লাগবে আর অনেক মাথা খাটাতে হবে। এর জন্য দরকার অসীম দৈর্য্য।
তোমাকে আগে ঠিক করতে হবে তুমি কি করতে চাও। চাকরী করার জন্য যদি সিএসই পড়তে চাও তবে দয়া করে পড়তে এস না। তুমি পারবে না। হ্যা, একটা ভাল সিজিপিএ নিয়ে ভার্সিটি থেকে হয়ত বের হতে পারবে। তারপর? মামার জোড়ে একটা ভাল চাকরীও হয়ত পাবে। কিন্তু তুমি আসলে কি করলে? নিজেকে কি নিজে ঐ চাকরীটার জন্য উপযুক্ত মনে কর? নাহ, তুমি কখন উপযুক্ত না। উল্টো তুমি একটা যোগ্য ছাত্র-ছাত্রীর জায়গা নষ্ট করলে যার অধিকার তোমার নাই।
সিএসসিতে ভালো করতে হলে তোমাকে কোডিংকে ভালোবাসতে হবে; প্রোগ্রামিংকে ভালবাসতে হবে। আর হুম কোন সফল ব্যাক্তিকে অনুসরিন করতে পার। তাই বলে তার মত হতে চাওয়ার কোন মানে নেই। যেমন ধর তুমি ভাব্লে আমি বিল গেটস/স্টিভ জবস এর মত হব। এর কি আসোলেই কোন মানে আছে? তোমার সময় সীমিত। অতএব, অন্য কারো জীবন যাপন করে সময় নষ্ট করো না। কোনো মতবাদের ফাঁদে পড়ো না, অর্থ্যাৎ অন্য কারো চিন্তা-ভাবনা দিয়ে নিজের জীবন চালিয়ো না। তোমার নিজের ভেতরের কন্ঠকে অন্যদের চিন্তা-ভাবনার কাছে আটকাতে দিও না। আর সবচেয়ে বড় কথাঃ নিজের মন আর ইনটুইশন এর কথা শোনার সাহস রাখবে। ওরা ঠিকই জানে তুমি আসলে কি হতে চাও। বাকী সব কিছু ততোটা গুরুত্মপূর্ণ নয়। সেভাবই শুরু কর। অনেক শুভ কামনা রইল।
হ্যাপি প্রোগ্রামিং . . .

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.